পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢8२ এই –“নিজের শরীরকে, উপভোগ্য দ্রব্য সমূহকে, ও ( ভূত-ভবিষ্যৎবর্তমান এই ) কালক্ৰয়সহিত কল্যাণকে সমস্ত জীবের জন্য যে উৎসর্গ, তাহাই রক্ষা ও শুদ্ধির বৃদ্ধি কারক।” “আত্মভাবস্ত ভোগানাং ত্র্যষ্টবৃত্তেঃ শতস্ত চ। উৎসর্গ: সৰ্ব্বসত্ত্বেভ্যস্তদ্রক্ষা শুদ্ধিবৰ্দ্ধনম্।”• ঐবিধুশেখর ভট্টাচাৰ্য্য। ঐতিহাসিক প্রশ্ন। ভারতবর্ষের পরাধীনতা-সম্বন্ধে নানা মুনির নানা মত চিরকালই শুনিয়া আসিতেছি। তন্মধ্যে একটা মত অতি প্রসিদ্ধ। কনোজ-রাজ জয়চন্দ্র মহম্মদ ঘোরীকে এই স্বর্ণপ্রস্থ ভারতবর্ষ আক্রমণ করিবার জন্য আহবান করেন । কারণ, দিল্লীর অধিপতি পৃথ্বীরাজের সহিত র্তাহার মনোমালিন্ত ঘটয়াছিল। এই গৃহ-বিবাদের ফলে ভারত লক্ষ্মীর চরণে মহম্মদ ঘোরী দাসত্ব-শৃঙ্খল পরাইতে সমর্থ হন। বিগত অগ্রহায়ণ মাসের প্রবাসীতে” শ্রদ্ধাস্পদ শ্রীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় "ধর্মের বলবত্তা" শীর্ষক প্রবন্ধের পাদটীকায় এই প্রসঙ্গকে লক্ষ্য করিয়া লিথিয়াছেন— "পৃথ্বীরাজের আমলে যদি বৌদ্ধধর্শের প্রভাব দেশ হইতে সমূলে লোপ ন পাইয়া যাইত, তাহা হইলে অশ্বমেধের অলীক আড়ম্বর মৃত্যুশযা হইতে কুক্ষণে গাত্রোথান করিয়া দেশীয় রাজাদিগের আপন৷ আপনির মধ্যে বৈরিতানল প্রজ্জ্বলিত করিয়া তুলিত না ; আর তাহার উত্তাপ সহ্য করিতে ন পারিয়া ভারতলক্ষ্মী লজ্জয় জলাঞ্জলি দিয়৷ মুসলমান সেনাপতির আশ্রয় যাঞা করিতে যাইতেন না।" যে বৌদ্ধধর্মের প্রভাবে এদেশে মূৰ্ত্তিপূজার (ইংরাজীনবিশদিগের মতে বলিতে গেলে, ভারতের সর্বপ্রকার অধঃপতনের মূল "পৌত্তলিকতার” ) বহুল প্রচার হষ্টয়াছিল, সংসারের প্রতি ঔদাস্তহুচক যতি-ধৰ্ম্ম ও অদৃষ্টবাদের প্রাবল্য

  • বোধিচৰ্য্যাবতীর পঞ্জিকা, ৪.৪৮ : শিক্ষা সমুচ্চয় ১৭ পৃঃ। এই প্রবন্ধটি ললিতবিস্তর, বেধিচর্যাবতার ও শিক্ষ। সমুচ্চয় হইতে সঙ্কলিত। বোধিচৰ্য্যাবস্তার হার টাকা পঞ্জিকা, এবং ইহার প্রধান আশ্রয় শিক্ষাসমুচ্চয় অতি উপাদেয় গ্রন্থ । শিক্ষাসমুচ্চয়ে মহাযানের বিবিধ গ্রন্থের Tritos EES FotoE ! Ist Prof. Cecil Bendal (Bibliotheca Buddhica, St. Petersbourg) &IFs" (f(IER 1 (Assbis
  • ētā Buddhist Text Societyo offs złoto, o osota

