পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

॥ा জাপানী নারীগণের তরবারি ক্রীড়া শিক্ষা । বঙ্কিম বাবু দেবীচৌধুবাণীকে অস্ত্র-শিক্ষা দিয়াছেন, ইহা স্মরণীয় T ৬ষ্ঠ সংখ্যা । ] দন্ত উদিত হয় এবং যে শক্তি ও চৈতন্য এতকাল তিমির গল্পরে নিমজ্জিত ছিল, তাহা যেন স্বর্থ-স্বর্যের মুখাবলোকনের অবসর প্রাপ্ত হয়। বসন্তসমাগমে ধরণী:বক্ষ যেমন বিদীর্ণ াৈ বীজের অন্ধুত্ব উদগমের সহায়তা করে, পাশ্চাত্য সভ্যতাও তদ্রপ জাপানের কঠিন-মৃত্তিকারূপ সামাজিক | প্রথা খণ্ডিত করতঃ সমাজে রমণীক্ষমতা পরিচালিত হইবার "স্বাধীনতা প্রদান করে। ইয়ুরোপীয় সভ্যতাপ্রভাবে জাপানের প্রত্যেক বিষয়েই পরিবর্তন স্রোত প্রবাহিত ষ্টুতে আরম্ভ হয়। শিক্ষাপ্রণালী সম্পূর্ণরূপে পরিবর্কিত াৈ পাশ্চাত্য জাতিদের অনুরূপ ভাবে গঠিত হয়। গবর্ণমেণ্ট এবং জনসাধারণ সকলেই হৃদয়ঙ্গম করিতে পারে ,ে পাশ্চাত্য শিক্ষা-প্রণালীর মূলেই পাশ্চাত্য সভ্যতা অবস্থিত ; সুতরাং কেবলমাত্র শিক্ষ-প্রণালী সংস্কারেই জাপান ইয়ুরোপীয় সভ্যতার সমকক্ষতা করিতে পরিবে। এই ভাবে শিক্ষা-সংস্কার কার্য্য আরব্ধ হইতেই স্ত্রী-শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা –যাহা একাল পর্য্যন্ত সকলে অবহেলা করিয়া স্বাসতেছিল,—তাহা সকলের বোধগম্য হইতে থাকে। দেশের চারিদিকে বালকদিগের সঙ্গে বালিকাদিগের নিমিত্তও নানাশ্রেণীর বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইতে আরম্ভ হয়। খৃষ্টিয়ান মিশনারীরাই সৰ্ব্বপ্রথম জাপানে বালিকা-বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। গবর্ণমেণ্টও এই সংস্কারের পক্ষপাতী য়ৈ উঠেন এবং ছয় হইতে বারো বৎসরের বালক বালিকার প্রাথমিক শিক্ষা আইন দ্বারা অবশ্বকৰ্ত্তব্য (Compulsory) করেন। নৰ্ম্মালম্বুল প্রতিষ্ঠিত হইলে গবৰ্ণমেণ্ট তাহাতে বালিকাদিগেরও প্রবেশাধিকার প্রদান করেন। ইহার অত্যন্ত্রকাল পরে রমণীদিগের নিমিত্ত “সরকারী উচ্চ নৰ্ম্মাল স্কুল” স্থাপিত হয়। বর্তমানকালে স্থাপিত মণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বকালের ইহাই সৰ্ব্ববৃহৎ বালিকা"সুপে পরিগণিত । খৃষ্টাব্দ ১৮৮৪ হইতে ১৮৯১ সালের মধ্যে—সংস্কারের এই পূর্ণ যুগে স্ত্রী-শিক্ষা উন্নতির দৃঢ়-সোপানে আরূঢ় হয়। বান্তিকার। আধুনিক শিক্ষা পাইলেই উদার মতাবলম্বী এবং - হইয় উঠে। তাহাদের জনক জননী প্রায়ই {প্রাচীনমতাবলম্বী