পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)○8 এডিনবরা রয়াল সোসাইটির পত্রিকায় এই গবেষণার বিবরণ প্রকাশিত হইলে, সকলে রায় মহাশয়ের প্রতিভার পরিচয় পাইয়াছিলেন। যুরোপ বা আমেরিকায় কোন উচ্চ উপাধি লাভ করিতে হইলে, মৌলিক গবেষণা দ্বারা উপাধিপ্রার্থীকে যোগ্যতা প্রদর্শন করিতে হয়। এই গবেষণাটিতে রায় মহাশয় D. Sc. উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। ইহার পর ১৮৯৪ সালে এসিয়াটিক সোসাইটির এক অধিবেশনে ডাক্তার রায় মহাশয় ঘৃত মাথন চৰ্ব্বি প্রভৃতির স্বরূপ ও বিশুদ্ধি নির্ণয়ের এক রাসায়নিক পন্থা প্রদর্শন করিয়াছিলেন। স্কৃত মাখন তৈল সকলই আমাদের নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু। এই সকল থাষ্ঠের সহিত প্রতারক ব্যবসায়িগণ নানা অস্বাস্থ্যকর পদার্থ মিশ্রিত করে বলিয়া, বিশুদ্ধি পরীক্ষার একটা পন্থার বিশেষ প্রয়োজন ছিল। যুরোপ ও আমেরিকা অঞ্চলের তৈল ঘ্নত ও দুগ্ধাদির উপাদানের সৰ্ব্বাঙ্গীন মিল দেখা যায় না। এজন্ত ঐসকল জিনিসের বিশুদ্ধি পরীক্ষার বৈদেশিক পন্থা ভারতবর্ষে «fffs al 1 fintfotax ( Glycerine) nfets Fatty Acids নামক অঙ্গারযুক্ত দ্রাবকের সংযোগ হইলে, অধিকাংশ তৈলজাতীয় পদার্থের উৎপত্তি হয়। Fatty Acid নানা প্রকারের দেখিতে পাওয়া যায়। কাজেই ইহাদের প্রায় প্রত্যেকটা হইতে এক এক পৃথক জাতীয় তৈল উৎপন্ন হইতে পারে। ডাক্তার রায় মহাশয় তৈলজাতীয় পদার্থের রাসায়নিক সংগঠনের এই পার্থক্যটিকে অবলম্বন করিয়া, তাহার গবেষণা করিয়াছিলেন। আলিপুর-জেল হইতে বিশুদ্ধ সরিষার তৈল এবং আওমান দ্বীপ হইতে খাটি নারিকেল তৈল আনাইয়া, তাহাদের তুলনায় বাজারের সাধারণ তৈল কি পরিমাণে অবিশুদ্ধ * ডাক্তার বস্থ মহাশয় তাহ দেখাইয়াছিলেন। ১৮৯৬ সাল হইতে ডাক্তার রায় মহাশয় পারদ সম্বন্ধীয় গবেষণা আরম্ভ করেন। এই গবেষণায় ইহঁর খ্যাতি সমগ্র জগতে পরিব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়াছে। পারদ জিনিসটা লইয়া আমাদের দেশে যত আলোচনা হইয়া গেছে, বোধ হয় আর কোন দেশেই সে প্রকার হয় নাই। এই ভারতবর্ষ হইতেই অতি প্রাচীনকালে ইহার গুণ ও মাহাত্ম্য সৰ্ব্বপ্রথমে জগতে প্রচারিত হইয়াছিল পারদসংযুক্ত প্রবাসী। নানা পদার্থ হইতে উৎকৃষ্ট ঔষধ প্রস্তুত হইতে দেখিয়, আমাদের পূৰ্ব্বপুরুষগণ ইহাকে শ্রদ্ধার চক্ষে দেখিতেন। শেষে ভবনদী পার করিবার শক্তি পর্যন্ত এই জিনিলে | আরোপ করিয়া, প্রাচীন হিন্দুগণ ইহাকে “পার-দ” নামে আখ্যাত করিয়াছিলেন। “রসেন্দ্র চিন্তামণি” নামক প্রাচীন গ্রন্থের রচয়িত “রসবিদ্যা শিবেনোক্তা” পৰ্য্যন্ত বলিয়া গিয়াছেন। ইহঁর সম্পূর্ণ বিশ্বাস হইয়াছিল পারদত স্বয়ং ভগবানই জগতে প্রচার করিয়াছেন। তান্ত্রিক মতে পারদ মহাদেবেরই অংশস্বরূপ এবং পঞ্চভূতের সমবারে গঠিত। তাই “রসার্ণব” নামক তন্ত্রগ্রন্থে পারদকে “পঞ্চভূতাত্মক স্থতস্তিষ্ঠত্যেক সদাশিবঃ” বলা হইয়াছিল। প্রাচীন হিন্দুগণ ইহার নানাগুণে এতই মুগ্ধ হইয়াছিলেন