পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ২২ পাওয়া যায়। আদিনার অৰ্দ্ধক্রোশ পূৰ্ব্বে নিবিড় বনের অন্তরালে একটি সরোবর এবং তাহার তীরে দুর্গাকার স্থানে রাজপ্রাসাদের ভগ্নাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। এই স্থান এখন “সাতাইশ ঘর” নামে পরিচিত। সামসুদ্দীন ইলিয়াস পাণ্ডুয়ায় রাজধানী সংস্থাপিত করিয়া, এই স্থানেই বাস করিয়াছিলেন বলিয়৷ জনশ্রুতি প্রচলিত রহিয়াছে। এখানে ব্যবভীতি এরূপ প্রবল ছিল যে, অধিকাংশ পৰ্য্যটক এখানে পদাৰ্পণ করিতেন না। রাভেনশা এখানে পদার্পণ করিয়াছিলেন কিনা, তাহাতে সন্দেহ হয় তাহার গ্রন্থে “সাতাইশ কবীর" কোন চিত্র মুদ্রিত নাই। যে সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদত্ত হইছে, তাহাও জনশ্রুতি মূলক। সরোবরটি উত্তরদক্ষিণে দার্থ। রাভেনশা লিখিয়া গিয়াছেন,—“তাহ মধ্যম পাওবের কান্ত্ৰিটিছ বলিয়া পরিচিত।” * সে যাহা হউক, সরোবরটি দিীপ্তি। তাহার পার্থে যে রাজহুর্গ বর্তমান ছিল ; তাহ প্রায় চিহ্নহীন হইয়া উঠিয়াছে। কোন পরিখা নাই,— প্রাচীরের আভাস মাত্র দেখিতে পাওয়া যায়। ইহাই যে পুরাতন রাজপ্রাসাদ, সি বিষয়ে সন্দেহ নাই। এখানে একটি স্নানাগার দেখিতে পাওয়া যায়। তাহাও ধ্বংসদশায় নিপতিত হইয়াছে। ইলাহিবক্স লিখিয়া গিয়াছেন,--এই স্নানাগার সামসুদ্দীন ইলিয়াসের কীৰ্ত্তি চিহ্ন। দিল্লীর ইতিহাসবিখ্যাত্ম"সামসী"মানাগারের আদর্শে সামসুদ্দীন ইলিয়াস পাণ্ডুয়ায় স্নানাগার নিৰ্ম্মাণ করায়, দিল্লীশ্বর ফিরোজ শাহ ক্রোধান্ধ হইয়া পাণ্ডুয়া অবরোধ করিয়াছিলেন। গোলাম হোসেন এইরূপ লিথিয়া গিয়াছেন। সাতাইশ ঘরার স্নানাগারের কথা এইরূপে ইতিহাসে স্থান লাভ করিয়া চিরস্মরণীয় হইয়া রহিয়াছে। গোলাম হোসেনের কথা সত্য হইলে, একটি স্নানাগারের জন্য কি অনর্থই না উৎপন্ন • The tank has its greatest length north and south, and traditions declares it to have been the work of Arjun of the race of Pandu.--Ravenshaw's Gour, ի. 67. + It is said At at that time Sultan Shamsuddin built a bath, similar to the Shamsi-bath of Delhi. Sultan Firuz Shah, who was furious with anger, against Shamsuddin in the year 754 A. H., set out for Lakhnauti, and after forced marches, reached close to the city of Panduah, which was then the metropolis of Bengal,—Riaz-us-Salateen P. 700. প্রবাসী । , . .

