৬১২ প্রবাসী ।
- fa*tal (Can factory) s cofni H**f*, g*n ni
আমাদের দেশে 'টিনের ডিবা বাজারে বেশী কিনিতে পাওয়া যায় না। যাহা যায় তাহারও অত্যন্ত দাম বেশি। তাই ক্যানারীর সঙ্গে সঙ্গে একটি টিনের ডিব প্রস্তুত করিবার কারখানার নেহাৎ দরকার। আমি পরবর্তী প্রবন্ধে টিনের ডিবা প্রস্তুত করিবার কারখানা ও ক্যানারীর ৩৪ রকমের ( বড়, ছোট, মাঝারি ) ৩৪টি মোটামোটি এষ্টিমেট (Estimate ) বা আনুমানিক ব্যয়ের ফর্দ পাঠাইব । ক্যানিংএর উপযোগী ফল । অতি কাচ, অতি পাকা, দাগিলাগা, কি পচা ফল ক্যানিংএর সম্পূর্ণ অনুপযোগী। টন বা বোতলের মধ্যে এমন কোন গুপ্ত গুণ নাই যাহা মন্দ জিনিষকে ভাল করিতে পারে। ভাল জিনিষকে ভাল রাখাই ক্যানিংএর কাজ। ফলে যপন রং ধরিয়াছে এমন অবস্থায় গাছ হইতে পাড়িয়া টাটুকা টাটুক। সেই দিনই ক্যান (Can) করা দরকার। ব্যবসার পক্ষে অনেক সময় ওরূপ হইয়া উঠে না সত্য কিন্তু যাহাতে সেরূপ বন্দোবস্ত করা যায় তৎপ্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা দরকার। মাঝে যে আমেরিকায় এ ব্যবসায় কিছু মন্দা ধরিয়াছিল তাহার একমাত্র কারণ যে তখন লোকে যা তা ফল যাহ পাইত তাহার্ট ক্যান (can) করিত। কিন্তু আজকাল ইহার সে বিষয়ে খুব সতর্ক। যাহারা বাড়ীতে নিজেদের জন্ত ফল প্রিজার্ভ করিতে চান তাহারা অনায়াসেই গাছ হইতে টাটুকা ভাল ফল পাড়িয়া প্রিজার্ড করিতে পারেন। অবশু যাহারা সহরে থাকেন তাদের পক্ষে সব সময় টাটুকা ফল পাওয়া মুস্কিল, সম্পূর্ণ টাটুকা না হউক যাহাতে ফলের মধ্যে পূৰ্ব্বোক্ত দোষগুলি না থাকে তাছার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা দরকার। বাড়ীতে বোতলে ভরিয়া ফল রক্ষণ। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে বাড়ীতে টিনের ডিবায় ভরিয়া ফল রক্ষণ বড়ই শুমুবিধাজনক। কেননা ঝালা দিয়া ঢাক্নি লাগান ইত্যাদি কাজ বাড়ীতে বড় হইয়া উঠিবে না। বোতলই বাড়ীর পক্ষে অত্যন্ত সুবিধাজনক। এই বোতলে ফল রক্ষা দুই প্রকারে হইতে পারে। এক টিনের মতই বোতলে ফল ভরিয়া ফুটন্ত জলের কেট্লিতে ডুবাইয়। "-س [ ৮ম ভাগ । --১৪:২৭, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)~ ফল সিদ্ধ করা, অন্য নিয়ম, ভিন্ন পাত্রে ফলনসিদ্ধ করিয়া - বোতলে ভরা। ভিন্ন পাত্রে ফল সিদ্ধ করিয়া বোতলে ভরাই অত্যন্ত সুবিধাজনক । আমেরিকার প্রত্যেক বাড়ীতে বাড়ীতে যে ফল রক্ষা করা হয় তাহার অধিকাংশই শেষোক্ত নিয়মে। আমাদের