পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Epistoloe -- - পদ্য ১। বীরাঙ্গনা পত্রোত্তর কাব্য, (অমিত্রাক্ষরে ), ২ । উষোদ্বাহ কাব্য, প্রথম ভাগ ( অমিত্রাক্ষরে ), ৩। উযোদ্বাহ কাব্য দ্বিতীয় ভাগ ( অমিত্রাক্ষরে ), ৪ । নবপত্রিক কাব্য (মিত্র ও অমিত্রাক্ষরে), ৫। প্রবন্ধমালা ( নানাবিষয়ক ), ৬। জীবন-মুক্তি ( গদ্যমিশ্রিত ) ৷ এতদ্ব্যতীত “মালিনীর উপাথ্যান” নামক একথানি উপন্যাস, এবং গণিত-তত্ব নামধেয় একখানি অঙ্কের পুস্তকও তিনি প্রণয়ন করিয়াছিলেন। পদ্য গ্রন্থাবলীর প্রথম ও দ্বিতীয়খনি ছাপান হইয়াছিল। অঙ্কের পুস্তকখানিও মুদ্রিত ও প্রকাশিত হইয়া কিয়দিন কাছাড় জেলায় পাঠশালার পাঠ্যরূপে প্রচলিত হইয়াছিল। ইহা ছাড়া রামকুমার কীৰ্ত্তন মালসী প্রভৃতি অধ্যাত্ম বিষয়ক যে সকল গান রচনা করিয়াছিলেন, তাহাতে "পরমার্থ সঙ্গীত” ১ম ২য় ও ৩য় ভাগ এই তিন খণ্ড পুস্তক ংকলিত হইয়া মুদ্রিত ও প্রকাশিত হইয়াছে। র্তাহার পদ্য-গ্রন্থাবলীর মধ্যে “বীরাঙ্গনা পত্রোত্তর” কাবাই সৰ্ব্বপ্রথম তাহাকে সাহিত্য জগতে কতকটা পরিচিত করিয়াছিল। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, লাটন কবি ওভিড় লিখিত "নায়িকাগণের লিপিমালা” (ovid's the Heroines) গ্রন্থের অনুকরণে, রামায়ণ ও মহাভারতোক্তা নায়িকাগণ দ্বারা স্বীয় স্বীয় ভর্তৃসমীপে অমিত্রাক্ষরচ্ছন্দে যে সকল অভিযোগমূলক লিপি লিখাইয়াছিলেন, রামকুমার নায়কদের দ্বারা ঐ গুলির উত্তর মাইকেলী ছন্দেই এই “পত্রোত্তর” কাব্যে লিথাইয়াছেন। ইহা ১২৭৯ সালে প্রকাশিত হয় এবং তৎকালীন অনেক পত্রিকায় ইহার প্রশংসাসূচক সমালোচনাও হইয়াছিল । সাহিত্য Heroidum or Letters of মহারথী স্বয়ং বঙ্কিমচন্দ্র বঙ্গদর্শনে লিখিয়াছিলেন ; “ইহাতে শব্দচাতুর্ঘ্য আছে, ভাবুকত আছে এবং কবিতাগুলি শ্রুতিমধুর হইয়াছে।" একথানি ক্ষুদ্র কাব্যের পক্ষে ইহা কম প্রশংসা নহে। পত্রোত্তরের সমালোচনা করিতে গিয়া সেই ভূমিকা ও টাকা করেন-তাহাও কাব্যের সঙ্গেই মুদ্রিত হইয়াছিল। সমালোচকরাজ বুঙ্কিমচন্দ্র এই টিল্পনী পড়িয়া বিরক্ত হইয়া দক্ষিণ বাবুকে বহু বিদ্রুপ করিয়াছিলেন প্রবাসী । [ SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS SMSMS SS সময়কার পূর্ববঙ্গের মুখপত্র স্বপ্রসিদ্ধ "ঢাকা প্রকাশ" লিখিয়া । ছিলেন :–“কবিকেশরী মাইকেলের বীরাঙ্গন পত্র পাঠ । - করিয়া আমরা আশা করিয়াছিলাম পত্রগুলি যাহার সরস । লেখনী-প্রস্থত তিনিই উত্তর লিথিয়া আমাদিগকে गङ्र । করিবেন। বোধ হয় সময়াভাবে অথবা অস্বাস্থ্য নিবন্ধ ; তিনি তাহ পারেন নাই। যাহা হউক রামকুমার বাৰু ৷ আমাদের সেই আশা পূর্ণ করিয়াছেন ; আমরা তাহার এ - পুস্তক পাঠে অত্যন্ত প্রীত হইলাম। • • • •" | এই অবস্থায় মাইকেলের বীরাঙ্গন কাব্যের সঙ্গে সঙ্গে । اس--۰-۰۰,۰۰-----------------------------------------....