পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ーエ নন্ত ৰাউলিঙের কাব্যে প্রেমের প্রকাশ । এই প্রেম-কবিতার অনেকগুলির মৃতি বাংলার পাঠক-সমাজের পরিচয় স্থাপন করাইয়। শ্ৰীযুক্ত স্বরেন্দ্রনাথ মৈত্র সাহিত্যরসিকগণের ধন্যবাদভাজন হইয়াছেন। ‘ব্ৰাউনীং পঞ্চাশিক এই দম্পর্কে তাহার প্রথম আয়োজন । এই আয়োজনে তাহার রসজ্ঞ দ, কাব্যশক্তি, প্রকাশনৈপুণ্য ও আনন্দময় দুরূহ সাধনার পরিচয় পাইয়। वानन्तानांड दद्रेिब्रांघ्नःि । শ্রীশৈলেন্দ্রকৃষ্ণ লাহা ভারত কোন পথে —শ্ৰীবারীন্দ্রকুমার ঘোষ প্রণীত । ১৯৪৬ সাল। ৪-বি, বৃন্দাবন পাল বাই-লেন, তামবাজার হইতে গ্রন্থকার দ্বার প্রকাশিত। মূল্য।• আন। পৃঃ ১০০ । “ভারত কোন পথে ?” মানে শুধু ইহা নয়, ভারত কোন পথে লিতেছে। ইহার আরও একটি অর্থ হইল ভারতের পক্ষে কোন পথে লা উচিত। বারীনবাবু তাহার পুস্তকে দুইটি বিষয়ের প্রতিই লক্ষ্য রাধিয়াছেন। ভারতবর্যের রাজনীতিক্ষেত্রে চরকা ও অস্পৃশ্যতাদ্বিার, সন্ত্রাসবাদ এবং কমুনিজমের নতন পাশ্চাত্য ধুয়ার বিষয় স্বালোচনা করিয়া তিনি দেখাইয়াছেন যে এই সকলের পশ্চাতে খাটি রাজনৈতিক জ্ঞান বা কৰ্ম্মকুশলতার পরিচয় পাওয়া যায় না। ইয়ার পিছনে আছে বুদ্ধির অপরিপক্কত, বিজাতীয়ের প্রতি দ্বিত্ব, পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রতি অন্ধ মোহ অথবা নিজেদের দন্তরের প্রচ্ছন্ন কৰ্ম্মবিমুখত । তিনি বিচারকালে আরও একটি ংি বিশদভাবে আলোচনা করিয়াছেন । বারীনবাবু মানবের একত্বে বিশ্বাস করেন, তদ্ভিন্ন কেবলমাত্র দৈবী শক্তিই যে মানবের স্থা কল্যাণদাধন করিতে সমর্থ ইহাই তাহার ধারণ। সেজন্য ঠিনি সর্ববিধ হিংস ও অসহযোগিতার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ পঠিয়াছেন। হিংস মানুষের আস্থরিক শক্তি, মানবকল্যাণের গধনিকেতন গড়িবার ক্ষমত অস্করের নাই । সে ভাঙিতেই জানে, ড়িতে পারে না । সেইজন্য তিনি বারংবার অসহযোগিতা বর্জনের কথা ড়িাছেন এবং অবশেষে লিখিয়াছেন -- “এআরবিন্দের জাতীয় শিক্ষা, দেশবন্ধুর পল্লীসংগঠন, মহাত্মাজীর স্বর্ণীতিক (নৈতিক ? ) প্রচেষ্ট ও অস্পৃপ্ততা-নিবারণ সবই সমান {েঠায় পৰ্য্যবসিত হয়েছে, কারণ এর সকলেই উপেক্ষ করেছিলেন শের শাসন-শক্তিকে, ব্যাবস্থাপক মণ্ডলীকে, legislative ও executive ক্তিকে। র্তারা গেছিলেন হাওয়ায় রাজপ্রাসাদ গড়তে, ভাবের ধারাবালুর উপর দেশষজ্ঞের ভিত্তি রচনা করতে•••এই কৰ্ম্মনাশা মনোবৃত্তির টাই সাপ্ত অবসান, নেতায় ও শাসকে আসা দরকার সহযোগিতা । ই" নইলে দেশব্যাপী গঠন আকাশকুসুম হয়েই থাকবে । দেশের দিন-শক্তি যে নিতান্তই দেশের, জাতির ধন-জন বলেই তা গঠিত ও পুষ্ট, -ত হাজার বিদেশীর সাহায্যই সেখানে থাকুক, এই মোট কথাটা দশের কৰ্ম্মী ও নেতাদের বুঝবার দিন এসেছে। যারা তা বুঝতে fীয় না তার চায় না দেশে খাটি কাজ---* তিনি আরও বলিয়াছেন, "বে কোন অতীত যুগে বনিক ( বণিক ? ) বেশে কয়েকজন ইংরাজ দে অরাজকতার অবসরে পতিত এদেশ জয় করেছিল বলে সমগ্র ইংরাজ ছাতিকে ঘৃণা করা বা শাস্তি দেওয়া-অসভ্য আফ্রিদির বংশপরম্পরাগত ঞ্জের নেশা blood feud এরই সগোত্র।” সে বিদ্বেষ পরিহার করিয়া ধনাদিগকে বুঝিতে হইবে “যুগ-দেবতা বা জাতির জীবন-দেবতা তার নিগূঢ় বিধানেই ইংলণ্ড ও ভারতের মিলন ঘটিয়েছে, তার পিছনে আছে bróーン *

  • — -

পুস্তক-পরিচয় లవపి এক অন্তনিহিত উদেশ্ব।” “আজ যদি এর অকালে চলে যায় তাহলে এতগুলি বিভিন্ন জাতি, ধৰ্ম্ম, শ্রেণী ও বর্ণের অরণ্য এই দেশে চলবে রক্তারক্তি, হানাহানি, গৃহ-বিচ্ছেদ, তার চিহ্ন সৰ্ব্বত্র এখনই স্বম্পষ্ট দেদীপ্যমান ।” ইহ বারীনবাবুর স্বকীয় . মত, যুক্তি নয়। অতএব তাহ লইয়। তর্ক করা চলে না। স্বীয় মত পোষণ করিবার অধিকার সকলেরই আছে, হয়ত যুগ-দেবতাই তাহাকে সে-মত পোষণ করিবার প্রত্যাদেশ দিয়াছেন। যা সে কথ। তবে সমালোচক হিসাবে বারীনবাবুর পুস্তকে একটি বিষয় লইয়। আমরা শিক্ষা অপেক্ষ আমোদ বেশী অনুভব করিয়াছি। রাজনৈতিক ব্যাপারে বারীনবাবু সাম্যের উপাসক নন, তিনি বলিয়াছেন যে তিনি সামঞ্জসের পূজারী। ভাষার ক্ষেত্রেও তিনি যে সামঞ্জস্যবিধান করিয়াছেন তাহাতে আনন্দিত ন হইয়া উপায় নাই। একদিকে তারুণ্যগুণসম্বলিত "আদর্শালু ‘নবতর’, ‘মহানতর’, ‘স্বষ্টিপাগল, গঠন ক্ষেপী, অপর দিকে ঋষি এবং যোগিগণের দ্বারা ব্যবহৃত হৃদপদ্ম (হত ? ), ‘প্রাণকমল, মহতি (মহতী ? )', বিনষ্টি, সিহষ্ণু প্রভৃতি শব্দের অপুৰ যোগসাধন ঘটিয়াছে। তবে একটি বিষয়ে আগাগোড় সাম্যের ছাপ থাকিয়া গিয়াছে, তাহ। বানানের ব্যাপার লইয়। বারীনবাবু বরাবর সুপ্তকে "শুপ্ত লিখিয়াছেন, শতাব্দীকে শতাব্দি" লিখিয়াছেন, উচ্ছ্বাসের ব-ফলা বাদ দিয়াছেন এবং পুনঃ পুনঃ ও পুনরায়ের পরিবর্ভে পুণঃপুণঃ’ ও ‘পুণরায় ব্যবহার করিয়াছেন। এক কথায় তাহার ভাষার মধ্যে সামঞ্জস্তুবাদ এবং সাম্যবাদ উভয়েরই উৎকৃষ্ট উদাহরণ মিলিতেছে। সাতসাগরের পারে—কুমারী অমল নন্দী। ১° চৌরঙ্গী রোড, কলিকাতা । পৃঃ ১২০, ৪৭ ছবি । দাম দুই টাকা । লেখিক ১৯৩১ সালে আন্তজপতিক কলোনিয়াল একজিবিশন উপলক্ষে প্যারিসে ছয়মাসকাল অবস্থান করিয়াছিলেন। পরে হত্যশিল্পী উদয়শঙ্করের সঙ্গে ইউরোপে বহু স্থানে ভ্রমণ করেন । পুস্তকধানিতে তাহার প্রবাসের কাহিনী লিপিবদ্ধ হইয়াছে। লেখিকার বিশেষ কোনও দৃষ্টিভঙ্গী নাই। তভিন্ন তিনি বিশেষ কায্যোপলক্ষে দ্রুতবেগে দেশভ্রমণ করিয়াছিলেন বলিয়া গভীর ভাবে কিছু দেখিবারও সময় পান নাই। কিন্তু মোটের উপর ইউরোপ দেশটি তাহার ভাল লাগিয়াছিল। আমরা আশা করি পুস্তকখানি সাধারণ পাঠকের কাছে আদৃত হইবে । কেদার-বদরীর পথে— শ্ৰীমতী কাত্যায়নী দেবী । : , মুক্তারাম বাবু ট্রীট, কলিকাত। পৃঃ yx ১৪৪ পৃঃ । মূল এক ভ্রমণ-কাহিনীর সাধারণ বই । ভাষা ঝরঝরে, পড়িতে ভালহ লাগে। যাহারা কেদার-বদরীর পথে যাত্রা করিবেন তাহাদের উপযোগী অনেক সংবাদ দেওয়া হইয়াছে। দুই-একখানি ছবির সম্বন্ধে গোল বাধিতেছে। ৯৬ পৃঃ “গৰ্ব্বতগুহার" যে-ছবি মুদ্রিত হইয়াছে তাহ ভুবনেশ্বরের পার্থস্থিত উদয়গিরি বিখ্যাত ব্যাঘ্রগুম্ফার ছবি । ১২ পৃঃ “হরিদ্বারের দৃপ্ত" বলিয় যে ছবিটি নীচের দিকে ছাপা হইয়াছে তাহ মধ্যভারতে নৰ্ম্মদাতারে অবহিত ওঁকারেশ্বরের মন্দির। আমরা আশা করি এগুলি ভ্রান্তিবশতঃ ছাপ হইয়াছে । ঐনিৰ্ম্মলকুমার বস্থ