যে, এক পারদকেই অবলম্বন করিয়া—তাহার। “রসেম্বর দর্শন" নামক একপানি স্বতন্ত্র গ্রন্থ পৰ্য্যন্ত লিথিয়াছিলেন। পারদ জিনিসটা অম্লজান (Oxygen ) ও গন্ধক প্রভৃতি কয়েকটি বস্তুর সহিত মিলিলে বিচিত্র বর্ণের বহু যৌগিক পদার্থ উৎপন্ন করে। প্রাচীন হিন্দুগণ ইহার এই গুণটির সহিত বিশেষ পরিচিত ছিলেন। “নানাবর্ণং ভবেৎ স্বত্তা বিহায় ঘনচালমৃ” এই শ্লোকে তাহার প্রমাণ পাওয়া যায়। যখন জগতের অপরাংশে রসায়ন শাস্ত্রের অঙ্কুরও দেখা যায় নাই, সেই সময়ে যে ভারতে পারদতত্ত্ব লইয়া এত আলোচনা হইয়াছিল, ডাক্তার রায় মহাশয় সেই দেশে জন্মগ্রহণ করিয়া আধুনিক প্রথায় পারদের গবেষণায় নিযুক্ত হইয়া আপনাকে পিতামহদিগের উপযুক্ত বংশধর বলিয়াই পরিচয় প্রদান করিয়াছেন। এথন ডাক্তার রায় মহাশয়ের পারদ সম্বন্ধীয় গবেষণার আলোচনা করা যাউক । পাঠক অবশুই অবগত আছেন, পারদ জিনিসটা অনেক দ্রাবকেরই সহিত মিশ্রিত হয় সত্য, কিন্তু সোরকমের (Nitric Acid) সহিত এট

  • পারঙ্গ লইয়া প্রাচীন ভারতবাসিগণ কি প্রকার পরীক্ষাদি কৰি৷ ছিলেন, তাহার বিশেষ বিবরণ কাহারো জানা ছিল না। এক ডাক্তা ब्रा" भश*tगग्रहे ८झळेोग्र नांना ठूप्तछि आश्वानि श्tठ cनई निमब्रtगंज ऎकां* হইয়াছে। তথ্য সংগ্রহের জন্ত ইনি বহু অর্থ ব্যয়ে সুদূর কাশ্মীর ও নেপাল অঞ্চল হইতে পুথি সংগ্ৰহ করিয়া আনিয়াছিলেন। প্রাচীন ভারতে পারদতত্ব কতদূর উন্নতিলাভ করিয়াছিল, তাহ অমুসখিত্ব পাঠক রায় মহাশয়ের "Hindu chemistry" নামক পুস্তকে দেখিছে পাইবেন।

৮ম ভাগ । | |. | | | | ৰত সহজে মিশে অপর কোন দ্রাবকের সহিত সে প্রকারে মিশিতে পারে না। এই প্রকারে দ্রবীভূত করিতে হইলে, পারদে উত্তাপ প্রয়োগেরও আবশ্বক ম না। এই রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পারদ হইতে অনেকগুলি যৌগিক পদার্থের উৎপত্তি দেখা যায়। প্রায় শতাধিক বৎসর ধরিয়া নানা দেশীয় পণ্ডিতগণ এই সকল াৈগিকের স্বরূপ নির্ণয়ের চেষ্টা করিয়া আসিতেছিলেন ; কিন্তু দ্রাবণের ঠিক অব্যবহিত পরে পারদ কোন যৌগিক পদার্থটিকে উৎপন্ন করে তাহা অজ্ঞাত থাকায়, বৈজ্ঞানিকদিগের শতবর্ষব্যাপী চেষ্টা ব্যর্থ হইয়া আসিতেছিল। ডাক্তার রাষ্ট্র মহাশয় অতি অল্প দিন গবেষণা করিয়া সেই অজ্ঞাত | afiri;ă (Mercurous Nitrite) rii পাইয়াছিলেন। ধাতুর উপর সোরকমের ক্রিয় যে রহস্ত-কুহেলিকায় আছয় ছিল, এই আবিষ্কারে তাহা অপসারিত ठ्ठेम्नो পড়িয়াছিল। চক্ষের সম্মুখে যে সকল জিনিস রহিয়াছে, তাহাদিগকে নড়াচাড়া করিয়া কোন তত্বাবিষ্কার করিবার শক্তি ভারতবামীদিগের নাই বলিয়া একটা অপবাদ কিছুদিন পূৰ্ব্বেও বিদেশীদিগের নিকট শুনা যাইত। ভারতবাসী বহুকাল এই অপবাদের ভার নীরবে বহন করিয়া আসিয়াছে। