পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- "לט\8 মুখ্যাতি দেশব্যাপী হইতেছিল, সেই সময়ে আর একজন প্রতিভাসম্পন্ন লেখক দৃশুকাব্য রচনায় যশস্বী হইতেছিলেন ; ইনি খ্যাতনামা দীনবন্ধু মিত্র। তিনি কোন প্রকারে একখানি দৃশুকাব্য রচনার জন্য “শৰ্ম্মিষ্ঠা” কিম্বা “রামাভিষেক” রচনা করেন নাই। কবি দীনবন্ধু, প্রয়োগবিজ্ঞানপটু, মানবচরিত্রদর্শী এবং ক্ষমতাসম্পন্ন। প্রাচীনতার অথবা নিয়মের বাধ ভাঙ্গিয়া দিয়া, হাস্ত, করুণ এবং রৌদ্র রসের অবতারণা করিয়া তিনি যে সকল দৃশুকাব্য রচনা করিয়াছেন, দৃশুকাব্যে বঙ্গের স্থায়ী সাহিত্যে তাহাই প্রথম। দ্রবিড়জাতির এবং হিমারণ্যের আর্য্যেতর জাতির যে সকল জঘন্তত তান্ত্রিক ধৰ্ম্মের নামে সম্মান লাভ করিয়া পরাধীনতাপীড়িত আৰ্য্যসমাজকে মলিন করিয়া তুলিয়াছিল, তাহাতে নারীজাতির মাহায্যের কথা সাহিত্যে গীত হওয়া অসম্ভব হইয়াছিল। কেবল লালসা এবং উপভোগের উপযোগী করিয়াই নায়িকার বর্ণনা হইত। যেখানে সতী নারীর বর্ণনা ছিল, সেখানেও কেবল অবরুদ্ধার অভাবপক্ষের একটা গুণের (negative virtue) কথাই ছিল। যে সতীত্ব স্বাতন্ত্রে পরিস্ফুর্ট, যে মাহাত্ম্য স্বাধীনতায় পরিপুষ্ট, যে মাধুর্ঘ্য পারিবারিক ঘটনাচক্রে পরীক্ষিত, তাহার বর্ণনা দ্বীনবন্ধুর হস্তেই প্রথম। কবির গ্রন্থসমালোচনা এখানে অসম্ভব ; কিন্তু দ্বিজেন্দ্রলালের পূর্ববৰ্ত্তা যে গ্রন্থকার যথার্থ দৃশুকাব্যের রচয়িত এ সমালোচনায় তাহার উল্লেখ উপযোগী বলিয়া এই অল্প কয়েকটি কথা লিখিলাম। কবি দীনবন্ধুর স্বৰ্গারোহণের পর অনেক দিন পর্য্যন্ত সুপাঠ্য স্থায়ী দৃশুকাব্য রচিত হয় নাই। রাজস্থানের অমর কাহিনী আখ্যানবস্তু করিয়া সম্ভবতঃ সৰ্ব্বপ্রথম ঐযুক্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর সরোজিনী নাটক লিখিয়াছিলেন। উহাতে ইফিজিনিয়ার ফরাসীকবিবিবৃত একটা ঘটনার ছায়া আছে। থাকুক ; কিন্তু ঐ প্রকার অনুকরণে সাহিত্যের বিকাশ ভিন্ন ক্ষয় হয় না ; উহার কোন বর্ণনাতেই বিদেশীয় ভাবেরণ কিঞ্চিৎমাত্র গন্ধও নাই। একালে প্রায় এমন লেখক নাই, যিনি ইউরোপীয় ভাব সংকলনে পরাস্মুথ। — -এই নাটক খানি সম্ভবতঃ এখন আর পাওয়া যায় না ; আমি যখন বাল্যকালে পড়িয়াছিলাম, তখন খুব মুগ্ধ হইয়া প্রবাসী । SMASMSMSMSMSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSAAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS ছিলাম মনে আছে। জ্যোতিরিন্দ্রবাধ প্রায় সকলগুলি নামজাদ সংস্কৃত নাটকেরই অনুবাদ করিয়াছেন ; কিন্তু সরোজিনী রচনার পর দৃশুকাব্যের মৌলিক রচনায় অধিক মনোনিবেশ করেন নাই, (২) করিলে ভাল হইত। রঙ্গালয় গুলির পুষ্টির জন্য অনেক নাটক, প্রহসন হল্লীশ, ভাণ প্রভৃতি রচিত হইয়াছে ; সেগুলি সংগ্ৰহ করিলে হয় ত একটা