পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- -- - - - --- - - - - - - ੇ * ੇ- - - গোরা । كه و( . > প্রবাসী । -്~--l.--്..... ------ ১ম ঘুংখ্যা । ] - SMMMSJSMSMSMJMS MMJSJS JJ স্বচরিতা ও পরেশ বাবুর কন্যাদের অস্তিত্ব সম্বন্ধে গোরা - গিয়া সম্পূর্ণ উদাসীন ছিল, তাহার পরে মধ্যে অবজ্ঞাপূর্ণ বিরুদ্ধ গিয়াছিলেন; কথা ছিল সন্ধ্যার সময় পরেশবাবু গি - ভাব তাহার মনে জন্মিয়াছিল, এখন তাছার মনে একটা তাহাদিগকে ফিরাইয়া আনিবেন। পরেশবাবুর যাইবার সম্ম । কৌতুহলের উদ্রেক হইয়াছে। বিনয়ের চিত্তকে কিসে যে হইয়াছে। এমন সময় গোর ও বিনয় আদি পড়াতে তাহার এত করিয়া আকর্ষণ করিতেছে তাহ জানিবার জন্ত তাহার বাধা পড়িল। কিন্তু আর বিলম্ব করা উচিত হইবে না জানিয়া - মনে একটা বিশেষ আগ্রহ জন্মিয়াছে। তিনি হারান ও সুচরিতাকে কানে কানে বলিয়া গেলেন । উভয়ে যখন পরেশবাবুর বাড়ি গিয়া পৌছিল তখন সন্ধ্যা “তোমরা এদের নিয়ে একটু বে: আমি बड 3 ”nf ། • হইয়াছে। দোতলার ঘরে একটা তেলের সেজ জালাইয়া - - -- . -------- --- বরাদরী তাহার তিন মেয়েকে লইয়া নিমন্ত্রণে ৮ম ভাগ। SMMSMSAASAASAASAASAASAASAASAAAS .۰۰۰-م میمی................... ----------------WikitanvirBot (আলাপ) ১৪:১৪, ২৪ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি) সেই দিনই অর্থাৎ ঝগড়ার পরদিনই অপরাহ্নে গোরা, যখন তুলে বল্লেন ‘আপনার মনে করেন, জগতের কাজ বিনয়ের বাসায় আসিয়া উপস্থিত হইল। আজই গোরা, আপনার করবেন, আর আপনাদের কাজ আমরা করব । আসিবে বিনয় কোনো মতেই এমন আশা করে নাই। সেই সেটি হবার জে৷ নেই ! জগতের কাজ, হয় আমরাও চালাব জন্য সে মনে মনে যেমন খুসি তেমনি আশ্চৰ্য্য হইয়া উঠিল। নয় আমরা বোঝা হয়ে থাকব আমরা যদি বোঝা হই তখন । - আরো আশ্চর্য্যের বিষয় গোর পরেশবাবুদের মেয়েদের - কথাই পড়িল অথচ তাহার মধ্যে কিছুমাত্র বিরূপতা ছিলনা। | બરે আলোচনায় বিনাকে উত্তেজিত করিয়া তুলিতে বেশী চেষ্টার প্রয়োজন করে না। .”------------- o রাগ করে বলবেন পথে নারী বিবর্জিত। কিন্তু নারীকেও যদি চলতে দেন তাহলে পথেই হোক ঘরেই হোক নারীকে বিবর্জন করবার দরকার হয় না। তখন আমি আর ফিরে আসচি।” কোনো উত্তর না করে চুপ করে রইলুম। ললিতা সহজে সুচরিতার সঙ্গে বিনয় যে সকল কথার আলোচনা করিয়াছে তাহ আজ সে বিস্তারিত করিয়া গোরাকে বলিতে লাগিল। সুচরিতা যে বিশেষ আগ্রহের সহিত এ সকল প্রসঙ্গ আপনি উথাপিত করে এবং যতই তর্ক করুক না কেন মনের অলক্ষ্য দেশে সে যে ক্রমশই অল্প অল্প করিয়া সায় দিতেছে এ কথা জানাইয়া গোরাকে বিনয় উৎসাহিত করিবার চেষ্টা করিল। বিনয় গল্প করিতে করিতে কহিল—“নন্দর মা ভূতের কথা কন না, কিন্তু যখন কন তখন খুব সাবধানে উত্তর । দিতে হয়। যাই বল গোরা আমারো মনে খুব বিশ্বাস হয়েচে যে আমাদের মেয়ের যদি চীন রমণীদের পায়ের মত সঙ্কুচিত হয়ে থাকে তাহলে আমাদের কোনো কাজই এগোবে Fil " - গোরা। মেয়েদের শিক্ষা দেওয়া হবে না এমন কথা আমি ত কোনো দিন বলি নে । বিনয় । চারুপাঠ তৃতীয় ভাগ পড়ালেই বুঝি শিক্ষা হারান তাহার একটা ইংরেজি লেখা পরেশবাবুকে শুনাইতেছিলেন। এ স্থলে পরেশবাবু বস্তুত উপলক্ষ্য মাত্র ছিলেন— সুচরিতাকে শোনানই তাহার উদ্দেশ্ব ছিল। স্বচরিত টেবিলের দূরপ্রান্তে চোখের উপর হইতে আলো আড়াল করিবার জন্য মুখের সাম্নে একটা তালপাতার পাথা তুলিয়া ধরিয়া চুপ করিয়া বসিয়াছিল। সে আপন স্বাভাবিক বাধ্যতাবশত প্রবন্ধটি শুনিবার জন্ত বিশেষ চেষ্টা করিতেছিল, কিন্তু থাকিয়া থাকিয় তাহার মন কেবলি অন্ত দিকে যাইতে দেখিতে দেখিতে গোর এবং হারানবাবুর মধ্যে - তুমুল ৷ তর্ক বাধিয়া গেল। যে প্রসঙ্গ লইয়া তর্ক তাহ এই – । কলিকাতার অনতিদূরবর্তী কোন জেলার ম্যাজিষ্টেটু ব্রাউনলো সাহেবের সহিত ঢাকায় থাকিতে পরেশবাবুদের আলাপ হইয়াছিল। পরেশবাবুর স্ত্রী কস্তারা অন্তঃপুর হইতে বাহির হইতেন বলিয়া সাহেব এবং তাহার স্ত্রী ইহাদিগকে বিশেষ থাতির করিতেন। সাহেব তাহার জন্মদিনে প্রতিবৎসরে কৃষিপ্রদর্শনী মেলা করিয়া থাকেন। এবারে বরদাসুন্দরী ব্রাউনলো সাহেবের স্ত্রীর সহিত-দেখা করিবার সময় ইংরেজি ওঝা এনে নন্দকে কি করে মেরে ফেলেছে এবং তাই নিয়ে দেওয়া হয়। - ছিল। - - তোমার সঙ্গে কি কথা হয়েছিল তাই যখন বলছিলুম তথন | এমন সময় চাকর আসিয়া যখন গোরা ও বিনয়ের কাব্য সাহিত্য প্রভৃতিতে নিজের কন্যাদের বিশেষ পারদর্শিতার গোরা। আচ্ছা, এবার থেকে বিনয়বোধ প্রথম ভাগ - - তিনি বল্লেন-আপনারা মনে করেন ঘরের মধ্যে আবদ্ধ আগমন-সংবাদ জ্ঞাপন করিল, তখন স্বচরিত হঠাৎ চমকিয়া কথা উত্থাপন করাতে মেম সাহেব সহসা কহিলেন, এবার ধরানো যাবে। করে মেয়েদের রাধতে বাড়তে আর ঘর নিকোতে দিলেই তাদের সমস্ত কৰ্ত্তব্য হয়ে গেল। একদিকে এমনি করে তাদের বুদ্ধিশুদ্ধি সমস্ত থাটো করে রেখে দেবেন তার পরে যখন তারা ভূতের ওঝা ডাকে তথনো আপনার রাগ করতে ছাড়বেন না, যাদের পক্ষে দুটি একটি পরিবারের মধ্যেই সমস্ত বিশ্বজগৎ তারা কখনই সম্পূর্ণ মানুষ হতে পারে না–এবং তারা মানুষ না হলেই পুরুষের সমস্ত বড় কাজকে নষ্ট করে অসম্পূর্ণ করে পুরুষকে তার নীচের দিকে ভারাক্রান্ত করে নিজেদের দুর্গতির শোধ তুলবেই। নদর মাকে আপনার এমন করে গড়েচেন এবং এমন জায়গায় ঘিরে রেখেছেন– যে আজ প্রাণের দায়েও আপনার যদি তাকে সুবুদ্ধি দিতে চান ত সেখানে গিয়ে পৌছবেই না।”