পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২০ প্রবাসী। [ ৮ম ভাগ।


বিভক্ত করিতে সক্ষম এবং তজ্জন্তই બ সকল - সাহায্যেই প্রায় সমুদয় রাসায়নিক প্রক্রিয়া সাধিত হয়। চাপের অধীনেও যে রাসায়নিক ক্রিয়া সাধিত হয় তাহার ও কারণ অন্ত কিছু নহে, তাহাও এই যে, এক পদার্থের স্বক্ষ অণু অন্ত পদার্থের স্বগ্ন অণুর সহিত চাপ দ্বারা, নূতনতর পদার্থের স্বজন করে, নৈকট্যভাবে পাশাপাশি হইতে পারে। এইরূপ বলিলে রাসয়নিক ক্রিয়ার অর্থও অন্য কিছু নহে— সচরাচর দুই বা ততোধিক পদার্থের স্বক্ষ অণুগুলি নুতন ভাবে সজ্জিত হইয়া যে নুতন পদার্থের স্বজন করে সেই ক্রিয়ার নামই রাসায়নিক ক্রিয়া’ । কথন বা একটা মাত্র পদার্থেও এইরূপ পরিবর্তন সংঘটিত হইতে দেখা যায় ও তথাকার ক্রিয়াকেও ‘রাসায়নিক ক্রিয়া’ বলে ; যথা অক্সিজেন হইতে ওজোনের উদ্ভব। অক্সিজেনের স্বৰ্ম্ম অণু (atoms) গুলি পূৰ্ব্বে যে ভাবে সজ্জিত ছিল ইলেক্ট সিটি শক্তির প্রভাবে তাহা ভয় হইয়া গিয়া নূতন আকারে সজ্জিত হয় তাহারই নাম ওজোন হয়, তাহাতে আর অন্য কোন নুতন পদার্থ সংযুক্ত হয় না। অক্সিজেন তাহার স্বগ্ন অণু (atoms) গুলি পরস্পর পরস্পরের প্রতি যে দুইটী আকর্ষণী বন্ধনী দ্বারা সংযুক্ত থাকিয়া যেমন গোটা বা molecules বাধিয় থাকিত সেই দুইটার একটী রজ্জ্ব মুক্ত হইয়া গিয়া, তেমন গোটা ভাঙ্গিয়া ফেলিয়, অন্ত একটা মুক্ত স্বগ্নতম অণু (atom) কে বন্ধন করিয়া ফেলে এবং এইরূপে তিন তিনটা অণুর এক একটী গোটা বা molecule বাধে ও তাহাদের সমষ্টির নাম ওজোন হয়। যথা, যদি কোন অক্সিজেন কণা ৬টী স্বগ্ন অণু বা atoms এর সমষ্টি হয় তাহাতে ৩টা গোট বা molecules থাকিবে, কিন্তু যখন ওজোনে পরিণত হইবে তখন তাহাতে ২টা গোটা বা molecules হইবে। রসায়নাগারে প্রকৃতির দ্যায় স্বাভাবিক পদার্থ প্রস্তুত হইতে পারে ইল নুতন কথা নহে। রসায়নাগারে হীরকও প্রস্তুত হইয়াছে কিন্তু তাহার জন্ত তাপ, চাপ, ইলেক্ট সিটি তিনটী শক্তি প্রয়োগ করিতে হয় এবং তাহ বহু ব্যয়সাধ্য ও সময়সাপেক্ষ সুতরাং ব্যবসায়ের হিসাবে রাসায়নিক প্রক্রিয়া দ্বারা প্রস্তুত হীরক তত কাযের হয় নাই। ইহার প্রতি লক্ষ্য করিয়াই বার্থেলো বলিয়াছেন রসায়নাগারে মানবের খাদ্য প্রস্তুত করিতে হইলে এমন কোন শক্তির আবিষ্কার আবখ্যক যাহা এত অক্ষুরস্ত ভাবে পাওয়া গী যে সামান্ত বা বিনা ব্যয়ে যে কোন সময়ে যে কোন পরিমাণে তাহা আমরা রসায়ানাগারের কার্য্যে লাগাইছে পারি। এমন ‘শক্তি’ কোথায় পাওয়া যাইবে বার্থেলো তাহা আভাস স্বরূপে বলিয়াছেন প্রকৃতি কর্তৃক ব্যবহৃত সম্পূ শক্তি মানবের হস্তগত হওয়া অসম্ভব বা কল্পনাতীত হইলেং পূৰ্ব্বোক্ত ক্রিয়াদি সাধনের উপযুক্ত শক্তি পৃথিবী আভ্যন্তরিক তাপের কিয়দংশ গ্রহণ করিতে পারিলে মানবের হস্তগত হইবে। এই উদ্দেশ্যে তিনি বলেন পৃথিবীর অভ্যন্তরে ৩ মাইল গভীরে যে তাপ পাওয়া যা তাহাই ষথেষ্ট । গভীর একটা গৰ্ত্ত বা গহবর