পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8oミ --- ു................................. - (৬) যখন সুরেন্দ্রনাথ এবং আনন্দমোহন ভারতসভা স্থাপন করিয়া দেশের মধ্যে একটা নুতন শক্তি জাগাইতে চেষ্টা করিতেছিলেন, সে সময়ে ঐ চেষ্টার উপহাসে “ভারত উদ্ধার” রচিত হইয়াছিল। তীব্র ব্যঙ্গ, বঙ্গভাষায় হয় ত সেই প্রথম । আমাদের সাহিত্য-সমাজে উহার রচয়িতার প্রতিভা এবং ক্ষমতার পরিচয় দেওয়া অনাবশ্যক। নিৰ্ম্মাণকৌশল এবং হাস্যরসে গ্রন্থখানির সাহিত্যিক মূল্য আছে ; কিন্তু ঐ উপহাসের ফলে যে স্বদেশসেবকের নব উস্তমে বাধা পড়িয়াছিল, তাহাও স্বীকার করিতে হইবে। দেশব্যাপী উদাসীনতা এবং স্বার্থপরতায় যাহারা কোন কাজে অগ্রসর হইত না, তাহার উল্টা তাহদের বিজ্ঞতা দেখাইয়া ঐ ব্যঙ্গ কবিতা আওড়াইত। বিধাতার কৃপায় আজিকালিকার দিনে কেহ ঐরূপ গ্রন্থ লিখিলে তাহ পঠিত হইবে কি না সন্দেহ। এ সংসারে এমন জিনিষ নাই যাহার একটা উপহাসের দিক্‌ খুজিয়া পাওয়া যায় না। তাই বলিয়া যে খুজিয়া পাতিয়া উপহাস করিতে হইবে ; কিম্বা একটা “সরস” কথা জোগাইলেই, সেই সরস কথাটার খাতিরে তাহ প্রকাশ করিতে হইবে, তাহ নয়। সাহিত্যেও সংযমের একটা দিক্‌ আছে। দ্বিজেন্দ্রলালের হাতে “পেয়েছে দও, যতেক ভণ্ড, চণ্ডী নন্দ ইত্যাদি ;” কিন্তু স্বদেশপ্রেম তাহার কাছে উপহাসের বিষয় নহে। র্যাহারা আলস্তকে উপহাসের হাসির আবরণে লুকাইয়া সহজে বিজ্ঞ নাম পাইতে চাহেন, কবি সে শ্রেণীর লোক নহেন। বরং এই “হোতে পাত্তাম” দল তাহার কাছে উপহসিত। কবি স্পষ্ট দেখাইয়া দিয়াছেন, যে, আপনাদের অসারতা ঢাকিবার জন্য অকৰ্ম্মণ্য অলসেরা— -

  • * বোঝাতে চান হিন্দু ধর্শ্বের অতি স্বক্ষ মৰ্ম্ম—

ভীরুতাটা আধ্যাত্মিক ও কুড়েমিট ধৰ্ম্ম ।” (৭) কবির এক শ্রেণীর গানে হাসিতে গিয়া কঁাদিয়া ফেলিতে হয়। ইরান দেশের কাজির ক্ষমতাজ্ঞাপক নিৰ্ম্মম অবজ্ঞায়, খুরোঞ্জের উৎসবরঙ্গের নিরূপায় অভিনয়ে, ‘আমি যদি’ ও ‘জিজিয়াকরে’র পাদুকা তাড়নায়, না হাসিয়া নিস্তার ‘নাই বলিয়া হাসি ; নহলে মোগলের আদর মোগলাই কোম্মার মত মিষ্ট নয়। কাদা আমাদের স্তাকামি বই কি ? প্রবাসী । ঐ শ্রেণীর সরস, সতেজ ও । [ ৮ম ভাগ। কারণ অশ্রুজলে পদাঘাতকারীর চরণরেণুও সিক্ত হয় না। চাচাজির উক্তি মনুষ্যত্বহীনের প্রতি যথার্থ প্রযুক্ত : লাথি থেয়ে ওরে চাষ, বরংরে তোর উচিত হাসা; যে তোর কথাও মাঝে মাঝে তবু আমার মনে জাগে। এই মৰ্ম্মান্তিক হাসি চোখের জলে মিশিয়া যুগপৎ রৌদ্র এবং করুণরসের সৃষ্টি করিয়া, “আমার দেশ” ফুটাইয়া তুলিয়াছে, এবং আশা করি সে গীতি বঙ্গের গৃহে গৃহে সুধা বৃষ্টি করি: তেছে। কবির কর্ণবিমৰ্দ্দনকাহিনী প্রভৃতি যদি বহু পূৰ্ব্বে রচিত না থাকিত, তাহা হইলে ‘আমি যদি রচনা সাময়িক উত্তেজনার প্রভাব কল্পিত হইতে