পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSb〜 প্রবণসী ՏՀ ՅՅ তাত্রের দ্বার প্রতিবিক্ষিপ্ত ( Diffracted ) রঞ্জন-রশ্মির আলোক চিত্র। লেখক-কর্তৃক গৃহীত আলোকচিত্র পজিট্রন উৎপন্ন করা সম্ভব হইল। যখন কোনও লঘু পদার্থ গ-রশ্মিদ্বারা আঘাত করা যায় তখন উইলসন-চেম্বারে বিদ্যুতিন-দ্বয়ের আবির্ভাব হয় এবং ইহাও বিশেষ ভাবে লক্ষিত হয় যে ঋণাত্মক এবং ধনাত্মক বিদ্যুতিন একই স্থান श्रड নির্গত হইতেছে। এণ্ডারসন এবং কুরী প্রভৃতি দেখাইলেন যে এই দুইটি বিদ্যুত-কণার যুক্ত শক্তিমূল গ-রশ্মির শক্তির সমান। ব্ল্যাকেট বলিলেন যে গ-রশ্মি-কোষের অভ্যস্তরে প্রখর বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের প্রভাবে দুইটি বিপরীত চরিত্রের কণায় বিভক্ত হয়। একটি শক্তির পরিমাণ পদার্থে পরিণত হইল। আবার ইহার বিনই ব্যাপারও ঘটিতে দেখা গেল একটি ঋণাত্মক এবং ধনাত্বং কণী পরস্পরের সংঘাতে পরস্পরকে ধ্বংস করিয়া sে এবং ইহার পরিবর্তে এক প্রকার রশ্মি নির্গত হয়। তায় নাম অ্যানিহিলেশন র্যাডিয়েশন ( annihilataradiation ) । পদার্থ ধ্বংস হইয়া শক্তিতে পরিণত হন। এবং শক্তির ধ্বংসের ফলে পদার্থের জন্ম হয়—এই সত্য জাৰ তত্ত্ব মাত্র নহে, একেবারে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষ খাও স্বপ্রতিষ্ঠিত। আলোচনা প্রাবণের প্রবাসীতে বিবিধ-প্রসঙ্গে যোগীন্দ্রনাথ সরকার সম্বন্ধে লিখিত বিষয়ে দুই একটি ভুল রহিয়াছে । মনী কেশবচন্দ্র সেন মহাশয় ১৮০০ শকে সর্বপ্রখম বালকবন্ধু' নামে শিশুদের জন্ত একথান পাক্ষিক পত্র প্রকাশ করেন। প্রায় ১২ বৎসর পরে উহা মাসিক পত্রিকরূপে প্রকাশিত হয়। সখী’ নামক ছেলেদের মাসিকপত্র ১৮৮৩ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রমদা বাবু মাত্র দুই বৎসর উহার সম্পাদকত করিচে পারিয়াছিলেন । তাহার মৃত্যুর পর ১৮৮৫ ও ১৮৮৬ *qई छड्रे বৎসর কাল পর্যন্তু পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় উহার সম্পাদক ছিলেন। অন্নদাচরণ সেন মহাশয় ১৮৮৭-১৮৯২ সন পৰ্যন্ত সখা সম্পাদন করেন। o o - শিশু-সাহিত্যের পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকার সম্পাদন সম্পর্কে কেশৰs সেল মহাশয়ের নাম সৰ্ব্বাগ্রে উল্লেখযোগ্য। শ্রীস্থধাংশু গুপ্ত [ আমরা যাহা লিখিয়াছিলাম, তাহাতে “ভুল” কিছু আছে মনে কৰি না । তবে, উহা বাংলা শিশু-সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিহাস নহে, এবং নৰলোকগত যোগীন্দ্রনাথ সরকারের সম্বন্ধে কিছু লিখিতে গিয়৷ শিশু-সাহিত্য সম্পূর্ণ ইতিহাস লেখা আমাদের অভিপ্রেতও ছিল না, এবং তাহা লিখিবা প্রয়োজনও ছিল না। যোগীন্দ্র বাবুর ঠিক্‌ আগে কে কি করিয়াছিলেন তাহারই উল্লেখ মাত্র আমরা করিয়াছিলাম। ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেন মহাশয়ের বালকবন্ধু’ পত্রিকা সম্বন্ধে আমরা অনেক বার অনেক ৰুষ বলিয়াছি – প্রবাসীর সম্পাদক । ]