পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ? ঐযুক্ত অজিতকুমার চক্রবর্তীকে লিখিত পায়াবলী Wìrst تمامی مساس জামি অভায় অবিচার করূচি এই অপবাদ আমাকে চিরকাল বহন করতে হয়েছে। এর ফল আর যাই হোকৃ তোমার সম্বন্ধে কিছু একটা সুবিধা করে দেওয়া বিদ্যালয়ের তরফ থেকে একান্ত বাধাগ্রস্ত হ’রে উঠেছিল—তাতে একজন লোকেরও প্রসল্পত ছিল না। এই সমস্ত দুর্য্যোগের ভিতর দিয়ে যখন চলে আসছিলুম সেই সময়ে তোমার মা যখন এমন ভাব প্রকাশ করেছিলেন যে, তুমি অনায়াসেই সাংসারিক উন্নতির পথে অগ্রসর হতে পাৰ্বতে আমিই তোমাকে তার থেকে বঞ্চিত ক’রে রেখেছি তখনি আমি তোমাকে উকীল হতে এবং অন্ত চেষ্টা করতে পরামর্শ দিয়েছিলুম-অর্থাৎ আমার দিক থেকে তোমার উপরে কোনো কৃত্রিম চাপ আছে এটা আমার পক্ষে অত্যন্ত দুঃসঙ্গ হয়েছিল । যাই হোক্ এ সমস্ত পুৰ্ব্বইতিহাসের কথায় কোন ফল নেই। জীবনকে ক্রমশঃ নিষ্কণ্টক এবং সরল করে আনতে হবে । হৃদয়ের মধ্যে ঈশ্বরের প্রসাদ অবতীর্ণ হ’য়ে তাকে প্রাচুর্য্যে এমন পূর্ণ করুক যে, তোমাদের যুকলের কাছে আপনাকে দান করা আমার পক্ষে আননের ব্যাপার হোকৃ। বতদিন তা না হয়, যতদিন আমার মধ্যে দী ত৷ থাকে, ততদিন আমার সম্বন্ধে মনে কোনো অভিমান রেখে না—আমার প্রতি তোমার অধিকার আছে জেনে সেই অধিকার প্রয়োগ কোরো—তাতে আমাকে বধি কষ্টও পেতে হয় তবু সে কষ্ট সার্থক হ’বে এবং যথাসময়ে তার থেকেই আনন্দ বোধ করব। যদি দেখ আমার মধ্যে কোনো জায়গায় তোমরা হুচট খাও তবে তাকে পাশ কাটিয়ে অন্তপথে যাওরা ঠিক নয়—সে বাধা ক্ষয় করিয়ে দাও-তোমর দাবী করতে থাকূলে আমিও দাবী পূরণ করার যোগ্য হ’তে থাকৃব। এইরকম জবরদস্তির হাতুড়ি ঠুকেই ত ঈশ্বর আমাকে গড়ে তুলচেন। ইতি ১৭শ্রাবণ। ঐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 曲 কল্যাণীয়েৰু- o বোলপুরের স্বাস্থ্যহানির কথায় আমি বড় উৰি হয়েছি। এর ত কোনোই উপায় ভেবে পাইনে । যদি আবার কালক্রমে এই ম্যালেরিয়ার আবির্ভাব দূর হয়ে ষা তা হ’লেই নিশ্চিন্ত হ’ব-আশা করূচি এটা স্বামী নয়। যদি শরৎবাবুকে বাংলাশিক্ষার দায় থেকে মুক্ত ক’রে তাকে ইংরেজীর ভার দিতে চাও তাহলে অমৃতলাল ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়কে বাংলার জন্ত নিযুক্ত করা যেতে পারে—তাকে দিয়ে সংস্কৃতও চলবে। ভূপেনবাবুর সঙ্গে এ সম্বন্ধে আমাকে জানালেই আমি তাকে নিযুক্ত ক’রে পাঠাতে পাব। এটা কিনা অর্থের কথা, সেইজন্তে আমি কিছুই বলতে পারুচিনে। তোমাদের গ্রামের কাজ ভাল চলচে শুনে আমি ভাীি খুসি হ’য়েছি। এখান থেকে হরিদাস ব’লে একটি ছেলে যাবে সে ঐ কাজে যতীনের বিশেষ সঙ্কায়তা করতে পারবে । লোকটি অতি হতভাগ্য এবং বড়ই কৃপাপাত্র কারণ তারষ্ট গুলি ছুটে গিয়ে সুবোধের মেয়ের মৃত্যু হ’য়েছে। তাকে দিয়ে যদি কোনো কাজ পাও ত দেখো— আপাতত তাঁকে বেগুন দিতে হ’বে না। এখানকার গ্রাম সম্বন্ধে আমি যে-সব কথা ভাব চি ত এখনো কাজে লাগবার সময় হয়নি -এখন কেবল মাত্র অবস্থাটা জানার চেষ্টা করূচি। ভূপেশ প্রধানত তথ সংগ্ৰহ করঢেল সেইগুলো ভাল ক’রে জমে উঠলে তখন প্ল্যান ঠিক করতে হবে। আমি গ্রামে গ্রামে বখাৰ্থভাবে স্বরাজস্থাপন করতে চাই—সমস্ত দেশে যা হওয়া উচিত ঠিক তারই ছোট প্রতিকৃতি-খুব শক্ত কাজ অথচ না হ’লে নয়। অনেক ত্যাগের আবশ্বক—সেইজন্তে মনকে প্রস্তুত কন্নুচি-রথীকে আমি এই কাজেই লাগাব—তাকেও ত্যাগের জন্ত ও কৰ্ম্মের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। নিজের বন্ধন মোচন করতে না পারলে আর কাউকে মুক্ত করতে পারব না। তোমার মার জন্তে যেরকম ঘর তৈরি করতে চাচ্চ তাই কোরো। যদি তাকে কখনো আধগুক বশত অন্তর যেতে হয় এইজন্তে তোমাদের টাকা নিতে ইচ্ছে ক'রে না যা হোক যদি সেরকম ঘটে তখন বিবেচনা করে যা উচিত তাই স্থির করা যাবে। ঈশ্বর আমাদের সকলের সত্যকে উদ্বোধিত ক’রে তুলু