পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] কষ্টিপাথর- মানব-সভ্যতার আদি উদ্ভবক্ষেয় © অক্রোশ করিয়া মরিয়াছে, যে-সকল প্রেরণা, যে-সকল জাবেগ, যেসকল শক্তির ধারা চাপে পড়িয়া মাটির নীচে চেতনার তলদেশে আশ্রয় লইয়াছে, তাহাদেরই অভিব্যক্তি-প্রয়াস হইতেছে রস-সাহিত্য । তাহারই বীজ সারাজগতে সকল দেশের সাহিত্যুে আজুরিত হইয় छेटिंग्रांटझ् । अांछकांलकांब नांश्छि) बलिट्टेjझे रुश्रट८झ् ७३ cरु, তাহাতে আলো অপেক্ষা উত্তাপ বেশি, উত্তাপ অপেক্ষ দাহ বেশী— আনন্দ অপেক্ষা ব্যথা বেশী, ব্যথা অপেক্ষা জ্বালা বেশি—প্রসারতা অপেক্ষ তীব্রতা বেশি, তীব্রতা অপেক্ষ। কুটিলতা বেশি–স্থৈৰ্য্য অপেক্ষা গতি বেশি, গতি অপেক্ষ ঘূর্ণ বেশি। বাংলা সাহিত্যের গায়ে এই বিশ্বের হাওয়া লাগিয়াছে । তবে ইউরোপে এই হাওয়া হইতেছে একটা তুফান বা দারুণ ঝাপট – অনেক কিছুই ইহার ফলে ভাজিতেছে, চুরিতেছে, ওলট হইতেছে, পালট হইতেছে। আমাদের দেশে ব্যাপার এখনও ততদূর গড়ায় নাই। আধুনিক সাহিত্য গড়িয়া উঠিয়াছে, ইউরোপেরই মনের প্রাণের একটা বিপর্যায়ের ফলে, ইউরোপের চেতনার ধারায় সহিত তাহার রহিয়াছে জীবন্ত সাক্ষাৎ সম্বন্ধ । আমাদের দেশের চেতনায় সে-সকল জিজ্ঞাসা সঙ্গীব সার্থক হইয়া দেখা দেয় নাই—এখনও তাহার অনেকখানি আমাদের খোসথেয়ালের কথা, জীবনের প্রয়োজন হইতে বা অন্তরাত্মার গভীর উপলব্ধি হইতে তাহারা উঠিয় দাড়ায় নাই। তাই দেখি আমাদের মধ্যে অধিকাংশের হাতে আধুনিক সাহিত্যের বৈশিষ্ট কৃত্রিম হইয়া উঠিয়াছে, একটা ঢঙে পৰ্য্যবসিত হইতে চলিয়াছে। • . তবুও স্বীকার করিব, আজ যাহারা বঙ্গবাণীর জন্ত নৈবেদ্য আহরণ করিতে গিয়া পাতাল রসাতল চুড়িতেছেন, সাহিত্যের সাধক যাহারা সত্য সত্যই হাতে হাতিয়ারে “লজ্জ ঘুণ ভয়” এই তিনকে বিসর্জন দিয়া বসিয়াছেন, এই যে সব অবধূতমার্গ অঘোরপন্থী তাহাদের সবলেই স্রষ্টা হিসাবে যে অক্ষম অপটু তাহ নয়। একাধিকে হয়ত শিল্প-রচনার দিক দিয়াই দেখাইয়াছেন বিশেষ ক্ষমতা ও নৈপুণ্য—বাংলা সাহিত্য, ভাষা ও ভাব উভয় হিসাবে, তাহাদের হাতে পাইয়াছে একটা বিশেষ পুষ্ট ও ঋদ্ধি ; তবে কথা এই, এই শিল্প হইতেছে মুখ্যতঃ পশু-পিশাচের, প্রেত-প্রমথের জিনদানার * শিল্প ; দেবতার শিল্প মানুষের শিল্প যাহা, তাহ অস্ত্য ধরণের বস্তু । (বিচিত্র, চৈত্র ১৩৩৪) ঐ নলিনীকান্ত গুপ্ত মানব-সভ্যতার আদি উদ্ভবক্ষেত্র পূৰ্ব্বদিকে প্রশাস্ত মহাসাগর,-অপর দিকে ভূ-মধ্যসাগর, এই দুইটি হবিখ্যাত “তোয়নিধির” অন্তৰ্ব্বেদিরূপে যে বিস্তীর্ণ ভূভাগ দেখিতে পাওয়া যায়, তাম্বা ইউরোপীয় সভ্যসমাজে “প্রাচী" নামে উল্লিখিত হইয়া আসিতেছে। 暴 মানবসভ্যতার আদি উদ্ভবক্ষেত্র কোথায়, তৎসম্বন্ধে মানবসমাজ বহুকাল হইতে তথ্যানুসন্ধান করিয়া আসিতেছে। নীলনদী-তটেক্স, অনন্ত বালুকাস্তৱ-নিহিত অতি পুরাতন সমাধির মধ্যে ইউরোপীয় বিদ্বৎসমাজ ঐতিহাসিক যুগের পূর্বকালবৰ্ত্তী স্মৃতিচিহ্নের আবিষ্কার সাধন করিয়া, তাহাকেই কিছুদিম পৰ্য্যন্ত মানব-সভ্যতার উদ্ভবক্ষেত্র বলিয়া

  • কথাগুলি সদর্থেই জামি গ্রহণ করিয়াছি, গালাগালি হিসাবে ব্যবহার করা আমার অভিপ্রায় নয়।

ঘোষণা করিতেছিলেন। এখন আর সে-সিদ্ধাস্তু শেষ সিদ্ধান্ত বলিয়া মধ্যাদালাভ করিতে পারিতেছে না। এখন সকলের চক্ষু ভারতবর্ষের দিকে জাকৃষ্ট হইতেছে। - ভারতবর্ধ একটি অতিবিস্তৃত মহাদেশ, বহুসংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেণের একত্র সমাবেশে অসীম রহস্তের আধার হইয়া, এতকাল নীরবে কালঘাপন করিতেছিল। তাহার অতি পুরাতন ভূস্তয়-নিহিত পূৰ্ব্বত্তন কীৰ্ত্তিচিহ্ন অনাবিষ্কৃত এবং অনালোচিত থাকিয়, প্রকৃত তথ্যের সন্ধান প্রদান করিতে পারিত না । ভারতবর্ষের পশ্চিমাংশে, সিন্ধুপ্রবাহের তটভূমির পার্থে-কয়টি ধ্বংসাবশিষ্ট পুরাতন জনপদের পরিত্যক্ত অজ্ঞাত ও অখ্যাত স্থানে কিছু কিছু অনুসন্ধান-চেষ্টা পরিচালিত হইবার পর, অল্পদিন হইল এক বিস্তৃত জনপদের গুপ্তদ্ধার সহসা উলূঘাটিত হইয়া পড়িয়াছে। ভারতপুরাতত্ত্ব বিভাগের বহুসংখ্যক সুদক্ষ কর্মচারী তাহার মধ্যে খননকার্ঘ্যে ব্যাপৃত থাকিয়া, বহু পুরাতন অসংখ্য কীৰ্ত্তিচিহ্ন আবিষ্কৃত করিয়া, এক নুতন অধ্যার উলম্বাটিত করিয়া দিতেছেন। . এই দুইটি তথ্যানুসন্ধান-ক্ষেত্রের নাম এখন জগৎবিখ্যাত হইয়াছে। একটির নাম মহেমোজারে, অপরটির নাম হরপ্পা,—দুইটিই পাঞ্জাব দেশের অন্তর্গত সিন্ধুপ্রদেশে