পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেৰণসী ঋণাত্মক-ধনাত্মক বিছাতিনের পথরেখা। অধ্যাপক হরপ্রসাদ দে কর্তৃক গৃহীত আলোক-চিত্র চিত্রের সাহায্যে ইহা দেখিতে পাওয়া যায়। পূৰ্ব্বে লাই ( Laue ) এর আবিস্কারের ফলে জানা গিয়াছিল ষে == মাত্রেরই বিশেষত্ব এই যে ইহাদের পরমাণু (atom ) ৰণ একটি বিশেষ প্রণালীতে একই ভাবে সাজান থাকে এ* দুইটি পরমাণুর মধ্যে যে-স্থল ফাক থাকে তাহাই । এক্স-রশ্মি যখন বিদ্যুতিনকে আঘাত করে তখন সেই বিদ্যুতিন ঐ রশ্মির খানিকট শক্তি গ্রহণ করে এবং অবশিষ্ট শক্তিটুকু দুইটি বলের ধাক্কার ন্যায় আর এক দিকে চলিয়া যায় ; ফলে দীঘতর তরঙ্গাস্তরের স্বষ্টি হয়। এখানে কম্পটন এক্স-রশ্মির কণ-চরিত্র কল্পনা পূৰ্ব্বক তাহার তথ্য প্রতিষ্ঠিত করিলেন। এদিকে ডিব্ৰলি, জি. পি. টমসন প্রভৃতি মনীষিগণ নানা বাদানুবাদ ও পরীক্ষাদ্বারা এই সমস্যাকে আরও জটিল করিয়া তুলিলেন। আমরা জানি যে স্বর্ষ্যের আলোক সাধারণত: একটি বিশেষ শক্তির তরঙ্গ । একটি আলোকমশ্মি যখন কোনও সঙ্কীর্ণ পথ দিয়া যায় তখন সেই পথের প্রতিবিম্বের ( image ) দুই পাশ্বে সারি সারি আলো বিদ্যুতিন-রশ্মির আলোক-চিত্র ঃ স্বর্ণপাতের দ্বার প্রতিবিক্ষিপ্ত gদর স্থষ্টি হইয় আলোকের তরঙ্গবাদ দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করে । ঠিক এমনি ভাবেই যখন একটি স্ফটিকের ভিতর দিয়া বিজাতিন-রশ্মি প্রেরণ করা হয় তখন একটি উজ্জ্বল কেন্দ্রকে বৃত্ত করিয়া আলো-ছায়ার স্বষ্টি হয়। আলোক অনুপাতে ক্ষুদ্র তরঙ্গের আলোছায়া স্বষ্টি কৱিৰা পক্ষে যথেষ্ট । ইহাতে প্রমাণ হইল যে বিদ্যুতিন এৰী তরঙ্গ। পূৰ্ব্বেই কম্পটন-প্রতিষ্ঠিত তথ্যের ফলে তরঙ্গেৰ কণা-রূপ জানিতে পারা গিয়াছিল, এখন কণার তরঙ্গ-হss প্রতিষ্ঠিত হইল। তাহ হইলে বিদ্যুতিন কি কণা এবং শক্তি উভয়ই ? একটি নূতন বিজ্ঞান (ওয়েভ-মেকানিক্স গড়িয়া উঠিল । ইহার পর হইতে প্রত্যেক ব্যাপারই তরঙ্গ-তত্ত্বের দৃষ্টিতে দেখিবার চেষ্টা হইতে লাগিল। এইবারে আমরা ক্রমশঃ পরমাণুর অভ্যস্তরে প্রৰেৰ করিবার চেষ্টা করিব। আমরা জানি যে কয়েকটি তেজে বিকীরক পদার্থ আছে—তাহারা সাধারণত: তিন প্রকার রশ্মি নির্গত করে, ক-রশ্মি, খ-রশ্মি ও গ-রশ্মি। পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হইয়াছে যে ক-ৱস্থি ধনাত্মক, খ-রশ্মি ঋণাত্মক এবং গ-রশ্মি এক্স-রের ম্ভাৰ তেজ মাত্র। পূর্বেই বলিয়াছি যে ঋণাত্মক বিদ্যুতিন একটি কেন্দ্রের চতুর্দিকে অবিরাম ঘুরিতেছে। কিন্তু এই কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত ? ইহার আকার এবং বিশেষত্বই বা কিরূপ ? পরমাণুর মধ্যে আছে ধনাত্মক বিদ্যুৎ, সে কথাও সত্য, কারণ বিদ্যুতিন ঋণাত্মক এবং অণুর বৈছাভিৰ সাম্যের জন্য ধনাত্মক কেন্দ্রের কল্পনা অবশুম্ভাবী। রাদাৰফোর্ড ক-রশ্মিকে একটি পাতলা ধাতুর পাতের ভিতর দিং প্রেরণ করিয়া দেখেন যে ঐ রশ্মির অধিকাংশই কোনও