••• সমালোচ্য কিনা পাঠক মহোদয়গণ তাহার বিচার করিবেন। বীরাঙ্গনা পত্রোত্তর কাব্যে রামকুমার কতদূর কৃতিত্ব দেখাইতে পারিয়াছিলেন, তাহ প্রদর্শন নিমিত্ত মধুসূদনের - “দশরথের প্রতি কৈকেয়ী” এই লিপির উত্তরটি যদৃচ্ছাক্রমে | তুলিয়া দিলাম। o চতুর্থ সর্গ। কৈকেয়ীর প্রতি দশরথ । , "রাজা দশরথ আপন দ্বিতীয় মহিষী কেকয়ী দেবীর প্রতি সন্ত? হইয় তাহাকে দুইটি বর দিতে প্রতিশ্রত হইয়াছিলেন : মহিষীও সেই বরস্বয় যথাকালে গ্রহণ করিবেন বলিয়া সে সময় আপনার মনোগতভাৰ প্রকাশ করেন নাই। যখন রাজা প্রথম মহিষীর গর্ভজাত জ্যেষ্ঠ পুত্র । রামচন্দ্রকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করিতে ইচ্ছ। প্রকাশ করেন তখন । কেকয় আপন পুত্র ভরতের জন্য সেই পদ প্রার্থনা করেন এবং রাজাকে পুৰ্ব্বকৃত প্রতিজ্ঞা লঙ্ঘনার্থ অসত্যবাদী বলিয় যে পত্র লিখেন, দশর নিম্নস্থ পত্রিকাথানি তাহার উত্তরস্বরূপ লিখিয়াছিলেন। ফলত: পূৰ্ব্বে । কোনও স্পষ্টত প্রতিজ্ঞ না হওয়াতে রাজা অসত্যবাদী নহেন বন্ধ । কেকয়ী তাহার বিপরীত লিপি করাতে র্তাহাকেই মিথ্যাবাদী বলা । যাইতে পারে। কবি রামকুমার নন্দী । অমোঘ মুনির শাপ। সাপিনীর রূপে নিবসিয়া এতদিন রাজ-অবসথে, দংশিলি হৃদয় মোর বিষাক্ত দশনে ; ছিলি লে৷ পাপিনি! তুই পরাণ-প্রতিম। এতদিন, স্থাপি তোরে হৃদয়-মন্দিরে, কত যে তুষেছি নিত্য প্রেমাগুলি দানে গুণে তোর ; কে জানে এমন নিশাচরী, নারীরূপে প্রবেশিলি বিনাশিতে মোরে অকালে, অধরে মাখিয়া মধু ভুলালি -- - সহজে হৃদয়ভাও পূর্ণ হলাহলে। - “. - হার রে অবোধ আমি, তোর এই মায়া— o蠶८भारद्र 點 ধয়া, মিছে নিদি আপনারে, নারীর চরিত্র ফলিল মুনির শাপ এতদিনে বুঝি নাহি বুঝে সুরাহর, কি ছার মানুষ দশরথে। করিয়াছি কুকৰ্ম্ম যেমন, , আমি জানিব কি গুণে, এ কুহক তব ? তুমিলি মধুর বাক্যে এতদিন কত, সেবিলি আমারে সদ, পতিব্ৰতা নারী সেবে যথা পতির চরণ কায়-মনে । সরল হৃদয় মোর-ভূলিল অমনি, বুঝিতে ন পারি তোর কপট ভকতি, করিয়াছি সত্য আমি ধৰ্ম্ম সাক্ষী করি, তোর কাছে, ধৰ্ম্মভয়ে, নহে কামবশে ; আছে এ দম্পতিধৰ্ম্ম আজিও জগতে পাইমু তাহার ফল হাতে হাতে আজি । জাগে মনে ( ভাগ্য দোষে ) মৃগয়ার ছলে একদিন, বনমাঝে, বাক্য লক্ষ্য করি এড়ি