পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8২২ প্রবাসী । [ཅཟ ཝ། ། ། ། ৮ম সংখ্যা । ] BB BS BBBB BBB B BBB BBBB BB BB BBBB BBB BB DDBBB BBB SS STTS SS SS i. डिाभ করিয়া দিবেন o - (૭)-નઃ গমনে আছে, এই দুইটি উপদেশ তাঙ্কারই কতকটা কাছাকাছি। —“যে পরিবারের মধ্যে ভর্তা ও ভাৰ্য্যা পরস্পরের উপর - | এই বিষয়টি বিশেষ আলোচনার যোগ্য : সকল আৰ্যজাতির ন্যায়, বৈদিক ও ব্রাহ্মণ্যিক প্রাচীন ভারতের আর্য্যদিগের মধ্যেও নারীজাতি সম্মানিত হইত ; বর্তমানে, ভারতে নারীজাতির যে দুৰ্গতি দেখিতে পাওয়া যায়, মুসলমানের ভারত-বিজয় তাহার মূলীভূত কারণ। সে সময়ে নারীজাতির অবস্থা কিরূপ ছিল, তৃতীয় অধ্যায়ে তাহা অবগত হওয়া যায়। ঐ অধ্যায়ে, বিবাহের বিষয় ও পিতার কর্তব্য আলোচিত হইয়াছে ; বিবিধ বর্ণের মধ্যে বিবাহসংক্রান্ত নিষেধের নিয়ম নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে। যাহাদের বিশ্বাস, খৃষ্টধৰ্ম্মের যুগ হইতে ভারতীয় সভ্যতার আরম্ভ এবং স্বকীয় অধিকার পুনঃপ্রাপ্তির জন্য ভারতের রমণী খুষ্টধৰ্ম্মের নিকট ঋণী, তাহারা নিম্নলিখিত বচনগুলি দেখুন ; (৩২ শ্লোক )—“কন্ত এবং বর—উভয়ের পরম্পরের ইচ্ছায় যে মিলন হয় তাহাকে গান্ধৰ্ব্ব বিবাহ বলে, উহ মৈথুন্ত ও কাম-সস্তৃত।” (৪৩)—“সবর্ণ স্ত্রীর পক্ষেই পাণিগ্রহণ সংস্কার উপদিষ্ট হইয়াছে।” এই পাণিগ্রহণ বিবাহ অনুষ্ঠানের একটি প্রধান অঙ্গ । (৫১)—“ধনগ্রহণ-দোষজ্ঞ পিতা ক্যাদান নিমিত্ত অল্প মাত্র শুল্কও গ্রহণ করিবেন না ; কারণ লোভ বশতঃ শুস্ক গ্রহণ করিলে অপত্য-বিক্রয়ী হইতে হয় ।” (৫৫)—“স্ত্রীলোককে বহুমান পূৰ্ব্বক ভোজনাদি প্রদান ও ভূষণাদি দ্বারা সদাই ভূষিত করা বহুকল্যাণকামী পিতা, ভ্রাতা, পতি এবং দেবরগণের কর্তব্য।” (৫৬—“যে কুলে নারীগণ পূজিত, দেবতারা সেখানে আনন্দিত হয়েন। আর যে পরিবারে, স্ত্রীলোক পৃজিত না হয় সেই পরিবারের সমস্ত ক্রিয়াকৰ্ম্ম নিষ্ফল হয়।” (৫৭)—“যে পরিবারে স্ত্রীলোকের সদাই দুঃখিত থাকেন, সেই কুল আশু বিনাশ প্রাপ্ত হয় ; যেখানে স্ত্রীলোকের কোন দুঃখ নাই, সেই পরিবারের নিয়ত শ্ৰীবৃদ্ধি হয়।” (৫৮)—“অপূজিত থাকা প্রযুক্ত স্ত্রীলোকগণ যে গৃহে অভিসম্পাত