পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র ডিসগসটিং ৬৫৯ রাগটি পকেট থেকে অন্তৰ্দ্ধান করেছে। আবার বাড়ী যাব, দাবার টাকা আনব, এই অস্থস্থ শরীরে সে হাঙ্গামাও ত কম নয়, তাই বলছিলাম যদি আপনার কাছে থাকে, ग्नट्'tन- । अविशि] कॉलरद३ —না, না সেজন্য ভাববেন না—এই নিন। —থ্যাঙ্কস । আচ্ছ। আমি যাই ভাই । বুড়ীট। আবার—, দ্ভিদগাস্টং ত্রিদিববাবু দ্রুতপদে চলে গেলেন। মনে কি রকম খটকা লাগল। ত্রিদিববাবুকে এত চঞ্চল মৃতে এর আগে ত দেখি নি ! আস্তে আস্তে ওঁর অনুসরণ कद्रज्ञांम• • • অন্ধকার নোংরা গলির মধ্যে ত্রিদিববাবু যে-বাড়ীটায় প্রবেশ করলেন সেটি একটি খোলার বাড়ী। রাস্তার দিকে একটি ছোট জানল-মত আছে, তারই নীচে গিয়ে চুপ ক’রে }ড়লাম। একটু পরেই শুনতে পেলাম ত্রিদিববাবু কাকে দেন বলছেন– . —টীকা পেয়েছি গো ! কি কি আনতে হবে বল ?-- স্ব: র্কাদে না রমা ! কেঁদে কি হবে বল ? খোকন মিয়ে পড়েছে ? –স্থ্য, একটু আগেও আমার কাছে এসে কাদছিল স্বল্প বলছিল মা, ভাত না দাও, আমায় চাটি মুড়ি দাও ; দেয় পেট জলে গেল যে ! - ওর আর দোষ কি বল ? এই বয়সেই ও উপোস করতে শিখেছে। - কিছুক্ষণ আর কোন কথা শোনা গেল না। —ওকে তুলে দাও, আমি আগে দোকান থেকে ওকে কিছু থাইয়ে আনি। আর কিছু খাবারও নিয়ে আসি, মিও খাও, তার পর আস্তে আস্তে রান্ন করলেই হবে। ছেলে কোন লাভ নেই রম, ভেবে কিছু হবে না। এই }র ভাবে যে-কট দিন কাটে । এর উত্তরে রমা মেয়েটি আবার ফুপিয়ে কেঁদে ॐन । প্রায় মাস-তিনেক পরে একটি সন্ধ্যা— সেই গ্রে স্ত্রীটের মোড়ে দাড়িয়ে জরদা কিনছি। আমি সবহু জরদা খাই না, কিন্তু মাসখানেক হ’ল যিনি আমার অৰ্দ্ধাঙ্গিনী হয়েছেন, তিনি অত্যন্ত ভালবাসেন বলেই এই যত্ন ক’রে জরদা কেনা। হঠাৎ কানে এল— —বল হরি হরিবোল ! পেছনে চেয়ে দেখি চার জন লোকে একটি সধবার মৃতদেহ বয়ে নিয়ে চলেছে। কি অপূৰ্ব্ব স্বন্দরীই যে ছিল সে, মৃত্যুপাণ্ডর মুখমণ্ডলে এখনও তার সুস্পষ্ট স্বাক্ষর রয়েছে। বয়স বোধ হয় বছর-বাইশের বেশী হবে না, পায়ে আলতা আর মাথায় জলছে সি দুর ; রোগে রোগে তার শরীরে আর কিছুই নেই, তবু এই শ্মশানযাত্রার কারুণ্যেও সে তার মহিমা হারায় নি। হঠাৎ লক্ষ্য পড়ল তার পেছনে পেছনে চলেছে ত্রিদিব । বুকটার মধ্যে কি রকম ক’রে উঠল—ওর সেই রমা নয়ত ? "ছুটে গিয়ে শুর কাছে দাঁড়ালাম । —ত্রিদিববাবু ! . ত্রিদিববাবু আমাকে দেখেই যেন একটু চমকে উঠলেন, তার পর সামলে নিয়ে বললেন—আর বলেন কেন, পাড়ার একটি মেয়ে, নাম রম, আমাকে বডড ভালবাসত, হঠাৎ মারা গেল, তাই সঙ্গে চলেছি। —আপনার চেহারা এমন হয়ে গেছে কেন ? —সেই জর। কিছুতেই ছাড়ছে না। নীলরতন, বিধান রায় বাদ নেই কেউ। ভাবছি কাশ্মীরটাশ্মীর অঞ্চলে চেঞ্জে যাব। ডিসগাসটিং –ও, হ্যা দেখুন, আপনার টাকাটা— —সে জন্যে ভাববেন না। আপনার সঙ্গে এই ছেলেটি কে ? ত্রিদিববাবু একটি বছর পাচ বয়সের ছেলের হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আমার কথা শুনে তার দিকে চেয়ে একটু মান হেসে বললেন—এ ? ঐ রমারই ছেলে । আচ্ছা আসি এখন, নমস্কার ! নিদিববাবু চলে গেলেন। অনেকক্ষণ একদৃষ্টিতে তার বteয়ার দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ এক সময় দেখতে পেলাম, তিনি কোচার খুট তুলে সেই রমার ছেলেটির লেখট মুছিয়ে দিলেন। আরও মনে হ’ল, বোধ হয় তিনি নিজের চোখের উপরও কোচার খুটটা একবার ঠেকালেন। কিন্তু,—না, হয়ত ভুল দেখে থাকব ।