পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- & 8 - প্রবাসী । , ৮ম ভাগ _ • - - - .* - -

  • __* (**) ১ম সংখ্যা । ] বিবিধ প্রসঙ্গ । - &g - -- ੋ + + - - o: - * পাদদেশের সিংহ মূৰ্ত্তি দুটি ঢালা | বুদ্ধের অ - - م.م......................- AMMSMMMMMM MMMMMMMMMM MMMMMM MMMMMMMMAMMSMMMMMM MMMMMMMMMS -- .. - - t H. হয় ত আমরা কি করিব ? অর্থাৎ অনাবৃষ্টির দরুন হইলে ইংলণ্ডে ভক্ষ বিরাজমান থাকিত। কিন্তু ਾਂ উজলি পড়িল আসি উপর উপবিষ্ট, বামহস্তে একটি ঘণ্টা ও দক্ষিণে বঙ্গ ধারণ } । দুর্ভিক্ষ - र्ष्टि চিরদুংি

অন্তগামী তপনের সোণার কিরণ বালকের প্রফুল আননে। * * - * * * *k

  • বিস্ময়ে বালক চাহি

রজতের রেখা হইয়া গিয়াছে সোণা। চাহিল আকাশ পানে, দেখে শুধু সোণ, ধরণীর পরে দেখে সোণামাখ সব। 4 *:- r ok সাঙ্গ করি দিবসের খেয়া, দিনমণি পর পাড়ে গেলা চলি ধীরে। গগনের স্বর্ণরেখা গুলি সন্ধ্যার ধূসর ছায়ে হইল বিলীন। তটিনীর স্বর্ণজলে । - কালে ছায়া উঠিল ফুটিয়া। ... *। * মুজা-রাক্ষস । - চিত্র পরিচয় | - আমরা বর্তমান সংখ্যায় দুটি তিব্বতদেশীয় বুদ্ধমূৰ্ত্তির চিত্র প্রকাশিত w লাম। মূৰ্ত্তি দুইটি তিব্বতীয় হইলেও ইহাদের ভাব সম্পূর্ণ ভারতবর্ষীয় ; এ দুটিতে মঙ্গোলীয় শিল্পের কোন চিহ্ন নাই বলিলেও হয়। তিববত হইতে আনীত অধিকাংশ ধাতব শিল্পদ্রব্যের মত এ দুটিও সম্ভবত নেপালী শিল্পীদের নিৰ্ম্মিত। এইগুটি মূৰ্ত্তি হাবেল সাহেবের মতে আধু নিক ভারতবুীয় মুকুমার শিল্পের শ্রেষ্ঠ নমুনা। যে সকল সমালোচক কেবল শরীরসংস্থানবিদ্যার যথাযথ অনুবর্তনেই শিল্পীর গুণ দেখিতে চান, তাহার এ ছুটিতে অনেক খুৎ ধরিতে পারবেন, কিন্তু যাহারা উচ্চতর শিল্পনৈপুণ্যের আম্বর বুঝেন, তাহার এ দুটির মুখাবয়ব আদিতে ব্যক্ত ধৰ্ম্মভাব ও গাম্ভীৰ্য্য এবং সমুদয় ছবিখানির পরিকল্পনার অনুরাগী না হইয়া থাকিতে পরিবেন না। । প্রথম ছবিটি সমস্তই তাম্রনিৰ্ম্মিত ও গিণ্টিকর, এবং পিটিয়া গড়া। কেবল মূৰ্ত্তিটির মস্তক ও দেহের উদ্ধদেশ এবং

  • “these two figures represent the highest type of modern Indian Fine Art, Critics who only look for merit in anatomical precision will find much to cavil out in them, but those who can appreciate higher artistic qualities cannot fail to admire the dignity and religious feeling in the expression of the figures and the beautiful design of the composition as a whole.” E. B. Havell, Technical Art Series, 1900.