বড় পুস্তকাগার ভরিয়া যায়। কিন্তু তাহার মধ্যে নাম করিবার মত গ্রন্থ বড় খুজিয়া পাই নাই। কোন কোন লেখকের বাঙ্গরস রচনার ক্ষমতা দেখিয়৷ ংসা করিতে হয়, কিন্তু যে সকল সামাজিক নক্সায় ঐ রঙ্গ-লীলা, সেগুলি সাহিত্যের হিসাবে নাম করিবার মত নয়। একে ত অতিরঞ্জিত চিত্র বা অতু্যক্তিতে সামাজিক ছবির যথার্থতা থাকে না, দ্বিতীয়তঃ উহা অনেক স্থলে স্বশিক্ষার বিরোধী । কবির প্রথম রচিত নাটক । (১)—কল্কি-অবতার। দ্বিজেন্দ্রলালের সমকক্ষ কেহ নাই। র্তাহার প্রথম রচিত নাটক ( প্রহসন ) ‘কল্কি অবতার আগাগোড়া হান্তরসে ভরা। প্রাচীন অলঙ্কার শাস্ত্রের প্রহসনের প্রধান লক্ষণগুলি লইয়া বিচার কর, হান্তরসের অভিনবত্ব লইয়া সমালোচনা কর, কিম্বা সমষ্টিভাবে পণ্ডিত, গোড়, বিলাতফেরৎ ও নবাহিন্দুদলের চিত্রের যথার্থতার অনুশীলন কর, যেরূপভাবে বা যেদিক দিয়াই দেখ, এই প্রহসন । থানিকে প্রশংসা করিতে হইবে। কেন যে বঙ্গের রঙ্গালয়ে উছ অভিনীত হয় নাই, তাহা বুঝিতে পারি ; কিন্তু যদি একবার উহার অভিনয় হইত, তবে নিশ্চয়ই উত্তরোত্তর দর্শকদলে উহার আঁদর বাড়িত। কেহ কেহ বলিয়া থাকেন, যে কপট ও ভণ্ড গোড়াদের কথা যাহাই হউক, পণ্ডিত সমাজকে লইয়া ঠাট্ট তামাসা করা ভাল হয় নাই। কথাটা স্বীকার করি না। পণ্ডিত সমাজের এখন যে অবস্থা, স্বতন্ত্রভাবে তাহার কথঞ্চিৎ আভাস দিয়াছি। পরিহাসের ফলেই কেবল তাহারা लङ्गशजनानान्नानननििन्दावनीलनकान अल्ाहिनी। উল্লেখ বা সমালোচনা করিব না ; তাহার কাব্যগ্রন্থ সম্বন্ধে স্বতন্ত্ৰ প্রবন্ধ লিখিৰ । [ ৮ম ভাগ। T ৮ম সংখ্যা । ] হাস্যরসের অবতারণায়, এখন : আপনার দোষ দেখিয়া লজ্জিত হইবেন, অন্ত উপায়ে নহে ; কারণ র্তাহার লোকশিক্ষক বলিয়া অভিমান করিয়া দূরে বসিয়া আছেন, এবং কাহারো সৎপদেশ শুনিলে তাহাদের মান-হাদি হয়। তাঙ্গা ছাড়া কবির চক্ষে এ দৃশ্ব একটা বিপুল প্রহসন, যে কতকগুলি বুদ্ধিমান মানুষ, গম্ভীরভাবে বিচার করিতে বসিয়া গিয়াছেন, যে ভারতবর্ষের ভৌগোলিক সীমা পার ইষ্টয়া গেলে মানুষের জাতি-ধৰ্ম্ম থাকে কি না! কবি যদি ঐক্লপ হাস্যকর গবেষণার যুক্তিযুক্ত প্রতিবাদ উপস্থিত করিতেন, তবে সেটাও একটা প্রহসনে দাড়াইত। যে কথার অসারতা বালকেরও বুঝা উচিত, তাহা লইয়া যদি কেহ একটা বৈদ্যাতিক ( বিচাৎ কি তাঙ্গ একেবারে না জানিয়া ) শক্তির ভেলকি গড়িয়া তোলে, কিম্বা তাহার গায়ে একটা আধ্যাত্মিকতার ছাপ মারিয়া দেয়, তবে হাসি ছাড়া গতি নাই। মুর্গ না থাইতে চাও থাইও না ; কিন্তু উহার ঝোলটুকু লইয়া আকর্ষণী বিকর্ষণী শক্তির টানা-হেঁচুড়া কর কেন ? গোড়া দলের কথা, অতি সহজ । ইংরেজের আমলে আমাদের যথন দেশরক্ষার দায়িত্ব নাই, তখন সকল উৎসাহ পণ্ডশ্রম বলিয়া ঘরে বসিয়া বিজ্ঞতা দেখান অতি সহজ। - উদরপূর্তির সময়ে, ও সালসাবিক্রির