পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/১৯৪

৩৩৮ ধূম্রলোকবাসী আমাদিগের এই যে না-মানব-না-দেব দেহ ইহার সংগঠনে ধূম যে নিতান্ত আবখক এ কথা কেহই অস্বীকার করিবেন না। কালিদাস র্তাহার মেঘদূতে স্পষ্ট স্বীকার করিয়াছেন যে ধূমজ্যোতি সংমিশ্রণে আমাদের এই বিপুল দেহ গঠিত হইয়াছে ; এই বাষ্পময় দেহ লইয়া একদিন আমরা রামগিরি হইতে অলকা, অলকা হইতে রামগিরি, চক্ষের নিমেষে গতায়াত করিয়াছি ; সে কিসের বলে ? একমাত্র ধূমপানই কি তাহার কারণ নয় ?” “ভাই সব! ধূমপানের কষ্টের কথা আপনার সকলেই জানেন। প্রথমত ধূমপত্র যে পরিমাণে খরচ করা হয় সে পরিমাণে নেশা হয় না। স্ত,পীকৃত পত্রে অগ্নিসংযোগ করিয়া তাহার চারিপাশ ঘিরিয়া বসিয়া ধূম গ্রহণ করিতে হইলে, সে ধুমের অধিকাংশ কেন সবই প্রায় নষ্ট হইয়া যায়,-অতি অল্প পরিমাণ নাক ও মুখের মধ্যে প্রবেশ করিতে পারে। ভরপুর নেশায় পরিপূর্ণ ধূমকুণ্ডলী মেঘাকারে, আমাদিগকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ প্রদর্শন পূৰ্ব্বক, হেলিতে ছলিতে বাতাসে ভর দিয়৷ স্বৰ্গ লোকে চম্পট প্রদান করে, আর আমরা ই করিয়া তাকাইয়া থাকি, না পারি ধরিয়া মুখে পুরিতে, না পারি আর কিছু করিতে। হায় হায় একি কম আপশোষ-কম ক্ষতির কথা! ( করতালি ধ্বনি) শুধু কি তাই ? স্থা করিয়া ধূমগ্রহণ করিতে করিতে মুখের চোয়াল ধরিয়া আসে, কবিরাজ ডাকিয়া ঔষধ মালিস করিতে হয় তবে সে বেদনা যায়। (হান্তধ্বনি) তাহাতে একে শারীরিক কষ্ট আবার অর্থব্যয়! আবার শুনুন, একেলা বসিয়া আরামে যখন খুলী তখন ধূমপান করিতে পাইনা ; একেলার জন্য এত করিয়া ধূমপত্র কথন পোড়ান যায় ?—যে ধূমে পচিশজন ধূম্রলোচন হইতে পারেন, তাহা কি একটি প্রাণীর জন্য খরচ করা যায় ? ধোয়ার আড়ার সকলকে একত্র করিবার জন্য প্রতিদিন অনেকক্ষণ ধরিয়া অপেক্ষা করিতে হয়। তাহাতে যে কত সময় নষ্ট হয় তাহা কহতব্য নয়। অনেকে হয়ত যথাসময়ে উপস্থিত হইতে পারেন না, বেচারাদের আর সেদিন ধূমগ্রহণ করা হয় না ; তাহাদের সে কষ্ট দেখিলে চক্ষু ফাটিয়া জল আসে,—মনে প্রফুল্লতা নাই, শরীরে বল নাই, কাজে মন নাই, আহারে অরুচি, কেবল অবসাদ, জড়তা, অসুস্থতা— সে দিনটা তাহদের কাছে যেন বিধাতার অভিসম্পাত ! প্রবাসী । --~-----------------------WikitanvirBot (আলাপ) ১৪:২১, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)്WikitanvirBot (আলাপ) ১৪:২১, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)്WikitanvirBot (আলাপ) ১৪:২১, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)-്...... [ ৮ম ভাগ। ৬ষ্ঠ সংখ্যা। ] ( করতালি) হায় হায়! এত ক্ষতি স্বীকার করা নাম ধরেন नांझे ; बन করিয়াছিলেন সেটা ত উঠিয়াই BBBB BB BBB BB S DDB BBBB BBB BBB DDBS BBB BB BBB BBBB BB BB BBBBB BBB BB BB BS BBBBS BBBB BBB BBS Gttt BBBS BBB BB BBB BB DDDD DDD