পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৩৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

”مے १०8, বর্তমান সময়ের-মত তোত পার্থীর ন্যায় আরবী না পড়াইয় নিয়মিত মতে অর্থ সহ আরবী পড়ান যায় তাহা হইলে মুসলমান ছাত্রগণও শুদ্ধ ভাবে ধৰ্ম্মশব্দগুলি উচ্চারণ করিতে ত পরিবেই অধিকন্তু তাহার মানিও বুঝিবে। যাহারা বলেন যে পারসী ভাষার মত সুললিত ও মুসলমানদের গৌরব পরিচারক উাষাকে একেবারে ত্যাগ করা উচিত নহে, প্তাহাদিগকে আমি এই বলিতে চাই যে আরবী ভাষা জানা থাকিলে পারসী ভাষা শিক্ষা নিজে নিজেও করা যায় কিন্তু পারসী ভাষাভিজ্ঞ কেহই সহজে আরবী ভাষা শিথিতে পরিবেন না। যাহারা বলেন যে উর্দু, জানা না থাকিলে ভদ্র সমাজে ও অন্যান্য প্রদেশের মুসলমানদের সঙ্গে আলাপ পরিচয় সুবিধা হয় না তাহাদিগকে আমি এই বলিতে চাই যে ভারতের সকল প্রদেশেরই শিক্ষিত ও ভদ্র মুসলমানদের সঙ্গে ইংরাজী ভাষাতে আলাপ চলিতে পারে ; অপর দিকে আরবী জানা থাকিলে প্রয়োজন মত যে উর্দু ভাষায় দুই চারিটা কথা না বলা যায় এরূপ নহে। সুতরাং বঙ্গীয় মুসলমান ছাত্রগণকে সৰ্ব্ব প্রথম কিছু বাঙ্গল শিখাইয়া বাঙ্গলা ভাষার সাহায্যে আরবী ও ইংরেজী শিক্ষা দিলে সময়ও অল্প লাগিবে এবং আমার বিশ্বাস শিক্ষাও ভাল হইবে। এ কথাগুলি চিন্তাশীল মুসলমানগণ একটু বিবেচনা করিয়া দেখিবেন কি ? আবদুল মন্ত্রীদ খাঁ, রাজশাহী কলেজের আরবীর অধ্যাপক । আনন্দ । সৰল বস্তুরই দুইটা দিক আছে-একটা ভিতর, একটা বাহির। ভিতরের বস্তু বলিলে যাহা খাট, যাহা আসল তাহাই বুঝায়, যেমন, ভাষায় আমরা বলিয়া থাকি-অত বাজে কথা রাশিয়া দাও, ভিতরের কথাটা কি ཐག.ཀt.*অর্থাৎ, ৰুহা আসল, যাহা মূলকথা তাহাই বল। কি জড় কি চৈতন্তময় সকল পদার্থের মধ্যেই যিনি ভেট এই ভিতরকার বস্তুর সহিত পরিচিত, তিনি ততটা সত্য যথার্থ উপলব্ধি ধরেন। ভৌতিকজগতে যিনি વત્તનો | - ..........................'."*** [ ৮ম ভাগ । এই ভিতরকার বস্তুর সহিত সম্যক পরিচিত র্তাহাকে আমরা বৈজ্ঞানিক বলি, অধ্যাত্মজগতে যিনি এই ভিতরকার বস্তুটিকে সম্যক তলাইয়া দেখেন তাহাকে আমরা দার্শনিক তত্ত্ববিৎ বলিয়া থাকি । কিন্তু ইহা ছাড়া আর একটি জগৎ আছে যাহা উক্ত , জগৎ হইতে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। ইহাকে প্রেমের জগৎ বলা যাইতে পারে। এইখানে একটি ভিতরকার বস্ত আর একটি ভিভরকার বস্তুকে শুধু জানিয়া, উহার সহিত সম্যক পরিচিত হইয়া ক্ষান্ত নহে—স্বেচ্ছায় এক অন্তের নিকট আপনাকে ধরা দেয়, মধুপাত্রে মক্ষিকার স্তার আপনাকে একেবারে আটকাইয়া ফেলে। এইখানে বৈজ্ঞানিক এবং দার্শনিকের সহিত প্রেমিকের তফাৎ। জ্ঞান