পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بتواع مخ পরিত্রাণেরই উপায় চিন্তা করিতে লাগিলেন। কিছুক্ষণ পরে মুহুরী আসিয়া একখানা রায়ের নথি সম্মুখের টেবিলটার উপর নামাইয়া দিয়া বলিল, “রায়ের নকলটা কাল চেয়েছিলেন। কিন্তু বাজে খরচ কিছু বেশী হয়ে গেল।’ ইটুবাবু সজাগ হইয়া উঠিয়া বসিলেন। একটা দায়রা মোকদমার রায়ের নকল। মোকদ্দমাটায় হুটুবাবুর অপ্রত্যাশিত ভাবে পরাজয় ঘটিয়াছে। তাহার কয়েকটি স্বল্প যুক্তি বিচারক অন্যায়ভাবে অগ্রাহ করিয়াছেন। ভ্র ইঞ্চিত করিয়া তিনি রায়খানা তুলিয়া লইলেন। মুহুরীটি চলিয়া গেল। রায়খানা পড়িতে পড়িতে কুটুবাবুর মুখ 6P* बfé श्घ्र खेठेिल । विल्लांब्रट्कब्र भरुवा ७दश् वि5ांत्रপদ্ধতির বক্রগতি দেখিয় তাহার ক্রোধের আর পরিসীম। বহিল না। দারুণ উত্তেজনাবশে রায়খান ছড়িয়া ফেলিয়া দিয়া উঠি ঘরের মধ্যে পারসরি আরম্ভ করিলেন। ॐप्बब घब$रख्झे कुमनाम हहैaा भटक जे बाकीघ्रटनत्र ছেলেগুলি যেন মগের উপদ্রব আরম্ভ করিয়া দিয়াছে। ইটুবাবু অত্যন্ত বিরক্তিভরে উপরের দিকে চাহিয়া বলিলেন, ভগবান, রক্ষে কর !" চাকরট ঘরের মধ্যে আসিয়া কতকগুলা চিঠি টেবিলের উপর রাখিয় দিল। চিঠিগুলা দেখিতে দেখিতে একখানা অতি পরিচিত হাতের লেখা বাম দেখিয়া সাগ্রহে খুলিয়া ফেলিলেন। ই–পুরাতন বন্ধু সেই বৃদ্ধ মুন্সেফবাবুরই চিঠি । এই বিবাহে আসিতে অক্ষমতার জন্য ক্ষমা চাহিয়া তিনি লিথিয়াছেন— “ষাবার বাতিক অসম্ভব রূপে প্রবল হ’লেও বাতের সঙ্গে যুঝে উঠতে পারলাম না, পরাজয় মানতে হ'ল । বিছানায় শুয়ে ভয়েই আপনার ছেলে ও বোমাকে আশীৰ্ব্বাদ করছি। ডাকযোগে আশীৰ্ব্বাদীও কিছু পাঠালাম, গ্রহণ করবেন।” - পরিশেষে লিথিয়াছেন, “আজ একটা কথা বলব, রাগ করবেন না। একদিন আপনি বলেছিলেন ম-লক্ষ্মীর অভ্যেস হ’ল লোকের মাথার ওপর দিয়ে পথ করে চল । তার চরণ দুখানি আপনি পথের ধুলোয় নামাব বলেছিলেন । কিন্তু টেনে টেনে নিজের মাথাতেই চাপলেন যে ! লাজ। পাবেন না, চরণ দুখানি এমনই লোভনীয়ই বটে, মাথায় না ধরে পারা যায় না ! মাথায় কি দেবীর রজত-রথের প্রবণসী ゞこBB উপযোগী রাজপথ তৈরি হয়েছে, বলি টাক পড়েছে টাক ?” চিঠিখানার কথাগুলি যেন তীরের মত তাহার ম গিয়া বিঁধিল । উত্তেজিত অসুস্থ মনের মধ্যে অক একটি অদ্ভুত মুহূৰ্ত্ত আসিয়া গেল । সমগ্র জীবনটা - মুহূর্বের মধ্যে ছায়াছবির মত র্তাহার মনশ্চক্ষুর সম্মুখ ভাসিয়া গেল। এই ঘর এই ঐশ্বৰ্য্য সমস্ত যেন কুং ব্যঙ্গে হিহি করিয়া হাসিতেছে। আবার মনে হইল, ঘৰে দেওয়ালে ঝুলানো ছবিগুলির মধ্যে সমস্তগুলিতেই - বাবুর ব্যঙ্গ-হাস্য-বক্র মুখ ভাসিয়া উঠিয়াছে ! রতনপুৰে কালীর ম–পারুলের শুামাঠাকরুণ উপরত বিজয়োল্লাসে কি তাণ্ডব নৃত্য জুড়িয়া দিয়াছে ! - 1 তিনি . থর থর করিয়া কঁাপিতে কঁাপিতে একখা আসনে বসিয়া লুটাইয়া পড়িলেন। চাকরটা শঙ্কিতভার ডাকিল, “বাৰু ! কোন উত্তর নাই। দেখিয়া শুনি চাকরটা চীৎকার করিয়া উঠিল । ডাক্তার মাসিয়া বলিল, ‘ব্রেন ফীভার ।" তিন দিনের দিন হুটুবাবু মারা গেলেন। মৃত্যুর পূর্তে সামান্তক্ষণের জন্য জ্ঞান ফিরিয়াছিল। প্রবীণ ব্যক্তিগণের অন্তরোধে তাহার পুত্র তাহাকে বলিল, “বাবা, ইষ্টদেবতা স্মরণ করুন।’ স্থির দৃষ্টিতে চাহিয়া ভ্র কুঞ্চিত করিয়া কুটুবাবু বলিলেন ‘মনে পড়ছে না !? এক জন বলিলেন, ‘তুমি সরে বস, তোমার মাৰে ৰণতে দাও । উনি বলে দিন কানে কানে ইষ্টমন্ত্র !! গৃহিণী আসিয়া অশ্রুরুদ্ধকণ্ঠে স্বামীর কানে ইষ্ট্রমন্ত্ৰ উচ্চারণ করিলেন। কিন্তু ততক্ষণে হুটুবাবু আবার জ্ঞান হারাইয়া প্রলাপ বকিতে আরম্ভ করিয়াছেন ৷ প্ৰলাণেৰ মধ্যেও তিনি যেন কোন মোকদ্দমার সওয়াল করিতেছিলেন— “My Lord, - go through the eye of a needle than for a rich man to enter into the Kingdom of God,” [ ধনীর পক্ষে স্বৰ্গরাজ্যে প্রবেশ অপেক্ষ স্থচের মুৰে উটের প্রবেশও সহজ ] | it is easier for a camel te