পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৮ম ভাগ। ২৭২ প্রবাসী । বাসী যুবকগণের কান্তিমণ্ডিত দেহ দেখিয়াছেন, তাহারাও অবিশ্বাস করিবেন না—তাহাদের লাবণ্যময় শুভ্রমুখমণ্ডলে ছোট হাকিম মাউঙ লুগলের সহিত দেখা হইয়াছিল, তিনি কৃষ্ণগুদ্ধের শোভা কত মধুর, তাহদের বিশাল চক্ষু ও উন্নত নাসিকা কত গৰ্ব্বের জিনিষ, তাছাদের উদারতা ও সরলত রাত্রিতে আর আসা হইল না । আরও কত মনোহারী। যুবক ভাবে বিহ্বল হইয়া গাইতেছিল— শ্ৰীবীরেশ্বর গঙ্গোপাধ্যায়। হাম রঙ্গ গুলে তাজা ভ হামু নিগ হতে গুলসান মুরজাহান । হাম নব মায়ে বুলবুল হ্যায় গ্রীকৃজাতির কবিকল্পিত হেলেনের মত, মোগল-ইতিহাসের হাম আওবাজে হাজি হ্যায় ॥ মুরজাহানের নামে, বেশ একটু ভেলকি আছে। নাম গানের প্রতি তরঙ্গে তরঙ্গে মধু বৰ্ষিত হইতেছিল, প্রতি করিলেই কমনীয় যৌবন-সন্নদ্ধা মোহিনীর কথা মনে গমকে ও রুস্তনে দেশের কত সন্মোহন দৃশু স্বপ্নের ছবির পড়ে। কাব্যে এবং ইতিহাসে জরার তুষারপাতের কথা স্তায় বিচিত্র চিত্রে অঙ্কিত করিতেছিল, হৃদয়ের প্রত্যেক থাকিলেও, পাঠকের কল্পনায় চিরদিন স্থির মােবনার इतिहे তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে কেমন যেন মাদকতাময় প্রকম্পন তুলিয়া ফুটিয় উঠে। কত কাব্যে, কত ইতিহাসে, কত মোহিনীর দিতেছিল। ভাই, তোমরা স্বদেশে রহিয়াছ-মায়ের কথা আছে, কিন্তু সকল নায়িকার কপালে চিরযৌবন কোলে বসিয়া মায়ের আদর সোহাগ সম্ভোগ করিতেছ, লাভ ঘটে না। ইহার কারণ এই যে, যে সকল নায়িকার আমার মত দেশত্যাগীর মনোবেদন তোমরা বুঝিবে না। স্মৃতি, নিরবচ্ছিন্ন যৌবন-সম্ভোগের কথার সহিত গাথা দেশে অন্ন জুটে নাই—মায়ের অক্ষয় ভাণ্ডারে আমার মত পড়ে, তাহাদের নামের সঙ্গে সঙ্গে বয়সের তরুণতার কথা ক্ষুদ্র সস্তানের জন্ত দু’বেলা দুটা শাকভাত মিলে নাই মনে জাগে। আত্মারাম সরকার, বিলাসের পাপমন্ত্রসিক্ত বলিয়াই দেশের সেই শস্যভরা হামল প্রান্তর পরিত্যাগ হাড় খানি না ঘুরাইয়া, উহাদের ঐতিহাসিক ছবির দিকে করিয়া বিদেশে আসিয়াছি ; আর এক কাশ্মীরী যুবকও– তাকাইতে দেন না বলিয়াই এই ভেলকির সৃষ্টি সীতার সে হতভাগারও দেশে অন্ন জুটে নাই বলিয়া—একটা সারঙ্গ চরিত্রে পাপের দাগ নাই বলিয়া, ક્રમ ও বয়সের সহিত হাতে লইয়া দেশ পরিত্যাগ করিয়াছে—ভাই, তোমরা অসম্পর্কিতা এক দেবীমূৰ্ত্তিই মানসপটে অঙ্কিত হয় ; এবং আমাদের মনোবেদন বুঝিবে না—দেশের একগাছি সেই মূৰ্ত্তির চারিদিকের বিক্ষিপ্ত আলোকে, अंहे তৃণকেও আমাদের মত দেশত্যাগীর নিকট মৃত মাতার অপার্থিবতা ছুরিত হয়। দষ্কাস্থির দ্যায় পরম পবিত্র ও প্রতিকর মনে হয়, স্বদেশের কবি দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, যখন