উঠিয়া-পড়িয়া লাগুন, শীঘ্রই যদি কোন ধুমপান যন্ত্র আবিঃ দলিলন। - BBB BB BBBB BBBB BBB BBB BB BBSS S BBBBBBSBBBBSB BBBBB BBBB BBBBS বক্তা তাম্রকুটপত্র দ্বারা মুখের ঘাম মুছিতে মুছিতে |ি দৱে সৰ্ব্বপ্রথম বিবেচনা করিবার ভার বিশ্বকৰ্ম্মার পড়িলেন। প্রস্তাবটি যথাক্রমে অন্যান্ত সভোর দ্বারা সমধি। উপর ছিল। ধূমপার্সিভার দরখাস্তথানা বিশ্বকৰ্ম্মার দপ্তরে ও পরিপোষিত হইয়া শেষে সমগ্র সভার অনুমোদিত ইলৈ চালান করিয়া দিয়া ব্রহ্মা তখনকার মত কতকটা নিশ্চিন্ত ঠায় বসিয়া বক্তৃতা শুনিতে শ্রোতৃগণ ক্লান্ত হইয়া পড়িয়ে দলেন। ছিলেন, সকলেরই শরীরে অবসাদ পরিলক্ষিত হইতেছিল । অনেক দিন হইতে বিশ্বকৰ্ম্মার হাতে কোন কাজ-কৰ্ম্ম হুকার জন্ম । কেহ কেহ গাত্র প্রসারণ হস্তোত্তোলন ও মুথব্যাদান দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিয়া সে অবসাদ ঘুচাইবার নিষ্ফল করিতেছিলেন। ক্রমে তাহা সংক্রামক হইয়। দেখিতে দেখিতে সভাস্থল চাই-তরঙ্গে তরঙ্গায়িত উঠিল,-সেই হাইয়ের অস্ফুট শব্দ ও তৎসংলগ্ন তুড়ির ক্ষুন্ন তুড়, ধ্বনি মিলিয়া এক অপরূপ কলরবের স্মৃষ্টি হইল। কক্ষান্তরে ধূমপত্র সজ্জিত ছিল, তাহাতে অগ্নি-সাং করা হইল, বর্ষার মেঘের মত পুঞ্জ পুঞ্জ ধোয়৷ উদগীৰ্ণ ষ্টা গৃহ আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিল, তাহার মধ্যে আসন পাতি সভামণ্ডলী উপবেশন করিলেন। তৎক্ষণাৎ মুখের হাই কে মিলাইয়া গেল, হাসির রেপ ফুটিয়া উঠিল ; শরীরের অবসা ঘুচিয়া গেল, উৎসাহ আসিল, মন প্রফুল্প হইল। ধূমগ্রন্থ শেষ করিয়া যে যেখানকার সেখানে চলিয়া গেলেন। > ধূমপার্সিভার রেজোলুশন সকল সভোর স্বাক্ষ হইয়া যথাসময়ে ব্রহ্মার নিকট প্রেরিত হইল। ব্ৰহ্মাতা পাঠ করিয়া মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন। এতদি তাহার বুদ্ধিতে প্রবেশ করে নাই যে ধূমসেবন যন্ত্রের ক্ষে আবশ্যকতা আছে। স্বজন-কাৰ্য্য শেষ হইয়াছে মনে ক;ি এবং অনেকটা খরচ বঁাচাইবার জন্য তিনি বিখ ডিপার্টমেন্টটা তুলিয়া দিবার সংকল্প করিতেছিলেন ; ঐ মৰ্ম্মে একটা খসড়াও প্রস্তুত হইয়াছিল, দেবসভায় আগা অধিবেশনে তাহা পেশ করিবেন স্থির করিয়াছিলেন এর সময় এই কাণ্ড ! ব্ৰহ্মার ভাবনার আরো একটু কা ছিল। এবারকার বজেটে তিনি বিশ্বকৰ্ম্মার ডিপার্টমেন্ট্রে | - নাই; কি করেন, কি করেন ভাবিতেছেন এমন সময়ে সেই দরখাস্তখান তাহার হাতে আসিয়া পড়িল । তিনি আনন্দে লাফাইয়া উঠিলেন। কিন্তু কি-রকম-একটা যন্ত্র আবশ্বক তাহ চট্‌ করিয়া তাহার মাথায় আসিল না। তিনি নিজে ধূমপান করিতেন না, কাষেই একটা পরিষ্কার ধারণা তাহার কিছুতেই হইতেছিল না। তখন তিনি স্থির করিলেন যে, ধূমপায়সভার সম্পাদকের সহিত এবিষয়ে বাচনিক পরামর্শ করিয়া ব্যাপারটা খোলসা করিয়া शहेरनन । যথাসময়ে বিশ্বকৰ্ম্মার আপিসের শিলমোহরাঙ্কিত একখান সরকারি চিঠি সম্পাদকের নিকট পৌছিল। সম্পাদক আপিসে