২য় সংখ্যা ? স্বানের ঘাটে জীবনকেষ্টর স্ত্রীর সঙ্গে বৌদির খুব আলাপসালাপ হ’য়ে গেছে। মনোমোহনদা জানেন না যে, তার স্ত্রীর হঠাৎ এমন ধৰ্ম্মে মতি কেন হয়েছিল।” অক্ষয়বাবু বললেন, “কি রকম ? কি রকম ?” বিমল বললে, “আমি দেখলাম জীবনকেষ্ট ত কাউকে বিশ্বাস করে না, আর ভয়ানক সাবধান, কেবল তার স্ত্রী যা কিছু কবৃতে পাবে। তার পর মনোমোহনদার কাছে শুনলাম যে, সে তার স্ত্রী আর বিধবা মেয়েব উপর ভয়ানক অত্যাচার কবে । কাজেই বললাম যে, তার স্ত্রীকে দিয়ে কাৰ্য্যোদ্ধার হ’তে পারে। এখন তাকে তাত করা যায় কি ক’রে ? সে প্রায় দিনই গঙ্গাস্বানে যায় জেনে অনেক খোজ ক'রে দেখলাম সে যায় বাবুঘাটে ।” অক্ষয়বাবু বললেন, “তাবপব মনোমোহনকে না জানিয়ে তাব স্ট্রীকে পাঠালে ধৰ্ম্মের ভাণ ক’রে জীবনকেষ্টর স্বীকে হাত কবৃতে ?” +*ji pr অক্ষয়বাবুত বিষম হাস্তে লাগলেন। মনোমোহনবাবু হাসবেন না রাগবেন ঠিক না কবৃতে পেবে বিমলের দিকে অবাক হ’য়ে তাকিয়ে রইলেন। বিমল আবার বলতে লাগৃল— “জীবনকেষ্টব স্ত্রী ক্রমে তাব সাংসারিক দুঃখকষ্টের কথা বৌদির কাছে বলতে লাগল। বৌদিও খুব সহানুভূতি জানাতে লাগলেন। কিছুদিন পবে আমাব পরামর্শ মত বৌদি ওসব কথা শুনলেই বলতেন যে তার সংসারে যা কিছু দুঃখ কষ্ট, অঘটন সব তার স্বামীর পাপেব দকৃণ, মায় তার মেয়ের বৈধব্য। এখন এই মেয়েট তাব একমাত্র সন্তান কাজেই তার ওপর ওব বড়ই টান। সুতবাং মেয়ের ওপব অত্যাচারের কথা বলতে বেচারী কেঁদে কেটে অস্থিব হ’ত। বেদি সে সব শুনে বলতেন যে তিনি হ'লে এর বিহিত কবৃতেন। কি বিহিত কবৃতেন জিগ্গেস করলে তিনি বলতেন যে তা ওর কৰ্ম্ম নয়। এ রকমে অনেক দিন যাবার পর আমি নরেশের সমস্ত খবর পেলাম। সঙ্গে সঙ্গে বৌদির মারফৎ এ খবরও পেলাম যে, জীবনকেষ্ট বোধ হয় শেয়ারগুলি পাওয়ায় খুব ফুৰ্ত্তি কবৃছে, তার ফলে রোজই মাতাল অবস্থায় মেয়েটাকে ভাবণ মারধোর কবৃছে, স্ত্রীকে ঠেঙ্গাতেও কমুর কাছে না। আমি ঠিক সময় এগিয়ে এসে বোঁদিকে পরামর্শ দিলাম। পরদিন জীবনকেষ্টর স্ত্রী’ যেমন তার কাছে কান্নাকাটি আরম্ভ করেছে অগ্নি বৌদি বললেন, ‘যাও আমাকে ওসব বলে জালিয়ে না। তুমি 8 e -సి সুহৃদ ভেদ vరి:ృులి ত এর বিহিত কবে না আর তোমার মেয়েও একদিন মুগ্ধ দিয়ে রক্ত উঠে মববে। জীবনকেষ্টর স্ত্রী এর কি বিহিত করা যায় জিগগেস করাতে তিনি আর কিছু বলেন না। শেষে যখন সে তার হাত চেপে ধরে কাতে লাগলো তখন তিনি বললেন যে, বিপদে না পড়লে লোকের শুভমতি হয় না । অতএব ও যদি তার স্বামীর বিপদ ঘটাতে পারে ত সব ঠিক হয়ে যাবে। কি করতে হবে জানতে চাওয়ায় বৌদি বললেন যে, সে কাজ ও কবৃতে পাবে না। জীবনকেষ্টর জীবণকেণ্ঠ ত মীর থেযে ফ্লাট স্ত্রী তাতে গঙ্গাজলে শপথ ক’বে বলল যে, সে তার মেয়েকে বঁাচাবাব জন্তে স্বামীকে খুন করা বাদে সব কবৃতে পারে। বৌদি তখন তাকে পরামর্শ দিল যে, যখন তাব স্বামী শেষ রাত্রে মদ খেয়ে বাড়ী ফিরে বেহু স হ’য়ে ঘুমোবে তখন তার লোহার সিন্দুক খুলে টাকা পয়সা নোট বাদে যা কাগজপত্র পাবে সে-সব—মার লোহাব সিন্দুকের চাৰিটা—একটা গামছায় জড়িয়ে বেঁধে গঙ্গার জলে খেলে দেবে। “পরদিন ঠিক তাই হ'ল। বৌদি তখন স্নান কবৃছেন এমন সময় সে জলে নেমে এলে দেখালো যে একটা গামছায বাবা পুলিন্দা সে কাপড়ের ভিতরে ক’রে এনেছে। গাড়িতে কোনও কাগজ পত্র প’ড়ে আছে কিনা জিগগেস্ করার সে সেই পুলিনা বৌদির হাতে চুপি চুপি দিয়ে গাড়ি দেখতে গেল। আমি বৌদির কাছে খোজ নিয়ে ঠিক তার গামছায় মত আর একটা গামছায় পুবোনো কাগজের এক পুলিন্দা বেঁধে বোঁদিকে দিয়েছিলাম। বৌদি সেটিকে আচ্ছা ক’রে জলে চুবিয়ে জীবনকেষ্টর স্ত্রী ফিরে এলে তার হাতে দিলেন। সে জলের ওজনের দরুণ তাতে আর নিজেরটাতে কোনও তফাৎ না বুঝে গলা-জলে গিয়ে ডুবে তাই বিসর্জন দিল। বৌদি আমায় আসল পুলিলাটা দিতে আমি খুলে
পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।