তাহার এই নাটকের একটু মুখবর যে দেয় তাকে পরম সুহৃদ বলিয়া মনে হয়, ভূমিকায় প্রতিজ্ঞা করিয়াছেন, যে তিনি আদর্শচরিত্র গড়িবেন দেশের একজন লোক দেখিতে পাইলে মনে হয়—এতদিনে না, তখন ইতিহাসপ্রসিদ্ধা মুরজাহান ཕྱི་མ་གྷ་ངྷ་ आशान হারানো রত্ন কুড়াইয়া পাইলাম—আকুল চিত্তে তাহাকে বস্তু বটে। কবি এই মোহিনীর ੇ কুত্রাপি জিজ্ঞাসা করিতে ইচ্ছা হয়—“ভাই দেশের অবস্থ কেমন"? ইতিহাসকে ক্ষুঃ করেন নাই ; এত বড় প্রসিদ্ধ ঘটনার একটু ভাল সংব্লাদ পাইলেই মন কত খুলী! তাই বলিতে কথায়, তাহা করিলেও ভাল হইত না । আদর্শ গড়িতে ছিলাম, একটুখানি সরিঙ্গের বাজ না-যাহা তোমরা নিতাই গেলেই অনেক বদলাইতে হয় ; এবং মনের মত পরিবর্তন শুন, তাহাতে আমাদের মনে কত আলোড়ন বিলোড়ন হয় করিয়া কাব্য গড়াও অপেক্ষাকৃত সহজ ব্যাপার। প্রকৃতিতে তাহা তোমূরা বুঝিবে না। মায়ের কোলে বসিয়া কি কোল- যাহা যথার্থত: ঘটিয়াছে, তাহার তথ্য বুলি লইয়া, তাহার ছাড়া পরিত্যক্ত সস্তানের দুঃখ বুঝিতে পারবে ? অস্তর্নিহিত কাব্যটুকু ੋ তোলা কঠিন কাৰ্য্য সকল বলিলেন “রাত্রিতে পোয়ে দেখিতে আসিও”। কিন্তু সে ৫ম সংখ্যা। কিছুক্ষণ গান শুনিয়া আমরা ঘরে ফিরিলাম। পংে | છે ત્ર নিত্যসংঘটিত কার্যের ऋक्षहे কবিতা ਬਿ: fর বড় কবি ভিন্ন সকলে তাহ ধরিতে পারে না। তাই মীন কবিরা সংসারটা পায়ের তলায় ফেলিয়া একেবারে আকাশে উধাও হইয়া কেবল মেঘের মেলা এবং বিজুলির

  • লেবৰ্ণনা করেন ; বড়জোর পৃথিবীর ঘাসের উপরকার

শিরবিদুটুকু অরুণ আলোকে ভাস্বর করেন। এই নাটকের কাব্যকৌশল সম্বন্ধে কবি একটি কথা জিই লিথিয়াছেন ; এ দৃশুকাব্যে “স্বগত" নাই। শ্রব্য স্নাব্য অনেক কথা বলিয়া কহিয়া বুঝাইয়া দেওয়া চলে ীিয় শ্রব্য অপেক্ষ দৃশুকাব্য রচনা একটু শক্ত ; তাহার উপর আবার স্বগত অবলম্বনে যে সাহায্যটুকু পাওয়া যায়, হাছাও যদি না থাকে, তবে সুকৌশলের প্রয়োজন খুব কি হইয় পড়ে। কবি যে এই সুকৌশল সম্পূর্ণরূপেই দেখাইয়াছেন, তাহা কাব্য না পড়িলে বুঝিতে পারা যাইবে না; সমালোচনায় উহা বুঝাইতে গেলে, কোন একটা বড় শ্নের উদাহরণ দিয়া, অনেক উক্তি বিশ্লেষণ করিয়দেখাইতে । ম, যে যে সকল স্থানে স্বগত থাকিতে পারিত, সেখানে স্থায় না থাকায়, কাব্যের মৰ্ম্ম দুৰ্ব্বোধ্য হয় নাই। কাজেই এ বিচারের ভার পাঠকদের উপরেই রহিয়া গেল । প্রথম দৃশ্বে, মুরজাহান অথবা মেহের-উল্লিসকে দেখিতে পষ্ট, স্বামী কন্যা এবং ভ্রাতুপুত্ৰী লইয়া “অতুল চিত্তবিমোহন মুন্ধর স্বরধামে”। মেহেরের মনে যে তখন কোন উচ্চ স্বাকাজার বীজ ছিল, পতি ব্যতিরিক্ত কোন পুরুষের ছায়া খেয়ালের ফলেও যে তখন তাহার শতস্মিত প্রেমালোকের