পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা] | বিবিধ প্রসঙ্গ-ভারতবর্ষে আর দুর্ভিক্ষ হয় না Uఫి تبعهمي عمره. يميتيه ইচ্ছা এক রকম, গবন্মেণ্টের ইচ্ছা অন্ত রকম, অবস্থা এরূপ সহে। সেই কারণে এইসব দেশের প্রতিনিধি মনোনয়ন গবন্মেণ্টের দ্বারা হইলেও তাহা তাহীদের অধিবাসীদিগের দ্বারা নিৰ্ব্বাচনেরই সমান। ভারতবর্ষ নামে আত্মশাসক নছে, কাজেও আত্মশাসক নহে। সুতরাং ভারত গবন্মেন্টের দ্বারা প্রতিনিধি মনোনয়ন ভারতীয় লোকদের দ্বারা নিৰ্ব্বাচনের সমান নহে। ভারতবর্ষ লীগের সভ্য বলিয়া আমাদিগকে বার্ষিক সাত আট লক্ষ টাক চাদ দিতে হয় । তা ছাড়া প্রতিনিধিদের খরচ দিতে হয় । অথচ এইসব ব্যয়ের বিনিময়ে সুবি । যাহা হয়, তাহার সবটাই প্রায় ব্রিটিশ গবন্মেণ্টের, আমাদের নহে। ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় দেশের প্রতিনিধির লীগে প্রতিনিধি মনোনয়ন সম্বন্ধে দু রকম ব্যবস্থ চাহিয়া আসিতেছেন, কিন্তু কোন বিষয়েই তাতাদের আকাক্ষ পূর্ণ হয় নাই। ব্যবস্থাপক সভা কতকগুলি ভারতীয়ের নাম বাছিয়া দিবেন, গবুন্মেটি ঠাহীদের মধ্য হইতে র্যাহাকে যাহাকে ইচ্ছ। মনোনীত করবেন, ইহা হইল একটি অভিলাষ। তাহ পূর্ণ হয় নাই। দ্বিতীয় অভিলাষ, লীগে প্রেরিত প্রতিনিধিদের সর্দার হইবেন একজন ভারতীয় । ইহাও পূর্ণ হয় নাই। গবন্মেণ্ট বলেন, বিনি সর্দার হইবেন, তাহার ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের জাগতিক বা পররাষ্ট্রনীতি সম্বন্ধে জ্ঞান থাকা চাই ; এইজন্ত র্তাহারা সর্দার মনোনয়নে ভারতীয়কেই নিযুক্ত করিতে হইবে, এরূপ নিয়ম দ্বারা তাহাদের স্বাধীনতার হ্রাস ইচ্ছা করেন না। ওয়ালর্ড পলিটিক্স বা বিশ্বরাজনীতি ভারতীয় কোন লোকই জানেন না বা বুঝেন ন, এমন নয়। এ পর্য্যন্ত যে-কয়জন ইংরেজ ভারতপ্রতিনিধিদের সর্দারী করিয়াছেন, তাহাদের চেয়ে অধিক ifজনৈতিক জ্ঞানবিশিষ্ট লোক ভারতীয়দের মধ্যে আছেন। কিন্তু তাহাদের কাহাকেও মনোনয়ন না করার কারণ, টাঙ্গাদের অযোগ্যতা নহে। প্রকৃত কথা এই যে, ব্রিটিশ প্রাজ্যের স্বার্থ ও ভারতের স্বার্থে অনেক বিষয়ে বিরোধ *ছে ; ভারতের ক্ষতি বা অনিষ্ট না করিয়া, অন্ততঃ স্টারতের মঙ্গলের দিকে না চাহিয়া কেবল নিজেদের স্বার্থ - সিদ্ধির চেষ্টা না করিলে ইংলণ্ডের সাম্রাজ্যিক স্বার্থ রক্ষিত হয় না। এইজষ্ঠ ভারতবর্ষকে তাহার নিজের সাধারণ প্রতিনিধিগণ ও সর্দার প্রতিনিধি মনোনীত করিতে দেওয়া হয় না ; কেন না, যাহারা সত্য সত্যই ভারতের প্রতিনিধি র্তাহারা সৰ্ব্বাগ্রে ভারতের মঙ্গল-চেষ্টা করিবেন, কেবল মাত্র বা প্রধানতঃ ইংলণ্ডের সাম্রাজ্যিক স্বার্থসিদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করিবেন না । এই সমস্ত বিষয় বিবেচনা করিয়া অনেক দিন হইতে ভারতীয়দিগের ধারণা হইয়াছে, যে, ইংলও ভারতবর্ষের ব্যয়ে নিজের একটি ভোট বাড়াইয়া নিজের স্বার্থসিদ্ধি করিতেছে ; অধিকন্তু প্রত্যেক বৎসর একজন ইংরেজকে ভারতীয় প্রতিনিধিদের সর্দার নির্বাচন করিয়া জগতের নিকট ঘোষণা করিতেছে, যে, ভারতবর্ষ পরাধীন, ভারতবর্ষে প্রতিনিধিদের সর্দারী করিবার যোগ্য লোক নাই। এই প্রকারে ভারতবর্ষ অর্থের বিনিময়ে অপমান, অবজ্ঞা, ক্ষতি ও অনিষ্ট ক্রয় করিতেছে। ভারতবর্ষে আর দুর্ভিক্ষ হয় না ! ! ভারত গবন্মেণ্টের একজন মোট মাহিনীর কৰ্ম্মচারী আছেন, তাহাকে বলা হয় ডিরেক্টর অব পরিক ইনফৰ্মে গুন, অর্থাৎ সাৰ্ব্বজনিক বিষয়ে যিনি সরকারী খবরাখবর জোগাইয়া থাকেন। তিনি প্রতি বৎসর ভারতবর্ষ সম্বন্ধে একটি বহি বাহির করেন। এখন মিঃ কোটম্যান নামক এক ব্যক্তি এই কাজ করেন । তিনি সম্প্রতি প্রকাশিত ১৯২৬-২৭ সালের বহিতে লিখিতেছেন – “Fortunately, one of the grimmest of the spectres, which formerly dogged the Indian agriculturist's footsteps, has now been laid. Famine is no longer the dread menace it used to be—“ Even the well-marked areas of constant drought are now secure against famine by reason of the extension of well and canal irrigation and facilities for the use of river-bed moisture.”—India in 192627, page 114 লেখক বলিতেছেন, ভিক্ষের ভূতকে মন্ত্ৰমুগ্ধ করা হইয়া গিয়াছে, সে আর কৃষিজীবীদিগকে বিপন্ন করিতে পারে না ! অথচ আমর: ত দেখিতেছি, প্রতি বৎসরই ভারতবর্ষের কোথাও-না-কোথাও দুর্ভিক্ষ হইতেছে। অন্নাভাবে স্ত্রী ও