.শির বাণিজ্যে উন্নত হয়, তাহার দিকে দৃষ্টি নাই। লক্ষ । লক্ষ লোক ম্যালেরিয়া ও প্লেগে মারা যাইতেছে ; তাহার - করিয়া আছেন। ঘণ্টা দ্বারা মঙ্গলকর্তা প্রেতাত্মার আহত । ও বাবার অমঙ্গলের কারণীকৃত দুষ্ট আত্মার ত্বাড়িত হয়। বুদ্ধের এই অবতারকে তিব্বতীয়েরা বজ্রধর বুদ্ধ কহিয়া । থাকে। - দ্বিতীয় মূৰ্ত্তিটি সমস্তই তাম্রনিৰ্ম্মিত, গিণ্টিকর, હઃ শস্ত উৎপন্ন হয় না বলিয়া দুর্ভিক্ষ হয়। ইহার উত্তর দ্বিবিধ। অনাবৃষ্টির প্রতিকার খাল ও কুপ খনন। তাহা কি গবর্ণমেন্ট एषहे পরিমাণে করিয়াছেন ? বিদেশী লৌহব্যবসায়ীদের লাভের জন্য রেলওয়ে লাইন বাড়ান দরকার ; বিলাতী জিনিষ দেশের সামান্ত গ্রামটি পৰ্যন্ত চালাইয়া উহার কাটুতি বৃদ্ধি ও স্বদেশী শিল্পের বিলোপ সাধন জন্ত রেলওয়ে বাড়ান দরকার ; ঢালা। বুদ্ধের এই অবতারের নাম অমিতাভ বা অমিতাফু } । বুদ্ধ। ইষ্ঠাকেই তিব্বতীয়েরা পাচজন ধ্যানী বুদ্ধের মধ্যে প্রধান স্থান দিয়া থাকেন। তিনি দুই হাতে নিৰ্ব্বাণামৃতের ভাও ধারণ করিয়া রহিয়াছেন। ভারতবর্ষীয় সভ্যগণের কেবল বক্তৃতা করার পরিশ্রমই সার বলিলেও চলে । গবর্ণমেণ্ট প্রধানতঃ নিজের স্বার্থ অনুসারেই ব্যয়ের বন্দোবস্ত করেন। শিক্ষার দিকে সরকারের দৃষ্ট নাই। ভারতবর্ষীয়গণ কিলে - তাহা নিবারণের চেষ্টা নাই । আমরা জানি যে সকল বিষয়ে গবর্ণমেণ্টের দৃষ্টি বা চেষ্ট নাই বলিয়াছি, তাহার প্রত্যেকটিতেই সরকার কিছু না কিছু । চেষ্টার উল্লেখ করিতে পারেন। কিন্তু যেমন “পিত্তি রক্ষা” পৰ্য্যাপ্ত আহার নয়, তেমনি এই সকল চেষ্টাও ফলদায়ক নহে। এগুলি লোক দেখান চেষ্টা ;–সভ্যজগতের নিকট মান রক্ষার উপায় মাত্র। - দুর্ভিক্ষেরই কথা ধরুন। ইংরাজের বলেন অনাবৃষ্টিতে o o r দেশের সর্বত্র অতি শীঘ্র সৈন্যদল চালান করিতে পারিলে জনসাধারণ সৰ্ব্বদা ভয়ে জড়সড় হইয়া থাকিবে, স্বাধীনতার চেষ্টা করিবে না, সুতরাং রেল বাড়ান দরকার। প্রধানতঃ এই সব কারণে রেল বাড়িতেছে। ইহাতে আমাদের যে সুবিধা কিছুই হয় নাই, তাহা নহে। কিন্তু রেল বিস্তৃতিতে আমাদের শিল্পগুলি অপেক্ষাকৃত শীঘ্র শীঘ্র মারা গিয়াছে, ম্যালেরিয়া বাড়িয়া চলিয়াছে এবং দেশের শস্ত বৎসর বৎসর অধিকতর পরিমাণে বিদেশে রপ্তানি হইতেছে। রেলের দ্বারা দুর্ভিক্ষক্লিষ্ট স্থানে অপেক্ষাকৃত শীঘ্র ও সহজে শস্ত আমদানী করিয়া লোকের প্রাণরক্ষা করা যায়, ইহা স্বীকার করি ; কিন্তু রেলের দ্বারা দুর্ভিক্ষ নিবারিত হয় না। তাহার প্রমাণ এই যে রেল বাড়া সত্ত্বেও পূৰ্ব্বাপেক্ষ ঘন ঘন দুর্ভিক্ষ করিয়া রাখিবার জন্য এবং বহুসংখ্যক ইংরাজের অন্ন- । সংস্থানের নিমিত্ত এক অতি বৃহৎ সৈন্যদল পোষণ is করা হইতেছে, প্রায় সেই উদ্দেশ্বে পুলিশের ব্যয়ও হইতেছে, দুর্ভিক্ষ ভীষণতর এবং বিস্তৃততর স্থানবাপী = হইতেছে। রেলে যে টাকা ব্যয় হইয়াছে ও হইতেছে, তাহার