পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাগুসন কলেজ, পুণ । H- /\ ২য় সংখ্যা । ] ............................ -l.--l.-.......................... পুণা। বোম্বাই অঞ্চলে পুণা একটি পুরাতন এবং বিখ্যাত সহর। ১৭৫৯ খৃষ্টাব্দে বালাজী বাজী রাওয়ের অধীনে এখানে মহারাঠাদের রাজধানী স্থাপিত হইয়াছিল। ১৭৬৩ সালে হায়দারাবাদের নিজাম আলি ইহাকে লুট এবং ধ্বংস করে। পেশব ও সিন্ধিয়া উভয়ের মিলিত সৈন্ত যশোবন্ত রাও হোলকার কর্তৃক এইখানে পরাজিত হয়। ১৮১৭ খৃষ্টাব্দে পুণার সন্নিকটে ইংরাজের সহিত কিরকীর যুদ্ধে মহারাঠা সুৰ্য্য অস্তমিত হয়। কথিত আছে পাৰ্ব্বতী মন্দিরের এক গবাক্ষ হইতে শেষ পেশবা বাজীরাও কিরকীর যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করিয়াছিলেন এবং স্বীয় সৈন্তের পরাজয় দেখিয়া পলায়ন করিয়াছিলেন। এই মন্দির সহরের দক্ষিণে এক পাহাড়ের উপর ১৫,০০,০০০ টাকা ব্যয়ে পেশব বালাজী বাজী রাও কর্তৃক নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। শিবরাত্রি ও দেবালীর দিনে এখানে বহু লোকের সমাগম হয় এবং অন্তান্ত দিনে সন্ধ্যার সময় কেহ কেহ বেড়াইতে বা দেবীমূৰ্ত্তি দর্শন করিতে যায়। ১৮১৮ খৃষ্টাব্দে পুণা সহর ইংরাজহস্তগত হয়। সহরের নিকটেই ইংরাজদিগের সৈন্তাবাস এবং ইংরাজ কৰ্ম্মচারী ও ধনী লোকের বাসোপযোগী বহু অট্রালিকা আছে। এখানকার জল বায়ু নাতিশীত নাতিউষ্ণ বলিয়া ইংরাজদিগের অত্যন্ত প্রিয়। বোম্বাই অঞ্চলের সৈন্তের প্রধান আড্ডা পুণা ছাউনিতে অবস্থিত। বর্ষাকালে প্রায় তিন মাস বোম্বাই লাট এই থানে বাস করেন। পুণা সহর ও ছাউনিতে ১৫৩,০০০ লোকের বাস ছিল বলিয়া ১৯০১ সালের আদম শুমারীতে ধাৰ্য্য হইয়াছিল। ১৮১৮ খৃষ্টাব্দে পুণা ইংরাজহস্তগত হইলে দূরস্থ লোকের এখানে আর বিশেষ দৃষ্টি ছিল না। বাহিরের লোকের চক্ষে ইহার প্রাধান্ত কমিলেও ইহা মহারাঠা ব্রাহ্মণদিগের কেন্দ্রস্থলরূপে বিরাজ করিতেছিল। কিন্তু ইংরাজ শাসনকৰ্ত্তাগণ পুণাবাসী ব্রাহ্মণদিগকে সৰ্ব্বদা সন্দেহের চক্ষে দেখিয়া থাকে। পুণাবাসী তাহাদের লুপ্ত গৌরবের দিন এখনও সম্পূর্ণরূপে ভূলিতে পারে নাই এবং ব্রাহ্মণগণ কুটবুদ্ধিসম্পন্ন এইরূপ বিশ্বাসই এই সন্দেহের কারণ বলিয়া বোধ হয়। ক্রমে কিছুদিন হইতে পুণ পুনরায় দূরস্থ ভারতবাসীদিগের দৃষ্টি – পুণ । s & SSAAAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS আকর্ষণ করিতেছে। এখানে স্বৰ্গীয় মহাদেব গোবিন্দ রানাডে, শ্ৰীযুক্ত বালগঙ্গাধর তিলক ও গোপালকৃষ্ণ গোখলে প্রভৃতি প্রতিভাশালী লোকের বাস ; ফগুসন কলেজ, সাৰ্ব্বজনিক সভা, হিন্দু বিধবা বালিকাশ্রম, ভারতবর্ষীয় সেবক সমিতি প্রভৃতি সভা ও মঠের অবস্থান ; ইহা রাজনৈতিক আন্দোলনের এক প্রধান আডডা ; কেশরী ও মহারাট্রা পত্রিকার উৎপত্তি স্থান। পুণা এক্ষণে আধুনিক স্বদেশপ্রেমী ভারতবাসীদিগের প্রধান তীর্থস্থান রূপে পরিগণিত হইবার যোগ্য। এই তীর্থের প্রধান প্রধান সমিতি ও মঠের সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিয়ে বিবৃত করা যাইতেছে। দক্ষিণী শিক্ষা-সমিতি ও ফগুসন কলেজ । শ্ৰীযুক্ত বালগঙ্গাধর তিলক এবং স্বৰ্গীয় মহাদেব বল্লাল নামযোশীর সাহায্যে ১৮৮০ খৃষ্টাব্দে স্বৰ্গীয় মহাত্মা বিষ্ণু কৃষ্ণ চিপ্লোস্কর নূতন ইংরাজী বিদ্যালয় (New English School) নামে পুণা সহরে এক পাঠশালা স্থাপন করেন। সাধারণ লোকের পক্ষে শিক্ষা সুলভ করাই এই বিদ্যালয়ের উদেশ্ব। ক্রমশঃ অন্যান্ত স্বাৰ্থত্যাগী শিক্ষিত লোক স্থাপনকর্তাদিগের সহিত যোগ দিতে লাগিলেন এবং ছাত্রসংখ্যাও বৃদ্ধি পাইতে লাগিল। চেষ্টার এইরূপ অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়া স্থাপনকর্তাগণ একটি কলেজ ও স্থানে স্থানে স্কুল স্থাপন করিয়া তাহাদের কার্য্যের প্রসার করিবার প্রস্তাব করিলেন। ইহার প্রসার ও ইহা স্থায়ী করিবার উদেখে ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দে তাহারা একটি সমিতির উপর ইহার ভার অর্পণ করিলেন। এই সমিতির নাম Deccan Education Society as of on foothfifs Sows খৃষ্টাব্দের ২৪শে অক্টোবর তারিখে এই সমিতি রেজেষ্টারী হয় এবং পর বৎসর জানুয়ারি মাসে তদ্বারা পুণা সহরে একটি কলেজ স্থাপিত হয়। বোম্বাই বিভাগের ভূতপূৰ্ব্ব লোকপ্রিয় শাসনকৰ্ত্তা ফগুসন সাহেবের নামে ইহার নাম করণ হয়। - “To facilitate and cheapen education by starting, affiliating or incorporating at different places as circumstances permit, schools and colleges under private management or by any other ways best adapted to the wants of the people." অর্থাৎ অল্প কথায়, দক্ষিণাঞ্চলে শিক্ষা সুলভ করাই এই