পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--o -- - - بالان . SAMSMSMSMSMSMSMSMSMSMSMAMSMSMSMMS SMSMMSMMSMMSMSMMS MSMSAMS SSMSS w বিহীন মুস্পষ্টস্বরে উচ্চারিত হয়ে উঠল তখন এ কথা নিশ্চয় জানতে হবে—সমস্ত মানবচিত্তে কোথা হতে একটি নিগুঢ় জাগরণের বেগ সঞ্চারিত হয়েছে—এই বাংলা দেশে তার প্রথম সংবাদ ধ্বনিত হয়ে উঠেছে ! আমাদের দেশে আজ বিরাট মানবের আগমন হয়েছে। এখানে আমাদের রাজ্য নেই, বাণিজ্য নেই, গৌরব নেই, পৃথিবীতে আমরা সকলের চেয়ে মাথা নীচু করে রয়েছি— আমাদেরই এই দরিদ্র ঘরের অপমানিত শৃষ্ঠতার মাঝখানে বিরাট মানবের অভু্যদয় হয়েছে। তিনি আজ আমাদেরই কাছে কর গ্রহণ করবেন বলে এসেছেন। সকল মানুষের কাছে নিত্যকালের ডালায় সাজিয়ে ধরতে পারি এমন কোনে রাজদুর্লভ অৰ্ঘ্য আমাদের এখানে সংগ্রহ হয়েছে, নইলে আমাদের এ সৌভাগ্য হত না। আমাদের এই উৎসর্গ বটের তলায় নয়, ঘরের দালানে নয়, গ্রামের মণ্ডপে নয়, এ উৎসর্গ বিশ্বের প্রাঙ্গণে | এইখানেই তার প্রাপ্য নেবেন বলে বিশ্বমানব তার দূতকে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ; তিনি আমাদের মন্ত্র দিয়ে গিয়েছেন, "একমেবাদ্বিতীয়ং!” বলে গিয়েছেন মনে রাখিস, সকল বৈচিত্রের মধ্যে মনে রাথিস্ অদ্বিতীয় এক ! সকল বিরোধের মধ্যে ধরে রাথিস্ অদ্বিতীয় এক । সেই মন্ত্রের পর থেকেই আর ত আমাদের নিদ্রা নেই দেখচি ! “এক” আমাদের স্পর্শ করেচেন, আর আমরা স্বস্থির থাকৃতে পারচিনে । আজ আমরা ঘর ছেড়ে, দল ছেড়ে, গ্রাম ছেড়ে বিশ্ব-পথের পথিক হব বলে চঞ্চল হয়ে উঠেছি! এ পথের পাথেয় আছে বলে জানতুম না— এখন দেখছি অভাব নেই । ঘরে বাহিরে অনৈক্যের দ্বারা যারা নিতান্ত বিচ্ছিন্ন সমস্ত মানুষের মধ্যে তারাই “এক”কে প্রচার করবার হুকুম পেয়েছে। এক জায়গায় সম্বল আছে বলেই এমন হুকুম এসে পৌছিল ! তার পর থেকে আনাগোনা ত চলেইচে ; একে একে দূত আসচে। এই দেশে এমন একটি বাণী তৈরি হচ্চে যা পূৰ্ব্বপশ্চিমকে এক দিব্যধামে আহ্বান করবে, যা একের আলোকে অমৃতের পুত্রগণকে অমৃতের পরিচয়ে মিলিত করবে। রামমোহন রায়ের আগমনের পর থেকে আমাদের দেশের চিন্তা, বাক্য ও কৰ্ম্ম, সম্পূর্ণ না জেনেও, একটি প্রবাসী । [ ৮ম ভাগ। ১১শ সংখ্যা । ] SSAS SSAS চিরন্তনের অভিমুখে চলেছে । আমরা কোনো একটি জায়গায় নিত্যকে লাভ করব এবং প্রকাশ করব এমন একটি গভীর আবেগ আমাদের অস্তরের মধ্যে জোয়ারের । প্রথম টানের মত স্ফীত হয়ে উঠছে। আমরা অনুভব করচি, সমাজের সঙ্গে সমাজ, বিজ্ঞানের সঙ্গে বিজ্ঞান, ধৰ্ম্মের সঙ্গে ধৰ্ম্ম যে এক পরমতীর্থে এক সাগরসঙ্গনে । পুণ্যস্নান করতে পারে তারই রহস্য আমরা আবিষ্কার করব। সেই কাজ যেন ভিতরে ভিতরে আরম্ভ হয়ে গেছে ; আমাদের দেশে পৃথিবীর যে একটি প্রাচীন গুরুকুল ছিল। সেই গুরুকুলের দ্বার আবার যেন এখনি খুলবে এমনি । আমাদের মনে হচ্চে। কেন না, কিছুকাল পূৰ্ব্বে যেখানে - - অন্তরাত্মা, আমরা তারা যারা বলে