সহিত মূল A. S. B. তে প্রকাশিত হইবে। প্রবাসী । AASAASAASAASAASAASAASAAMSAASAASSAAAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS [ ৮ম ভাগ। বৃদ্ধি পাইছিল, বৰ্ণাশ্রম ধরে বিনাশের সহিত পঞ্জি জাতির অস্তিত্ব লুপ্ত হইয়াছিল এবং কেতনগ্রাহী যুদ্ধ/ ব্যবসায়ীদিগের হস্তে দেশরক্ষার ভার পড়িয়াছিল, যে বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের পরিণামে দেশে তান্ত্রিক মতের অর্থাৎ পঞ্চমকার, সাধনের স্রোত প্রবাহিত হওয়ায় সমাজের নৈতিক বল ক্ষয়প্রাপ্ত হইতেছিল বলিয়া শুনিতে পাই, সেই বৌদ্ধ ধৰ্ম্মের প্রভাব দেশ হইতে লোপ পাওয়ায় ভারতলঙ্গ লজ্জায় মুসলমান সেনাপতির আশ্রয় ভিক্ষা করিলেনএই সিদ্ধান্ত কতদূর ঐতিহাসিক তথ্যের উপর প্রতিষ্ঠিত তাহা জানিতে স্বতই বাসনা হয়। আত্মকৰ্ম্মের ফল সকলকেই ८उ% कहिङ रुग्न, ७ जिक्राद्ध शनि गज्रा रुग्न, उश्। रुद्देश বৌদ্ধধর্মের অধঃপতনের জন্ত অপরকে দায়ী করা কতা সঙ্গত, তাহাও বিবেচ্য। “যোগ্যতমের উদ্বর্তন” যদি প্রকৃতির নিয়ম হয়, তাহা হইলে হিন্দুধৰ্ম্ম সেই নিয়মবাণী পুনরভূদয় লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছিল, এ কথা বলিলে কি ঐতিহাসিক সত্যের অপলাপ হয় ? জয়চন্দ্রের ললাটে যাহারা ভারতবর্ষের পরাধীনতা সমগ্র কলঙ্ককালিমা লেপন করিতে চাহেন, তাহাদিগের নিকট প্রশ্ন এই, জয়চন্দ্রের পূৰ্ব্বে কি মুসলমান রন্থগ্রন্থ ভারতবর্ষের কোনও পরিচয় প্রাপ্ত হয় নাই ? জয়চন্ত্রই কি সৰ্ব্বপ্রথম মুসলমানকে পথ দেখাইয়া ভারতবর্ষে আনয়ন করেন ? জয়চন্দ্রের আবির্ভাবের পূৰ্ব্বে কি মুসলমানের লোলুপ-দৃষ্টি ভারতবর্ষের উপর নিপতিত হয় নাই! তাহার পূর্ব হইতেই কি ভারতবর্ষ অধিকারের চেষ্টা মুসল মানদিগের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় নাই ? জয়চন্দ্রের সহিত পৃথ্বীরাজের মনোমালিন্ত না ঘটলে কি মহম্মদঘোরীর সৈন্ত দল ভারতবর্ষ অভিমুখে যাত্রা করিবার অবসর পাইঃ না ? এই মনোমালিন্ত বা “দেশীয় রাজাদিগের আপনাg আপনির মধ্যে বৈরিতানল’ ভারতের পরাধীনতার কত্ত্ব দূর সহায়তা করিয়াছিল ? ইতিহাসে দেখিতে পাই,–তিরেীরির যুদ্ধে পরাজিত হইবার দুইবৎসর পরে ১১৯৩ খ্ৰীঃ অস্বে মহম্মদ ঘোরী : একলক্ষ বিংশতি সহস্ৰ অশ্বারোহী সৈন্যসহ অতি