পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8い。 জানাইবার চেষ্টা করিলেন, কিন্তু মূখ দিয়া তাহার কথা वॉश्द्रि ट्झेल नां । সাহেব পুনশ্চ কহিলেন, আপিসের ষ্টাফের পক্ষ হইতে তাহাকে ফেয়ারওয়েল’ দিবার সামান্য একটু আয়োজন इहेबांग्छ, श्उब्रा२ डिनि ¢यन झ%ां९ ताज़ी फलिग्र न যান । এ-পর্যন্ত সাহেবের সদাশয়ত হরিচরণ বাবুর ভালই লাগিতেছিল, কিন্তু এবার তিনি বিরক্ত বোধ করিতে লাগিলেন। মুখ ফুটিয়া সাহেবকে বলিয়াই ফেলিলেন যে ইহার কোন প্রয়োজন ছিল না । কিন্তু বিদায়-অভিনন্দনের আয়োজন তখন অনেক দূর অগ্রসর হইয়াছে। স্বতরাং হরিবাবুর আপত্তি টিকিবার কথা নয়। কিছুক্ষণ পরেই ঘটা করিয়া তাহার কৰ্ম্মজীবনের পরিসমাপ্তি আপিসমৃদ্ধ লোকের সম্মুখে বিজ্ঞাপিত হইল । ফুলের মালা আসিল, রূপালী কাগজের উপর ছাপা বিদায়অভিনন্দন পাঠ করা হইল, যথারীতি উদ্বোধন-সঙ্গীত হইয়া গেল এবং স্বয়ং সাহেব পৰ্য্যস্ত ছোটখাট একটি বক্তৃতা দিয়া ফেলিলেন। প্রকাণ্ড হল-ঘরের মধ্যে প্রায় পঞ্চাশ-যাট জন কেরানী ও বেয়ারার মধ্যে হরিবাৰু নিৰ্ব্বোধের মত বসিয়া রছিলেন। মনে হইল, নিজের অস্ত্যেষ্টি-উৎসবই তিনি যেন নিজের চোখে দেখিতে আসিয়াছেন । যে-ছোকরা এই সভায় পঠিত অভিনন্দনপত্ৰখানি রচনা করিয়াছে, তাহার নাম জানিতে পারিলে তিনি বোধ হয় মনে মনে তাহাকে অভিশাপ দিতেন এবং ক্ষমতায় কুলাইলে তাহার ভবিষ্যৎ উন্নতির পথ বন্ধ করিয়া যাইতেন। অথচ তাহাকেই আবার এতগুলি লোকের মধ্যে দাড়াইয়া বিদায়-অভিনন্দনের ७को छवादe निरड श्ल । डॉप्शTब *बिर्शन Cष 4भनई শোচনীয় মূৰ্ত্তি লইয়া দেখা দেয় সে-কথা এত দিন পরে হরিচরণ বাবু যেন উপলব্ধি করিলেন। ভিন-চার দিন কোন মতে বাড়ীতে কাটিয়া গেল । বুজাস কোম্পানীর চেকখানি ব্যাঙ্কে গিয়া ক্যাশ করিতে হইল, তার পর পেস সিডনের বাড়ী হইতে শেয়ারের দর আনাইয়া, টাকাটা কোথায় নিরাপদে ইনভেষ্ট করা যায়, হরিবাবু তাঁহারই একটা হিসাব করিতে লাগিলেন। কিন্তু প্রবণসী SNごs - ইহার জন্য সময় কতক্ষণই বা লাগিতে পারে ? সমস্ত কাজ হইবার পরেও হাতে যেন অনেকখানি সময় থাকিয় ৰ ট্রামের মান্থলির মেয়াদ তখনও শেষ হয় নাই, বার-চক্ৰ হামবাজার-এসপ্লানেড ঘুরিয়া আসিলেও ঘন্ট-দেন্ত্রে বেশী সময় লাগে না ; উপরন্তু পরিচিত লোকজনের ম' দেখা হইয়া গেলেই হরিচরণ বাবু যেন রীতিমত বি বোধ করেন। পৃথিবীমৃদ্ধ লোক এখনও দশটা ণ খাটিয়া খাইতেছে, অথচ সুস্থ সবল শরীর লইয়া f ইহারই ভিতর বাড়ীর গণ্ডীর মধ্যে বসিয়া নৈষ্ক সাধনা করিতেছেন, ত্রিশ বছরের কেরানীগিরির পর এ হরিচরণ বাবুর মনে হয় এমন কিছু বিস্ময়কর নহে। সন্ধ্যার মুখে হরিচরণ বাবু এক দিন পার্কে বেড়াই গিয়াছিলেন। সেখানে নিষ্কৰ্ম্মজীবনের করুণ রূপ ীে র্তাহার যেন ভয় ধরিয়া গেল। কেউ হাতে রূপ-বাধান স্থা লইয়া প্রায় সামরিক ভঙ্গিমায় পা ফেলিতে ফেলিতে ৰি ত্রিশ বার পার্কটি প্রদক্ষিণ করিতেছেন, কেউবা শীত পড়িৰ আগেই বালাপোষ গায়ে জড়াইয়। এ-বৎসর শীতের প্রতে বড় ভীষণ হইতে পারে সে-সম্বন্ধে নিঃসংশয়ে ভবিষ্যৰ করিতেছেন, কেউবা তাহার সময়ের বড়সাহেবের স্থা মেজাজের সবিস্তার পরিচয় দিয়া উৎসুক শ্রোতৃমণ্ডলীর ম ভীতিসঞ্চারের জন্য ব্যাকুল । দেখিয়া শুনিয়া হৰি সেদিন আধ ঘণ্টার বেশী পার্কে থাকিতে পারেন না। পার্কট র্তাহার কাছে পিজরাপোলের মত মনে হইয়াৰিং পৃথিবীতে যাহাদের কাজের কোন বালাই নাই, কৰ্ম্ম জীৱ যাহাঁদের অবসর মিলিয়াছে, তাহারাই যেন তাহা ক্লান্ত নিঃশ্বাসে সন্ধ্যার আকাশকে প্রতিনিয়ত ভারাজ করিয়া তুলিতেছে! মরিতে হইবে বলিয়া কত না ইহা দুশ্চিন্তা এবং সেই নিশ্চিত মৃত্যুকে দিনকয়েকের ম ঠেকাইয়া রাখিবার জন্য কি করুণ তাঁহাদের প্রয়াস। সে হইতে হরিচরণ বাবু আর পার্কের দিকে যাইবার sে করেন নাই । বাড়ীর আবহাওয়াও যেন দিন-দিন বিরক্তিকর হই উঠিতে লাগিল । বাড়ীটি হরিচরণ বাবুর পৈতৃক সম্পৰি ছেলেবয়সে যেদিন তিনি প্রথম রজাস কোম্পা৯ চাকরি করিতে গিয়াছিলেন, সেদিন মনে করিয়াছিং