পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

را ه 8 প্রবাসী।


>

৭ম সংখ্যা । ] BBB BB BBB BB BBB BBBBB BB BBBB BBBB BBBSBB BBB BBB tt S নিষ্ট কেন উক না, সন্ত শান্তৰ মৰাে তামাক, চইয়া থাকে, আমি সেই ইন্দ্রপত্নী সীতাকে আহবান করিতেছি । তিনি আমার প্রত্যেক কার্য্যেই অন্ন প্রভৃতির বৰ্দ্ধনকারিণী হউন। তিনি জনগণের গো ও অশ্ব সম্পাদন করিয়া থাকেন ; সত্যমধুরভাষিণী সীতা অনলসভাবে জীবগণকে পোষণ করেন। তিনি ধান্তরাশিশালিনী, উৰ্ব্বর ও স্থিরা ; আমি তাহাকে এই কার্য্যে আহবান করিতেছি, তিনি আমার দুঃখ বিনাশ করুন।” হোম সমাপ্ত হইলে যজ্ঞকারী স্বয়ং ও পরিবারস্থ স্ত্রীলোকগণ চতুর্দিকে অবস্থিত সীতারক্ষকগণকে নমস্কার করিয়া বলিপ্রদান করিতেন, এবং এইরূপে সীতাষজ্ঞের পরিসমাপ্তি হইত ॥১ এ পর্য্যস্ত যে কয়টি শারদ অনুষ্ঠানের উল্লেখ করা হইল, তৎসমুদয়ই স্বত্রকালে প্রবর্তিত হইয়াছে বলিয়া বোধ হয়। স্বত্রের মধ্যেও কেবল গৃহস্থত্র সমূহেই ইহাদের বিধান দেখিতে পাওয়া যায়, শ্রেীতসুত্রে ইহাদের উল্লেখ নাই, এবং থাকিবার কথাও নহে। কেন না শ্রেীতস্বত্ৰসকল হবিৰ্ষজ্ঞ ও সোমযজ্ঞ সমূহেরই বিধিব্যবস্থার জন্য প্রবৃত্ত। মন্ত্র বা ব্রাহ্মণ ভাগে ঐ সকল যজ্ঞের কোন স্বচন দেখা যায় না। সীতাষজ্ঞ প্রভৃতিতে এরূপ কতকগুলি মন্ত্র ব্যৰন্ধত হইয়াছে, যাহা সংহিতার মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায় না। বোধ হয় সেই সেই কৰ্ম্মের উৎপত্তির সহিত ঐ সকল অভিনব মন্ত্রও রচিত হইয়া থাকিবে। আগ্রয়ণ । বেদের সংহিতা সময়ের শারদ অনুষ্ঠানের মধ্যে একটি মাত্র আমরা জানিতে পারি। ইহার নাম "আগ্রয়ণ । স্বপ্রসিদ্ধ বৈদিক সপ্তবিধ হরির্যজ্ঞের মধ্যে আগ্রয়ণ', অন্ততম। সংহিতা, ব্রাহ্মণ, শ্রেীতস্বত্র, গৃহস্বত্র, ধৰ্ম্মসূত্র প্রভৃতি সৰ্ব্বত্রই ইহার বিবরণ পাওয়া যায়। আজকাল অগ্রহায়ণ মাসে আমরা যেমন 'নবান্ন' নামক উৎসব করিয়া নব অন্ন গ্রহণ করিয়া থাকি, পুরাকালে "আগ্ররণও’ তাছাই ছিল। আগ্রয়ণ বিধি অনুষ্ঠান করিয়া আর্য্যগণ নব শস্ত ভোজন করিতেন। আশ্বলায়ন শ্রেীত স্বত্রের গার্গানারায়ণীয় বৃত্তিতে “আগ্রহণ শব্দের এইরূপ ১ পারস্বর গৃহস্বত্র ২.১৭। কৰ্ম্মণা তদাগ্রয়ণম্। ( ২-৯-১ )।” যে কৰ্ম্মের দ্বারা প্ৰথমে ভক্ষণ করা যায়, তাহার নাম ‘আগ্রয়ণ’। পারস্কর গৃহ সুত্রকার এই আগ্র. য়ণকে স্পষ্টত ‘নবপ্রাশন’ শব্দেই উল্লেখ করিয়াছেন (পা-গৃ-স্ব-৩.