এবং প্রেম দু’য়েরই ভিতরকার বস্তু লইয়৷ কারবার, কিন্তু উভয়ের প্রকৃতি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। জ্ঞান জ্ঞেয় বস্তুর অন্তরে প্রবেশ করিয়া ভিতরকার সন্ধান লইয়া ফিরিয়া আসে, প্রেম কিন্তু প্রিয়বস্তুর অন্তরে প্রবেশ করিয়া আর ফিরিয়া আসিতে চায় না, সেইথানেই রহিয়া যায়। স্বেচ্ছায় আপনাকে দান করিয়াই প্রেমের একমাত্র চরিতার্থতা। জ্ঞানে আমরা সত্য অর্জন করি, প্রেমে আমরা আপনাকে বর্জন করিয়া প্রিয় বস্তুকে লাভ করি। মুনিপুণ চিকিৎসক জ্ঞানকৌশলে রোগের মূল নির্ণ করিয়া, ব্যবস্থা দিয়া চলিয়া যান, কিন্তু আপনাকে দিয়া অহোরাত্র সেবা শুশ্রায় সেই রোগকে আরোগ্যের সুৰে আনিতে একমাত্র প্রেমই সক্ষম। প্রেমের নিকট নিজ মুখ দুঃখের পরিমাপ, হিসাব নিকাশ, ক্ষতিলাভ গণনা কিছুই নাই। প্রেম আত্মহারা। পৃথিবীর অন্যান্ত যাবতীয় বস্তুরই একটা বাজার দর আছে, কিন্তু প্রেমের বস্তু বিনিময়ের বস্তু নহে, অমূল্য। এই জন্য পৃথিবীতে এত ধনরত্ন ঐশ্বৰ্য্য থাকিতেও প্রেমিক ঐ সকলের কাহারও সহিত প্রিয় বস্তুকে উপমেয় বা পরিমেয় বলিয়া জ্ঞান করেন না, প্রিয় বস্তুর সহিত অবিচ্ছেদ সম্বন্ধ পাতিয়াই প্রেমিকের একমাত্র মুখ, আনন্দ। - দৃষ্টান্ত দ্বারা এই কথাটিকে পরিস্ফুট করা যাইতে পারে। রঘুবংশে আছে-লক্ষণ যখন সীতাকে গৰ্বাবস্থা বনে রাখিয়া রামচন্ত্রের নিদাৰুণ আজ্ঞা প্রস্থ করাইলেন, তখন । 3. ১২শ সংখ্যা । ] ट्यांमना । - 双弧闯 ; - - ------ - -- নানা কথার পর সীত রামচন্ত্রের উদ্দেশে করিয়া, ফুল্ল ফুল ফলে তাহাকে সঞ্জীবিত করিয়া বলিতেছেন,— তোলে । ... " - সাহং তপঃ স্বর্যানিবিঃদৃষ্ট: উৰ্দ্ধং প্রস্থতে চরিতৃঃ যতিয়ে । তুয়ো যথা মে জননাস্তরেইপি ত্বমেব ভর্তা ন চ বি প্রয়োগঃ ॥ প্রসবের পর আমি স্বৰ্য্যের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করিয়া এমুনি তপস্তায় নিযুক্ত থাকিতে চেষ্টা করিব, যাহাতে জন্মান্তরেও পুনঃ আমি যেন তোমাকেই ভৰ্ত্তারূপে পাই— আর যেন বিচ্ছেদ না হয়। রামচন্দ্রের প্রতি সীতার এই উক্তি কেবলমাত্র কবিকল্পনা নহে। ইহা সীতার যথার্থ প্রাণের কথা। পতিপ্রাণা সতী সহস্ৰ দুঃখতাপের মধ্যে নিক্ষিপ্ত ইষ্টলেও পতি হইতে কদাপি বিযুক্ত হইবার ইচ্ছা করেন না, কেন না, পতিই সতীর প্রাণ । .রামচন্দ্রকে পতিরূপে লাভ করিয়া সীতা জীবনে যে অশেষ দুঃখ ক্লেশ লাঞ্ছন নিগ্ৰহ ভোগ করিয়াছিলেন তাহা কাহারও অবিদিত নাই। এক্ষণে, সকল দুর্ভাগ্যের পরাকাষ্ঠা—রামচন্দ্র কর্তৃক পরিত্যক্ত হইয়াও সীতা জন্মান্তরেও পুনরায় সেই রামচন্দ্রকেই পতিরূপে পাইবার আকাঙ্গা করিতেছেন —শুধু আকাঙ্ক নহে, তজ্জন্ত দুঃসহ তপশ্চরণেও উদ্ব্যক্তা ! ইছ অপেক্ষ প্রেমের টি.