পারিত। শিলরের ডিন কার্লস সমালোচনায় কালাইল বলিয়াছিলেন, "Had the character of Posa been drawn ro years later, it would have been imputed to the French Revolution, and Schiller himself might have been called a Jacobin." Ætfð Tfxfm পাঠকের জন্য এ ইংরাজিটুকুর অনুবাদের প্রয়োজন নাই। (৮) দেশের অধিকাংশ লোকের মতে সায় দিয়া, বাহব লইবার জন্য, অনেক ক্ষমতাশালী ব্যক্তি হিতকর অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে উপহাস অস্ত্র ধরিয়া থাকেন। কিন্তু দ্বিজেন্দ্রলাল লোকশিক্ষক, তিনি আসার যশের জন্য লালায়িত নহেন। দেশের সব ভাল, একথা শক্রতে বলে, এবং পাগলে বলে, স্বদেশপ্রেমিক বলে না । শক্রর ইচ্ছা রোগী ঔষধ ন থাইয়া মরুক ; অথবা কুভূষণে ভূষিত হইয়া সমাজে দশজনের কাছে গিয়া উপহাসাম্পদ হউক। স্বদেশপ্রেমিক সাগর ছেচিয়া মানিক আনিয়া প্রেমের পাত্রকে ভূষিত করিতে চায়, তাহার দুঃখদুর্গতি নাশ করিতে চায়। অলস স্বদেশদ্রোহীরা সহজলভ্য বাহাবা লইয়া ক্ষুদ্র স্বার্থসিদ্ধির জন্য যখন অগ্রসর হয়, এবং উপহাসের নামে মুথ খিচায়, তখন কবির—“ত, সে হবে কেন ?" গুনিয়াই পলায়ন করে। রমণীর উপস্থিতিতে যে সামাজিক পবিত্রতা বৃদ্ধি পায়, তাহা সম্ভবতঃ শীলের (১) অভাবে আমাদের মুখসৰ্ব্বস্ব ব্রহ্মচৰ্য্য ওয়ালার হৃদয়ঙ্গম করিতে পারেন না। যেখানে মনে থাকে যে পাঠক কেবল পুরুষ, সেখানে ভাষায় সংযম ২ থাকে না। এই জন্যই রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভায় ভারত | | ৭ম সংখ্যা । ] চঞ্জের রসিকতা শ্লীলতার সীমা অতিক্রম করিয়াছিল। দাম্রায়ের বারোয়ারি সভায় পাচালি, এবং গৃহস্থের ঘরে গীত পচিলির চেহারা দেখিলেই চিনিতে পারা যায়। শ্লীলতার কথা উপহাস করিয়া উড়াইবার চেষ্টা করিলেই মুরসিক বলিয়া আপনাকে প্রচার করা যায় না। প্রাচীন কালের অলঙ্কারে ব্রীড়া জুগুপ্তাদি ব্যঞ্জক কথার উপর এত কড়াকড়ি ছিল, যে একালে আমরা তাহা দেখিয়া স্তম্ভিত ইষ্টয়া যাই। যে সকল নগণ্য লেখক, অবনতির দিনের জঘন্য সাহিত্যের দোহাই দিয়া হাসাইবার ক্ষমতার অভাৰে বীভৎসতার অবতারণা করে, তাহাদের কথা লইয়া সময় নষ্ট করিব না। কবির হাসির গানের ‘স্ত্রীর উমেদার’ ; নিয়নে নয়নে রাথি’, ‘চাষার প্রেম’, প্রভৃতিতে গ্রাম্যতা, অবাচকত্ব, প্রভৃতি দোষ আদৌ নাই,—অথচ ঐগুলি প্রেমবিকৃতির কথা লইয়া পরিহাস । অন্যান্ত হাসির গানের কথা দূরে থাকুক, এ সকল গানও যে কোন ভদ্রসমাজে মহিলাদের সমক্ষে গাহিয়া হাসিতে পারা যায়। হাসির সাহিত্যের সাৰ্ব্বজন প্রসার, দ্বিজেন্দ্রলালের হাতেই হইয়াছে। কুচরিত্র বেহায়ারাই প্রায়শ: স্ত্রীজাতির শীলতার প্রহরী হইয়া দাড়ায়, এবং নদেরচাদের মত, স্ত্রীলোকের মুখে একটু হাসি পর্য্যন্ত সহা করিতে পারে না। ইহারাই যে