গোপনে ভারতবর্ষাভিমুখে যাত্রা করেন । তাহার পর তাহার শুভাগমনবার্তা যখন প্রকাশিত হইয়া পড়ে, তখন ছিল ১০ম সংখ্যা । ] রাজন্তবর্গ তাহাকে বাধাদানের জন্য প্রস্তুত হইতে লাগি\লেন। ভারতবর্ষ তখন যদিও বহু থওরাজ্যে বিভক্ত ছিল, এবং হয় ত সেই সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের অধিপতিদিগের মধ্যে সোদর তুল্য প্রতিও বিদ্যমান ছিল না ; তথাপি "অনতিবিলম্বে ১৫০ জন হিন্দু রাজা সসৈন্তে আসিয়া গ্রাজের বিশাল পতাকামূলে দণ্ডায়মান হইলেন। তাহার সকলেই গঙ্গাজল স্পর্শ করিয়া শপথ করিলেন যে, হয় শত্রুর নিপাতসাধন করিবেন, নচেৎ যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ বিসর্জন করিবেন। তিন লক্ষ অশ্বারোহী, তিন সহস্র হস্তী ও অগণ্য পদাতিসৈন্য দ্বারা সুবিশাল হিন্দুরূহ গঠিত হইল। হিন্দু সৈনিকদিগের বিকট গর্জনে চতুর্দিক প্রকম্পিত হইতে লাগিল। এরূপ বিশাল সৈন্ত সম্ভবতঃ আর কখনও একত্র সম্মিলিত হয় নাই।” (“ভারতবর্ষের মুসলমান রাজত্বের ইতিবৃত্ত”—৮৩ পৃষ্ঠা)। ইহার পর যুদ্ধের যে বর্ণনা পাই, তাহার মধ্যেও হিন্দুপক্ষ হইতে কাহার ও কোন প্রকার বিশ্বাসঘাতকতার নিদর্শন দেখিতে পাওয়া যায় না। সকল রাজপুতই প্রাণপণে যুদ্ধ করিয়াছিল। তথাপি তাহাদিগের পরাভৰ ঘটিল! কেন এরূপ হইল ? ১ লক্ষ ২০ সহস্র মুসলমান সেনার হন্তে হিন্দুর “৩ লক্ষ অশ্বারোহী, ৩ সহস্র হস্তী ও অগণ্য পাতিসৈন্ত” কেন পরাস্ত হইল ? এই পরাজয়ের মূল উভয়পক্ষের অবলম্বিত স্বতন্ত্র যুদ্ধনীতির ও রণকৌশলের মধ্যে, অথবা অশ্বমেধের অলীক আড়ম্বরের মধ্যে অমুসন্ধেয় ? ঐতিহাসিক হণ্টার বলেন, ভারতবর্ষ সেকালে নানা ক্ষুদ্র রাজ্যে বিভক্ত হইলেও বৈদেশিক শক্রর আক্রমণকালে ঐ সকল রাজ্যের অধিপতিদিগের মধ্যে একতার সঞ্চার হইত ; সকলে সমবেত হইয়া বৈদেশিক শক্রকে বাধাদান করিতে অগ্রসর হইতেন। সাৰ্ব্বভৌম শক্তির বিলোপ ঘটিলেও সামন্ত রাজার বৈদেশিক শক্রকে বাধাদানে কখনও উপেক্ষা প্রকাশ করেন নাই। এই কারণে মুসলমানের পক্ষে ভারতবর্ষ জয় করা অতীব কষ্টসাধ্য ব্যাপার হইয়া উঠিয়াছিল। ভারতবর্ষ সহজে মুসলমানের করায়ত্ত হইয়াছিল--এ সংস্কার যাহারা পোষণ করেন, তাহারা নিতান্তই ভ্রান্ত । হণ্টার সাহেব তাহার “ইণ্ডিয়ান এম্পায়ার” নামক গ্রন্থে এই সকল কথা