উপস্থিত হইলে বিশ্বকৰ্ম্ম তাহার সহিত দীর্ঘকালব্যাপী তর্ক বিতর্ক করিলেন। তর্কে তাহার মাথাটা বেশ পরিষ্কার হইয়া আসিতেছিল ;– সহসা তাহার মাথায় একটা ‘আইডিয়া প্রবেশ করিল। তিনি সম্পাদককে লক্ষ্য করিয়া খুব দম্ভের সহিত কহিলেন,–“যন্ত্র আমি স্বজন করিবই। কিন্তু এবিষয়ে আপনাদের একটু সাহায্য চাই।" সম্পাদক আগ্রহসহকারে কানটা খাড়া করিয়া বলিলেন—“নিশ্চয়ই ; আমরা আপনারই আজ্ঞামু বৰ্ত্তী আছি ; কি করিতে হইবে বলুন।” বিশ্বকৰ্ম্ম কহিলেন,—“আর কিছু না, কেবল স্বর্গের তিন প্রধান দেবতা সৃষ্টি-স্থিত-প্রলয়-কৰ্ত্ত ব্ৰহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বরের নিকট হইতে যন্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণের উপকরণ আপনাগিকে সংগ্ৰহ করিতে হইবে উপকরণ আমার সন্ধানে मांहे।” లిలిన "যে আজ্ঞা বলিয়া সম্পাদক উঠিয়া দাড়াইলেন ; এবং চাদরথান স্কন্ধে ফেলিয়া তৎক্ষণাৎ প্রস্থান করিলেন। ס\ ধূমপায়িসভার জনকতক বাছা বাছ লোক মিলিয়া একটা প্রতিনিধিদল গঠিত হইল। তাহারা এক শুভদিনে বাষ্পযানে আরোহণ করিয়া ব্ৰহ্মলোক যাত্রা করিলেন। সহস্ৰ যোজন দূর হইতে এক বহুবিস্তীর্ণ সমুজ্জল জ্যোতিমণ্ডল তাহদের নয়নপথে পতিত হইল, যেন লক্ষ লক্ষ চন্দ্র একত্রে সমুদিত হইয়া অত্যুজ্জল প্রভায় ব্রহ্মলোক মণ্ডিত করিয়া রাখিয়াছে। সেখানে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, অৰু ও দ্য নামক দুইটি স্বধা-হ্রদ ব্রহ্মলোককে চক্রাকারে বেষ্টন করিয়া চলিয়াছে, তাহার তীরে দাড়াইয়া ব্ৰহ্মলোকবাসিগণ আকণ্ঠ স্থধাপান করিতেছেন। সেখানকার ভূমি বিচিত্ররত্নময়ী ; স্থানে স্থানে হেম অট্টালিকা ও অপূৰ্ব্ব রত্নময় অসংখ্য দিব্য মন্দির শোভা পাইতেছে ; সেই শঙ্খঘণ্টা-কাংস্ত-নিনাদিত মন্দির মধ্য হইতে ব্রহ্মধিদিগের সমকণ্ঠে গীত সাম গান উত্থিত হইয়া জলস্থল আকাশ মুখরিত করিতেছে, সেই গানের সহিত একতানে ভ্রমরগণ গুঞ্জন করিয়া গান গাহিতেছে ; ধূপধুনা চন্দন কস্তরী কুঙ্কুম ও পুষ্পের সৌরভে দিক আমোদিত। বেদবেদাঙ্গপারদর্শী মহানুভব ব্রাহ্মণগণ যথাপদ ও যথাক্ষর ঋগ্বেদ অধ্যয়ন করিতেছেন। বিস্তীর্ণ যজ্ঞকাৰ্য্য আরম্ভ হইয়াছে, চতুর্দিকে হোমানল প্রজ্জ্বলিত, তাহাতে বারম্বার আহুতি প্রদত্ত হইতেছে—আজ্যধুমে দিষ্মণ্ডল পরিপূর্ণ। ব্রহ্মধি দিগের মুরলয়সংযোগে বেদাধ্যয়ন শব্দে ব্ৰহ্মলোক শব্দায়মান। ধূমপায়িগণ সেই সকল স্বমধুর ধ্বনি শ্রবণ করিয়া শরীর পবিত্র বলিয়া বোধ করিলেন, তাহদের আনন্দের সীমা রহিল না । - কিছু দূর অগ্রসর হইয়া দেখিলেন একস্থানে মহা জনতা—দেবাঙ্গনাগণ অমৃতবৰ্ষী অশ্বথতলে দাড়াইয়া কলসে কলসে অমৃত আহরণ করিতেছেন ; অন্নময় ও মদকর সরোবর তীরে দক্ষপ্রমুখ প্রজাপতিগণ দ্বারা অতিথিগণ সৎকৃত হইতেছেন। দেখিতে দেখিতে ব্ৰহ্মার সদনে আসিয়া পৌছিলেন ; . സ് প্রকাও রত্নময় হেম অট্টালিকা ; পদ্মরাগ, নীলকান্ত,অয়ন্ধান্ত, \, d\o