১-১)। ১ ভারতে এখনও একটি নিয়ম কোন কোন স্থানে প্রচলিত দেখা যায় যে, কোন উপাদেয় শস্তাদি উৎপন্ন হ’লে প্রথমে তাহা দ্বারা শ্ৰাদ্ধাদি না করিয়া নিষ্ঠাবান হিন্ধু তাহা ব্যবহার করেন না। অগ্রহায়ণ মাসের নবার-শ্ৰাদ্ধ ইহার একটি দৃষ্টান্ত । আম একটি উপাদেয় ফল। আর পাকিয়া উঠিলে এখনও পিতৃলোককে উৎসর্গ না করির নিষ্ঠাবান হিন্দুরা গ্রহণ করেন না। ইহা আলোচনা করিলে বুঝিতে পারা যায় যে, যে কোন উপাদেয় অভিনব শস্ত উৎপন্ন হইলেই, দেবলোককে প্রথমে উৎসর্গ করা হিন্দু গণের স্বভাব । ‘আগ্রয়ণ’ সম্বন্ধেও তাহাই ; নবশস্ত উৎপন্ন হইয়াছে, দেবলোককে তাহা প্রদান না করিয়া ভোজন করিতে পারা যায় না, তাই তাহার তৎকালের উপাদেয় যব, ব্রীহি ও শুামাক দ্বারা বৎসরে তিনবার আগ্রয়ণ অনুষ্ঠান করিতেন। এখানে আর একটি কথা আছে। বৎসরের মধ্যে কেবল যব, ব্রীহি ও তামাক এই তিনটি শস্তই হইত ন আংগু বহুবিধ শস্ত জন্মিত ? সংহিতাগণের মধ্যেই অনেক শস্তের নাম দেখা যায়। তবে কিজষ্ঠ আৰ্য্যগণ কেবল ঐ তিনটি শস্তের দ্বারা আগ্রয়ণ করিতেন ? এ সম্বন্ধে তাহারা উত্তর করেন :– নব শস্তের যজ্ঞে খামাক, ব্রীহি ও যবই অধিকৃত হই। থাকে, হোম না করিয়া এই সকল ভোজন করা বিধ্যে নহে ; আর সমস্ত শস্তের কোন নিয়ম নাই। আগ্ররণ না করিলেও তিল-চণক-নীবারাদি ভে{জন করিতে পায়৷ যায়। কেন না ইহাদের হবি:সম্পাদনোচিত গুণ আছে বলিয়া উক্ত হয় নাই। ২ - ১ পারস্কর গৃহ স্বত্রের অন্যতম ভাষ্যকার কর্কাচাৰ্য্য বলেন বে। আগ্রয়ণ হইতে "নবপ্রাশন” ভিন্ন, এই জন্যই ইহার অমাবস্ত বা পূর্ণিমা বলিয়া কোন কালের নিয়ম নাই, সাধারণতঃ শরৎ ও নদন্ত কালে করিলেই চলে । - ২ পারস্কর গৃহ্যস্বত্র ৩, ১, ১ । BB BBBB BBBBBB S ZS DD DD DDD DDD BBtt SBBtt দেবগণকে অভিভব করিবার জন্য ইচ্ছা করিলেন। ও পণ্ড সমূহ তাহ জানিতে পারিয়া ওষধি ভক্ষণ হইতে অনুষ্ঠান করিতেন। তাহার মধ্যে বর্ষাকালে খামাক দ্বারা, শরৎকালে ব্রীহির “দ্বারা, এবং বসন্তকালে যবের দ্বারা श्रां&ब्रण श्ऊ । এই আগ্রয়ণ যাগের উৎপত্তি সম্বন্ধে সংহিতা ও ব্রাহ্মণ গ্রন্থে নানাবিধ আখ্যায়িক দেখিতে পাওয়া যায়। তৈত্তিরীয় সংহিতায় এ সম্বন্ধে যাহা উক্ত হইয়াছে, তাহার সংক্ষিপ্ত এই :-পুরাকালে যাহারা নবোৎপন্ন ব্রীহি প্রভৃতি ঔষধি দ্বারা দেবগণের যাগ না করিয়াই ঐ সমস্ত বস্তু ভোজন করিয়া জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, প্তাহারা সকলেই পরাভব প্রাপ্ত হন। তাহার পর হইতে দেবগণের প্রীতির ও যজমানের অপরাজয়ের জন্য এই আগ্রন্থণ নামক ইষ্টির উৎপত্তি হইল । শতপথ ব্রাহ্মণে (১-৩-৫) ইহার উৎপত্তি দুই প্রকার বর্ণিত হইয়াছে – প্রথমতঃ, কুষীতকপুত্র কহোন বলেন যে, ব্রীহি যব প্রভৃতি ওষধিরূপ রস এই ছালোক ও পৃথিবীর দ্বারাই সম্পাদিত হইয়া থাকে। অতএব এই রসের দ্বারা আমরা দেবগণের হোম করিয়া তাহার পর