খনন করিলেষ্ট হইবে। বর্তমানে ইঞ্জিনিয়ারীং বিস্তু যতদূর অগ্রসর হইয়াছে, তিনি বলেন, তাহাতে এইরূপ থাত খনন নিতান্ত কল্পনার কং নহে এবং অত্যন্ত্রকাল মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারীং বিদ্যার যে উন্নতি হইবে তদ্বারা ইহা যে নিশ্চিত সাধিত হইতে পারিা তাহাতেও সন্দেহ নাই। পৃথিবীর আবরণের ৩ মাষ্ট্র নিম্নে যে তাপ পাওয়া যাইবে, বার্থেলে বলেন, তাহা পৃথিবীন্থ প্রাণিজগৎ বিশেষতঃ মানবজগৎ ও শিল্পজগতের পক্ষে যথেষ্ট। মানব এখানে-ওখানে শক্তি ক্ষমতার আম্বেৰ করিয়া ফিরে, কিন্তু তাহার পদতলে যে মহাভূত্য পড়িা আছে তাহাকে কাযে লাগাইতে পারিলেই যে সকল মানবী প্রভূত ক্ষমতাশালী হইয়া সমান মুখস্বচ্ছন্দ ভোগে অধিকারী হইবে তাহাতে আর সন্দেহ কি ? এইরূপ শক্তি রসায়নাগারের সহায় হইলে তথায় প্রকৃতির অনুকরণে বহু পদার্থ নিৰ্ম্মিত হইবে তাহা ত সৰ্ব্ববাদিসম্মত কথা। এইরূপ গভীর খাতের অন্যান্ত সুবিধার কথা উল্লেখ করিয়া প্রসঙ্গ ক্রমে তিনি বলিয়াছেন এত নিম্নে জলকে যেরূপ তাপ ও যত উচ্চ চাপের অধীনে পাওয়া যাইরে তাহার সাহায্যে মানবচলিত যে কোন কল বা এঞ্জিন । একরূপ বিনাবায়ে চালিত হইতে পারিবে। পানীদের প্রতি লক্ষ্য করিলেও আমরা দেখিতে পাই পানীয়ের (জলের) অপবিত্রতা জন্যই মানব বহু পীড়া দ্বারা আক্রান্ত্র হইয়া অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। এমন কোন নী এজন্ত পৃথিবীর যে কোন স্থানে ৩ মাইল । ৯ম সংখ্যা । ] --~~ - বা প্রস্রবণ নাই যাহার জলে পীড়াজনক জীবাণু(microbes) রূপরিমাণে বিদ্যমান থাকেনা বা এমন কোন প্রক্রিয় ৰাৱা মানব এখন জলকে পরিশুদ্ধ করিতে সমর্থ হয় নাই বাহা দ্বার ব্যয় করিয়াও পানীয় পীড়োৎপাদক জীবাণু হইতে একেবারে মুক্ত হয়। প্রত্যহই আমরা পানীয়ের সহিত নানা ব্যাধি-উৎপাদক বহু জীবাণু উদ্বরস্থ করি। কিন্তু আমরা একপ্রকার বিনা ব্যয়ে ৩ মাইল নিম্নে পরিক্রত যে বিশুদ্ধ জল পাইব তাহা অতি পবিত্র জল েৈব এবং তদ্বারা মানব অকালমৃত্যুর অন্যতম কারণের হস্ত হইতে রক্ষা পাইবে। ( ক্রমশ: ) o শ্ৰীযোগেশচন্দ্র দত্ত - দিনাজপুর। লবকোট ও কুশাবতী । ("থত্রি’ ও ‘ছত্রি সমন্বয়) অযোধ্যাধিপতি মহারাজ রামচন্দ্রের পুত্র লব ও কুশ | লকোট ও কুশাবতী নামক দুইটি নূতন নগর সংস্থাপন করিয়াছিলেন, বলিয়া কিম্বদন্তী আছে। তাহাদিগের | পরবর্তী বংশধরগণ জ্ঞাতিগণের সহিত সৌহার্দ রক্ষা করিয়া এই নগরদ্বয়ে আধিপত্য করিতে থাকেন। অবশেষে কুশাবতীতে কুলপুত্রের ও লবকোটে কুলরাওয়ের শাসন সময়ে প্রসঙ্গক্রমে জ্ঞাতিকলহ উপস্থিত হইয়া পরম্পরের মধ্যে ভীষণ শক্রতা প্রাচুভূত হয়। ইহার ফলে কুলপুত্র নিদারুণ প্রতিহিংসাবশে প্রবল সেনাসহকারে সবাকোট আক্রমণ করিয়া স্বীয় অধিকারে আনয়ন করেন। এইরূপে কুলরাও স্বাধিকারচ্যুত হইয়া নিতান্ত নিরুপায় অবস্থায় দাক্ষিণাত্যের তদানীন্তন অধিপতি মহারাজ অমৃতের আশ্রয়প্রার্থ হইলেন। অমৃত তাহার দুঃখে নিতান্ত দুঃখিত হইয়া নানারূপ সদয় ব্যবহারে তাহাকে পরিতুষ্ট করিতে লাগিলেন ; এবং ক্রমে সহানুভূতি ও আন্তরিকতা বৃদ্ধির সহিত কুলরাওয়ের ছায় অভিজাত পাত্রে স্বীয় কন্যা১ সম্প্রদান পূৰ্ব্বক তাহাকে স্বীয় ঐখধ্যের অধিকার প্রদান | করিলেন। এই শুভানুষ্ঠানের অল্পকাল পরেই অমৃত

