পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లలు বেস-ক্যাম্পের বাংলোর সম্মুখে মাল বাছাই ও ওজন হইতেছে স্বপ্রসন্ন থাকায় আমরা যখন রেজুনে পৌছেছিলাম তখন জ্যোৎস্নাপক্ষ ছিল। তাই সকলের সঙ্গে মিশে রয়্যাল লেকে ‘স্যাণ্ডেল পয়েণ্টে’ আমরা আনন্দের সঙ্গে পিকনিক ক’রে হাসি গান ও গল্পে, সে-রাত্রি যেমন উপভোগ করেছিলাম, তার স্মৃতি অনেক দিন মনে থাকবে । প্যাগোডার দেশে এই রকম হৈচৈ ক’রে অল্প সময়ের মধ্যে যা-কিছু দেখা যায় তাই দেখে তিন-চার দিনের মধ্যেই আমাদের মৌলমিনের দিকে ধাওয়া করতে হ’ল । ইচ্ছা রইল ফেরার পথে বর্মার এই স্বন্দর শহরের নাড়ী নক্ষত্রের পরিচয় নেব । - ১লা মার্চ রাত দশটার ট্রেনে আমরা মৌলমিনের উদেশে যাত্রা করলাম। শু্যামদেশের সীমাস্তে আমাদের গন্তব্যস্থলে যেতে হ’লে, মৌলমিন থেকে এক শত মাইল । ষ্টীমারে গিয়ে চাইন-সেকজিতে পৌছতে হয়। সেখান থেকে এক শত মাইল গরুর গাড়ী, হাতী বা ঘোড়ার পিঠে চেপে বৰ্ম্মার নিবিড় জঙ্গলে-ঘেরা খনির দেaে পৌছান যায়। রাত্রে রেঙ্গুন থেকে বার হয়ে পরের দিন সকালে গালফ অব মার্টাবান’ নামক ষ্টেশনে নেমে, ফেরি-ষ্টীমারে নদী পার হয়ে মৌলমিনে উপস্থিত ইলাম। শহরটি বড় নয়, কিন্তু aথলে একখানি সম্পূর্ণ ছবি বলে ভ্রম হয়। এর মাঝখানে একটা পাহাড় আর তার মাথায় একটা প্রকাণ্ড প্যাগোড়া ; ১৩৪৪ এক ধারে তার নদী, অপর নি বাড়ীঘর এবং সুন্দর সুন্দর রান্ত যতই দেখি ততই মুগ্ধ হই । শহরের মধ্যে একটি ধৰ্ম্মৰাৰ আছে—তার নাম, রায় বাহাৰ রূকমানন্দর ধৰ্ম্মশালা। বড় চমৎক দেখতে এটি। ভেতরটি যেমন পৰি তেমনি অালো এবং হাওয়ায় ভৱ বিদেশীরা এখানে অবাধে পাচ পৰ্য্যস্ত থাকৃতে পারেন। ঘরের পাশে রান্নাঘর এবং ঘরে ছ কল আছে। সেই কলে দিনরাত ৰ o থাকে । এখানকার মিউনিসিপালিটির সেক্রেটরি মি: গেমিং সঙ্গে আলাপ হ’ল। তিনি অতি সদাশয় ব্যক্তি এবং গ্রৰম বাঙালী মাত্রেরই জন্যে যথেষ্ট শ্রমস্বীকার করেন। তিনি র্তার মোটর পাঠিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের শহর প্রদৰুি করবার জন্যে। এখান থেকে ৬ মাইল দূরে রায় বাহাদু রূকমানন্দর একটি সুন্দর বাগান-বাড়ী আছে। অনেৰী অসমতল জায়গা নিয়ে এই মনোহর বাগান-বাড়ীটি অবস্থিত বাগানের ভেতর দিয়ে একটা নদী গেছে—আর ক্ষে নদীতে মাঝে মাঝে বাধ দিয়ে, লেকের মত ক'রে তাৰে সাতারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেখানে বোট প্রভৃতি রাখা হয়েছে জলবিহারের জন্যে। এ রকম পাচ-ছং লেক আছে আর প্রত্যেক লেকের ধারে একটি করে স্বৰ কাঠের বাংলো। ইচ্ছা করলে এই বাংলোয় থেকে পিকনি করা যায়। আমরা মৌলমিনে তিন দিন থেকে ৫ই মার্চ সকালে ষ্টীমারে চাইন-সেকজির দিকে রওনা হলাম। ষ্টীমাৰ চলেছে নদীর মধ্যে দিয়ে—তার দু-ধারে পাহাড় এবং জঙ্গল। মধ্যে মধ্যে দ্বীপের সন্ধানও মেলে। পূৰ্ব্বেং বলেছি এ-পথট। মাত্র এক শত মাইল, তাই বিকেল ৪টা ভিতর এখানে পৌছতে পারা যাবে ক্যাপ্টেনের কাছ থেৰে এ-সংবাদ পাওয়া গেল। তীরে মাঝে মাঝে চুণের পাহা লক্ষ্য করছি—তার কোনটার মাথায় বা প্যাগোড়া দেখা