করেন, সেই গৃহ অভিচার-হতের দ্যায় সৰ্ব্বতোভাবে বিনাশ প্রাপ্ত হয়।” (৫৯)–“অতএব যাহারা শ্ৰীবৃদ্ধি কামনা করেন, বিবিধ সৎকাৰ্য্যকালে এবং উৎসবকালে নিত্যই অশন-বসন-ভূষণাদি হয়, আর যদি স্ত্রী শোভমান না হন, তবে সমস্ত গৃহই নিত্য সন্তুষ্ট, সেই পরিবারে ধ্রুব কল্যাণ।” (৬২)–"ী যদি ভূষণাদির দ্বারা শোভমানা হন, তবেই গৃহের শোভ শোভাহীন হইয় পড়ে।” আতিথ্য সৎকারও পুণ্যকৰ্ম্মের মধ্যে পরিগণিত: (১০৫)—“স্বৰ্য্যদেব কর্তৃক আনীত সায়ংকালে অতিথি কোন ক্রমেই প্রত্যাথোয় নহে। যথাকালেই আসুন, আর অকালেই বা আসুন, অতিথিকে গৃহে কথন উপবাসী রাখিবে না।” (১৯৬)–“যে দ্রব্য অতিথিকে ভোজন করাইতে পারিবে না, তাহা স্বয়ং ভোজন করিবে না। অতিথির প্রসন্নতা-বলে গৃহস্থ,-ধন, যশ, আয়ু ও স্বৰ্গ লাভ করেন।” (১১৪)—“নববিবাহিতা স্ত্রী, পুত্রবধু বা দুহিতা প্রভৃতিকে, বালকদিগকে, রোগীদিগকে এবং গর্ভবতীদিগকে কোন বিচার না করিয়া অতিথির অগ্ৰেই ভোজন করাইবে।” শেষোক্ত শ্লোকটী হইতে জানা যায়, অতিথি অপেক্ষাও o স্ত্রীলোকের সন্মান অধিক । আমরা যে সকল শ্লোক পরে উদ্ধত করিব, তাহার মধ্যে এই ভাবের কথা অনেক পাওয়া যাইবে । (১১৮)—“যে ব্যক্তি আপনাকে উদ্ধেশ করিয়া অন্ন পাক করে, সে কেবল পাপ ভোক্তন করে। যজ্ঞের অবশিষ্ট অন্নই সাধুদিগের জন্য বিহিত হইয়াছে।" (২৫৯)—“গৃহস্থ পিতৃলোকের নিকট এই সকল বর প্রার্থনা করিবে যে ‘হে পিতৃগণ ! আমাদের কুলে যেন দান্ত লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি হয় ; অধ্যয়ন ও অধ্যাপন ও যাগাদি অনুষ্ঠান দ্বারা বেদশাস্ত্রের যেন সম্যক আলোচনা হয় ; আমাদের পুত্র পৌত্ৰাদি বংশ পরম্পরা যেন চিরকাল বিস্তৃত্ব থাকে ; বেদের উপর অটল শ্রদ্ধা যেন আমাদের কুল হইতে তিরোহিত না হয় এবং দান করিবার জন্ত দে দ্রব্যেরও যেন কখন অসদৃভাব না থাকে।" চতুর্থ অধ্যায়ে, কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম ও সাধারণ উপদেশের কুণ আছে । ( ৩২ শ্লোক )—“যাহারা পাক করেন না- ৷ এমন ব্রহ্মচারী প্রভৃতিকে গৃহস্থ যথাশক্তি আন্নাদি প্রদান। করিবেন এবং যাহাতে আত্মকুটুম্বের পীড়া না জন্মে, এই خي কারণ তাহাদিগের জন্ত পৰ্য্যাপ্ত রাখিয়া সমুদায় প্রাণিগণকে |- : হয়, ইহ সংসারে অন্য কোন ব্যাপারে পুরুষের o তেমন আয়ুক্ষেয় হয় না।” (১৩৮) -“সত্য বলিবে, প্রিয় বলিবে, অপ্রিয় সম্ভ বলিবে না, প্রিয় মিথ্যাও বলিবে না, হাই সনাতন ধৰ্ম্ম ।” "ধৰ্ম্মপথে থাকিয়া অবসর ও কথন অধৰ্ম্মে মনোনিবেশ করিবে না।” (১৬৮) -“ভূমিপতিত ব্ৰহ্মরক্তে যতকাল ধূলিকণা মিশ্রিত হয়, শোণিতোৎপাদক ব্রহ্মঘাতীকে তত বৎসর পরলোকে শৃগাল কুক্কুরাদি ভক্ষণ করিতে থাকে।” (১৮৪)–“বালক, বৃদ্ধ, দরিদ্র ও আতুর লোক-ইহঁাদিগকে আকাশের ঈশ্বর বলিয়া ਿਜ করিবে ; জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাকে পিতার সমান ও আপনার স্ত্রী পুত্রকে স্বকীয় দেহ বলিয়া বিবেচনা করিবে।” (১৮৪)-“দাসবর্গকে আপনার ছায়া ও দুহিতাকে পরম স্নেহের পাত্র বলিয়া বিবেচনা করিবে। এ কারণ ইহাদের দ্বারা উৎপীড়িত হইলেও অক্ষুণ্ণ মনে সৰ্ব্বদা সহ করিবে।” (২০৪)–“ব্ৰহ্মচৰ্য্য, দয়া, ক্ষমা, ধ্যান, সত্যকথন, নিষ্পাপ অন্তঃকরণ, হিংসা ও অপহরণ না করা এবং মধুর ভাব-ইহাদিগকে যম বলা যায়। স্নান, মৌনাবলম্বন, উপবাস, যজ্ঞকাৰ্য্য ও বেদাধ্যয়নাদিকে ধৰ্ম্মনিয়ম বলা যায়। সৰ্ব্বদা যমেরই সেবা করিবে, কেবল নিয়ম লইয়া পাকিবে না। যমাচরণ পরিত্যাগ করিয়া কেবল নিয়মাচরণ করিলে পতিত হইতে হয়।" ধৰ্ম্মকৰ্ম্মের আগে নৈতিক কৰ্ত্তব্য-ইহা একটা গভীর তত্ত্বকথা! ব্যবস্থাকর্তা যাজ্ঞবল্ক্যের মতানুসারে, নৈতিক কৰ্ত্তব্য দশটি : জিতেন্দ্রিয়তা, দয়া, ধৈর্য্য, ধ্যান ধারণা, সত্যপরায়ণতা, ঋজুতা, ক্ষমা, অস্তেয়, মাধুৰ্য্য ও মিতাচার। নিম্নলিখিত দুইটি উপদেশে খুব একটা উচ্চ ভাব আছে : ২৩৪)—“যে যে ভাবে যে যে দান করা যায়, প্রতিপূজিত সেই সেই ভাবে সেই সেই দান জন্মান্তরে পাওয়া ।” (২৩৭)—“স্বীয় যজ্ঞানুষ্ঠান সম্বন্ধে মিথ্যাকথনে ল নষ্ট হইয়া যায়, স্বীয় তপস্তা সম্বন্ধে বিস্ময়াপন্ন হইলে তপস্ত ক্ষয় হয়, ব্রাহ্মণনিন্দায় আয়ুঃক্ষয় হয় এবং দ্বান (১৭১) করিয়া তাহার কীৰ্ত্তন করিলে দানের ফল নষ্ট হইয়া যায় r) পঞ্চম অধ্যায়ে, অশৌচ, অশোঁচের প্রায়শ্চিত্ত ও | স্ত্রীলোকদিগের কৰ্ত্তব্য আলোচিত হইয়াছে। ব্রাহ্মণ্য ধৰ্ম্ম । 