থাকায় কন্যাদের মতের সহিত সহানুভূতি প্রদর্শন বা তাহাদের মতের সহিত একমত হইতে পারেন ৩১৭ MMMMSMMMMMMMMMMMMMMMMMM MMMMMMMMMMMSMMMMMM না ; তাহার ফলে গৃহের সুখশাস্তির গুরুতর অন্তরায় এবং দুই বিভিন্ন মতের গুরুতর সংঘর্ষ উপস্থিত হইরা থাকে। বালিকাদের শিক্ষার অপূর্ণতা কিছু থাকিলেও এবং তাহ হইতে অনর্থক গৃহ-কলহের স্বত্রপাত হইয়া থাকিলেও, জাপানের বর্তমান সংস্কারযুগে প্রাচীন ও আধুনিক মতের এই সংঘর্ষ কিছুতেই পরিহার করা সম্ভবপর নছে। অশিক্ষিত জনসাধারণ এই অবস্থা হৃদয়ঙ্গম করিতে না পারিয়া কেবলি বর্তমান শিক্ষার দোষারোপ করিয়া থাকে। এই সাধারণ মতের প্রাধান্ত হইতেই স্ত্রী-শিক্ষার উন্নতির গতি অবরুদ্ধ হয় এবং কিয়দিবস একই অবস্থায় অপরিবর্তনীয় হইয়া থাকে। তারপর বালিকাদিগকে সৎপত্নী ও জননী হইতে উপদেশ দেওয়াই বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্দেশু বলিয়া বিঘোষিত হয়। সে সময়ের জনসাধারণ ব্যাবহারিক শিক্ষারই পক্ষপাতী ছিল। এই সময়ে স্ত্রী-শিক্ষার মূল উদ্বেগু সঙ্কুচিত হইয় উঠে। অনেক দিন এইরূপ অবস্থাই ছিল,—সে সময় বালিকাদিগের প্রকৃত শিক্ষা-উন্নতি অবরুদ্ধ দশায় ছিল। অধ্যাপক জিনজে নরসি লিথিয়াছেন যে, তিনি স্ত্রীশিক্ষার গুরু প্রয়োজনীয়তা হৃদয়ঙ্গম করিয়া-প্রথমতঃ প্রকাশ্বে কোনরূপ মতামত ব্যক্ত না করিয়া পাশ্চাত্য দেশ সমূহের স্ত্রী-শিক্ষা-প্রণালী অবগত হইবার নিমিত্ত আমেরিকায় গমন করেন। তথায় তিনি তিন বৎসরকাল অতিবাহিত করেন ; এই সময়ের মধ্যে তিনি উত্তর-প্রদেশের সমস্ত রমণীকলেজই দর্শন করিয়াছিলেন । এই পর্যটনে ও পরিদর্শনে তাহার উৎসাহ বৰ্দ্ধিত হইতে থাকে এবং তাহার সংকল্পিত শিক্ষা-প্রণালীও মুচিন্তিত প্রকারের হইবার সুবিধা পায়। ১৮৯৪ অন্ধে অধ্যাপক জাপানে প্রত্যাবৃত্ত হন কিন্তু এক বৎসরকাল নীরবে কেবল দেশের সরকারী ও বে-সরকারী বালিকা-বিদ্যালয়গুলিই পরিদর্শন করিতে থাকেন। এবস্তপ্রকারে তিনি জাপানের স্ত্রী-শিক্ষা-বিষয়ক তাহার অভিমত গঠিত করিয়া ‘স্ত্রী-শিক্ষা’ নামে একখানি পুস্তক প্রকাশিত করেন । পুস্তকখানি অচিন্ত্রকাল মধ্যেই জাপ-জাতির দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে সক্ষম হয় এবং জনসাধারণ আগ্রহের সহিত তাহার অভিমতের পোষকতাকরিতে থাকে। আশ্চর্য্যের বিষয়, ঠিক এই সমস্ হইতেই জাপানে প্রকৃত স্ত্রী-শিক্ষার সংস্কার ও স্বত্রপাত আরব্ধ