পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডিসগাস্টিং শ্ৰীবিধায়ক ভট্টাচাৰ্য্য প্রথম তার সঙ্গে দেখা হয় হিন্দুস্থান রেষ্টরেন্টে। ছবি দেখে ক্ষুধার উদ্রেক হওয়ায় এই মহাপরিচয়ের হুযোগ লাভ করেছিলাম। আমার সঙ্গে যে বন্ধুটি ছিল, সেই আলাপ ढद्विtद्र निरश। —একে চিনিস ? —oil | —সে কি রে! অতি-আধুনিক সাহিত্যিকদের ইনিই হচ্ছেন একমাত্র লোক,—যার নাম বাংলা দেশের প্রত্যেকটি লোকই জানে। গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, আর গান রচনায় এর জুড়ি নেই। জিনিয়াস একটা — উত্তেজনায় বন্ধুর চোখমুখ লাল হয়ে উঠেছে। সামনে চেয়ে দেখি যাকে নিয়ে আমাদের এত মাথাব্যথা, তিনি পরম নিশ্চিন্তে একখানি কাটুলেটের সদগতিসাধনে ব্যস্ত। ভদ্রলোকের বয়স বোধ করি ত্রিশের নীচেই । সমস্ত মুখে একটি ক্লাস্তির কালিম, সে কালিমা ‘ক্রীম ঘষে ८ठांज्ञ| यांप्र नl | —আলাপ করবি ? বন্ধু বললে । —চল। দাড়, ওঁর নামটাই যে শোনা হয় নি আমার । সেটা বল। —ত্রিদিব সরকার। দু-জনে এসে যখন ওঁর টেবিলের সম্মুখে বসে পড়লাম, উনি মান একটু হেসে বললেন–আস্থান। খাবেন কিছু ? —ন, ধন্যবাদ। আমি বললাম । —তবে সিগারেট নিন। এই ব'লে ভদ্রলোক পকেট থেকে একটি টিন বার করে আমাদের সামনে ধরলেন। ধুলে দেখি তাতে গোটা পাঁচ-ছয় পাসিং-শো' পড়ে श्रृंt...छ l ত্রিদিববাবু মুহূৰ্ত্তমধ্যে বলে উঠলেন—আর বলেন কেন । গিয়েছিলাম বেলেঘাট একটু দরকারে। পথে আমার সিগরেট গেল ফুরিয়ে। আর সে মশায় এমন একটা জায়গা, যে-দোকানেই যাই—এক ‘পাসিং-শো’ ছাড়া আর দ্বিতীয় সিগারেট নেই। অবশেষে প্রাণের দায়ে–মানে এ ত আর সখ ক’রে খাওয়া নয়,– তাই কিনতে হ’ল । ডিসগাস্টং ! এর পর দু-একটা অলস কথাবাৰ্ত্তার পর তিনি বললেন— এই কাফেটার উপর আমার মশায় কি যে ফ্যান্সি, রোজ একবার করে না এসে পারি নে। কিছু খাই আর না খাই—অন্ততঃ এক থানা ফাউল কাট্‌লেট ত খেয়ে যেতেই হবে। —আপনাকে বোধ হয় আমি হাতীবাগানে দেখেছি। - আমি বললাম । —খুব আশ্চর্য নয়। কারণ আমি ঐদিকটাতেই থাকি । —অথচ রোজ আসতে হয় এদিকে ! এ-কথার উত্তরে ত্রিদিববাবু একটু রহস্যময় হাসি হাসলেন। তার পর বললেন—নেশাতত্ত্ব সবন্ধে অভিজ্ঞতা থাকলে আপনি এ-রকম কথা বলতেন না। এই রকম কাটলেট যদি ডায়মণ্ডহারবারে পাওয়া যেত তবে ८ङ्गांछशे আমি সেখানে যেতাম। এ-সম্বন্ধে সম্প্রতি আমি কিছু আলোচনা করেছি আমার “পিয়াসিনী পিয়া” নামে একটি গল্পে। পড়ে দেখবেন । —কোন কাগজে বেরচ্ছে ? —স্বৰ্য্য-সাহারায় । এ মাসের । —আচ্ছা দেখব । . —দেখবেন। তাতে আমি বলেছি যে, আমার ভাল-লাগার বস্তু যেখানে যত দূরেই থাক না কেন, চিরকাল লে আমার চাওয়ার ঐকান্তিকতার কাছে অনাবিষ্কৃত -