দেশস্থ রান্নাকার্য্যে মুনিপুণ ভগিনীগণ ও জননীগণ যে একাৰ্য্য অবাধে করিতে পরিবেন তাহাতে একটুকুও সন্দেহ নাই। নূতন রান্না শিক্ষা কারিণীর মত প্রথম প্রথম একটু ভয় বা অসুবিধা হইতে পারে বটে কিন্তু দুই একবার করিয়া অভ্যস্ত হইয়া গেলেই দেখিবেন যে ভাত রান্ন করা আর আম প্রিজার্ড করা উভয়েই সমান বিদ্যা বৃদ্ধির দরকার। প্রথমতঃ ভাল ভাল ফল বেছে নিয়ে তাহার খোস ছাড়াইতে হইবে। পরে তাহার আঠি ফেলে দিতে হইবে, (যদি আম হয় তবে দুই দিকের পিঠ প্রায় আঁটি ঘেসাইয়া কাটিয়া লইয়া বাকি অংশটা তখনই ছেলে পিলেদিগকে দিয়ে দিলেই ভাল হয়) পরে তাহাকে বেশ পরিস্কার জলে ধুইতে ইষ্টবে। ধোয়া হয়ে গেলে সিদ্ধ করার পূর্ব পর্যন্ত বেশ পরিষ্কার ঠাণ্ড জলেই ফল গুলিকে ভিজাইয়া রাথিতে হইবে কেননা তাহাতে ফলের রং নষ্ট হইবে না। পরে একটি পাত্রে (এনামেলের ই-প্যান হইলেই ভাল হয়) তিন পেয়ালা জলের সহিত দুই পেয়াল চিনি এরূপ পরিমাণে—অবশুই যাহারা একটু বেশি মিষ্টি ভাল বাসেন র্তাহারা চিনির পরিমাণ বাড়াইলেই চলিতে পরিবে, তাহা পরীক্ষা করিয়া দেখিলেই হইবে,—মিশ্রিত করিয়া উনানে বসাইয়া দিতে হইবে। যখনই জল ফুটিয়া উঠিবে তখনই ফল যাহা ঠাও জলে ভিজাইয়া রাখা হইয়াছে উহার মধ্যে ' দিতে হইবে পরে ঢাকৃনি দিয়া পাত্রের মুখটি ঢেকে দিয়া ১৫ কি ২০ মিনিট পৰ্য্যন্ত সিদ্ধ করিতে হইবে, পরে ফল বেশ সিদ্ধ হয়ে গেলে পর পাত্রটি উনানের উপর থাকিতে থাকিতেই উহা হইতে কিছু ফুটন্ত সিরা (Syrup) প্রথমত বোতলে ভরিয়া পরে একটি চাম্চ বা হাত দিয়া ফলগুলি ভরিতে হইবে পরে উত্তপ্ত সিরা—যাহা তখন পাত্রে বাকি আছে, তাহা বোতলের সম্পূর্ণ মুখ পর্যন্ত ভরিয়া রবাধের সহিত ১নং বোতল হইলে ঢাক্নি ও ২নং বোতল হইলে স্কু বেশ করিয়া আটিয়া লাগাইতে হইবে। পরে একটি ভিন্ন । গামছ ( গরম জলে ভিজান ) দিয়া বোতলের গলা ইত্যাদি ১১শ সংখ্যা । ] বেশ করিয়া পুছিয়া তাহাকে উপুড় করিয়া দাড় করাইয়া রাখতে হইবে। যদি দেখা যায় যে ভিতর হইতে কিছু সিরা বোতলের মুখ দিয়া বহিরে আপিতেছে তবে জানিবেন পরিশ্রম বৃথা হইয়াছে কেননা বোতলের মুখে ফাক আছে। আর যদি দেখা যায় যে কিছু সিরাই বাহির হইতেছে না তবে অস্তত হুই বৎসর জন্ত নিশ্চিস্ত থাকা যাইবে যে কল কিছুতেই নষ্ট হইবে না। বোতল উপুড় করিয়া রাখিলে যদি দেখা যায় সিরা বাহিরে আসিতেছে তবে তখনই মুখ খুলিয়া ভিতরের সিরা ও ফল গরম থাকিতে থাকিতেই, অন্ত কিছু গরম সিরা, যাহা যে