পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उठांच ৰক্ষ্মাণর বনে-জঙ্গলে রাচ্ছে। বাতাসে মাঝে মাঝে রাজর-ঘণ্টার শব্দ ভেসে আসছে। মন্দিরের ভেতর হয়ত উপাসকের দল গাইছে—বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি । দূর থেকে ভারতবর্ষের সেই ধৰ্ম্মবীরের চরণোদেশে প্রণাম জানালাম, যার ধৰ্ম্ম-জ্যোতিতে বৰ্ম্মার এই অখ্যাত वक्षनe ऍटुानिउ । সেখান থেকে দৃষ্টি নেমে এল এবার নদীর মাঝখানে। দেখি, বড় বড় কাঠ ভাদিয়ে কতকগুলি মাঝি মনের আনন্দে গান গাইতে গাইতে মৌলমিনের দিকে চলেছে। বৰ্ম্মায় কাঠের ব্যবসায় o খুব ব্যাপক। এখানে অধিকাংশ লোক নদীপথে কাঠ চালান দিয়ে যথেষ্ট খরচ বাচায় ও লাভ ক’রে থাকে। নিয়মিত সময়ে আমরা চাইন-সেকজিতে এসে পৌঁছলাম। এ একটা সদর গ্রাম। এখানে বহু লোকের বসবাস। পোষ্ট-আপিস, কোট প্রভৃতিও আছে এবং প্রত্যহ সকালে বাজার বসে। এখানে একটি ব্রহ্মদেশীয়া মংিলার বাসায় আগে থেকেই আমাদের জন্যে ঘর ভাড়া acল হয়েছিল। এই মহিলাটি আমাদের খুব আদরস্বরে আপ্যায়িত করেছিলেন । তিনি নিজে আমাদের সঙ্গে থেকে ফুঙ্গি-চঙে নিয়ে যান । এদেশে প্যাগোডায় ও দুদি-চঙে গেলে, মোমবাতি জেলে, ধূপে ও ফুলে প্রত্যেকে আপন আপন ইচ্ছামত বুদ্ধদেবের সামনে দাড়িয়ে পূজা এ প্রণাম ক'রে থাকেন। আমাদের দেশের মত পাণ্ড বা পুরোহিতের হুড়োছড়ি নেই বা ষোড়শোপচারে পূজার আয়োজনও নাই। দেখলাম, অনেকেই প্যাগোডায় গিয়ে মালা জপ ও স্তব পাঠ করছেন। কেউবা আপনার ইচ্ছামত চাপ দিক ঝাট দিচ্ছেন ও জল ছিটিয়ে যাচ্ছেন। ফুলের গেড়ার কেউবা বুদ্ধদেবের চরণযুগল ভূষিত ক’রে দিচ্ছেন। এদেশে চট্টগ্রামের অনেক মুসলমান বাস করে । তাদের অধিকাংশই বৰ্ম্মী মেয়ে বিয়ে ক’রে এখানে স্থায়ী সেছে। তারা এখানকার নানা রকম ব্যবসায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্লিষ্ট । আমরা এখানে দু-এক দিন থাকার জঙ্গলের পথে ফরেষ্ট বাংলোয় রাত্রিযাপন পর পুনৰ্ব্বার যাত্রার আয়োজন করতে লাগলাম। এই সব মুসলমান গাড়োয়ানদের কাছ থেকে বারোখানা গরুর গাড়ী ভাড়া করে এবং কুলি-মজুর দরোয়ান প্রভৃতি সৰ্ব্বসমেত চল্লিশ জন লোক সঙ্গে নিয়ে - আমরা এইবার গভীরতর জঙ্গলে আমাদের প্রকৃত কৰ্ম্মস্থলের উদে ভোর ৫টার সময় রওনা হলাম। " ছিলাম লোকালয়ে, মনে শঙ্কা ছিল না, এখন একটা অজানা ভয় মুহূৰ্ত্তেকের জন্যে হৃদয়ে দোলা দিয়ে গেল । আমাদের এই এক শত মাইলের যাত্রায় প্রথম ছেদ পড়ল দুপুরবেলায়, যখন একটা শীর্ণকায়া ঝরণার সন্ধান মিলল। বনবক্ষের শীতল ছায়ায় ক্লাস্ত গো-মহিষ ও মানবের দল, মরুবক্ষে আরামের সন্ধান পেল । नरन झिज्ञ ब्रांमाव्र उं°कब्र१ ; **** কাঠে, ঝরণার জলে এবং ক্ষুধাৰ্ত্তদের ঐকাস্তিকতায় উদরের তৃপ্তি সাধনে খুব বেশী সময় লাগল না। দ্বিপ্রহরের স্বৰ্য্যকে ফাকি দেবার জন্যে গাছের তলায় সতরঞ্চি বিছিয়ে আমরা স্নিগ্ধ হাওয়ার শরণাপন্ন হলাম। তার পর বেলা তিনটা নাগাদ আবার চলল গে-যান সন্ধ্যা প" চাইনসেকজি থেকে ৫০ মাইল পৰ্যন্ত পনর-ড়ি মাইল অন্তর বাংলোয় কাটিয়ে পরের দিন ভোরের বেল" সেই ভয়াবহ গো-যানে অধিরূঢ় হলাম । শে ৮ই মার্চ