—আমি এ নিয়ে তর্ক করবার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু সত্য বলচি গোরা মনে | মনে তার সঙ্গে মতের মিল হওয়াতে আমি জোরের সঙ্গে তর্ক করতে পারিনি। তার সঙ্গে তবু তর্ক চলে কিন্তু ললিতার সঙ্গে তর্ক করতে আমার সাহস হয় না। ললিতা সেদিন দুই বন্ধুতে ঘুরিয়া ফিরিয়া কেবলি পরেশ বাবুর মেয়েদের কথা হইতে হইতে রাত হইয়া গেল। গোরা একলা বাড়ি ফিরিবার পথে ঐ সকল কথাই মনের মধ্যে নাড়াচাড়া করিতে লাগিল এবং ঘরে আসিয়া বিছানায় শুইয়া যতক্ষণ ঘুম না আসিল পরেশ বাবুর মেয়েদের কথা মন হইতে তাড়াইতে পাড়িল না। গোরার জীবনে এ উপসর্গ কোনো কালেই ছিল না, মেয়েদের কথা সে কোনোদিন চিন্তা মাত্রই করে নাই। জগদ্ব্যাপারে এটাও যে একটা কথার মধ্যে এবার বিনয় তাহ প্রমাণ করিয়া দিল । ইহাকে উড়াইয়া দিলে চলিবে না, ইহার সঙ্গে হয় আপোষ নয় লড়াই করিতে হইবে। পরদিন বিনয় যখন গোরাকে কহিল—“পরে। বাবুর বাড়িতে একবার চলই না—অনেক দিন যাওনি,--তিনি তোমার কথা প্রায়ই জিজ্ঞাসা করেন—” তখন গোৱা বিনা আপত্তিতে রাজি হইল। শুধু রাজি হওয়া নহে, তাহার মনের মধ্যে পূর্বের মত নিরুৎসুক ভাব ছিল না। প্রথমে t لاط উঠিল। সে চৌকি ছাড়িয়া চলিয়া যাইবার উপক্রম করিতেই পরেশবাবু কহিলেন—“রাধে, যাচ্চ কোথায় ? আর কেউ নয় আমাদের বিনয় আর গৌর এসেচে।” স্বচরিতা সঙ্কুচিত হইয়া আবার বসিল হারানের সুদীর্ঘ ইংরেজি রচনা পাঠে ভঙ্গ ঘটাতে তাহার আরাম বোধ হইল ; গোরা আসিয়াছে শুনিয়া- তাহার মনে যে একটা উত্তেজনা হয় নাই তাহীও নহে কিন্তু হারানবাবুর সম্মুখে গোরার আগমনে তাহার মনের মধ্যে ভারি একটা অস্বস্তি এবং সঙ্কোচ বোধ হইতে লাগিল। দুজনে পাছে বিরোধ বাধে এই মনে করিয়া অথবা কি যে তাহার কারণ তাহা বলা শক্ত । গৌরের নাম শুনিয়াই হারানবাবুর মনের ভিতরটা একেবারে বিমুখ হইয়া উঠিল। গেীরের নমস্কারে কোনোমতে প্রতিনমস্কার করিয়া তিনি গম্ভীর হইয়া বসিয়া রহিলেন। হারানকে দেখিবা মাত্র গোরার সংগ্রাম করিবার প্রবৃত্তি সশস্ত্রে উদ্যত হইয়া উঠিল । মেলায় লেপ্টেনাণ্ট, গবর্ণর সন্ত্রীক্ল আসিবেন। আপনার মেয়ের যদি তাহাদের সম্মুখে একটা ছোট খাট ইংরেজি কাব্য নাটা অভিনয় করেন ত বড় ভাল হয়।—এই প্রস্তাবে বরদাসুন্দরী অত্যন্ত উৎসাহিত হইয়া উঠিয়াছেন। আজ তিনি মেয়েদের রিহার্সাল দেওয়াইবার জন্তই কোনো বন্ধুর বাড়িতে লইয়া গিয়াছেন । এই মেলায় গোরার উপস্থিত থাকা সম্ভবপর হইবে কিনা জিজ্ঞাসা করায় গোরা কিছু অনাবশ্বক উগ্রতার সহিত বলিয়াছিল--"না।” এই প্রসঙ্গে এ দেশে ইংরেজ বাঙালীর সম্বন্ধ ও পরস্পর সামাজিক সম্মিলনের বাধা লইয়া দুই তরফে রীতিমত বিতও উপস্থিত হইল l হারান কহিলেন—“বাঙালীরই দোষ। আমাদের এত কুসংস্কার ও কুপ্রথা, যে, আমরা ইংরেজের সঙ্গে মোবার ८मांठाझे नट्टे ।” গোরা কহিল, “যদি তাই সত্য হয় তবে সেই অযো . . সত্ত্বেও ইংরেজের সঙ্গে মেলবার জন্তে লালায়িত হয়ে বেড়ানো - • - আমাদের পক্ষে লজ্জাকর।”