না যে বাহিরের কোনো প্রক্রিয়া দ্বারা ঈশ্বরকে জানা যায় অথবা কোনো বিশেষ শাস্ত্রে ঈশ্বরের জ্ঞান বিশেষ লোকের জন্তে আবদ্ধ হয়ে আছে, আমরা বলি “হৃদ মনীষা মনসাভিক গুঃ” হৃদয়স্থিত সংশয়রহিত বুদ্ধির দ্বারাই তাকে জানা যায় ; আমরা তার যারা ঈশ্বরকে কোনো বিশেষ জাতির বিশেষ লভ্য বলিনে আমরা বলি তিনি অবর্ণ এবং বর্ণাননেকান্নিহিতার্থে দধাতি, जर्स বর্ণেরই প্রয়োজন বিধান করেন কোনো বর্ণকে বঞ্চিত করেন না ; আমরা তার যারা এই বাণী ঘোষণার ভার নিয়েছি এক, এক, অদ্বিতীয় এক ! তবে আমরা আর স্থানীয় ধৰ্ম্ম এবং সাময়িক লোকাচারের মধ্যে বাধা পড়ে একেবারে নিঃশব্দ ছিল এখন যে সেখানে কণ্ঠস্বর শোনা ধাক্ব কেমন করে! আমরা একের আলোকে সকলের যাচ্চে। আর ঐ যে দেখছি বাতানে এক একজন মাৰে। সঙ্গে সম্মিলিত হয়ে প্রকাশ পাব। আমাদের উৎসব সেই মাঝে এসে দাড়াচ্চেন ! তাদের মুখ দেখে চেনা যাচ্ছে । প্রকাশের উৎসব, সেই বিশ্বলোকের মধ্যে প্রকাশের উৎসব, তারা মুক্ত পৃথিবীর লোক, তারা নিখিল মানবের আত্মীয় । সেই কথা মনে রাখতে হবে! এই উৎসবে সেই প্রভাতের পৃথিবীতে কালে কালে যে সকল মহাপুরুষ ভিন্ন ভিন্ন প্রথম রশ্মিপাত হয়েছে যে প্রভাত একটি মহাদিনের অভু্যদয় দেশে আগমন করেছেন সেই যাজ্ঞবল্ক্য, বিশ্বামিত্র, বৃদ্ধ, স্বচনা করচে । খৃষ্ট, মহম্মদ, সকলকেই তারা ব্রহ্মের বলে চিনেছেন - সেই মহাদিন এসেছে অথচ এখনো সে আসে নি। তারা মৃতবাক্য মৃত আচারের গোরস্থানে প্রাচীর তুলে অনাগত মহাভবিষ্যতে তার মূৰ্ত্তি দেখতে পাচ্চি। তার মধ্যে বাস করেন না ! তাদের বাক্য প্রতিধ্বনি নয়, কার্য যে সত্য বিরাজ করচে সে ত এমন সত্য নয় যাকে আমরা অনুকরণ নয়, গতি অনুবৃত্তি নয় ; তারা মানবাত্মার মাহাত্মা একেবারে লাভ করে আমাদের সম্প্রদায়ের লোহার সিন্ধুকে সঙ্গীতকে এখনি বিশ্বলোকের রাজপথে ধ্বনিত করে | দলিল দস্তাবেজের সঙ্গে চাবি বন্ধ করে বসে আছি ; যাকে তুলবেন। সেই মহা সঙ্গীতের মূল ধুয়াটি আমাদের গুরু বলা এ আমাদের ব্রাহ্মসমাজের, ব্রাহ্মসম্প্রদায়ের ! না! ধরিয়ে দিয়ে গেছেন—“একমেবাদ্বিতীয়ং।” সকল বিচিত্র । আমরা সম্পূর্ণ উপলব্ধি করিনি, আমরা যে কিসের জন্য এই তানকেই এই ধূয়াতেই বারম্বার ফিরিয়ে আনতে হবে- উৎসবকে বর্ষে বর্ষে বহন করে আসূচি তা ভাল করে বুঝতে একমেবাদ্বিতীয়ুং । পারিনি। আমরা স্থির করেছিলুম এই দিনে একদা ব্রাহ্মসমাজ আর আমাদের লুকিয়ে থাকবার যো নেই! এবার | স্থাপিত হয়েছিল আমরা ব্রাহ্মর তাই উৎসব করি। কথাটা আমাদের প্রকাশিত হতে হবে—ব্রহ্মের আলোকে সকলের } এমন ক্ষুদ্র নয়। “এষ দেবো বিশ্বকৰ্ম্ম মহাত্মা সদা জনানাং সামনে প্রকাশিত হতে হবে—বিশ্ববিধাতার নিকট থেকে - হৃদয়ে সন্নিবি৪:” এই যে মহান আত্মা এই যে বিশ্বকৰ্ম্ম দেবতা পরিচয়পত্র নিয়ে সমুদয় মানুষের কাছে এসে দাড়াতে হবে। যিনি সৰ্ব্বদা জনগণের হৃদয়ে সন্নিবিষ্ট আছেন তিনিই আজ সেই পরিচয়পত্রটি তিনি তার দূতকে দিয়ে আমাদের কাছে | বর্তমান যুগে জগতে ধৰ্ম্মসমন্বয় জাতিসমন্বয়ের আহবান এই পাঠিয়ে দিয়েছেন। কোন পরিচয় আমাদের ? আমাদের } পরিচয় এই যে আমরা তারা যারা বলে না যে ঈশ্বর বিশেষ স্থানে বিশেষ স্বর্গে প্রতিষ্ঠিত, আমরা তারা যারা বলে, অধ্যাত বাংলাদেশের দ্বার হতে প্রেরণ করেছেন ; আমরা তাই বলছি ধন্য, ধন্য, আমরা ধন্ত!