পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

m o - - --WikitanvirBot (আলাপ) من ة لا .


সর্গের অভাব নাই। তাহাজের ব্যবহারে দেখা যাইতেছে,

রোধের চিহ্ন দেখিয়াছে। তাহারা নিজেদের প্রাণকে তৃণভূল্য জ্ঞান করে। তাহারা নিজেদের লাভ, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার চরিতার্থতা বা ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই কার্ঘ্যে প্রবৃত্ত হয় নাই ; তাহারা ভ্রান্ত হইলেও নিজের মনে করিয়াছিল যে দেশের মঙ্গলের জন্য এই কাজ করিতেছে। তাহদের আত্মোৎসর্গ,-অমঙ্গলকর ও বিপথচালিত হইলেও, একপ্রকারের আত্মোৎসর্গ বটে। তাহারা নিজ নিজ স্বীকারোক্তিতে নিৰ্ভীকতা ও সত্যবাদিতার পরিচয় দিয়াছে। তাহার কোথা হইতে বলুকাদি অস্ত্র সংগ্ৰহ করিয়াছে, নিজেদের ব্যনিৰ্ব্বাহের জন্ত টাকা পাইয়াছে, তাহা প্রকাশ করিবে না বলিয়া কথা দিয়াছিল বলিয়া, প্রকাশ করিতেছে মঞ্চ জঙ্গ-লা-"ঙ্কজানে। নিরপরাধ স্ত্রীলোক হটির মৃত্যুতে তাহারা দুঃখিত হইয়াছে, এবং ইহাতে আপনাদের কার্য্যে বিধাতার অভিসম্পাত ও সুতরাং, অনেক সংবাদপত্রের পাদক তাহদের সম্বন্ধে যেরূপ অতিশয়োক্তি করিতেছেন, তাহা স্তায্য নহে; কারণ, ইংরাজী প্রবচন অনুসারে, শয়তানকেও তাহার প্রাপ্য দেওয়া উচিত। ইহাও বলা উচিত যে বাঙ্গালী বোমাওয়ালার এনার্কিষ্ট, বা নিহিলিষ্ট নহে, বিপ্লবকারী মাত্র। - - এই ঘটনায় অনেক ভাবিবার বিষয় আছে। ইহা কেন ঘটিল ? ফ্রান্স স্বাধীন, আমেরিকার যুক্তরাজ্য স্বাধীন ; কিন্তু সেখানেও বোমা ছুড়ার দৃষ্টাস্তের অভাব নাই। স্বতরাং কেবল শিয়ার মত বাজার বাবা স্বেচ্ছাশতি এবং উৎপীড়িত দেশেই এরূপ ঘটে, এরূপ সাধারণ নিয়ম নির্দেশ করা যায় না। সাধারণ বিধির অন্বেষণ করিবার আমাদের প্রয়োজনও নাই। আমাদের দেশে ইহার উৎপত্তির কারণ সহজেই ধরা যায়। বঙ্গবিভাগের সময় হইতে আমাদের দেশে আমাদের মত, আমাদের স্বথদুঃখ, ও জাতীয় উন্নতির প্রতি, ইংরাজের সম্পূর্ণ উপেক্ষ ও প্রতিকুলত স্পষ্টতর হইয়া উঠিয়াছে ইংরাজের কাছে ছায়বিচার পাইবার আশা মরীচিকা, পাইবার ইচ্ছাটাও ভ্রমপ্রস্তুত এবং অনিষ্টকর,—ইহা এখন অনেকেরই মত। ইহাদের মধ্যে যাহার বীরবুদ্ধি, তাহশ আত্মনির্ভর, স্বাধীনত, ও আন্মোন্নতির


