পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ)აპ·) প্রবণসী ১৩85 ( isotope ) বলে, (গ্রীক ভাষায় isos অর্থে সমান ; topos অর্থে জায়গা, স্থান—অর্থাৎ যে সমস্ত মূল উপাদান পুনরাবৃত্তিক তালিকায় সমান স্থান অধিকার করে)। কোনও রাসায়নিক পরীক্ষার দ্বারা ইহাদের বিভিন্নতা লক্ষ্য করিবার উপায় নাই। সরু জে. জে. টমসন এবং অ্যাসটনের বিশেষ পরীক্ষার ফলে ইহাদের ভরের বিভিন্নতা সুন্দর ভাবে প্রমাণিত হইয়াছে। দুইটি আইসোটোপের সংমিশ্রণে ঐরূপ খণ্ড পরমাণবিক ওজন অসম্ভব নহে । হিসাবের ফলে দেখা গিয়াছে যে, যে-শক্তিদ্বারা পরমাণুকোষ এইরূপে রহিয়াছে তাহ প্রচণ্ড । কিরূপ বলের স্বষ্টিতে এইরূপ সম্ভব হইয়াছে ? এবং এই বলের প্রভাবে কিরূপে এতগুলি কণা এইটুকু জায়গার মধ্যে ভীড় করিয়া রহিয়াছে ? পরমাণু-কোষের মধ্যে প্রোটনের সংখ্যা অধিক পরিমাণে থাকিয় কেনই বা কোষকে ধনাত্মক করিয়াছে ? ঋণাত্মক পরমাণু-কোষ কি সম্ভব নহে? অন্ততঃপক্ষে এমন পরমাণুকোষ যাহার মধ্যে প্রোটন এবং বিদ্যুতিন সমান সংখ্যায় অবস্থিত ? বিজ্ঞান-জগতে কোনও কিছু মাপিতে কিংবা হিসাব করিতে গেলে একটি একক (unit ) প্রয়োজন। এত দিন পৰ্য্যস্ত অম্লজান এবং জলজান পরমাণু-কোষ (প্রোটন ) যথাক্রমে পরমাণবিক ওজন এবং পরমাণবিক গঠনের একক রূপে স্বীকৃত হইত। কারণ ধারণা ছিল যে জলজান এবং অম্লজান বুঝি খাটি পদার্থ। কিন্তু এই বিশ্বাসে আঘাত পড়িল যেদিন প্রমাণিত হইল যে জলজান এবং অম্লজান আইসোটোপসের সংমিশ্রণ। অন্যান্য मूल উপাদানের আইসোটোপসের ভরের মধ্যে যে বিভিন্নভী থাকে তাহ সামান্ত–কিন্তু জলজানের অতিবিরল আইসোটোপের ভর সাধারণ জলজানের দ্বিগুণ। ইহার নাম দেওয়া হইল ভারী জলজান অথবা (Deauteron) | ( fir statą czissa stof zoisi– ভয়ষ্ট্রন অর্থে দ্বিতীয় )। ইহার চার্জ এক এবং ভর छ्ड्रे । ইহাকে সংক্ষেপে D বলা হয়। আমরা জানি যে জলজান এবং অল্পজানের দ্বারা জল গঠিত। যখন ভারী জলsান পাওয়া যায় তখন ভারী জলও নিশ্চয়ই পাওয়া সম্ভব। বাস্তবিকই এখন ভারী জলও পাওয়া যায়। ইউরে (Uray) ডয়টুন বর্ণচ্ছত্র বিশ্লেষণপূর্বক এই ভারী হাইড্রোজেনের অস্তি নিখুত ভাবে প্রতিষ্ঠা করিয়াছেন । ১৯১৯ খ্ৰীষ্টাব্দে রাদারফোর্ড নিউট্রনের (Neutro= অস্তিত্ব কল্পনা করিলেন । জগতে কল্পনা প্রথম পথ আঁকি দিয়া যায়, পরে হয় সেই অনুসারে কাজ হয়। এক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও বার বার প্রমাণিত হইয়াছে। বোর-এর হাইড্রাজেন-পরমাণুর চিত্র-অনুসারে ধনাত্মা ভরের চতুর্দিকে একটি বিদ্যুতিন অবিশ্রাম ঘুরিতেছে যদি কোনও উপায়ে ইহা কোষের মধ্যে আসিয়া পড়ে ত: উহার চার্জ শূন্যে পরিণত হইবে, কিন্তু ভর সমানই থাকিৰেকারণ বিদ্যুতিনের ভর নগণ্য । ১৯৩১ সালে জাৰ্ম্মানী বোঠে এবং বেকার তেজোবি কীরণকারী পদার্থ পোলোনি একটি বেরিলিয়াম পাতের সংস্পর্শে রাখিয়া দেখাইজে ཨ་ཉིད་དེ་ད་ར་ - কুরি-জোলিওর পরীক্ষা—প্যারাফিন হইতে প্রোটন নির্গত হইতেছে। যে খুব বেগবান ক-রশ্মি বেরিলিয়ম-কোষের মধ্যে একে পূর্বক উহাকে চূর্ণ করে এবং একেবারে নূতন রশ্মি নিনও করে। গাইগার পরীক্ষা করিলেন যে ঐ রশ্মি খুব গুপ্ত