পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. . . . . -- - - - -- s 88 প্রবাসী। ৮ম ভাগ। ১ম সংখ্যা। ] उद्ध ७ कवि । 86 ° রবীন্দ্র বাবুর কাব্য পাঠ করিলে, উহার মধ্যে কবিত্বের সে মায়া মুরতি কি কহিছে বাণী । - করিয়া স্বীয় জীবন ও স্বরচিত কাব্য এই উভয়কেই গৌরব আমি ঘরের দ্বারে বসে বসে । একটি আশ্চৰ্য্য বিকাশ পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু এ বিষয়ে কোথাকার ভাব কোথা নিলে টানি। দান করিয়াছেন। আমি চেয়ে আছি বিস্ময় মানি | রবীন্দ্র বাবুর কাব্যগ্রন্থাবলীর পর “খেয়া” শীর্ষক একখানি ওগো খেয়ার নেয়ে। । কিছু আলোচনা করা আমাদের উদ্দেশু নহে। আমরা রহস্তে নিমগন ।” উৎকৃষ্ট ভাঙ্গিলে হাট দলে দলে । - o kr לע - - R ধ্যাত্মি প্রকাশি হইয়াছে - - - - রবীন্দ্র বাবুর “শৈশব সঙ্গীত” হইতে “মানসী" রচনার সময় কবি নৈবেষ্ঠের একটি কবিতায় বলিতেছেন ;– . অতি .. .* स्ि o কাব্য 驚 o 蠶 蠶 - -- - কাব্যরসগ্রাহী ভক্ত ভিন্ন, ঐ গ্রন্থের সকল কবিতা ○ পৰ্য্যন্ত র্তাহার কাব্যের মধ্যে প্রকৃতির সৌন্দৰ্য্যলীলা ও মানব - কবি আপনার গানে যত কথা কহে, \مع ন্থের সক রি তাৎ আমিও যাই ধেয়ে । প্রেমের নানা রহস্তের বিষয়ই অবগত হই। সোনার তরীর স্বচনা হইতেই তাহার কবিতার মধ্যে একটি উন্নত লোকের সৌন্দর্য ও প্রেমের আভাস পাই। তৎপরে চিত্রার মধ্যে উহার পূর্ণ বিকাশ দেখিতে পাই। “চিত্ৰা”র “দেবী" ও “জীবন দেবতা”কে আর মানবীয় ভাবে ধরা ছোয়া যায় না। উহার মধ্যে ঐশ্বরিক ভাবই পরিস্ফুট। “চিত্রা"র "জ্যোৎস্না রাত্রি” প্রভৃতি কবিতার সৌন্দর্য্যের মধ্যে সৌন্দৰ্য আর জড়ের রূপ মাত্র নহে ; উহা চিন্ময় ঈশ্বরেরই অনুপম মাধুৰ্য্য। "চিত্রা"র পর "নৈবেছে”র মধ্যে কবি আর কোন কথা কবিত্বের রহস্যজালে আচ্ছন্ন রাখেন নাই । নৈবেদ্যের এক একটি সরল ও ক্ষুদ্র কবিতার মধ্যে ভক্তিরস উছলিত হইয়াছে ; এক একটি ক্ষুদ্র পুষ্প যেমন মুগন্ধ ও সুষমায় পুর্ণ হইয় উঠে তেমনি নৈবেন্ধের এক একটি কবিতা সৌন্দর্ঘ্যে ও প্রেমের মিষ্টরসে পূর্ণ হইয়া উঠিয়াছে। - তৎপরে রবীন্দ্রনাথের নব প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থাবলী | যখন মুদ্রিত হইয়াছে, তখন উহার মধ্যে ভক্তির পূর্ণ বিকাশ । হইয়াছে। কবি বাল্যকাল হইতে এ পর্যন্ত নানা অর্থে নানা ভাবে যত কবিতা রচনা করিয়াছেন, এখন তাহার o “অন্তৰ্য্যামী” “জীবনদেবতা”র প্রকাশে সমস্ত কথার একই অর্থ বুৰিতেছেন। তাহার সমস্ত সৌন্দর্য ও