--محي. ---------------------------

- প্রবাসী । [ ৮ম ভাগ । - দিকে সাবিক পথে, শাস্তির পথে অগ্রসর হইতে চেষ্টত। যাহাদের ধৈর্য্য ও সাবিকতা কম, তাহারা, নিরস্ত্র দেশে প্রকাগু বিদ্রোহ ও যুদ্ধের সম্ভাবনা না থাকায়, পাশ্চাত্য ভীতিউৎপাদক দলের (Terrorists) বোমানিক্ষেপ প্রথা অবলম্বন করিয়াছে। সুতরাং মূলে ইংরাজই ইহার জন্য দায়ী। এখন যদি ইংরাজ অবিচার, উৎপীড়ন, নিগ্রন্থ, ' আইনের বাধাবাধি ও গোয়েন্দাগিরির মাত্রা বাড়ান, এবং । আমাদের যে অল্প স্বাধীনতা আছে, তাহাও হরণ করেন, তাহা হইলে কাহারও মঙ্গল হইবে না। কারণ দেখা যাইতেছে, দেশে (ক্ষুদ্র হইলেও ) একদল "মরিয়া লোক জন্মিয়াছে। ইহারা রক্তবীজের দল। করিলে ইহাদের দল বাড়িয়া চলিবে। এই অনর্থের প্রতিকারের উপায়, ধৰ্ম্মসঙ্গত ভাবে দেশশাসন, মানুষকে গায়ের রং নিৰ্ব্বিশেষে মানুষ বলিয়া গণ্য করা, দেশের লোকের ধন, শিক্ষা ও স্বাধীনতা বৃদ্ধি করা। ইহা छि অন্য উপায় নাই । পশিববলের দ্বারা কার্য উদ্ধার হইবে না। কারণ ! পাশববলের বিরুদ্ধে পাশববল প্রয়োগে, ভয়ের বিরুদ্ধে ভয় । প্রদর্শনে সমর্থ ও ইচ্ছুক একদল লোক দেখা দিয়াছে। । মনে রাখা উচিত। পাইয়োনীয়ার,ইংলিশম্যান, প্রভৃতি কাগজে এখন কঠোর তাহারা নির্ভীক, মরিতে প্রস্তুত । - ভীরুতা-অপবাদ-কলঙ্কিত বাঙ্গালীর শাসন রুশীয় প্রথায় পরিচালিত হওয়ায়, এক ক্ষুদ্র দল তাহার রুশীয় রকমের জবাব দিতেছে। স্বতরাং রুশীয়-শাসন-প্রথা ভারতে প্রবলতর ও বিস্তৃততর হইলে, তাহার জবাবটাও ভীষণতর হওয়া অসম্ভব নহে। ] এখন কথা এই যে, ইংরাজ এখন নরম হইয়া ধৰ্ম্মপথে । চলিলে, তাহার “প্রেষ্টিজ' থাকে না, ইজ্জত থাকে না, তাহার শক্তি ও সাহসের একটা লোক-দেখান আড়ম্বর, নির্ভীকতার ভাণ, থাকে না ;–তাহার এই অপবাদ रु ! যে সে ভয় পাইয়াছে। কিন্তু এই অপবাদের ভয়ে, “প্রেষ্টিজ” । যাইবার ভয়ে, দ্যায়সঙ্গত কার্য হইতে বিরত থাকা? একটা মস্ত ভীরুতা। মুন্ধিল এই যে অধৰ্ম্ম শাখারির করাতের মত দিকে কাটে। ইংরাজ অধৰ্ম্ম করায় বোমা নিক্ষিপ্ত হইয়াছে ; অধৰ্ম্মের মাত্রা বাড়িলে বােমাও বাড়িতে পারে। } অপরদিকে অধৰ্ম্মপথ হইতে প্রতিনিবৃত্ত হইলেও ভীত । অপবাদের ভয় আছে। বাহ হউক, আমাদের ইংরাজকে । - .---- - মনে করি। দেশবাসীই ঐ দলের সহায়ুভূতিকারী, তাহা হইলেই বা এই <সম্পাদকেরা কি করিতে চান ? সকলকে ফালী দিতে, সিন করিতে, জেলে পাঠাইতে কেহই পারে না। লেখক লোককে ঐ প্রকার সাজা দিয়াও ত রুশিয়ার দেখা গিয়াছে। কি ফল হইয়াছে ? এখন ত এ কথাও বলা চলে না যে রুশীয় চরিত্রে সাহস ও দৃঢ়তা আছে, কিন্তু नकण दात्राणैौब्रहे फ़ब्रिट्ज ८कदण उँौक्रङ ७ शृश्य রক্তপান্ত । ২য় সংখ্যা। ] -പ്പWikitanvirBot (আলাপ) .-..................................WikitanvirBot (আলাপ)് পরামর্শ দিবার ইচ্ছা নাই। কারণ আমাদের পরামর্শ মাৱ শুনিবে না। আমাদের কি কর্তব্য তাহাই পরে বিবেচ্য। কোন কোন ইংরাজ সম্পাদক সৰ্ব্বপ্রকার রাজনৈতিক আন্দোলনকারাদিগকে সাক্ষাৎ বা পরোক্ষভাবে, অধিক বা । बङ्ग মাত্রায় বোমানিক্ষেপকদিগের সহযোগী বলিতেছেন। ইহার উত্তর দেওয়া আমরা নিম্প্রয়োজন ও অবজ্ঞার বিষয় किरु पनि पहिब्राहे ग७ब्र यांग्र cय गभूष* আছে। ১ ८वनॆ cखाएम शैषिष्ठ cशरण प्रक्लि ईिक्लिन्न पब्रि । কোন সদগুণের বা অসদগুণের কল্পিত অভাবে, ভাল বা মন কোন - কাজই কোনও জাতির অসাধ্য থাকে না, ইহাও আইন, কঠোর শাস্তি, প্রভৃতির পরামর্শ দেওয়া হইতেছে। লোককে মারিয়া ফেলে, তখন পাইয়োননীয়ার কি লিখিয়া ছিলেন দেখুন। “The horror of such crimes is too great for words, and yet it has to be acknowledged, almost, that they are the only method of fighting left to a people who - - are at war with despotic rulers able to command ~great military forces against which it is impossible for the unarmed populace to make a stand. When the Czar dissolved the Duma he destroyed all hope of reform being gained without violence, Against bombs his armies are powerless, and for that reason he cannot rule, as his forefathers did, by the sword. It becomes impossible for even the stoutest-hearted men to govern fairly or strongly when every moment of their lives is spent in terror of a revolting death, বিবিধ প্রসঙ্গ ।


