ভোটা সমাধি-সাঁধের অভ্যস্তর লেটাস নগরের থেলস নামক (গ্রীসের বিখ্যাত সাতজন iানীর প্রথম জন) জ্ঞানী আবিষ্কার করেন যে, একথও zarfą (amber) of রেশমীবস্ত্র দ্বারা ঘর্ষিত হয় তাহ ইলে উহা ছোট ছোট কাগজের টুকরা আকর্ষণ করিবার ক্তিলাভ করে। তিনি এই শক্তিকে ইলেক্টিকাল (তাড়িৎ) ক্তি আখ্যা দেন—তৈলস্ফটিককে গ্রীকৃ ভাষায় ইলেক্ট্রন লা হয়। সুতরাং থেলস ইলেক্ট্রনে জাগ্রত শক্তির ইলেকটিকাল শক্তি’ নামকরণ করেন । অষ্টাদশ শতাব্দীতে লিডেন জার’ আবিষ্কৃত হয়। হলাগুর বিশ্ববিখ্যাত বিদ্যাপীঠ লিডেন সহরের একজন অধ্যাপক হা আবিষ্কার করেন। পাশাপাশি তড়িত-প্রভাবান্বিত রেকটি ধাতুপাত তড়িৎবিরোধী (Non-conductor) দার্থের সাহায্যে বিচ্ছিন্ন রাখিলে ধাতুপাতের তড়িৎ নীভূত হয়। লিডেন জার" এইরূপ বিদ্যুৎ গাঢ়ীকরণের ভোল্ট শতবার্ষিকী ৬৯ বেনিতে মুসোলিনী যন্ত্রবিশেষ। সাহিত্য-পরিষদ পত্রিকায় ইহাকে বিদ্যুৎ-ভাওs আখ্যা দেওয়া হইয়াছে ] কিছুকাল পরে দুইটি ভিন্ন পদার্থের ঘর্ষণ জনিত তড়িৎ-প্রজননের স্বত্রগুলি (Laws) সম্পূর্ণ নির্দেশিত হয়। এইরূপ ঘর্ষণের সাহায্যে অবিচ্ছিন্ন তড়িৎহষ্টি করিবার যন্ত্রাদিও আবিষ্কৃত হয় এবং আমেরিকার স্ববিখ্যাত দার্শনিক ও রাষ্ট্রনেতা বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন প্রসিদ্ধ ঘুড়ি-পরীক্ষার ( Kite Experiment ) সাহায্যে প্রমাণ করেন যে, ঘর্ষণ-যন্ত্রে উৎপন্ন তড়িতের সহিত আকাশ-তড়িতের কোনো পার্থক্য নাই। কিন্তু তখন পৰ্য্যস্ত অবিচ্ছিন্ন তড়িতপ্রবাহ স্থষ্টি করিবার কোনে। উপায় উদ্ভাবিত হয় নাই। ভোণ্টা তাহার স্ববিখ্যাত ভোণ্টেয়িক সেল বা বিদ্যুৎভাও আবিষ্কার করিয়া সৰ্ব্বপ্রথমে বিদ্যুৎপ্রবাহ স্বষ্টি করেন। ভোণ্টেয়িক সেল এখন সৰ্ব্বজনবিদিত। কোনো কাচের ( বা যে কোনো বিদ্যুৎ-বিরোধী • এই নামকরণ আমার অমুমোদিত নয়— মেঘনাদ সাহা ।
পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।