3. [ ৮ম ভাগ । হইয়াছিল! ফিরোজ শাহ দুই লক্ষ পদাতিক, যষ্টিসহস্র অশ্বারোহী লইয়া সহস্ৰ পোতারোহণে পাওয়ায় উপনীত । হইয়া নগর অবরোধ করিয়াছিলেন। একদিনের যুদ্ধে একলক্ষ সেনা কালকবলে পতিত হইয়াছিল! এই সকল । কারণে সাতাইশঘরার স্মৃতি নরশোণিত স্রোতে নিমগ্ন হইয়৷ বহিয়াছে। যাহারা পাণ্ডুয়ায় রাজধানী প্রতিষ্ঠিত রাথিয় ছিলেন, তাহারা সকলেই এই পুরাতন রাজপ্রাসাদে বাস । করিতেন বলিয়া বোধ হয়। নিকটে বা দূরে অন্য কোনও রাজপ্রাসাদ থাকিলে, তাহার জনশ্রুতি বর্তমান থাকিত।। “সাতাইশ ঘরা” এখন ধীরে ধীরে লোকলোচনের অন্তৰ্হিত হইতেছে,-যাহ আছে, তাহারও জীর্ণসংস্কারের চেষ্টা । হইতেছে না। গৌড়ের ন্যায় পাণ্ডুয়া ইংরাজরাজের কৃপাকটাক্ষে মুসংস্কৃত হইতেছে। কিন্তু কি গৌড়ে, কি । পাণ্ডুয়ায়,—কোন স্থলেই—রাজপ্রাসাদের জীর্ণসংস্কারের আয়োজন দেখিতেছি না! ইতিহাসের নিকট মস্জেদ। অপেক্ষ রাজপ্রাসাদের মূল্য অধিক। তাহার সহিত । পুরাকাহিনীর প্রধান সংশ্রব। তাহ ধীরে ধীরে ধ্বংসপ্রাপ্ত। হইলে, ইতিহাস সংকলন করা কঠিন হইয় উঠবে। স্নানাগারটি সরোবরের পাশ্বদেশেই অবস্থিত ছিল। এখন তাহার পূর্বাবস্থা বর্তমান নাই। ইলাহিবক্স লিথিয় । গিয়াছেন,—“এই সরোবর নাসির শাহের সরোবর বলিয়া পরিচিত।”• উত্তরকালে গণেশের পুত্র পৌত্রের প্রভাবে ইলিয়াস্ বংশীয় নাসিরুদ্দীন শাহ সিংহাসনে আরোহণ করিবার কথা ইতিহাসে দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু ইতিহাসে ইহাও দেখিতে পাওয়া যায়,--নাসিরুদ্দীন সিংহাসনে আরোহণ করিয়া, রাজধানী গৌড়নগরে স্থানান্তরিত করিয়াছিলেন। পাণ্ডুয়ায় নাসিরুদ্দীনের কীৰ্ত্তিচিহ্ন । দেখিতে পাওয়া যায় না। র্তাহার সিংহাসনারোহণের পূর্ব \ হইতে সরোবর না থাকিলে, তাহার পাশ্বে তাহার পূর্বপুরুষের স্নানাগার নিৰ্ম্মিত হইত না। সরোবরের আকার ও স্নানাগারের সান্নিধ্য ইহাকে পুরাতন সরোবর বলিয়াই ঘোষিত করিতেছে। নাসিরুদ্দীনের নামে তাহা কথিত • Ilahibux notices the beautiful tank of Satais-: ghara, and says, it is known by the name of Nasir Shah's tank.-H. Beveridge, ১ম সংগ্ল্যা ]


,AASAASAASAAASMMSMSAMMSMSMSMS

হইয়া থাকিলেও, তাহ যে নাসিরুদ্দীনের কীৰ্ত্তি, এরূপ অনুমান ভিত্তিহীন বলিয়াই বোধ হয় । পাণ্ডুয়ার আর একটি স্বপরিচিত দৃশ্বের নাম “সোনা_ মসজিদ।"- কিন্তু পাণ্ডুয়ার সোনা মসুজেদ १ाळैन-6 ড়ের সোনা মঙ্গজেদের সমকক্ষ বলিয়া স্পৰ্দ্ধ প্রকাশ করিতে পারে না। তথাপি তাহ পাণ্ডুয়ার একটি উল্লেখযোগ্য দৃশু বলিয়া উল্লিখিত হইতে পারে। তাহ আয়তনে ক্ষুদ্র হইলেও, গঠনপারিপাটাে সুন্দর বলিয়া কথিত হইবার যোগ্য। এক সময়ে প্রস্তরগঠিত অট্টালিকার প্রাধান্ত ছিল বলিয়া বোধ হয়। তাহার পর প্রস্তরের সঙ্গে ইষ্টক সংযোগে অট্টালিকা নিৰ্ম্মিত হইতে আরম্ভ করে। গৌড় এবং পাণ্ডুয়ার অধিকাংশ অট্টালিকায় তাহারই নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায়। এ বিষয়ে পাণ্ডুয়ার সোনা মসজেদ অনন্তসাধারণ বলিয়া উল্লিথিত হইতে পারে। ইহার আদ্যন্ত প্রস্তরগঠিত।f কুতবশাহী অট্টালিকার উত্তরে এই ক্ষুদ্র মসুজে অব স্থিত। ইহার পূর্বদিকে একটি প্রাঙ্গণ। প্রাঙ্গণের পূৰ্ব্বে একটি স্ব তোরণদ্বার। তাহ অদ্যাপি দেখিতে পাওয়া যায়। মসজেদের মধ্যে একটি স্বদ্ৰষ্ঠ উপাসনাবেদী বর্তমান আছে। প্রস্তরফলকে লিথিত আছে,—“হিজরী ৯৯০ সালে মহম্মদ আল খলিদির পুত্র মক্‌ছম শেখ নামক সাধুপুরুষ কর্তৃক এই কুতবশাহী মস্জেদ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল।” হিজরী ৯৯৩ সালে ( ১৫৮৫ খৃষ্টাব্দে ) তোরণ দ্বার নিৰ্ম্মিত হইবার কথা আর একখানি প্রস্তরফলকে লিথিত আছে। মেজর ফ্রাঙ্কলিন হিজরী ৮৮৫ সালে এই মূজেদ সুলতান বাৰ্ব্বক To fit vas ;viro made the tamETienTe pro. bability is increased that the baths were made by his ancestor, for he would naturally revert to the palace of his forefathers বিভারিজ সাহেবের এই উক্তি অসংলগ্ন বলিয়াই বোধ হয়। কারণ-নসিরুদ্দীন পাণ্ডুয়ার রাজপ্রাসাদে বাস করেন নাই, এবং প্রথমে স্নানাগার পরে সরোবর-ইহাও অসঙ্গতকথা । f North of Qutabs' house stands a small but beautiful Mosque, called the Sona Musjid, or Golden Mosque, built throughout of horneblende.—Ravenshaw's Gour, p. 56. - -

