পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- দেয়। .ெ ੱਲੋਂ uCJJSLS S L CC LSLSLAAA SASS SSSSS TAAASA SAAAAS TSAAAAAA S ৬৬৬ প্রবণসী মাংস নিয়ে কাড়াকড়ি আরম্ভ ক’রে দিলে। কতক তারা রান্না করে থেয়ে শেষ করল—কতক ভবিষ্যতের দুৰ্দ্দিনের জন্যে শুকিয়ে রাখল। আশ্চৰ্য্য এই জাত, কি না থায় এরা। ব্যাঙ তো দেখছি এদের উপাদেয় খাদ্য । এদেশের ব্যাঙগুলির ঠ্যাং শরীরের চাইতে দ্বিগুণ লম্ব। কেরিণরা রাতের বেলায় মিডাই ( এর পচা কাঠ ও গর্জন তেল দিয়ে তৈরি মশাল ) জেলে পাহাড়ের গৰ্ত্তে এবং নালায় ব্যাঙ খুজে খুজে বেড়ায় । সভ্য জগৎ থেকে বহু দূরে এই আনন্দময় ধামে অগাধ শান্তির মধ্যে সপ্তাহ দুই কাটাবার পর দেশে ফিরবার দিন আমাদের ঘনিয়ে এল। দুস্তর জঙ্গল-সমুদ্র পার হয়ে যখন আমরা আবার মৌলমিনে ফিরে এলাম, তখন আমাদের অবস্থা প্রায় অৰ্দ্ধমৃতের মত । আট-দশ দিন পরে আমরা রেসুন যাত্রা করি। ইচ্ছা ছিল এখান থেকে পেগু, ম্যাণ্ডালে, মেমিও প্রভৃতি শহরে বেড়িয়ে তবে দেশে ফিরব । কিন্তু রেজুনে এসে দেখি এখানে বেশ গরম পড়েছে। তা ছাড়া শরীরও দুৰ্ব্বল থাকায় আমরা আর কোথাও যাওয়া সমীচীন বোধ না ক’রে এখানেই স্থিতিলাভ করলাম। চৈত্র-সংক্রান্তির দিনে এখানে এক প্রকার জলখেলা হয়—ঠিক তেমনই ভাবে, যেমন আমরা ফাগ থেলি। জল-খেলার সম্বন্ধে এদের দেশের রীতি এই যে, এর বৎসরের শেষে, মেয়েপুরুষে, যার যে-বারে জন্ম সেই বারের নামে নাম-করা টুলে বসে পাচ-রকম ফুলের পাত, মাথঘল ইত্যাদি দিয়ে স্নান করে । মানের পর নূতন পোষাক পরে ভীনাথ ( এই দেশীয় চন্দন ) মেথে বেশভূষা ক’রে বর্ষাকে আহবান করে । তাদের বিশ্বাস, এই ময় sে. এবং ক্রীড়ার পর অঝোর ধারায় বর্ষ নামে এবং তাতে করে তাদের শরীর এবং মন থেকে গত বৎসরের পাপতাপ সব ধুয়ে মুছে যায় ; সেই সঙ্গে দেশেরও মঙ্গল হয়। কৃষকদের ধান্ত রোপণ এবং আবাদের প্রচুর স্থবিধা হয়। এর সব এক-এক দিন এক-এক রকম পোষাক পরে। রাস্তার ধারে বড় বড় ট্যাঙ্ক বসিয়ে তাতে জল ভরে এবং কখনও কখনও তাতে বরফ মিশিয়ে ঠাণ্ড করে গাড়ী, বোড়ী ট্রামবাস, এবং পথচারী পথিকদের সঞ্জাদ ভিন্ন: কেউ এতে প্রতিবাদ করে না। ছ-সাত দিন নামে । বালতি বালতি জল লোকের গায়ে টেলে অদ্ভুত আমোদ উপভোগ করে। বাইরের নান - থেকে লোকে পয়সা খরচ ক’রে এই জল-খেলার জানৰ উপভোগ করতে আসে । শেষের দিনে গাড়ী ক'রে এর একটা শোভাযাত্রা বার করে । - , সোয়েডাগন প্যাগোডা সম্বন্ধে আগেই কিছু বলেছি এই প্যাগোডার দেশে এসে আর একবার সে অপরূপ । ন-দেখে মনে শাস্তি পাচ্ছিলাম না । এ-সব প্যাগোড়া রে দুর্গবিশেষ। এর ভেতরে যাবার চারি দিকে চারিটি খআছে । সেই ফটক পার হয়ে সিড়ি বেয়ে প্রায় দশ মিনি রাস্তা গেলে তবে মধ্যস্থলে পৌছান যায়। সিড়িৰ । পাশে দোকানের সারি, সেখানে এদেশের যাবতীয় ৱিা ( খেলনা থেকে আরম্ভ ক’রে ফুল প্রভৃতি সবই) কিন পাওয়া যায়। মনে হয় যেন ছোট একখানি গ্রাম। s দিক পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন। মাৰ্ব্বেল পাথরের মেঝেতে হৰ বসনে আবৃত হয়ে ধনী নিধন বৰ্ম্মীরা দলে দলে, মেন পুরুষে এসে বসছে। সবারই হাসিখুশী মুখ, আর ক্ষে মুখে তানাখা পাউডার মাথা । কেউবা বসে মালাৰ করছে, কেউবা প্রদক্ষিণ করছে। চারি দিকে ছোটং নানাবিধ বুদ্ধমূৰ্ত্তি—কোথাও বা শায়িত অবস্থা কোথাও বা দণ্ডায়মান । এখানে একটি বড় ঘণ্ট আছে জনপ্রবাদ, সেটা বাজালে আবার তাকে বৰ্ম্মায় ফিরে আমন্ত্ৰ হবে । ব্রহ্মদেশ ঘোরা আমার অসম্পূর্ণ থেকে গেছে, তা মনে ইচ্ছা রইল আবার ফিরে আসব। ঘণ্ট বাজালাং ক্ষতি কি ? - এদেশের পোয়ে-নৃত্য দেখতে অতি স্বন্দর। অনেৰে ব'লে থাকেন, এ-নাচ না দেখে গেলে, ব্রহ্মদেশ ভ্রমণই বৃথা হয় । আমরা স্থানীয় কর্পোরেশনের উদ্যার এক শনিবার সন্ধ্যায় এই নাচ দেখবার স্থযোগ পেয়েছিলাম। রেসুন ছেড়ে দেশে ফিরতে মন তেমন সাত্ত দিচ্ছিল না। কিন্তু দেশের মাটি, দেশের জলধাজ্ঞান এবং সব চাইতে দেশের লোক আমাদের টনছিল। " ১৩ই এপ্রিল ঐবুদ্ধের চরণ স্মরণ করে আবার অর্ণবলে । পাড়ি দিলাম। নব বৎসরের প্রারম্ভেই যখন গঙ্গার সুপরিsি জেটিতে আপনার জনের স্মিত মুখ দেখতে পেলাম, ངོ་སོ་། ། _ - r- o-- -