ی۔۔۔۔۔۔۔۔--.۔۔-بی.--- ...عہ

SMMSMSMS and they grow into craven shirkers, or sustain themselves by a frenzy of retaliation which increases the conflagration they are striving to check. Such conditions cannot last.”—The Pioneer, 29th August, 1906. - - - অর্থাৎ পাইয়োনীয়ারের মতে রুশিয়ায় মাকড় মারিলে ধোকড় | ट्’न । - ইংরাজকে আর একটা কথা বলিতে চাই। আমাদের । কোন কোন কাগজে খুব শীঘ্ৰ বোমানিক্ষেপকদিগের প্রতি ক্রোধওন প্রকাশ করা হয় নাই বলিয়াইংরাজ সম্পাদকের । ভারি বিস্ময় ও অসন্তোষ প্রকাশ করিতেছিলেন, ক্রোধও ঘূণ । প্রকাশ করাইবার জন্য তাগিদ দিতেছিলেন। আমরা অবশু নরহত্যাকারী নহি, ওরূপ কাজ ধৰ্ম্মসঙ্গতও মনে করি না। কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, ইংরাজ হত্যাকারীরা যখন অকারণ নিরপরাধ দেশীয় লোকের প্রাণ বধ করে, তখন - তোমাদের ক্রোধ ও ঘৃণা কোথায় থাকে ? উত্তেজনাপ্রস্থত রাজনৈতিক গুপ্ত হত্যাও সমর্থনযোগ্য নহে; কিন্তু অকারণ অসহায় নেটিভ হত্যার বেলা তোমরা চুপ্‌ করিয়া থাক কেন ? তোমরা. আর যাহা কর, ভণ্ডামির মাত্রা - আর বাড়াইও না। এখন আমাদের কি কর্তব্য তাহ বিবেচ্য। আমরা - দেখিতেছি আমাদের দেশের অনেক বিপথগামী লোকদেরও ৷ চরিত্রে,সাহস আছে, মৃত্যুকে অগ্রাহ করিবার ক্ষমতা আছে, তোহাদর মতে)দেশের জন্ত আত্মোৎসর্গ আছে,দৃঢ়তা আছে, সত্য রক্ষার ক্ষমতা আছে। এই সকল সদগুণ অন্ত অনেক লোকের চরিত্রেও নিশ্চয়ই আছে। এই সকল সদগুণ ও শক্তি দেশের কল্যাণকর পথে চালিত করাই দেশের নেতাদের এখন প্রধান কাৰ্য্য। ੰ বোমানিক্ষেপকদের কাজের সমর্থন কেন করি না, তাহা বলিতেছি। ইহা ধৰ্ম্মসঙ্গত নহে। অধৰ্ম্মের দ্বারা অধৰ্ম্মের দমন হয় না, ধর্মের দ্বারা হয়। কিন্তু ধর্থের আদর্শ সম্বন্ধে যদি মতভেদ হয়, তাহা হইলে বলি, ইহা নিষ্ফল। মনে করুন, যদি কিংসফোর্ড সাহেবই মারা পড়িত, যদি মিন্টে এবং মলাকেও মারা যাইত, তাহাতে তাহদের স্থানাভিষিক্ত হইবার লোকের অভাব হইত না। শেষোক্ত লোকদের প্রাণবধ করিলে তাহদেরও যায়গায় অন্ত লোক ফুটিত। রোগের বীজ ত এই লোকগুলিতে নয়, রোগের