সময়ে, কৈবর্ত” পুরাণের দোহাই দিয়া ইছারা ধৰ্ম্ম ও সালসী একত্রে বিলি করেন। ইহা দেখিয়া যদি শিক্ষিত নব্যহিন্দু এবং বিলাতফেরতের চটিয়া যায়, তবে দোষ কার ? এই সামাজিক অবস্থার নক্সাখানি পণ্ডিত এবং গোড়াসমাজে যাহাতে পঠিত হয় তাহার চেষ্টা করা উচিত। এ ত গেল গ্রন্থের সুশিক্ষার দিক ; এই সুশিক্ষার বিষয়ে (শেষ দৃশ্বের কথায় ) পূৰ্ব্বেও কিছু বলিয়াছি। নাট্যকৌশলে শেষ চিত্রটি অতি চমৎকার হইয়াছে। কিন্তু আর একটু সংক্ষিপ্ত হইলে ভাল হইত। সমাজের বিভিন্ন ফুলর চিত্র, সমষ্টিভাবেই হইয়াছে ; এবং উহা সমষ্টিভাবেই সুন্দর। কেবল বিদ্যানিধিটি কবির একটি পৃথক মনোহর চিত্র। পণ্ডিত, গোড়া এবং নব্য-সাগর ছেচিয় কবি এই অপূৰ্ব্ব নিধিটি তুলিয়াছেন। (२) विज्ञश्। कविज्ञ नाप्नेाब्रझनाग्न विडौग्न अिष्ट्र विज्ञठ्। br কবি দ্বিজেন্দ্রলাল । 8&s -- এথানি অলঙ্কার শাস্ত্রের লক্ষণ অনুসারে প্রস্থান-শ্রেণীর উপরূপক বা ক্ষুদ্র নাটক। (১) ছটি অঙ্কের বাধা নিয়ম প্রধান লক্ষণের মধ্যে ধরা शाहेtड পারে না । ইহাতে গীত-বাদ্য-বিলাস যথেষ্ট আছে, এবং যাহাকে কৌশিকী বৃত্তি বলে তাহাই ইহাতে অধিক। কৌশিকীর লক্ষণ এক্ট :– যা প্লঙ্ক নেপথা বিশেষ চিত্র স্ত্রী সস্কুল পুষ্কল নৃত্য গীতা, কামোপ ভোগ প্রভবোপচার সী কৌশিকী চার বিলাস যুক্ত। রামকান্ত এবং গোলাপীকে যখন বিরহের প্রধান নায়কনায়িকার মধ্যে গণনা করিতে পারি, তখন এই ক্ষুদ্র নাটকখানিকে ‘প্রস্থান’ সংজ্ঞা দেওয়াই সঙ্গত। চিত্রাঙ্কনে, স্বশিক্ষায় এবং নাট্যকৌশলে, কল্কি অবতার বিরহের অনেক উপরে। বিরহে চরিত্রচিত্র অপেক্ষ তামাসার সমাবেশ অধিক । পড়িলে ষথেষ্ট আমোদ উপভোগ করা যায় ; কিন্তু নাটকত্বের কোন বিশেষ গুণে মুগ্ধ হইবার বড় কিছু নাই। গোবিন্দ এবং নিৰ্ম্মলের প্রেম ও বিরহ অত্যধিক মাত্রায় প্রহসন-ঘেঁষা, কাজেই উহাতে খানিকটা মজা ভিন্ন আর কিছুই নাই। নাটকের হিসাবে যতটুকু যা কিছু আছে, তাহ গোলাপী এবং রমাকান্তেই পাওয়া যায়। কলিকাতার রঙ্গালয়ের ইতিহাসে বিরহের অভিনয় একটা বিশেষ কথা। পূৰ্ব্বে অনেক শ্লীলতাবিরোধী উচ্ছ স্বল ধরণের আমোদ উপভোগের উপলক্ষ্যে যে সকল হল্লীশ (farce) এবং নাট্যরাসক (Opera) অভিনীত হইত, বিরহের আবির্ভাবে সেগুলি বহুপরিমাণে দূরীভূত হইয়াছে। প্রতিভাশালী কবি যদি হল্পীশ এবং নাট্যরসিক রচনা করেন, তবে রঙ্গমঞ্চের দশকেরা হাসি তামাসায় - বিশুদ্ধ আনন্দ উপভোগ করিতে শিথিবে। (৩) ত্র্যহম্পর্শ হল্লীশ শ্রেণীর কাব্য বটে ; কিন্তু কবির এখনকার পাকাহাতে একবার উহাকে মাজিয়া ঘসিয়া (১) প্রস্থানের লক্ষণ এই – প্রস্থানে নায়কো দাসে হীনঃস্তাদুপনায়ক : দাসী চ নায়িক, বৃত্তি: কৌশিকী ভারতী তথা। স্বরাপানসমাযোগাছুৰ্দ্দিষ্টাৰ্থন্ত সংস্কৃতি : . - অক্ষেী দ্বেী, লরতালাদিৰিলাসে ৰহল স্তথা। "