পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫৪ - হাফটোনের ছবি দেখেও আমি আনন্দ পাই। আমার মনে হয়—কোন ভাল ছবির একটা ভাল সমালোচনা পাওয়া গেলে, হাফটোনের ছবি থেকেও তার রস বেশ কিছু পাওয়া যায়–অন্ততঃ রস-বোধের ক্ষমতা তাতেও খানিকটা বাড়বার স্থযোগ পায়। কেননা, ছবির অসম্পূর্ণতা ও ত্রুটিপূরণের ক্ষমতা হয়ত মনের খানিকটা আছে। চোখ ছবি দেখে যেমনটি তেমন, কিন্তু মন তাকে কল্পনায় মণ্ডিত ক’রে নিয়ে আরও খানিকট স্বষ্টি তার সঙ্গে যোগ করে, তবে গ্রহণ করে। তা ছাড়া আমার ত আর কোনও উপায়ই নেই। আসলের তো কথাই নেই—ভাল প্রতিলিপিই বা আমি কোথায় পাব ? এখন আপনি যে মাঝে মাঝে ছবির পোটফিলিও পাঠাবার প্রস্তাব করেছেন, তা কাৰ্য্যে পরিণত করতে পারলে, আশা করা যায়, কিছু সুবিধা হবে। আপনার এ-প্রস্তাবের জন্তে আমি আপনার কাছে বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ। কিন্তু সরকার আমার চিত্র-চর্চার কি স্বযোগ ক’রে দেবে ? নিজের পয়সায় করলে এ-চর্চায় হয়ত তাদের আপত্তি হবে না । কিন্তু তাদের কাছে এ জন্তে পয়স চাইতে গেলে, জবাব পেতে দু-মাস কেটে বাবে—তার পরে হয়ত দু-মাস পরে এক পসলা দুঃখ, অনুতাপ ইত্যাদির বর্ষণ হয়ে সব চুকেবুকে যাবে। তবে ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরীর বই পাওয়ার যে তারা ব্যবস্থা করেছে, সে জন্যে ধন্যবাদ দিই। সবাই মিলে চিত্র-চর্চার স্থযোগ দাবি করতে বলেছেন। কিন্তু সবাই’ বলতে এখানে আমরা দুটি মাত্র প্রাণী । কাজেই ভ হবে না। তবে আপনি দয়া ক’রে রেলওয়ে পাসেলে যদি পাঠিয়ে দেন–C/o Superintendent, Central Prison, P. O. Nasik Road ( Ry. Station–-Nasik)–® fìgt;If:, gtg qïfì \&qïTR মাশুল দিয়ে রাখতে পারি এবং পরে আবার মাশুল-শোধ পাসেলে পাঠিয়ে দিতে পারি। এ ছাড়া যদি অন্ত কোনও ব্যবস্থা আবশুক মনে করেন, তবে তা জানাবেন । এরূপ আনা-নেওয়া আৰম্ভ তিন মাসে একবারের বেশী সম্ভবপর হয়ে উঠবেন । ঠেক অবশু টাকার, তা বলাই বাহুল্য। আপনি হয়ত আমার চিঠি পড়ে নিরাশ হবেন— আমি হ’ভে কিছু হবার নম7 এই মনে ক’রে। কিন্তু প্রষণসী ১৩৪ আপনাকে একটা লোভ দেখাতে পারি। আর্ট o স্বষ্টি করে, তাদের সকলের স্বষ্টিই কিছু আর উন্ন নয়। উচুদরের স্রষ্ট দু-এক জন। বাকী সবাই সাক্ষ পৰ্য্যায়ভুক্ত। তবু তাদের দানের মূল্যও কম নয়। কেৱ তারা প্রচলিত শিল্প-রীতির পরিপূর্ণতা আনয়ন করে—বিল ক’রে তার প্রবাহ রক্ষা করে এবং প্রবাহ রক্ষিত হয় বলে মাঝে মাঝে তার উপরে বড় বড় ঢেউ জেগে উঠতে তার পরে যেখানে আটের অাদর নেই, ভাল জহুরী সেখানে অনুকুল আবহাওয়ার অভাবে আট ফুৰ্ত্তি পায় = তা ছাড়া এক যুগের সমালোচনার ফল, পরের যুগে - আলোচনার ফলে রুচি জন্মায়—রুচি বদলায়। তার নূতন স্বষ্টি সম্ভব হয়। কিন্তু সকলেই ত আর উচুর সমালোচক বা ভাল জহুরী হ’তে পারে না! অধিক লোকেই মোটামুটি ভাবে খানিকটা বুঝে নিয়ে আট আদর করে । আদর করাটাই বড় কথা। যারা কৰে তারাই অনুকূল আবহাওয়ার প্রবাহ রক্ষা করে। আপনার যে লোভ দেখাতে চাচ্ছি, তা হচ্ছে এই যে আমি হই এই দিকে খানিকটা কাজে আসতে পারি, যদি এ-বিষ্ণ আমি নিজে কিছু শিক্ষা পাই। যাদের সংশ্রবে আf আসব, তাদের যাতে আটের প্রতি টান বাড়ে, সে-মে যে আমি অবশ্যই করব, তা বলাই বাহুল্য । আমরা কারাগৃহের দেবতা ? তা বটে—সনাতনী। কালী মাই—উচ্চবর্ণ ভিন্ন কারও প্রবেশ নিষেধ, অং ঠুটাে জগন্নাথ—দারুভূত মুরারি হয়েই ত আছি। আপন বন্ধুটি হাত পা কেটে দেওয়ার প্রার্থনা করেন—অর্থাৎ ীে জগন্নাথ হ’তে চান। কিন্তু এ-কথা আমি জোর কষ্ট্রে বলতে পারি যে জগন্নাথ যদি কথা বলতে পারতেন, তবে তিনি নিশ্চয়ই তার এ বিকলাঙ্গ হাস্যাম্পদ মূৰ্ত্তির জন্যে ঘোরতৰ আপত্তি করতেন। তবে তিনি জগন্নাথ—ভক্তের অভাব নেই-রথে চড়িয়ে টানবার লোকও অগণিত। কিন্তু আপনার বন্ধুটি ত আর জগন্নাথ নন—যা প্রার্থনা করেন। তা পূর্ণ হ’লে টেরটি পাবেন। আমরা কিন্তু তার দলে নই। এত দিন যদিও দশ হাত দশ পায়ের জন্তে প্রার্থন করি নি ( কারণ পাছে তা গজিয়ে উঠে একটা বীভৎস ব্যাপার হয়ে দাড়ায়—এই ভয় । ) তবে দশ হাতে যতট