স্বার্থপরতা ও আত্মত্যাগের মহত্তর मृद्देास्त्र श्राद्ध कि ইহতে পারে! বিশ্বপতি ভগবানকেও ভক্ত ঠিক এইরূপ ভাবেই দর্শন করেন। ভগবানকে পাইবার জন্ত ভক্ত দুঃখের বোঝার পর বোঝা মাথায় তুলিয়া লইতে প্রস্তুত, কিন্তু জীবন বল্লভের তিলমাত্র বিচ্ছেদ তাহার পক্ষে অসহ। কেন ? কি জঙ্ক ? ইহার ও সেই একমাত্র কারণ,—ভগবান ষে ভক্তের প্রাণ অপেক্ষ প্রিয়, প্রিয় হইতেও প্রিয়, সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রিয়-জীবনের একমাত্র আনন্দ আরামস্থল। প্রেমের এই আত্মদান হইতে আনন্দ স্বতঃই উদ্ভূত হয়। আনন্দ পাইব বলিয়া প্রেম নহে, প্রেমের অবশুম্ভাৰী | বীজ ধরণীগর্ভে আপনাকে দান করে, আর কোথা হইতে গোৱা উচ্ছসিত হইয়া, অভিষিক্ত by সকল আনন্দ অপেক্ষা পরমাত্মার সহিত সংযোগজনিত আনন্দকে আমাদের শাস্ত্র সর্বশ্রেষ্ঠ আসন দান করিয়াছেন। ইহার সহিত পৃথিবীর আর কিছুরই তুলনা श्प्र न1 ।- - রসেী বৈ সঃ। রসাহেবার লৰ ধ্বাননী ভৰতি । সেই পরমাত্মা রসস্বরূপ, তৃপ্তিহেতু। সেই রসস্বরূপ পরব্রহ্মকে লাভ করিয়া জীৰ আনন্দিত হয়েন।

a • G. এই পরব্রহ্মকে লাভ করা বা পাওয়ার একটু বিশেষ অর্থ আছে। পূৰ্ব্বেই বলা হইয়াছে প্রেমে আমরা আপনাকে দান করিয়া প্রিয়বস্তুকে লাভ করি। পৃথিবীর অন্ততি যাবতীয় বস্তুকে আমরা লাভ করিলাম বলিয়া মনে করি যখন উচ্চাদিগকে কাজে থাটাইয়া স্বীয় প্রয়োজন সাধন করিতে পারি,—উহাদিগকে আপন হইতে পৃথকভাবে গ্রহণ করি, কিছুষ্ট দান করি না। পৰব্ৰহ্মকে লাভ কর। বা পাওয়ার অর্থ-আপনাকে দিয়ে ফেলা, স্বেচ্ছায় অধীনতা স্বীকার করা, আত্মাভিমান অহঙ্কারকে নাশ করা। প্রেমের লাভ এবং আনন্দ এই দানে, এই আত্মদানে, এই স্বাধীনতাদানে। সংসারে প্রিয়তমকে লাভ করিয়া মানবের যে তৃপ্তি, যে আনন্দ, ভগবানে সেই আনন্দের পূর্ণতা, পরিসমাপ্তি। শাস্ত্রে ভগবানকে অতীন্দ্রিয় বলিয়া নির্দেশ করিয়াছে। এই অতীন্দ্রিয় পদার্থকে প্রেম যে কি চক্ষে দেখে তাহা সেই জানে! দেখিবার বস্তু নহে, ছুইবার বহু নহে, ইন্দ্রিয়ের দ্বারা গ্রহণ করিবার বস্তু নহে,—তবুও জানিয়া আনন্দ, ভাবিয়া আনন্দ, ডাকিয়া আনন্দ,—জ্ঞানে আনন্দ, ধ্যানে আনন, নামে আনন্দ । ছাড়া ধৰ্ম্ম জগতে আর কিছুরই নাই। শিশুর নিকছু জননীর অঞ্চলটুকুর ঠায় প্রেমিকের নিকট পরমায়ার স্বই কণাটুকু, অণুপরমাণুটুকু পৰ্য্যন্তও গন্ধে ভর আনন পরিপূর্ণ। - আনন্দই ব্ৰহ্ম।— * - - কোহেবাক্ষাৎ কঃ প্রাণ্যাৎ যন্বেষ আকাশ আনন্মোনন্তাৎ ! এযহেবানন্দয়াতি ॥ ... * ". কেবা শরীর চেষ্টা করিত্ব, কেব৷ জীবিত থাক্ষিত, - . প্রেমের মত এরূপ সৃষ্টি- । -