পাতা:প্রবাসী ভাদ্র ১৩৪৪ সংখ্যা ৫.pdf/৯৩

ーラtエ অলখ-বোগরণ aరి 9 হৈমন্ত্রী বলিল, “ন, আমি কিছু ঠিক করে ফেলিনি। কোনদিন ঠিক করে ফেলব কি না তাও জানি না।” মহেন্দ্র বলিল, “তবে আমি মনে একটু ক্ষীণ আশা রাখতে পারি না কি ?” হৈমন্তী বলিল, “একবার ত ওসব কথা হয়ে গিয়েছে নন্দ্রে দ। আমার অনেক কাজ রয়েছে, আমি এখন নীচে নই। আবার কেন মিথ্যা কথা কাটাকাটি করে আপনাকে রাগাব ?” মহেন্দ্র বলিল, “না, তুমি এখন নীচে যাবে না। তোমাকে কয়েকটা কথা শুনে যেতেই হবে। তুমি আমার সুপার জবাব দেবে না জানি, তবু আর একবার বলছি যদি আমার উপর বিন্দুমাত্র করুণাও তোমার হয়ে থাকে আমি চলে যাবার আগে আমায় সেটা জানতে দিও। আর এক বাদের মধ্যেই আমি দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছি। তার ভিতর তোমার সঙ্গে দুই একদিনের বেশী বোধ হয় দেখাই হবে না। করার দূরদৃষ্ট তার ভিতর প্রসন্ন হবে এমন আশা করি না। কিন্তু জেনে যতদিন তুমি নিতান্তই ন পর হয়ে যাচ্ছ তত দিন aথানেই থাকি না কেন তোমার আশা আমি ছেড়ে দেব না।” হৈমন্তী বলিল, “আপনাকে কোনও কাজে কি চিন্তায় বাধা দেবার অধিকার ত আমার নেই, আমি আর কি দেব ? আমি নিজেকে এমন মূল্যবান মনে করি না, যার ভৰু মিথ্যা আশায় আপনার মত মান্বযের এত দীর্ঘকাল নষ্ট উচিত। আপনি বিদ্যালাভের আশায় বিদেশে যাচ্ছেন, বিদ্যা আপনার মনের এ-সব ক্ষোভ ভুলিয়ে দিক, এই প্রার্থনা করি।” মহেন্দ্র বলিল, “তোমার গুড উইশেসের জন্য অনেক ugবাদ। তবে আমার মনের ক্ষোভ আমার জিনিষ, পরি ভুলি না-ভূলি সে আমার ভাবনা । সে-বিষয়ে gরার কোন সাহায্য আমি চাইছি না। একটা কথা gরায় বলে রাখি, যদি ইচ্ছা হয় আমার এই অম্বরোধটুকু ,ণ করো। আমি ত লীগগিরই চলে যাব, আমি চলে এবার আগে কি পরে যদি তুমি নিজের সম্বন্ধে পাক দোবস্ত কিছু করে ফেল আমাকে দয়া করে জানিও। ও দিন তোমার কাছ থেকে খবর না পাব তোমার সম্বন্ধে রাশ! আমার মন থেকে যাবে না।” -i- _ o হৈমন্তী কিছুক্ষণ স্তন্ধ হইয়া থাকিয়া বলিল, “যদি জানবার মত কিছু ঘটে তবে জানাব। কিন্তু কেন আপনি বিশেষ করে ওই দিকে ঝোক দিচ্ছেন ? আমি একলা কিছুকাল পৃথিবীতে বাস করতে কি পারি না ?” মহেন্দ্র বলিল, “তুমি করতে পার, তবে তোমাকে একলা না থাকৃতে দেবার লোক ঢের আছে।” হৈমন্তী বলিল, “কে বলেছে আপনাকে এ-কথা ?” মহেন্দ্র বলিল, “কে আবার বলবে ? আমি কি চোখে দেখতে পাই না ? তপন নিখিল সকলেরই মনে ওই এক চিন্তা। আমি চলে গেলে ওদের পথ পরিষ্কার হবে।" হৈমন্তীর বুকের ভিতর দুরু দুরু করিয়া কঁাপিয়া উঠিল। সে আপনাকে সামলাইয়া লইয়া শুধু বলিল, “আপনার মাথায় এতও আসে।" মহেন্দ্ৰ হৈমন্তীর আরও নিকটে সরিয়া আসিয়া বলিল, “না এসে উপায় কি হৈমন্তী ? তুমি ছাড়া আমার যে দ্বিতীয় চিন্তা নেই। তোমাকে আমার চোখের উপর থেকে কে হরণ করে নিয়ে যাবে তার খোজ আমি করব না ত কে করবে ?” হৈমন্তী চুপ করিয়া দাড়াইয়া রহিল। মহেন্দ্র তাহার দুইটা হাত আপনার দুই মুঠার ভিতর চাপিয়া ধরিয়া বলিল, "হৈমন্তী, যদি মানুষের একাগ্রতার কি সাধনার কোনও মূল্য থাকে, তবে তোমাকে আমি আমার ক’রে পাবই, তুমি যন্তই কেন মুখ ফিরিয়ে সরে যাও না। আমি দূরে চলে যাচ্ছি, কিন্তু আমার সমস্ত মন এইখানে তোমাকে ঘিরে পড়ে থাকবে, তুমি অনুভব করবে, তুমি ভুলে যেতে পারবে না।” হৈমন্তীর দুইখানা হাত মহেন্দ্রর হাতের ভিতর ঘামিয়া ও কাপিয়া উঠিল। সে ধীরে ধীরে হাত দুইখানা ছাড়াইয়। जङ्ग्रेज । ՎԶ օ উৎসব-সমারোহ শেষ হইয়া গিয়াছে। মিলি হরণ তাহাদের ক্ষুদ্র গৃহে নূতন সংসার পাতিয়াছে। তাহারা এখনও ঘর-সংসার গুছাইয় উঠতে পারে নাই। কিন্তু ইতিমধ্যেই একটা কৰ্ত্তব্যের দায়ে তাঁহাদের একটু ব্যস্ত ---