স্ত্রীজাতির উন্নতির বিরোধী, সকল সৎকার্য্যের বিরোধী, তাহা নদীরাম পাল প্রভৃতির বক্তৃতায় এবং কল্কী অবতারের গোড়াদের চিত্রে বেশ পরিস্ফুট হইয়াছে। (১) আনন্দ সম্ভোগ আছে, অপবিত্রতা নাই ; সুশিক্ষা আছে—অথচ নীরস কথা নাই ; উচ্চ হাস্ত আছে—কিন্তু গ্রাম্যতা নাই ; এমন রচনা বঙ্গসাহিত্যের গৌরবের সামগ্রী। হাসির পবিত্রতা এবং বিচিত্রতায়, মানবচরিত্র বিশ্লেষণের দক্ষতায়, এবং রচনার চতুরতা ও সৌন্দর্য্যে, দ্বিজেন্দ্রলালের হাসির কবিতা ও গান, সাহিত্যে চিরস্থায়ী হইবে। সাময়িক কথার রঙ্গরসের মত, ইহা দুদিনে নীরস হইবার সামগ্ৰী নহে ; সাহিত্যে এই হাস্তের রস অক্ষয়, এবং ইহার উপভোগ অফুরন্ত। ঐবিজয়চন্দ্র মজুমদার। (১) Moral culturcকে আমরা নৈতিক সাধন প্রভৃতি নাম দিয়া থাকি। পবিত্র পিটকে নিদিষ্ট “শীল" যখন ঠিক moral culture,

  • ठषनcग३ अप्निौन भकई दायझऊ श्èक ; श्शt७ ठरु थकां* श्रठि
  • म९कांद्र श्ङ्ग ।

বৈদিক শারদোৎসব । 8ණ්ථ বৈদিক শারদোৎসব । م.م. গ্রীষ্মে হেমন্ত উত নো বসন্ত: শর বর্ষ সুচিতং নঃ অস্তু। তেষামৃতুনাং শত শারদীনাং । নিবাতে এষামভয়ে স্যাম । তৈ-স-a-৭-২-৯ কিছু দিন হইতে আমাদের আশ্রমে ঋতুৎসব প্রবৰ্ত্তিত হইয়াছে ; এবং তদুপলক্ষে আশ্রমবাসী বালকবৃন্দ প্রতি ঋতুতে কালোচিত অনুষ্ঠানের দ্বারা কিছুক্ষণ বিমল আনন্দ উপভোগ করিবার ব্যবস্থা করিয়াছে। এই প্রসঙ্গে, পুরাকালে ভারতে কোনরূপ ঋতৃৎসব প্রচলিত ছিল কি না, এবং থাকিলেই বা তাহা কিরূপ ছিল—ইহা জানিবার জন্য কাহারো কাহারে হৃদয়ে কৌতুহল উৎপন্ন হয়। তাহাদের সেই কৌতুহলকে কথঞ্চিৎ চরিতার্থ করিবার জন্তই এই প্রবন্ধের অবতারণা। জানি না ইহার দ্বারা কতদূর অভীষ্টসিদ্ধি হইবে। সম্প্রতি শারদোৎসবের সময় উপস্থিত হইয়াছে, এজন্ত বর্তমান প্রবন্ধে তৎসম্বন্ধেই বিশেষ ভাবে আলোচনা করা যাইবে। অন্যান্ত ঋতুর উৎসব সেই সেই ঋতুতেই আলোচনা করিবার ইচ্ছা থাকিল। - পৌরাণিক সময়ে আমাদের দেশে যে শারদোৎসব প্রবর্তিত হয়, তাহা আজও চলিয়া আসিতেছে ; এবং বঙ্গদেশে তাহার যেরূপ প্রভাব আজও দেখা যায়, তাহাতে ইহ আরও শত শত বৎসর পর্য্যস্ত প্রচলিত থাকিবে বলিয়া আমরা অনায়াসেই মনে করিতে পারি। আমি ইহা দুর্গোৎসবের সম্বন্ধে বলিতেছি। শীরোদৎসব বলিলেই আমরা দুর্গোৎসব ভিন্ন আর কিছুই মনে করি না ; দুর্গোৎসবের প্রভাবে অন্তান্ত পৌরাণিক শারদ উৎসব, হীনপ্রভ হইয়া গিয়াছে । দুর্গোৎসবকে ছাড়িয়া দিলেও অন্তান্ত আলোচনাযোগ্য পৌরাণিক শারদ উৎসব আছে, কিন্তু তৎসমুদয়ের আলোচনা হইতে নিবৃত্ত হইয়া সম্প্রতি আমরা বৈদিক কালেরই শারদ চিত্র উদঘাটন করিতে চেষ্টা করিব। এস্থানে ঋতু সম্বন্ধে দুই একটা কথা বলিয়া লইতে হইবে। আমরা আজকাল যে হিসাবে ঋতু, গণনা করিয়া । থাকি, বৈদিককালে সেরূপ ছিল না। আমরা বৈশাখ ও