পাশ্বে কঁাপিতেছিল, তাহা গভীর প্রণিধান না করিলে বুঝিতে পারা যায় না। অদ্বিতীয় কবি ভবভূতির উত্তর চরিতের প্রথম অঙ্কে যে অপূৰ্ব্ব নাট্যকৌশল, এখানেও তাই এই কৌশলটুকু বুঝিতে না পারিলে নাটক পড়া খি হয় বলিয়া আমরা বক্তব্যটুকু পরিষ্কার করিতেছি। উত্তর চরিত পড়িতে গিয়া প্রথমেই মনে হয় যে রাম এত প্ৰগলভ বাক্যে সীতার সমক্ষেই সাঁতার মাহাত্মা বর্ণনা করিতেছেন কেন ? যথার্থ প্রণয়ী ত কখনো এমন করে না? গুপ্তচর আসিয়া রামচন্দ্রকে যাহা পরে জানাইয়াছিলেন, রামচন্দ্র অনেক পূৰ্ব্ব হইতেই যে তাহ জানিতেন, গণ গুপ্তচর নিয়োগ হ’তেই বুঝিতে পারি। তিনি w মুরজাহান । ২৭৩ সংপূর্ণ বুঝিয়াছিলেন, যে প্রজারঞ্জনের জন্ত, আঞ্জ হউক কাল হউক, তাহার হৃদয়ং দ্বিতীয়ং কে প্রত্যাখ্যান করিতে হইবে। তিনি অন্তরে অন্তরে বিষের জ্বালায় জ্বলিতেছিলেন। তাই জনকের গমনের পর অন্তঃপুর পরিত্যাগ করেন নাই ; তাই কথায় কথায় উচ্ছসিত ভাষায় সীতাদেবীর মুদ্ধি,স্থিতির কথা বলিয়া সীতাকে লজ্জিত করিতেছিলেন। মুরজাহানের মনে দুঃস্বপ্ন ছিল, তাই সে অত সুখ সহিবে না ভাবিতেছিল ; তাই জোর করিয়া আপনার পারিবারিক মুথের কথা অত করিয়া আলোচনা করিতেছিল ; তাই শিশুদের সৌন্দর্য্যের কনকরশ্মিতে আপনাকে ডুবাইতে চাহিয়াছিল। যে সৌন্দর্য্যের ভিতরে থাকে, স্বথের ভিতরে থাকে, সে কদাপি অত প্রত্যক্ষভাবে সৌন্দর্য্য এবং মুখ দেখিতে পায় না। আগ্রার নামে চমকটুকু ঠিক এই দৃশ্বে না থাকিলেও চলিত ; কবি বরং উহাতে মুরজাহানের মনের ভাব একটু বেশিরকমেই স্পষ্ট করিয়া দিয়াছেন। মেহেরের পতি শের থা সরলস্বভাব, উদারপ্রকৃতি, সাহসী, বীর এবং ধৰ্ম্মভীরু। মেহের সেই দেব-প্রতি সাধনায়, স্বপ্ন ও ছায়াশূন্ত সমাধি লাভ করিতে চেষ্টা করিতেছিল ; সে তর্পণে দেবতা তৃপ্ত হইতেছিলেন। কোন ছিদ্র দিয়া শনি আসিয়া স্বন্ধে চাপে তাহ কেহই জানে না ; এত বড় রাজা শ্ৰীবৎসও জানিতে পারেন নাই। বালিকা সৌন্দর্য্যের দম্ভে ও যৌবনের খেয়ালে, একটু খানি রঙ্গলীলা কৰিয়ছিল বই ত নয় ? কিন্তু কবি বুঝাইয়াছেন, যে আমাদের অতি ক্ষুদ্র রঙ্গের অভিনয়টুকুও বিরাট নাট্য-মঞ্চে অভিনীত মহানাটকের অঙ্কে অঙ্কে—দৃঙ্গে দৃতে গাথা। থেয়ালের ধারা হউক, বর্ষার ধারা হউক, কেবল “রাশি बानि शनि ग्लाइंग्रां”हे (*ब श्य न , कथप्ना डेशब ফলে –“অন্তরে দারুণ জালা, জলে যায়—জলে যায়”। কণায় বলে, শনির দৃষ্টি একবার পড়িলে, না পোড়াইয়া ছাড়ে না। লালসা এবং উচ্চ আকাজার হুতাশন হইতে, চিত্রিত পতঙ্গটি বহু দূরে ছিল ; নিয়তির বাতাতাড়নে সে আগ্ৰায় গেল। শেরখার মত বীরের পত্নীর মনের মধ্যে ছায়া লুকাইয় ছিল, এ কথা-মেহেরের পক্ষে ঘূণাক্ষরে কাহারে কাছে