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র ও জগদীশচন্দ্র আমাদের ঐ জাতীয় কলঙ্কের ক্ষালন করিয়াছেন, এবং সুযোগ পাইলে ভারতবালীও যে মৌলিক গবেষণায় যুরোপ ও আমেরিকার বড় বড় বৈজ্ঞানিকদিগের সমকক্ষ হইতে পারেন তাহাও প্রত্যক্ষ দেখাইয়াছেন। যুরোপীয় পণ্ডিতেরা পারদঘটিত যৌগিক পদার্থগুলিকে বহুকাল নাড়াচাড়া করিয়া যে ফল লাভ করিতে পারেন নাই, হিন্দু রাসায়নিক রায় মহাশয় অতি অল্প দিনের গবেষণাতেই তাহাই পাইয়াছিলেন। টোকিয়ে এনজিনিয়ারিং কলেজের প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার ডাইভার্স সাহেব, রায় মহাশয়ের গবেষণার ফল জানিতে পারিয়া ভারতবাসীর স্বগ বিচারশক্তি ও পরীক্ষাকুশলতার প্রশংসা করিয়া অবিকল পূৰ্ব্বোক্ত কথাগুলিই বলিয়াছিলেন। »farists sa Gàfirsta (Mercurous Nitrite) আবিদার বৃত্তান্ত, সৰ্ব্বপ্রথমে কলিকাতার এসিয়াটক সোসাইটির পরে প্রকাশিত হইয়াছিল। বলা বাহুল্য এই আচাৰ্য্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় মহাশয়ের গবেষণা। ASMMMMSMMMMMMMS পত্ৰখানিকে কখনই বৈজ্ঞানিক পত্র বলা যায় না। কিন্তু ডাক্তার রায় মহাশয়ের আবিষ্কারের গুরুত্ব হৃদয়ঙ্গম করি, . জন্মান রসায়নবিদগণ সোসাইটির পত্রে প্রকাশিত ॐदकप्लेिब्रहे । আমূল অনুবাদ করিয়া, জৰ্ম্মানির সর্বপ্রধান বৈজ্ঞানিকপত্রে প্রকাশ করিয়াছিলেন। যে তত্ত্বাবিষ্কারে পেলিগট্‌ (Peligot), fanfa (Niemann) s virte (Lang) zi38 বিখ্যাত রসায়নবিদগণ পরাভব স্বীকার করিয়াছিলেন, একজন হিন্দু বৈজ্ঞানিককে তাহাতেই জয়যুক্ত হইতে দেখিয়া, জৰ্ম্মান স্বধীগণ বিস্ময় প্রকাশ করিয়াছিলেন, এবং আবিষ্কা রককে মুক্তকণ্ঠে প্রশংসা করিয়াছিলেন। প্রাচীন কাল হইতে তাম্র, রৌপ্য, পারদ, প্রভৃতি ধাতু দ্রবীভূত করিবার জন্ত মহাদ্রাবক (sulphuric acid), শঙ্খ দ্রাবক বা সোরকদ্রাবক (nitric acid), প্রভৃতি দ্রাবকের ব্যবহার চলিয়া আসিতেছে। কিন্তু ঐ ধাতু সকল কেন দ্রবীভূত হয় বা কি অন্তর্নিবিষ্ট গৃঢ় কারণে দ্রবীভূত হয়, এই প্রশ্নের মীমাংসা হয় নাই। অধ্যাপক রায়ের গবেষণা দ্বারা এই তমসাচ্ছন্ন ও জটিল বিষয়ে কিঞ্চিৎ আলোক পাতিত হইয়াছে। ডাক্তার ডাইভার্স এই সম্বন্ধে যে সমস্ত তত্ত্ব নির্ণয় করিয়াছেন, তাহা বৈজ্ঞানিক সমাজে প্রামাণিক বলিয়া গণ্য হইয়াছে। তিনি ১৯-৪ পৃঃ অঃ Journal of the Society of Chemical Industry নামক * “Theory of the action of metals upon nitric acid” শীর্ষক একটি প্রবন্ধ লিথিয়াছেন। তাহার ভূমিকায় স্বীকার করিয়াছেন যে ডাঃ রায়ের গবেষণা ব্যতীত তিনি ইহা প্রকাশ করিতে সাহসী হইতেন না।* পাঠক অবশুই অবগত আছেন, অন্ন ও ক্ষরিজ পদার্থের সংযোগ হইলে লবণ জাতীয় এক শ্রেণীর যৌগিক পদার্থের উৎপত্তি হয়। ইহাতে অল্প বা ক্ষার কাহারও গুণ থাকে না। ডাক্তার রায় মহাশয়ের আবিষ্কৃত মার্কিউরস নাইট্ৰাইট এই প্রকার জাতীয় লবণ (salt) পদার্থ। অম্লের ভাগ ইহা atỆ Hafrs (Nitrous acid) হইতে, প্রাপ্ত হয়, এবং _ন্মলনকলয়ককলনল developed form to the Society has been given by the reading last month to the Chemical Society, of an im portant paper on mercurous nitrites by Prof. Ray of the Presidency College, Calcutta."