প্রেমের বর্ণনার মধ্যদিয়া ঈশ্বর আপনারই সৌন্দৰ্য্য ও প্রেমের কাহিনী ব্যক্ত করিয়াছেন ; ঈশ্বর তাহার কাব্যের ভিতর দিয়া শুধু আত্মপ্রকাশ করিয়াছেন। এজন্ত কবি তৎপ্রণীত "জীবন দেবতা” কাব্যের “অন্তর্যামী” শীর্ষক কবিতায় বলিতেছেন – “বলিতেছিলাম বসি একধারে আপনার কথা আপন জনারে - শুনাতিছিলাম ঘরের দুয়ারে ঘরের কাহিনী যত । তুমি সে ভারে দহিয়া অনলে - ডুবায়ে ভাষায়ে নয়নের জলে নবীন প্রতিমা নব কৌশলে

  • গড়িলে মনের মত।

গ্রহণ করা কঠিন বটে। কিন্তু তথাপি উহার অনেকগুলি নানা জনে লহে তার নানা অর্থ টানি ; তোমা পানে যায় তার শেষ অর্থখানি।" কবিতা অতিশয় ভক্তিপূর্ণ ও চিত্তাকর্ষক বলিয়া তৎসম্বন্ধেও রবীন্দ্রনাথ তাহার কাব্য সম্বন্ধে কেবল যে এই কয়েকটি | একুটি কথা বলিতেছি। আমরা সৰ্ব্বাগ্রে উক্ত গ্রন্থ হইতে কথাই বলিয়াছেন, তাহানহে। নবপ্রকাশিত কাব্যগ্রন্থাবলীর : শীর্ষক কবিতাটির কিয়দংশ উদ্ধৃত করিব। কবি প্রত্যেকখানি কাব্যের ভূমিকাস্বরূপ যে এক একটি কবিত । नेत्रं ক দর্শন করিয়া এবং তাহার সংস্পর্শে পুলকিত রচনা করিয়াছেন, সাহিত্যে তাহ অতুলনীয়। এই সকল বলিতেছেন – কবিতার মধ্যে কবি তাহার কোন কথা ব্যক্ত করিয়াছেন । * - “আমি কেমন করিয়া জানাব আমার বলিয়াছেন, তিনি ঈশ্বরের অনন্ত বিশ্বলীলার কাহিনীই । জুড়াল হৃদয় জুড়াল—আমার জুড়াল হৃদয় প্রভাতে। তাহার সমস্ত কবিতার মধ্যে প্রকাশ করিয়াছেন। এমন কি, । আমি কেমন করিয়া জানাব আমার রবীন্দ্র বাবুর যে সকল হান্ত কৌতুকের কবিতা আছে ; তিনি - ಚೆ" - - * BBBBB BBBB BBBBBB BBBB BBBBBD S Dttu DDDttt ttt কবি র্তাহার “কৌতুক” কাব্যের ভূমিকায় ঈশ্বরকে । দেখেছি একেল আলোকে, দেখেছি - | আমার হৃদয়-রাজারে। বলিতেছেন ;— | আমি দুয়েকটি কথা কয়েছি ত-সনে আজ আসিয়াছ কৌতুক-বেশে সে নীরব সভা মাঝারে—দেখেছি - মাণিকের হার পরি এলো কেশে, চির জনমের রাজারে । নয়নের কোণে অাধ হাসি হেসে -- *: *:: * এসেছ হৃদয়-পুলিনে ! - আজ ত্রিভুবন-জোড়া কাহার বক্ষে × . . . দেহমন মোর ফুরালো-যেনরে আজ এই বেশে এসেছ আমারে o নিঃশেষে আজি ফুরালে,— ভুলাতে।” - আজ যেখানে যা হেরি সকলেরি মাঝে জুড়ালো জীবন জুড়ালো—আমার যে কবি আপনার সুখ দুঃখ শোক তাপ হাস্তামোদ -- আদি অস্ত জুড়ালে !" সকল অবস্থা ও সকল ভাবের মধ্যেই ঈশ্বরকে দেখেন এবং | ভক্ত যখন ঈশ্বরকে দর্শন করেন, ঈশ্বরের প্রেমের স্পর্শ স্বরচিত কাব্যের মধ্যে র্তাহার নানা ভাবের বর্ণনা করেন; { লাভ করেন, তখন তাহার অন্তরে কি পুলক ও প্রতি DB DD DD D DD D DD B DDD DD SSSSSS BBB BDD BkS BBB BB DD DD D সৌন্দৰ্য্য ও ভাবের নদীর উল্লেখ করিয়াছি ; এদেশের অনেক মুধাস্রোত প্রবাহিত হইয়া যায়, তাহ এই কবিতাটি পাঠ BB BD DBBBB DBttt Dtt DDDDD SSSSSS BBB BBBB BBBBB BBB BBS gD BBB ত বার পড়ি, তত বারই ভক্তিরসে প্রাণ আপ্লুত হইয়া রূপমোহে মুগ্ধ হইয়াছেন এবং সেই থানেই আবদ্ধ রহিয়াছেন । বটে ; কিন্তু কবি রবীন্দ্রনাথ কোথাও আপনাকে আবদ্ধ | বায় এবং কবির স্থায় ঈশ্বরকে দর্শন করিয়া প্রাণ জুড়াইবার | জন্ত মন ব্যাকুল হইয় উঠে। রাখেন নাই। তিনি নদী অতিক্রম করিয়া একেবারে সৌন্দর্ঘ্য ও ভাবের সমুদ্রে আসিয়া পৌঁছিয়াছেন। তাই । ੋ “খেয়া”র শেষ কবিতাটি উদ্ধৃত করিব। সেখানে অনন্তভাবময় অসীম সুন্দর পুরুষের সঙ্গেই সাক্ষাৎ ৷ এপার ওপর কল্প কে গো হইয়া গিয়াছে ; এবং তাহাকেই জীবন দেবতা রূপে বরণ - ওগো থেয়ার নেয়ে, ওগো খেয়ার নেয়। -- o তুমি সন্ধ্যাবেল ওপার-পানে । তরণ যাও বেয়ে, দেখে মন আমার কেমন স্বরে ওঠে যে গান গেয়ে, ওগো থেয়ার নেয়ে । কালো জলে কল কলে আঁখি আমার ছল ছলে, ওপার হতে সোনার আভা পরাণ ফেলে ছেয়ে । ওগো খেয়ার নেয়ে। । দেখি তোমার মুখে কথাটি নাই । ওগো থেয়ার নেয়ে, fক যে তোমার চোখে লেখা আছে দেখি যে তাই চেয়ে ওগো থেয়ার নেয়ে। আমার মুখে ক্ষণ তরে * যদি তোমার আঁখি পড়ে । আমি তখন মনে করি । আমিও যাই ধেয়ে আমিও যাই ধেয়ে Ф ওগো পেয়ার নেয়ে " --- ঈশ্বরবিশ্বাসী কবি অনেক শোকতাপ পাইয়াছেন। -- তাই জন্ম ও মৃত্যুরহস্ত পরিষ্কার বুঝিতে পারিয়াছেন। । জন্ম ও মৃত্যু যে ভবনদীর এপারে ওপারে আসা যাওয়ার ব্যাপার মাত্র, কবি তাহ দিব্যদৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করিয়াছেন। । তিনি ইহলোকে থাকিয়াই পরলোকের আভাস পাইয়াছেন । শুধু তাহাই নহে। জীবন সন্ধ্যায় কত লোকের সংসারের - হাট ভাঙ্গিয়া যাইতেছে ; কত লোকের দোকান পাট বন্ধ । হইতেছে - আর সেই ভবনদীর নাবিক কত লোককে - তাহার খেয়ার নৌকায় ওপারে পৌছাইয়া দিতেছেন –এই ৷ বিচিত্র দৃপ্তও কবির ধ্যানদৃষ্টির সম্মুখে উজ্জল হইল । উঠিয়াছে। কবিতায় তাহার একখানি অনুপৰ চিত্র জাকিয় | আমাদের মনকে উদাস করিয়া তুলিয়াছেন। এই স্বন্দর কবিতাটির সঙ্গে মুর যুক্ত করিয়া ইহাকে একটি সঙ্গীত করা হইয়াছে। রবীন্দ্র বাবুর প্রিয়শিষ্য এবং আমার পরম মেহের পাত্র একজন গায়ক যখন করুণ ও মধুর স্বরে এই - - -