পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- স্বীকার করিয়াছে,—কারণ >Q8 -- SMSMSMMS S S S S S S S S S S S S “পথ ও পাথেয়” প্রবন্ধে আমি যদি সেইরূপ কঁকি চালাইবার চেষ্টা করিয়া থাকি তবে বিচার আদালতে ক্ষমা প্রত্যাশা করিতে পারিল না। আমি যদি বাস্তবকে গোপন বা অস্বীকার করিয়া কেবল একটা ভাবের ভূয়। দলিল গড়িয়া থাকি তবে সেটাকে সৰ্ব্বসমক্ষে খণ্ড বিখণ্ড করাই কৰ্ত্তব্য। কারণ, ভাব যখন বাস্তবের সহিত বিচ্ছিন্ন হইয়া দেখা দেয় তখন গাজা বা মদের মত তাহা মানুষকে অকৰ্ম্মণ্য এবং উদ্ভাস্ত করিয়া তোলে। কিন্তু বিশেষ অবস্থায় কোনটা যে প্রকৃত বাস্তব তাহা নির্ণয় করা সোজা নহে। সেই জন্যই অনেক সময় মানুষ মনে করে যেটাকে চোখে দেখা যায় সেটাই সকলের চেয়ে বড় বাস্তব ; যেটা মানবপ্রকৃতির নীচের তলায় পড়িয়া থাকে সেটাই আসল সত্য। কোনো ইংরেজ সাহিত্যসমালোচক রামায়ণের অপেক্ষা ইলিয়ডের শ্রেষ্ঠতা প্রমাণ করিবার কালে বলিয়াছেন ইলিয়ড কাব্য অধিকতর human, অর্থাৎ মানবচরিত্রের বাস্তবকে বেশি করিয়া উক্ত কাব্যে একিলিস নিহত শক্রর মৃতদেহকে রথে বাধিয়া ট্রয়ের পথের ধূলায় লুটাইয় বেড়াইয়াছেন। আর, রামায়ণে রাম পরাজিত শক্রকে ক্ষমা করিয়াছেন। ক্ষমা অপেক্ষা প্রতিহিংসা মানবচরিত্রের পক্ষে অধিকতর বাস্তব এ কথার অর্থ যদি এই হয় যে তাহা পরিমাণে বেশি তবে তাহা স্বীকার করা যাইতে পারে। কিন্তু স্থল পরিমাণই বাস্তবতা পরিমাপের একমাত্র বাটখারা এ কথা মানুষ কোনো দিনই স্বীকার করিতে পারে না ; এই জন্যই মানুষ ঘরভরা অন্ধকারের চেয়ে ঘরের কোণের একটি ক্ষুদ্র শিথাকেই বেশি মান্ত করিয়া থাকে। যাহাই হোক, এ কথা সত্য, যে, মানব ইতিহাসের বহুতর উপকরণের মধ্যে কোনটা প্রধান কোনটা অপ্রধান, কোনটা বর্তমানের পক্ষে একান্ত বাস্তব এবং কোনটা নহে, তাহা একবার কেবল চোখে দেখিয়াই মীমাংসা করা যায় না। অবশু একথা স্বীকার করিতে পারি, উত্তেজনার সময় উত্তেজনাটাকেই সকলের চেয়ে বড় সত্য বলিয়া মনে হয়,— রাগের সময় এমন কোনো কথাকেই বাস্তবমূলক বলিয়া মনে হয় না মাহা রাগকে নিবৃত্ত করিবার জন্ত দণ্ডায়মান প্রবাসী । ৮ম ভাগ।


হয়। এরূপ সময় মানুষ সহজেই বলিয় উঠে, “রোঃ | দাও তোমার ধৰ্ম্মকথা !" বলে যে, তাহার কারণ ; নয় যে, ধৰ্ম্মকথাটাই বাস্তব প্রয়োজনের পক্ষে অযোগ এবং রুষ্ট বুদ্ধিই তদপেক্ষা উপযোগী । কিন্তু তাহার কারণ এই যে, বাস্তব উপযোগিতার প্রতি আমি দৃকপাত कहिल চাই না, বাস্তব প্রবৃত্তি-চরিতার্থতাকেই আমি মান্ত করিান্ত চাই । - কিন্তু প্রবৃত্তি-চরিতার্থতাতে বাস্তবের হিসাব অল্পী করিতে হয়, উপযোগিতায় তাহার চেয়ে অনেক বেশি ৩য় সংখ্যা । ] -


-------------

পথ ও পাথেয়" প্রবন্ধে আমি দুইটি কথার আলোচ দিছি। প্রথমতঃ ভারতবর্ষের পক্ষে দেশহিত ব্যাপারটা কি? অর্থাৎ তাহ দেশী কাপড় পরা, বা ইংরেজ তাড়ানো, বা আর কিছু ? দ্বিতীয়তঃ সেই হিতসাধন করিতে হইবে কেন করিয়া ? ভারতবর্ষের পক্ষে চরম হিত যে কি তাহা বুঝিবার বাধা বে কেবল আমরা নিজের উপস্থিত করিতেছি তাহা নহে বস্তুত তাহার সৰ্ব্বপ্রধান বাধা আমাদের প্রতি ইংরেজের । लालङ्गि । ইংরেজ কোনোমতেই আমাদের প্রকৃতিকে করা আবশ্বক। মুটিনির পর যে ইংরেজরা ভারতবর্ষকে নবপ্রকৃতি বলিয়া গণ্য করিতেই চায় না। তাহারা মনে