ইহাকে ভোজন করিব-এইরূপ চিন্তা করা হেতুই লোকে আগ্রয়ণ-ইষ্টর আর যাগ করে। দ্বিতীয়তঃ, কোন সময়ে প্রজাপতিপুত্র দেব ও অস্বরগণ পরম্পর স্পৰ্দ্ধা করিয়া উঠেন। তখন অস্বরসমূহ মানব ও পশুগণের উপভোগ্য ওষধিসমূহে বিষ" লেপন করিয়া মনুষ্য বিরত হইল, ও অনশন হেতু ক্রমশই অভিভূত হইতে লাগিল। - দেবগণ জানিতে পাইলেন যে, প্রজাসমূহ অনশন হেতু পরাভূত হইয়া পড়িতেছে। তাহারা ভাবিতে লাগিলেন যে, কোন উপায়ে এই অম্বরকৃত উপদ্রবকে নিরস্তু করিতে পারা যায় ; পরিশেষে স্থির হইল, যজ্ঞের প্রাই তাহ সম্পাদন করিতে হইবে। কিন্তু সেই যজ্ঞ কাহার হইবে ইহা লইয়া দেবগণের বৈদিক শারদোৎসব। 8o 이 মধ্যে এক গোলমাল উৎপন্ন হইল। সকলেই বলিতে লাগিলেন—“আমার হইবে । আমার হইবে।” কিন্তু কিছুই নিষ্পত্তি হইল না। অবশেষে তাহার একটি লক্ষ্য স্থির করিয়া দৌড়াইবার ব্যবস্থা করিলেন, এবং ঠিক হইল যে, আমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ইহাতে জয় লাভ করিবেন, যজ্ঞ তাহারই হইবে। বাজিতে ইন্দ্র ও অগ্নির জয় লাভ হইল, যজ্ঞের অধিকারী তাহারাই হইলেন। এমন সময়ে বিশ্বদেবগণ র্তাহাদের অনুগমন করিয়া সেই যজ্ঞের একাংশ লাভ করেন, এবং অন্তান্ত দেবতারও কিছু কিছু ব্যবস্থা হয়। - অনস্তর দেবগণ সেই যজ্ঞের দ্বারা ঐ সমস্ত ওষধির দোষ নিরস্ত করিয়া দিলে মানব ও পশু সমূহ পুনৰ্ব্বার ভোজন করিতে লাগিল । যে ব্যক্তি এই ( আগ্ররণ ) যজ্ঞের অনুষ্ঠান করে কোন লোকই তাহার ওষধি সমূহকে বিষের দ্বারা লিপ্ত করিতে পারে না। তাহার মনুষ্যভোজ্য ও পশুভোজ্য উভয়বিধ ওষধিই নীরোগ নিষ্পাপ হইয়া থাকে, প্রজাগণ তাহা উপভোগ করিতে পারে। শতপথ ব্রাহ্মণের এই শেষোক্ত বিবরণটি আলোচনা করিলে বুঝা যায় পুরাকালে আগ্রয়ণ-ইষ্টর অনুষ্ঠানকারীর মনে করিতেন যে তাহার দ্বারা উপভোজ্য শস্ত সমূহের দোষ সকল নিবারিত হইয়া যায়, এবং তাহা হইলে তাহাদের ভোজনে কোনরূপ অনিষ্টের আশঙ্কা থাকে না। পূৰ্ব্বে উক্ত হইয়াছে ইন্দ্র ও অগ্নি যজ্ঞকে জয় করিয়াছিলেন, এবং বিশ্বদেব প্রভৃতি দেবতাগণও তাহার অংশ লাভে সমর্থ হইয়াছিলেন । বলা বাহুল্য সেই আগ্রয়ণ-যজ্ঞে ঐ দেবতাগণেরই যাগ করা হইয়া থাকে। এ সম্বন্ধে - তৈত্তিরীয় সংহিতায় উক্ত হইয়াছে – “ব্ৰহ্মবাদিনে বদস্তি—যদর্ধমাস মাস ঋতব সংবৎসর ওষধী: পঞ্চত্যথ কৰ্ম্মাদস্তাভো দেবতাভ্য আগ্রয়ণং নিরূপ্যত ইতি।” তৈ-স-৫-৭-২-৫ । - ব্ৰহ্মবাদিগণ পরম্পর বিচার করিয়া বলিতেছিলেন—যখন অৰ্দ্ধমাস, মাস, ঋতু ও সংবৎসরই ওষধিসমূহকে পরিপক্ক করে, তবে তাহাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া অন্ত দেবতাগণকে আগ্রয়ণ-ইষ্টতে হৰিঃ প্রদান করা হয় কেন ? --ു--