পাত্রে ফল সিদ্ধ করা হইয়াছে তাহাতে অবশিষ্ট আছে—বোতলে পুনরায় সম্পূর্ণরূপে ভরিয়া পুনরায় মুখ বেশ শক্ত করিয়া লাগাইতে হইবে। এবং পুনরায় উপুড় করিয়া দাড় করিয়া রাখিয়া পরীক্ষা করিতে হইবে । যদি উত্তপ্ত সিরা (Syrup) ঠাণ্ড বোতলে ভরা যায় স্তবে বোস্তল ভাঙ্গি যাইবারই পৌনে ষোল আন সম্ভব। তাই বোতলে সিরা ও ফল ভরিবার পূৰ্ব্বে বোতলকে বেশ করিয়া গরম করিয়া লইতে হইবে। একটি গামলা বা কড়াইয়ের মধ্যে জল গরম করিয়া তাহাতে বোতলটি ডুবাইয়া রাখিতে হইবে এবং মাঝে মাঝে একটি ছুরি বা চামচ দিয়া বোতলটিকে গড়াইয়া গড়াইয়া এপিট ওপিট করিতে হইবে তাহাতে গরম সমানভাবে বোতলের সকল স্থানে লাগিতে পারিবে । এক স্থানে বেশি গরম ও অন্ত স্থানে কম গরম লাগিলে বোতল ভাঙ্গিয়া যাইবার সম্ভাবনা। বোতলের সঙ্গে সঙ্গে তাহার ঢাক্নি ও রবারও গরম করিতে হইবে। এরূপভাবে বোতল গরম করাতে দুই কাজই হইবে ; বোতলের মধ্যে যদি কোন পোকা ইত্যাদি (germ) থাকে তাহ মারা যাইবে এবং বোতল ভাঙ্গিবার । হস্ত হইতে রক্ষা পাইবে । যখন ফল সিদ্ধ কাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়া তাহাকে বোতলে ভরিবার উপযোগী করা হইবে তখনই বোতল গরম জল হইতে উঠাইয়া তাড়াতাড়ি বোতল গরম থাকিতে থাকিতেই পূৰ্ব্বোক্ত নিয়মে সিরা ও ফল ভরিতে হইবে। পরে রবার ও ঢাকনি গরম জল তে উঠাইয়া লাগাইতে হইবে। খোলা জানালার বা ফল রক্ষণ । や〉○ দরজার নিকট যেখানে বায়ু চলাচল করিতেছে এরূপ স্থানে বোতলে ফল ভরা কাৰ্য্য না করাই ভাল। কেনন। হঠাৎ ঠাণ্ড বাতাস লাগিয়া বোতল ভাঙ্গিয়া যাইতে পারে। বোতলকে ভাঙ্গিবার হস্ত হইতে রক্ষা করিতে হইলে যাহাতে সিব ও বোতল প্রায় সমান গরম হয়,
_ ফল রক্ষর “ইকনমি” বোতল। ৩নং। তৎপ্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা দরকার। একটি গামছা গরম জলে ভিজাইয়া এবং চাপিয়া তাহা হইতে জল ফেলিরা দিয়া তিন চার ভাজ করত: একটি কাঠের পিড় বা চৌকির উপর ' পাতিয়া তাহার উপর বোতলটি বসাইয়া ফল ভরা কাৰ্য্য করিলেই ভাল হয়। ফল ভরা ও মুখ লাগান ইত্যাদি কাৰ্য্য হ’য়ে গেলে পর বোতলটি ঠাও। না হওয়া পৰ্য্যন্ত তাছাকে এক স্থানে দাড় করাইয়া রাখা দরকার। পরে বোতল ঠাও। হ’লে পর একটি মেটে (Brown) রঙের কাগজ দিয়া বোতলটিকে জড়াই যেখানে আলো যেতে না পারে এমন স্থানে রাখিয়া দিতে হইবে। টিনে ভরিয়া ফল প্রিজার্ভ করিলে যেখানে সেখানে রাখা যায় কিন্তু বোতলে টন হইতে সে বিষয়ে