শব্দভেদি বাণ, ভেদিমু সহস, ( মৃগবোধে ) না জানিয়া মুনির তনয়ে । ত্যজিল তখনি প্রাণ,–তিরস্কারি মোরে মুনিপুত্র । পিতা তার অন্ধ ঋষি ( ছিল তপোরত ) ধান ভাঙ্গি শাপিল আমারে রোয় বশে, "প্রাণাধিক তনয় আমার -- - যে নারী পূজিৰে পতি ইষ্টদেব মানি, ಛಿ বধিলি মোরে, ক্ষত্ৰকুল | অভীষ্ট তাহার সদ পুরাইবে পতি । তেমন তুই তনয়ের শোকে। পতির কৰ্ত্তৰ এই ধর্থনীতি মতে। 9 কবি


. রামকুমার নন্দী। ২৭৯ - SAASAASAASAAMSMMSMMSMSMSMMSMMSMMSMMSMSMS করেছি পতির কার্য্য, প্রতিজ্ঞা করিয়া কহিয়াছি “প্রাণাধিকে ! পতিপ্রাণা তুমি, তুষিলে আমারে যেন আমিও তেমনি, - পালিব তোমার বাক্য যা কহিবে যবে ।" কিন্তু কোন দিন, ক' দেখি আবার শুনি, । বাহিরিল হেন কথা রাঘবের মূথে, ভরতেরে দিবে রাজা না দিয়া রামেরে ? আ-মরি কি সত্যবাদী লিখেছেন পুন: "অযথার্থ কথা যদি বাহিরায় মুখে - কেকয়ীর, মাথা তার কাট তুমি আসি - - নররাজ ; কিংবা দিয়া চূৰ্ণ কালি গালে দেও বনে।" ফি করিব নারী তুই নারি বধিতে জীবনে, ইচ্ছা নতুবা এথনি প্ৰহারিয়া লঙ্ক আদি পাপীয়সি ! তোরে দ্বিখণ্ড করিয়৷ খণ্ডি মনোদুঃখ যত : যদি এ হৃদয় আজি হত তোর মত, নিরমিত বঞ্জে কিংবা লৌহ কি পাষাণে, নিৰ্বালি এখনি তবে, বিজন কাননে, এই রঘুকুলকলঙ্কিনী তুই, তোরে, রক্ষি এ বিপুলকুল, “কূলরক্ষা হেতু," নীতি বাক্য আছয়ে, “ত্যজিবে একজনে ।" তবে যদি রাজ্যলোভে থাকিস্ সেবিয়া মোরে, বারাঙ্গনী যথা পর পুরুবেরে অর্থলোভী হয়ে, মুথে দেখায়ে কপট প্রেম : ক তবে এখনো ভাল ভাঙ্গি আজি সে প্রতিজ্ঞ করেছি যা তোর কাছে আমি : কে করে প্রতিজ্ঞা হেন গণিকার সনে ? নহ তুমি ধৰ্ম্মপত্নী কৃত অভিষেক । কেন আজি হেন কথা রাঘবের মুখে শুনিলি ? শুননি যাহা আর কোন কালে, - কেবল আপন গুণে গুণবতী তুমি । তবু কি অসত্য কথা বহিরিবে মুখে প্রাণাস্তে ? জেনন হেন রঘুবংশধরে। কয়েছে কি কোন দিন পরিহাস ছলে মিথ্যা কথা দশরথ ? ক' তবে এখনি কাটিয়া ফেলিব জিহ্বা তোর বিদ্যমানে। এখনে চাহিস্ যদি (লজ্জা পরিহরি ) যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করিতে ভরতে, হবেন। অন্তধা আছে এ প্রতিজ্ঞ। মম “পালিব তোমার বাক্য যা কহিবে যবে"। পুত্র মম রামচন্দ্র কুলপদ্মরবি, পালিবেক পিতৃসত্য প্রাণপণ করি। ভরত তনয় মোর ( মিথ্যা না কহিলি ) * ভারতের শিরোর অতুল্য জগতে, - থাকিত যদ্যপি এই অযোধ্যা ভবনে, নাহি করি আমি যাহা করিত সে আজি, পরশুরামের মত ( শুনেছ যেমন ) শোধিয়াছ মাতৃধার ধারাল কুঠারে। কহিবি অযশ মম দেশ দেশান্তরে, -- “পরম অধৰ্ম্মাচারী রঘুকুলপতি" ? - -