অবস্থিত। স্থলপথে এবং জলপৰে এই দুই স্থানের সহিত ভূমধ্যসাগরতীর পর্ব্যস্ত সকল দেশেরই নানাবিধ সম্বন্ধ ছিল। সেই সুত্রে ভারতবর্ষ হইতে মানব-সভ্যতার মূলস্থত্র পশ্চিমাঞ্চলে সম্প্রসারিত হুইবার সম্ভাবনা অধিক বলিয়া বিবেচিত হইতেছে। এই প্রদেশটি যখন ভারতবর্ষের অন্তর্গত, তখন ভারতবর্ষের পুরাতন সাহিত্যে ইহার কিঞ্চিৎ পরিচয় পাইবার সম্ভাবনা থাকিলেও, এপৰ্য্যস্ত তাহ যথাযোগ্যরূপে আলোচিত হয় নাই। অতীতের সহিত বর্তমানের সম্বন্ধ আকস্মিক সম্বন্ধ হইতে পারে না। এখন যে-সকল লোকব্যবহার প্রচলিত আছে, তাহার কিছু কিছু নিতান্ত আধুনিক কালে উস্তাবিত হইয়া থাকিলেও, অধিকাংশ লোকব্যবহার যে স্মরণাতীত পুরাকাল হইতে কালস্রোতের সঙ্গে প্রবাহিত হইয়া আসিয়াছে, তাহাতে সংশয়প্রকাশের কারণ নাই। তাহার যথাযোগ্য বিশ্লেষণকার্য স্বসম্পাদিত হইলে, বর্তমানের মধ্যেই চিরপুরাতনের অনেক সন্ধান প্রাপ্ত হওয়া যাইতে পারে। দিবসের এক ভাগ ইতিহাসের এবং পুরাণের অনুশীলনে যাপন করিবার প্রাচীন ব্যবস্থার মধ্যে স্পষ্টই দেখিতে পাওয়া যায় যে, ইতিহাস এবং পুরাণ দুইটি পৃথক্ বিষয় বলিয়া পরিচিত ছিল, নচেৎ পৃথক্ভাবে দুইটি উল্লিখিত হইত না। উভয়ের মধ্যে একমাত্র সাদৃপ্ত এই যে, উভয়ের কথাবস্তু পুরাতন । ইতিহাসের কথাবস্তু “পূর্ববৃত্ত কথা।" ধর্থার্থ-কামমোক্ষেয় উপদেশ-সমন্বিত ষে পূর্ববৃত্ত কথা, অথবা যে পূৰ্ববৃত্ত কথাযুক্ত ধর্থার্থকামমোক্ষের উপদেশ-সমন্বিত বিষয়, তাহারই নাম “ইতিহাস" বলিয়া স্বপরিচিত ছিল। তাহা সত্যঘটনামূলক পুরাকাহিনীর আধার। পুরাণে ঠিক ধরা-বাধা সত্যঘটনামূলক কথার উপর ধর্থার্থ কামমোক্ষের উপদেশ নির্ভর করে না । - অনেক স্থানে অনেক অতি পুরাতন কীৰ্ত্তিচিহ্ন আবিষ্কৃত হইয়া থাকিলেও, তাহার কালনির্ণয়ের যথাযোগ্য নৈপুণ্যের অভাবে, তাহাকে পাশ্চাত্য পণ্ডিতবর্গ এতকাল অপেক্ষাকৃত জল্পকালের কীৰ্ত্তিচিহ্ন বলিয়া ব্যাখ্যা করিতে গিয়া, ভারত-পুরাকীৰ্ত্তি যে সত্যসত্যই কত পুরাতন, তাহার সঙ্কানলাভ করিতে পারেন নাই। এতকালের পর সিন্ধুসৈকতের খননব্যাপারে উাহার নিয়তিশয় বিস্ময়াविट्टे श्रेब्र, छांजउ-मछाऊांब अठियोध्नौबtश् जांशवान् श्ब्रांरहन ;