বলিয়াছেন। তাহার ঐতিহাসিক মতে ভারতবর্ষ কখনই সম্পূর্ণ ভাবে মুসলমানের পদানত et | (*8&) হয় নাই। হিন্দুগণ শেষ পর্য্যন্ত আপনাদের প্রাধান্ত-রক্ষার চেষ্টা করিয়াছিল এবং সে চেষ্টায় প্রায় সৰ্ব্বাংশেই সফলকাম হইয়াছিল। এলফিনষ্টোন সাহেবের মতে হিন্দুর যোধশক্তির অভাব কখনই ছিল না—তবে রণকৌশলে বা কুটি যুদ্ধনীতিতে মুসলমানের অপেক্ষা হীন বলিয়াই হিন্দু বহুস্থলেই মুসলমানের হস্তে পরাজিত হইয়াছে। ইতিহাসেও দেখিতে পাই, পৃথ্বীরাজের সহিত যুদ্ধে ও তৎপরে যে সকল যুদ্ধ ঘটিয়াছে, তাহাতে হিন্দু প্রায় অসতর্কভাবে আক্রান্ত হইয়া অথবা স্বীয় সৈন্য-সংখ্যার আধিক্যসত্বে ও রণনীতির দোষেই মুসলমানের হস্তে পরাস্ত হইয়াছে বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রভাবের সহিত ভারতবর্ষের স্বাধীনতার সম্পর্কের বিষয় কোনও বিজ্ঞ ঐতিহাসিকই স্বীকার করেন নাই। শ্রদ্ধাস্পদ দ্বিজেন্দ্র বাবু সে সম্বন্ধ প্রদর্শন করিলে ঐতিহাসিকদিগের উপকার সাধিত হইতে পারে। দ্বিজেন্দ্র বাবু বলিতেছেন, “আমার এইরূপ মনে হয় যে, মুসলমানদিগের আগমনের পূৰ্ব্বে আর্য্য ও বৌদ্ধ ধৰ্ম্মাবলম্বীদিগের মধ্যে বিরোধ এবং বৈরিতার পরিবর্তে ঐক্য এবং সদ্ভাব থাকিলে আমাদের দেশের এরূপ দুৰ্গতি হইত না।” তাহার এই অনুমানের মূলে কতটুকু ঐতিহাসিক সত্য নিহিত আছে ? হিন্দুধৰ্ম্ম ত বিরোধগ্রাসিভার জন্তই চিরপ্রসিদ্ধ। বৌদ্ধধৰ্ম্ম অতি অল্পদিন পরেই ব্রাহ্মণ্যধৰ্ম্মের ভাবে অনুপ্রাণিত হইয়া উঠিয়াছিল। এই ব্রাহ্মণ্যভাবাপন্ন বৌদ্ধধৰ্ম্ম মহাযানসম্প্রদায় নামে পরিচিত। এই মহাযানের উৎপত্তি খৃষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীতে হইয়াছিল বলিয়৷ ঐতিহাসিকের মত প্রকাশ করিয়া থাকেন। তাহার পর হইতে বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিশেষত্ব ক্রমশঃ বিলুপ্ত হইয় পৌরাণিক হিন্দুধৰ্ম্মই উহার স্থান অধিকার করে। এই পরিবর্তনকালে সমাজে উল্লেখযোগ্য কোন সংঘর্ষ সংঘটিত হয় নাই, এইরূপ উল্লেখ ঐতিহাসিকদিগের রচনায় আমরা দেখিতে পাই। স্বপ্রসিদ্ধ জাপানী অধ্যাপক ওকাকুর বলেন, খ্ৰীষ্টীয় অষ্টম ও নবম শতাব্দীতে জাপানে যে বৌদ্ধধৰ্ম্ম গমন করিয়াছিল, তাহ পৌরাণিক হিন্দুধৰ্ম্মের নামান্তর মাত্র। তাই ঐ সময়ের জাপানী স্থাপত্য-শিল্পে