—এই আশ্চৰ্য্য ইতিহাসের আনন্দকে আমরা মাঘোৎসবে জাগ্রত করচি। এই মহৎসত্যে “একোবশী সৰ্ব্বভূতান্তরাত্মা” সেই এক প্রভূই সৰ্ব্বভূতের । আজ আমাদের উদ্বোধিত হতে হবে—বিধাতার এই মহতী নবযুগের উৎসব। SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMAMSMSMSAASASASS - 3>సి --l.------ কৃপার যে গম্ভীর দায়িত্ব তা আমাদের গ্রহণ করতে হবে! —বুদ্ধিকে প্রশস্ত কর, হৃদয়কে প্রসারিত কর, নিজেকে দরিদ্র বলে জেনোন, দুৰ্ব্বল বলে মেনোন—তপস্তায় প্রবৃত্ত হও, দুঃথকে বরণ কর, ক্ষুদ্র সমাজের মধ্যে ভোগ করবার জন্তে জ্ঞানকে মৃতপ্রায় এবং কৰ্ম্মকে যন্ত্রবৎ কোরোনা— সত্যকে সকলের উদ্ধে স্বীকার কর এবং ব্রহ্মের আনন্দে জীবনকে পরিপূর্ণ করে অভয় প্রতিষ্ঠা লাভ কর। হে জনগণের হৃদয়াসন-সন্নিবিষ্ট বিশ্বকৰ্ম্ম, তুমি যে আজ আমাদের নিয়ে তোমার কোন মহৎকৰ্ম্ম রচনা , করচ, হে মহান আত্মা, তা এখনো আমরা সম্পূর্ণ বুঝতে পারিনি! তোমার ভগবৎশক্তি আমাদের বুদ্ধিকে কোন খানে স্পর্শ করেছে, কোথায় তোমার স্বষ্টিলীলা চলচে তা এখনে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠেনি, জগৎ সংসারে আমাদের গৌরবান্বিত ভাগ্য যে কোন দিগন্তরালে আমাদের জন্তে প্রতীক্ষা করে আছে তা বুঝতে পারচিনে বলে আমাদের চেষ্টা ক্ষণে ক্ষণে বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়চে আমাদের দৈন্ত-বুদ্ধি ঘুচুচেন, আমাদের সত্য উজ্জল হয়ে উঠচেন, আমাদের দুঃখ এবং ত্যাগ মহত্ত্ব লাভ কবৃচে না, সমস্তই ছোট হয়ে পড়চে ; স্বার্থ, আরাম, অভ্যাস এবং লোকভয়ের চেয়ে বড় কিছুকেই চোখের সাম্নে দেখতে পাচ্চিনে, একথা বলবার বল পাচ্চিনে যে সমস্ত সংসার যদি আমার বিরুদ্ধ হয় তবু তুমি আমার পক্ষে আছ, কেননা, তোমার সংকল্প আমাতে সিদ্ধ হচ্চে, আমার মধ্যে তোমার জয় হবে! হে পরমাত্মন, এই আত্ম-অবিশ্বাসের আশাহীন অন্ধকার থেকে, এই জীবনযাত্রায় নাস্তিকতার নিদারুণ কর্তৃত্ব থেকে আমাদের উদ্ধার কর, উদ্ধার কর, আমাদের সচেতন কর ; তোমার । যে অভিপ্রায়কে আমরা বহন করচি তার মহত্ব উপলব্ধি করাও, তোমার আদেশে জগতে আমরা যে নবযুগের সিংহদ্বার উদঘাটন করবার জন্তে যাত্রা করেছি সে পথের লক্ষ্য কি তা যেন সাম্প্রদায়িক মূঢ়তায় আমরা পথিমধ্যে বিস্তৃত হয়ে না বসে থাকি! জগতে তোমার ব্লিচিত্র আনন্মরূপের ...~ মধ্যে এক অপরূপ অরূপকে নমস্কার করি,নানাদেশে নানাকালে তোমার নানা বিধানের মধ্যে এক শাশ্বত বিধানকে আমরা মাথায় পেতে নিই–ভয় দূর হোক, অশ্রদ্ধা দূর চোক্‌, অহঙ্কার দূর হোক, তোমার থেকে কিছুই বিচ্ছিন্ন নেই,