পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գ#o প্রবাসী ১৩ এই তাহার ভালবাসা ? রূপের মুখোসটুকুকেই কি শুধু সে ভালবাসিয়াছিল, মুখোস খুলিয়া লইলেই আর সেদিকে ফিরিয়া তাকাইবে না ? তবে তাহার এ ভালবাসার मूला कि ? so কানে আসিয়া বাজিল জলকল্পোলের মত ত ,নের মধুর গম্ভীর কণ্ঠস্বর। মুধ ওই কণ্ঠস্বর কি ভুলিতে পারে ? যদি পুড়িয়া ঝলসিয়া যায় ওই দেবকাস্তি, যদি সুধার দুই চক্ষুও অন্ধ হইয়া যায়, তবু বুকের দরজায় আসিয়া আঘাত করিবে ওই পরিচিত কণ্ঠের মন-মাতানে স্বর। স্বধা শুধু ऋ१ ८ार्थिव्रौ मूं श्व नाङे । डांश्| श्ंं८ल Gड नश्यं রূপহীনতার ভয়কে কাটাইয় উঠতে পারিত না । মন প্রথম শাসনে শঙ্কিত হইয়াছিল বটে ; কিন্তু পলকের মধ্যে সে ভয় কাটাইয়া উঠিতেছে কিরূপে ? আপনার মন্ত্যত্বে স্বধার বিশ্বাস আর একটুখানি দৃঢ় হইল, আপনার প্রতি অবজ্ঞা তাহার মন হইতে দূর হইয় মনটা অনেকখানি হাঙ্ক বোধ হইল। তপনের কণ্ঠস্বরও যদি বিধাতা হরণ করিয়া লন, তবুও তপনকে সে ভুলিবে না, এ-কথা বলিবার যোগ্যত যেন তাহার থাকে, মনে এই প্রার্থনা তাহার জাগিয়া উঠিল । হৈমন্তীর প্রতি গভীর ভালবাসা ও মমতায় স্থধা আপনার প্রেম বিশ্লেষণ করিয়া আপনাকে পরীক্ষা করিতে বসিয়াছিল । যদি তাহার প্রেমকে সে রূপের মোহ বলিয়া বুঝিতে পারে, তবে তখনই যেন হৈমন্তীর পথ উন্মুক্ত রাখিয়া দিয়, সে আপনি সরিয়া যাইতে পারে। কিন্তু পরীক্ষায় নামিয়া দেখিল আপনাকে ওই হীনপধ্যায়ভুক্ত মনে করিতেই তাহার প্রেম যেন দ্বিগুণ বলীয়ান হইয় উঠতেছে । মানুষের রূপ-যৌবন দুদিনের, কিন্তু প্রেম অবিনাশী এ-কথা সে বহুবার পড়িয়াছে শুনিয়াছে, কিন্তু বয়োধৰ্ম্ম এ-কথা কখনও ভাবিবার ইচ্ছা কি অবসর তাহাকে দেয় নাই। আজ যেন প্রৌঢ়ত্বের তত্ত্বজ্ঞান তাহার মধ্যে জানিয়া উঠিল—পুষ্পের সৌরভ ক্ষণিকের হইলেও অনন্তের কণা তাহার মধ্যে জাগিয়া আছে, ঝরা ফুল হারানো ফুলের 蠶 蠶 '! থাকে । - র বিলীন হইয় গিয়াছে, একদিন তাহ সত্য ছিল, তাহাকেই এই হল স্তুপের মধ্যে চিরদিন সত্য বলিয়া দেখিবে এ ক্ষমত তাহার থাকিবে না ? তপনকে এমন করিয়া ভালবালে ত সুধার ভালবাসার গৌরব । কিন্তু হৈমন্তী ? সে ও কি এমনই করিয়া ভালত নাই ? সুধার ভালবাসা পার্থিব অর্থে হৈমন্তীর দুঃখকা নয় কি ? মাহুষ ভালবাসার যে প্রতিদান চায়, পরম্পত্ৰ ভালবাসা পরস্পরকে জানাইবার নিবেদন করিবার চিরপুরাতন অপূৰ্ব্ব আনন্দটুকু চায়, তাহার ভিতর ত্ব ব্যক্তির স্থান নাই, তাহাতে ভাগ-বাটোয়ারা চালাই ত সে পারে না । কিন্তু বিধাতা যে তাহার ভাগে ভুল ব্যক্তিই লিথিয়াছেন। সুধা যদি সাধারণ মানুষের ভালবাসার আদান-প্রদানের আনন্দ কামনা করে স্ত্ৰ সে ত হৈমন্তীর দুঃখকামনাই করিতেছে। তপন মুং ভালবাস্থক এই ইচ্ছাই ত হৈমন্তীর দুঃখকামনা! নে স্বধার মনের কথা জানে না, সে যদি আকুল আৰু তপনকে চাগু, তাহাকে পাইবার চেষ্টা আপ্রাণ কা তবে তাহাকে প্রেমধৰ্ম্মের অনুকুল কামনাই বলিতে হয়। কিন্তু স্বধা যে হৈমন্তীর মনের কথা জানিয়াছে, স্বধা ৰে এ দীর্ঘ দিন ধরিয়া হৈমন্তীকে এমন গভীরভাবে ভালবালিয়ন সে যদি হৈমন্তীর মত কামনা করে, তবে আপনাকে । অপরাধী মনে হয় আপন দেবতার নিকট। তখন আপনার অধিকারের গণ্ডী দিয়া ঘিরিয়া রাখিতে চাওঁ তপনের কাছে যে কথা একদিন শুনিবার আশা সে করিয়াং সে কথা আর শুনিতে চাওয়া হৈমন্তীর মুখের দিকে চাৰি তাহাকে কি তবে ভুলিতে হইবে ? - উৎসব-আয়োজনের মাঝখানে স্বধার চোখে জ আসিল । মিলি তাহার জীবনের কঠিন পরীক্ষায় উই৷ হইল শুধু ধৈৰ্য্যের জোরে, শুধু আপনার দৃঢ়চিত্ততার জোৰে হয়ত হুধাও একদিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইবে ধৈৰ্য ২ দৃঢ়চিত্ততার জোরে। কিন্তু মিলির মত পুরস্কার ংি তাহার জীবনে আসিবে ? আজ ত তাহার পথ সে কোন দেখিতে পাইতেছে না । কেন বিধাতা তাহাকে এমন ৰাষ্ট্র পরীক্ষায় ফেলিলেন যাহাতে জীবনের প্রথম মুম্বন্ধন্ধ। মধ্যেই তাহাকে ত্যাগের মন্ত্র জপ করিতে হইবে ? তা ষে সোনার স্বপ্নের মধ্যে বিধাতার স্বষ্টির কি বিধানে