পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা সরকার মশায় । অমন তরতাজা মাছ। বলে, এতক্ষণ যে সাতার খেলে বেড়াচ্ছিল । এমন সস্তরণশীল মাছ সম্বন্ধে আর প্রশ্ন মাত্র না করিয়া হাদিতে হাসিতে নাশিকারী চলিয়া গেলে, রাম-ঠাকুর বলিত—হা রে বিরাজ, ঝোলে দু কোয়া পিয়াজ ছাড়ে নি বুঝি ? বিরাজ কহিত, ছাড়বে না কেন ? যত রদি জিনিস ধাজারে বিক্রি হয় না, সব তোমার হোটেলে । অত সস্তা পু’জলে চলে না, সত্যি। অমতে রাম-ঠাকুর ধম্‌কাইত,—আরে থামৃ মাগী । সস্তা না হ’লে চোঁদটি মাত্র পয়দা দিয়ে জাহাঙ্গ বোঝাই চলবে কেমন ক’রে ? নে এক ছিলিম তামাক সাজ । বেলা সদে আটট । ইহারই মধ্যে হোটেলে লোকের ভিড় জমিতে আরম্ভ করিয়াছিল। কনটাকটার সরক মুহুরি, দলে দলে আসিয়া জুটিল। তারপর চারি দিকে হটুগোল-বিশৃঙ্খলা যে যেখানে দাড়াইয়া চেচাইতেছিলসর্ষের তেল---সর্ষের ংেস্থা • • •অ বিরাজ সর্ষের তেল দেনা • • ঠাকুর, ভাত কামিনী, জল দে। পিছুল উঠান লোকে ভরিয়া উঠিল । সকলেরই কাধে গামছা—কলের নীচে না হয় চৌধাচ্চার জলে কোন মতে একটিবার গা ভিজাইয়া একে একে বাহির হইয়া আদিতেছিল। হেসেলে পাবার ধরে, স্নানের জায়গায় সৰ্ব্বত্র বিরাজ চকির মত ঘুরিয়া ফিরিতেছিল। —বলেচি বাবু এই আনচে একটু সবুর কর, কামিনী আনতে গেছে বাবু ঝোল নামলো বলে,”-ওম, তোমায় এখনে। ভাত দেয় নি বুঝি•••রোস, বলে আর্সি...অ ঠাকুর••• পাট কলের যাচনদার রায় ঘোষ, বলিল, মাইরি বলচি বিরাজ তুই একটু কাছে এসে বস। তোর কথাগুলি দিয়েই ন হয় দু গেরাস ভাত মেখে খাই । তৎক্ষণাৎ ফিরিয়া বিরাজ গসিয়া জবাব দিল, তা বাবু ওতে তোমার পেট ভরবে না। সকলে হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিল। প্রত্যুত্তরে রাস্তু কি একটা রসিকতা করিতে যাইতেছিল, কিন্তু বিরাজ দাড়াইল না। তাহার মরিবার ফুরসৎ ছিল না। ফিরিতেই বারানার এক পাশ্বে প্রকাশ দাড়াইয়া আপন-পর AMMMeMAAA AAASA SAASAASSMAMMAMMAMMAMMAAA AAAA AAAA AAAAMMMA AMMAAA AAAA AAAA AAAABMAJSJJAAASAASAASAASAASAASAASAAAS 8)న عمحممہمہ۔ یہ حمیمہی. আছে দেখিয়া সে বলিয়া উঠিল, অমন চুপটি করে দাড়িয়ে থাকুলে কি হয়, বা ? পোড়া কপাল! দেখচ না ? হোটেলের কাও ! এস আমার সঙ্গে। তোমার একখানা জায়গা ক’রে দি । যে ঘরে লোকের ভিড় কম সেই ঘরে এক প্রান্তে একটি ঠাই করিয়া সে প্রকাশকে বসাইয়া দিল । ঠাকুর ভাত আনিয়া সাম্নে রাখিলে সে বলিল, ধীরে মুস্থে খাও, বাবু। রৈলই বা আপিস—অ ঠাকুর, আরো দুটিখানি ভাঙ্গা এনে দাও । তুমি বসে থা ও বাবু, আমি ততক্ষণ একবার চট ক’রে দেথে শুনে আসি । বিরাজ পো করিয়া বাহিরে চলিয়া গেল। রামু ঘোষ অঁাচাইয়া কাপড়ের খুটে মুখ মুছিতেছিল। বিরাজকে দেখিয়া কহিল, ই রে বিরাজ, তুই কি আমাদের হোটেল ছাড়া না ক’রে ছাড় বি না ? খেয়ে উঠে পানটুকু পৰ্য্যস্ত পাব না ? হা পিত্যেদ ক'রে দাড়িয়ে থাকৃতে হবে না কি ? মুখ ভারি করিয়া বিরাজ বলিল, পানটিও কি আমায় এনে দিতে হবে ? জানই ত ওই ঘরে পান সাজ রয়েচে । দুটো পান তুলে নিলেই ত পার। রাম চটিয়া বলিল, সবই যদি নিজেদের ক’রে নিতে হবে তা হ’লে তুই আছিস্ কেন রে মাগী ? বিরাজ ফোস করিয়া উঠিল,—দেখ রামু-বাবু, গাল মন্দ কর না বলুচি। ভাল হবে না। রামু জল হইয়া গেল । সে তাহার দুটি হাত চাপিয়া ধরিয়া কহিল, দোহাই বিরাজ, রাগ করি নি। তাড়াতাড়ি হাত ছাড়াইয়া লইয়া, একটু দুষ্ট হাস হাসিয়া বিরাজ বিদ্যুৎ চমকের মত চলিয়া গেল। উঠানে কামিনীকে দুটা হুকুম দিয়া, রান্নাঘরে ঠাকুরকে কি করিতে বলিয়া প্রকাশের কাছে ফিরিয়া আসিয়া দেখিল, তাহার খাওয়া প্রায় শেষ হইয়া আসিয়াছে । — বেশ যা হোক ! এরি মধ্যে খাওয়া সেরে ফেল্লে ? জলের গেলাস তুলিয়া লইয়া প্রকাশ কহিল, তাড়াতাড়ি করিনি, বিরাজ । বিরাজ কহিল,—কি দিয়েচে না দিয়েচে দেখলাম ন! ! পেট ভবল ত বাৰু ?