অৰ্দ্ধেকও থাল ও কূপে ব্যয়িত হইলে দেশের অবস্থা এমন হইত না। তাহার अब रिडीव्र কথা এই যে আমাদের দেশে থাকে। কেবল অধিবাসীদের কিনিবার টাকা না থাকায় তাহারা অন্নাভাবে মারা পড়ে। তাহার প্রমাণ এই যে আমাদের দেশ হইতে খুব দুর্ভিক্ষের সময়ও বিদেশে শস্ত রপ্তানী হয়। অর্থাৎ বিদেশের লোকে যত দাম দিতে পারে, আমরা তাহ দিয়া দেশের শস্ত দেশে রাথিতে পারি না। আমরা ধনশালী হইলে সব শস্ত নিজেদের আহারের জন্ত দেশে রাখিতে পারিতাম। কি বৎসর কি বৎসর, বর্তমানকালে ইংলণ্ডে ইংরাজদের আহারের জন্য যথেষ্ট গম কোন বৎসরই হয় না; যত দরকার আন্দাজ তাহার সিকি পরিমাণ হয়। যদি দেশে অজন্ম হইলেই দুর্ভিক্ষ হইত, তাহ হাজার অজন্ম হইলেও সমুদয় অধিবাসীর জন্ত যথেষ্ট থান্ত । সেখানে ত দুর্ভিক্ষ হয় না। কারণ, তথাকার লোকে শিল্পবাণিজ্য দ্বারা এরূপ ধন উপার্জন করে যে বিদেশ হইতে খাদ্য কিনিয়া আনিতে পারে। - আমরাও এক সময়ে পৃথিবীতে শিল্পবাণিজ্যের बछ বিখ্যাত ছিলাম। কোম্পানীর রাজত্বের সময় প্রধানতঃ নানা আইনকানুন ও অত্যাচারের, দ্বারা সে সব নষ্ট হইয়াছে। ভারতের সহস্রাধিক বন্দর এখন আর নাই ; এখন যে কয়টিতে ঠেকিয়ছে, তাহ আঙ্গুলে গোনা যায়। আমাদের বিদেশগামী• শত শত জাহাজ ছিল ; সে সবও | নাই । আমাদিগকে সরকার সাহিত্য, দর্শন ও পুথিগত বিজ্ঞান মুখস্থ করাইয়াছেন, নিজেদের কার্যসৌকর্যার্থ কেরাণী ও নিম্নতর কৰ্ম্মচারী সৃষ্টি করিয়াছেন, किरु খুব সাবধানতার সহিত শিল্পবাণিজ্য শিক্ষা হইতে দূরে । রাখিয়াছেন । । এখন উপায় কি? অন্তান্ত সভ্য দেশে প্রজারা যে ট্যাক্স । দেয়, তাহা তাহাদের মঙ্গলার্থে ব্যতি হয়; আমাদের টাকা । প্রধানতঃ ইংরাজের সুবিধার জন্ত খরচ করা হয়। আমরা । প্রতিবাদ করিলে কেবা শুনে ? আমাদের টাকা আমাদের । কাজে লাগিতেছে না। আমরা বিরক্ত হইয়া যদি প্রতিবাদ । করা পর্যন্ত ছাড়িয়া দি, তাহা হইলে তাহাতে গবৰ্ণমেন্টের স্ববিধ ভিন্ন অস্ববিধা নাই। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করি বা না করি, দেশরক্ষা ত আমাদিগকেই করিতে হইবে। একবার সরকারকে ট্যাক্স দিতেছি, অতিরিক্ত মাত্রাতেই দিতেছি। আবার দেশের হিতের জন্ত টাকা দেওয়া সহজ নহে। কিন্তু দিতেই হইবে। যে পাপে আমরা পরাধীন হইয়াছি, তাহার প্রায়শ্চিত্ত করিতেই হইবে। সেই প্রায়শ্চিত্ত অর্থ দিয়া, বুদ্ধি বিস্ত দিয়া, দেহপাত, প্রাণপাত করিয়া করিতে হইবে। আমাদের যে পরিমাণে অধোগতি হইয়াছে, আমাদের আত্মোৎসর্গ, সেই পরিমাণে আমাদের জীবনব্যাপী, আমাদের সর্বশক্তিগ্রাসী হওয়া চাই। নতুবা উদ্ধার নাই। আমাদিগকে যুগপৎ সকল দিকেই লাগিতে হইবে। অন্নকঃ নিবারণ, সাধারণ ও অর্থকরী বিস্তাদান, দেশের স্বাস্থ্যোন্নতি, দেশের লোকদের চরিত্রোন্নতি, সকল দিকেই চেষ্টার একান্ত প্রয়োজন। ঘুমাইবার সময় নাই, আলস্তের সময় নাই,