  • वाोन ताः कलजाररात्रनामहं विप्नानविष्ठिरः। বর্তমান ফিরোজপুর নগরের ছয়ক্রোশ দূরে কুশাবতী নগর অবস্থিত fश्न पनिब्रा निर्भीठ श्ब्राप्इ ।

লবকোট ও কুশাবতী। ՓՀ> পরলোক গমন করেন এবং অমৃতের কঙ্কার গর্ভে কুলরাওয়ের এক পুত্র জন্মে। ইহঁার নাম সাদীরাও । দক্ষিণাপথের শাসনদও কালসহকারে সাদীরাওয়ের হস্তে পতিত হইলে, তিনি আর্যাবৰ্ত্ত আক্রমণ করিয়া তাহার কিয়দংশে স্বীয় অধিকার বিস্তার করেন। তিনি সম্ভবতঃ শিশুকালেই পিতৃমাতৃহীন হন, সুতরাং অমাতামুখে কুলপুত্র-কর্তৃক পিতার নিৰ্ব্বাসন বৃত্তাস্ত অবগত হইয়া, সদলবলে কুলপুত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করিয়া পিতৃরাজ্য লবকোটের পুনরুদ্ধার ও সেই সঙ্গে কুলপুত্রের রাজ্য অধিকার করেন। রাজ্যভ্রংশে কুলপুত্রের বৈরাগ্যোদয় হয় ; সুতরাং তিনি নানা স্থান পরিভ্রমণ করিয়া অবশেষে পুণ্যতীর্থ বারাণসীতে উপনীত হইয়া ধৰ্ম্মসঞ্চয়ের সহিত শান্তিলাভাশায় বেদাধ্যয়নে মনোনিবেশ করেন। অধীয়মান বেদের স্থানবিশেষে দুৰ্ব্বত্ততার পুনঃ পুনঃ নিষেধ পাঠে কুলরাওয়ের প্রতি স্বীয় দুৰ্ব্ব্যবহার স্মরণ করিয়া, নিতান্ত অমৃতপ্তহৃদয়ে তিনি সাদীরাওয়ের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া স্বকৃত দুষ্কৃত স্বীকার পূৰ্ব্বক পুনঃ পুন: ক্ষমা প্রার্থনা করিতে লাগিলেন। সাদীরাও পরিতপ্ত পিতৃশক্রর মুখে সুমধুর বেদপারায়ণ শ্রবণ করিয়া তাহার বিগত ব্যবহার ক্ষমা করিয়াই নিরস্ত হইলেন না, অধিকন্তু পিতৃসিংহাসনে কুলপুত্রকে স্থাপিত করিয়া লবকোটের সমস্ত অধিকার তাহার হস্তে সমর্পণ করিলেন। কুলপুত্রের এই বেদান্থশাল হইতে তিনি ও তদ্বংশীয়গণ 'বেদী’ নবীন আখ্যা প্রাপ্ত হন। সুপ্রসিদ্ধ শিখসম্প্রদায়ের প্রথম প্ৰবৰ্ত্তয়িত গুরু নানকের জনক কালু এই কুলপুত্রেরই একজন অধস্তন বংশধর এবং কুলক্রমাগত বেদী উপাধিতে ভূষিত ছিলেন। নানক ও পরবর্তী শিখগুরুগণ ‘থত্ৰি’ বংশোদ্ভব বলিয়া পরিচিত। পাঞ্জাবে খেত্রি’ নামক যে জাতি দৃষ্ট হয়, তাহারা আপনদিগকে প্রাচীন ক্ষত্ৰিয়বংশসস্থত বলিয়া পরিচয় প্রদান । করিয়া থাকেন - । ‘খত্রি’ শব্দও ক্ষত্রিয়েরই অপভ্রংশ • কাণীস্থ নাগরীপ্রচারিণীসভার উপসভাপতি ক্ষত্রিবংশীয় বাবু श्रीभश्नद्र प्राम दि-७, वtणन,-'झजि' वा ब्राणभूठ छाठि थणि श्ठ সম্পূর্ণ পৃথক, র্তাহার। আধুনিক জাতি। ইতিহাসপ্রসিদ্ধ অগ্নিকুল রাজপুতগণ শকসংস্ৰৰ শূন্ত নহে। পক্ষান্তরে খত্রিদিগের আচার ব্যবহার পাঞ্জাবের সারস্বত ব্রাহ্মণগণের সহিত সম্পূর্ণ সাদৃষ্ঠবিশিষ্ট। র্তাহারা थजि°क 'काफ़ी' श्रद्रशश्र१ त्रां★खि ७ करब्रनदे न वद्र शब्रशांद्रावांव