পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| বৰ্ম্মার বনে-জঙ্গলে শ্ৰীসুষমা বিদ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষাশেষি যেদিন আমাদের ব্রহ্মযাত্রার সর আসন্ন হ’ল, সেদিন চোখের জল সম্বরণ করা হ:সাধ্য ম: ;ল—বিপংসঙ্কল পথের ভাবনায় নয়, গৃহকোণের শিশুদের জন্য। যদি রেজুন প্রভৃতি বৰ্ম্মার বড় বড় শহরে নদী অভিলাষ থাকত তবে আমরা তাদের সঙ্গে নিতাম, কিন্তু বর্ধার বনে-জঙ্গলে আমাদের ঘুরতে হবে অনেক দিন ; তাই তাদের নিতে সাহস করলাম না । সবার কাছে বিদায় নিয়ে ভারাক্রান্ত মনে জাহাজে উঠলাম । পাথরের প্রাচীরঘেরা নগরীর সীমানা ছড়িয়ে ধীরে ধীরে আমাদের জাহাজ ভূ-গপে-ভরা মাঠের কোল বেয়ে গদার সঙ্কীর্ণ বুক থেকে উদারতর মোহানার দিকে এগিয়ে চলেছে। আমরা ডেকের উপর বসে আছি চোখের সামনে থেকে স্যামল বনরাজি ৪ দী ধীরে ধীরে অন্তহিত হচ্ছে।-- আমাদের জাহাজটা ছিল প্যাসেঞ্জার বোট, তিন দিনে রেদুন পৌছায়।“ সেদিন ভোরের আলোর সঙ্গে সঙ্গে স্বাক্ষর রেঙ্গুনের বন্দরে প্রবেশ করলাম। জাহাজ থেকে দেখা যাচ্ছিল তীরের পরে স্বন্দর শহর—লোকজন, বাসন এবং প্যাগোডায় মিশে এক অপূৰ্ব্ব দৃপ্ত,-আর arদ দেখা যাচ্ছিল, বৰ্ম্মদের শাম্পান, অসংখ্য ষ্টীমার এবং জাহাজ। রেঙ্গুনের যেটুকু আভাস পেলাম তাতে শহরট। দেবার প্রলোভন আরও বেড়ে যায় । বন্দরে পৌছাতেই এল পুলিস, ডাক্তার। জিনিষপত্র পরীক্ষাও শেষ হ’ল। জাহাজ থেকে নেমে এসে দেখি আমাদের বন্ধু ডাঃ রায় মোটর নিয়ে অপেক্ষা করছেন। পূৰ্বেই বলেছি, বৰ্ম্মার গভীর জঙ্গলের মধ্যে যাব ব'লেই আমরা এবার বেরিয়েছি। শহরে তাই বেশী দিন থাকতে পারলাম না। এই অল্পদিন থাকার জন্যেই বোধ হয় রেজুনকে আমার আরও ভাল লেগেছিল। প্রথম দর্শনেই রেজুনের সৌন্দর্ঘ্যে মুগ্ধ হয়েছিলাম। স্বন্দর সবুজ গাছে ভর শহর, বিচিত্র তার হৰ্ম্ম্যরাজি। কোথাও নারিকেলকুঞ্জ, কোথাও সারি সারি স্বপারিগাছ, চোখের সামনে একটা ছবি একে যাচ্ছে। আমরা এখানে থাকতেই জঙ্গলের পথে রাত্রিযাপনের বাংলো একটা প্রদর্শনী হয়। তাতে ম্যাণ্ডালে, মেমিও প্রভৃতি নানা শহর থেকে প্রদশিত ব্ৰহ্মদেশের বিচিত্র শিল্পের নমুনা আমরা দেখতে পেয়েছিলাম। বাশ দিয়ে অনেক স্বন্দর স্বন্দর জিনিষ এরা প্রস্তুত করে। রেঙ্গুন শহরে আরও ভাল লেগেছিল সেখানকার বাঙালীসম্প্রদায়কে। এখানে দু-দিনেই তারা আমাদের_" আপনার করে নিয়েছিলেন যে ভুলেই গিয়েছিলাম, আমরা এখানে প্রবাসী। পরস্পরের মধ্যে তি ঘনিষ্ঠতা বুদ্ধি পায়, সেজন্যে মাসের প্রত্যেক জ্যোৎস্নাপক্ষে এরা এক দিন “মুনলাইট পিকনিক করেন। অামাদের ভাগ্য