8&9 এই অধ্যাধে, যে সকল অন্ন স্পর্শ করিলে ব্রাহ্মণ পতিত হয়, তাহার একটা দীর্ঘ তালিকা দেওয়া হইয়াছে। এই অনুসারে, তরকারীর মধ্যে রসুন, পেয়াজ, বেঙের ছাতা আহার করা নিষিদ্ধ ; মেষদুগ্ধ উষ্ট্রছদ্ধ, হিংস্র পশুদের দুগ্ধ, পাখীর মাংস, চতুষ্পদ পশুর মাংস, এমন কি পুটি ও রুই মংগু ছাড়া অন্ত মৎস্ত আহার করাও নিষিদ্ধ। এবং কোন দ্বিজ যদি ইচ্ছাপূৰ্ব্বক এই সকল নিষিদ্ধ দ্রব্য আহার করে ত সে তৎক্ষণাৎ পতিত হয় । ৪৮ শ্লোক ) —“প্রাণি হংস না করিলে কখন মাংস উৎপন্ন হয় না ; প্রাণিবধ কিছুতেই স্বৰ্গজনক নহে ; অতএব মাংস ভোজন পরিবর্জন করিবে।” (৪৫)—“যে ব্যক্তি আত্মস্থথেচ্ছার বশবৰ্ত্তী হইয়া, হিংসাশূন্ত নিরীহ জীবগণকে হত্যা করেন, তিনি কি জীবিতাবস্থায়, কি মৃত্যুর পর কদাপি মুম্বলাভ করিতে পারেন না।” (৪৬)–“যে ব্যক্তি প্রাণদিগকে বধ বন্ধনাদি ক্লেশ দিতে ইচ্ছা না করেন, সকলের হিতাকাজী সেই ব্যক্তি, অত্যন্ত সুখ ভোগ করেন।” অশুদ্ধ দ্রব্যাদির আলোচনা করিয়া এবং বেদাধ্যয়ন, তপস্ত, অগ্নি, শুদ্ধ অন্ন, জল, ধৰ্ম্মানুষ্ঠান প্রভৃতি শুদ্ধিকর উপায় সকল নিৰ্দ্ধারিত করিয়া তাহার পর ময় এই কথা বলিতেছেন। (১৯৬)–“দেহ-মন-আদি শুদ্ধিকর সমুদ্বার পদার্থ মধ্যে অর্থশোঁচ অর্থাৎ অর্থার্জন বিষয়ে অন্তার বা স্বধৰ্ম্ম পরিত্যাগ না করাকে ঋষিরা পরম শৌচ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। যে ব্যক্তি অর্থার্জনে শুচি তিনিই প্রকৃত গুচি ; অর্থশুদ্ধি না থাকিলে কেবল মৃত্তিকা বা জল দ্বারা দেহ শুদ্ধ করিলে গুচি হয় না।” (১৯৭)–“বিদ্বাৰু জনের ক্ষমা দ্বারা শুদ্ধ হন ; অকাৰ্য্যকারীরা দান দ্বারা, প্রচ্ছন্ন পাপীরা জপদ্বারা এবং বেদবিদ ব্রাহ্মণের তপস্ত দ্বারা । পাপ হইতে শুদ্ধ হন।" (১৩)—“স্ত্রীলোকের মুখ সৰ্ব্বদাই as " (se.)–“অনেক সহস্ৰ কৌমার ব্রহ্মচারী ব্রাহ্মণগণ, সন্তান উৎপাদন না করিয়াও স্বীয় ব্রহ্মচৰ্য্য বলে অক্ষয় স্বৰ্গলোক লাভ করিয়াছেন, ঐ সকল उक्रकांग्लौह छांद्र অপুত্র হইলেও সাধ্বী স্ত্রীগণ স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র করা বলে স্বর্গে গমন করেন।” (১৬৩)-“নিজের পতি অপরই বলিয়া যে স্ত্রীলোক তাহাকে ত্যাগ করিয়া অপর - কোন উৎকৃষ্ট পুরুষের আশ্রিত হয়, লোকে তাহাকে