  1. The foundation of this mosque was: laid by the Honourable and Venerable Mukhdum Shaikh, son of

Mahammad Al-Khalidi, honoured in all places, pole. star of the pole-stars, and source of rectitude. May পাওয়ার কাঁচিহ্ন। . ২৩. . শরে পুত্র সুলতান ইউসকশং কর্তৃক নিতি হইবার কথা একখানি প্রস্তরফলকে পাঠ করিয়া গিয়াছিলেন। .সে ফলক দেখিতে পাওয়া যায় না। বর্তমান ফলকে ইহা "কুতবশাহী” বলিয়া উল্লিখিত আছে ; তোরণ দ্বারের ফলকলিপিতে মক্‌ছম শেখ আপনাকে কুতব শাহার দাসামুদাস বলিয়া বর্ণনা করিয়া গিয়াছেন। এই সকল কারণে মনে হয়,—এই মসজেদ পুরাতন ; মক্কুম শাহ তাহ পুনগঠিত করিয়া, তোরণদ্বার নিৰ্ম্মিত করিয়া থাকিবেন। মক্‌ছম শেখের নাম মালদহ অঞ্চলে “রাজা বিয়াবাণী” নামে পরিচিত। ইলাছিবক্স তাহার সুপরিচিত নামেরই উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। এই সাধুপুরুষ “অরণ্যের সম্রাট” বলিয়া কথিত হইতেন। জনসমাজে তাহার সম্মান প্রতিষ্ঠালাভ করিয়াছিল। দিল্লীশ্বর ফিরোজ শাহ যখন পাণ্ডুয়া অবরোধ করেন, সেই সময়ে (১৩৫৩ খৃষ্টাব্দে) এই সাধুপুরুষের দেহান্তর সংঘটিত হয়। গৌড়েশ্বর তখন শক্রবেষ্টিত একডালPদুর্গে পিঞ্জরাবদ্ধ বর্ণশাৰ্দ্দলের স্তায় গতিহীন। তাহার ফকিরের বেশ ধারণ করিয়া নগর হইতে নিস্ক্রাস্ত হইয়া, মক্‌ছম শেখের অস্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান করিবার কথা গোলাম হোসেনের ইতিহাসে লিখিত আছে। কোথায় এই অস্ত্যেষ্টিক্রিয় সাধিত হইয়াছিল,—কোথায় এই সাধুপুরুষের মৃতদেহ সমাধিনিহিত হইয়াছিল,—তাহ বাঙ্গালার ইতিহাসের একটি জ্ঞাতব্য কথা। এই সময়ে গৌড়েশ্বর একডাল দুর্গে অবরুদ্ধ ছিলেন। তিনি তথা হইতেই গোপনে ছদ্মবেশে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগদান করিয়াছিলেন, এবং দিল্লীশ্বর সংবাদ পাইবার পূৰ্ব্বেই ছদ্মবেশে দুর্গমধ্যে প্রত্যাবর্তন করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। এই কাহিনী পাঠ করিলে, একডাল দুর্গকে পাণ্ডুয়ার নিকটবৰ্ত্তী বলিয়াই স্বীকার করিতে হয়। কিন্তু একডালার দুর্গ কোথায় ছিল, তাহা লইয়া তর্ক বিতর্কের স্বত্রপাত হইয়াছে। কেহ তাহাকে দিনাজপুরে, কেহ বা সুবর্ণগ্রামের নিকটে আবিষ্কৃত করিয়াছেন বলিয়া কোলাহল করিতেছেন। ইলাহিবক্সের হস্তলিখিত ইতিহাসে ইহার রহস্ত উদঘাটিত হইবার সম্ভাবন God extend the shadow of his property. This mosque is the Qutabshahi and its date is Mukhdum Ubed Raji, A.H. 39০"-ফলকলিপির অনুবাদ। -