  • ...* - - নির্দয়ভাবে দলন করিতে পরামর্শ দিয়াছিল তাহারা মানব

করে তাহারা যখন রাজা তখন জবাবদিহি কেবলমাত্র চরিত্রের বাস্তবের হিসাবটাকে অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ করিয়াই প্রস্বত্ব | আমাদেরই, তাহদের একেবারেই নাই। বাংলা দেশের করিয়াছিল ; রাগের সময় এই প্রকার সঙ্কীর্ণ হিসাব করাই একজন ভূতপূৰ্ব্ব হৰ্ত্তাকর্তা ভারতবর্ষের বর্তমান চাঞ্চল্য যে স্বাভাবিক অর্থাৎ মাথাগস্তিতে অধিকাংশ লোকই করি | সদ্ধে যত কিছু উন্ন প্রকাশ করিয়াছেন সমস্তই ভারতথাকে তাঙ্গা ঠিক কিন্তু লর্ড ক্যানিং ক্ষমার দিক দিয়া ৷ে কীর প্রতি। তাহার মত এই যে কাগজগুলাকে উচ্ছেদ বাস্তবের হিসাব করিয়াছিলেন তাহ প্রতিহিংসার হিমা , সুরেন্দ্র বাড়য্যে বিপিন পালকে দমন করিয়া দাও। অপেক্ষ বাস্তবকে অনেক বৃহৎপরিমাণে অনেক গভীর এ । দেশকে ঠাও করিবার এই একমাত্র উপায় যাহার দূরবিস্তৃত ভাবেই গণনা করিয়াছিল। - नागिष्ण কল্পনা ও নিঃসঙ্কোচে প্রচার করিতে পারে কিন্তু যাহার ক্রুদ্ধ তাহারা ক্যানিঙের ক্ষমানীতিকে জয়দের মত ব্যক্তি যে আমাদের শাসনকর্তার পদে সেটিমেন্টালিছ অর্থাৎ বাস্তববর্জিত ভাববাতিকতা বন্তি প্রতিষ্ঠত ছিল ইহাই কি দেশের রক্তগরম কৰিয়া তুলিবার নিশ্চয়ই কুষ্ঠিত হয় নাই। চিরদিনই এইরূপ হইয় | পক্ষ অন্তত একটা প্রধান কারণ নহে? ইংরেজের গায়ে BBBBB S B BB BBBB BBBB BBBSBBB S BB BB BBBD BBBBBBB BBB BB S BB BB BBBS BB BBB BBB BBBBBBB BBBS DDB BB BBBBB BBBBB S BBBBBB BBBS পূৰ্ব্বক নিজের পক্ষে না লইয়া নিশ্চিন্ত থাকে। কিন্তু জয়লাভকেই যদি, বাস্তবতার শেষ প্রমাণ বলিয়া জানি জাতভাইকে একটি কথাও বলিবার নাই ? যাহাদের হাতে তবে নারায়ণ যতই একলা হোন এবং যতই ক্ষুদ্রমূৰ্ত্তি ধরিয়া 1 ক্ষমতা অজস্র তাহাদিগকেই আত্মসম্বরণ করিতে হইবে আসুন তিনিই জিতাইয়া দিবেন। না, আর যাহার স্বভাবতই অক্ষম, শমদম নিয়মসংযমের আমার এত কথা বলিবার তাৎপর্য এই যে বা ছ সন্ত ব্যবস্থা কেবল তাহাদেরই জন্য ! তিনি লিখিয়াছেন বাস্তব যে কোন পক্ষে আছে তাহ সাময়িক উত্তেজনায় | ভারতবর্ষে ইংরেজের গায়ে যাহারা হাত তোলে তাহারা BBB B BBBBBB BB BBB BB Bt DD BS BBB BBBBB BBB B BB BBB BBB BBB কোনো একটা কথা শান্তরসাশিত বলিয়াই যে তায় ইইবে। আর যে সকল ইংরেজ ভারতবর্ষীয়কে হত্যা করিয়া বাস্তবিকতায় খৰ্ব্ব, এবং বাহা মানুষকে এত বেগে लाज़्न কেবলি দণ্ড হইতে অব্যাহতি পাইয়া ব্রিটিশ বিচার সম্বন্ধে BB BS BB BBBB BB BBBB BB B BDDDS S DDDD BBBB BB BBBBB BBBBBB BB বাস্তবকে অধিক মান্ত করিয়া থাকে একথা আমরা গিয়া দাগিয়া দিতেছে তাহদের সম্বন্ধেই সতর্ক হইবার করিব না । কোনো প্রয়োজন নাই। বলদৰ্পে অন্ধ ধৰ্ম্মবুদ্ধিহীন এইরূপ সমস্যা ।


নিবারণের পক্ষে ভারতের পেন্সনভোগী এলিয়টের কি তাহার >QQ স্পৰ্ধাই কি ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনকে এবং ইংরেজের প্রজাকে উভয়কেই ভ্ৰষ্ট করিতেছে না ? অক্ষম যখন অস্থিমজ্জায় জলিয়া জলিয়া মরে, যখন হাতে হাতে অপমানের প্রতিশোধ লওয়ার কাছে মানবধৰ্ম্মের আর কোনো উচ্চতর দাবী তাহার কাছে কোনোমতেই রুচিতে চাহে না তখন কেবল ইংরেজের রক্তচক্ষু পিনাল কোডই ভারতবর্ষে শান্তিবর্ষণ করিতে পারে এত শক্তি ভগবান ইংরেজের হাড়ে দেন নাই। ইংরেজ জেলে দিতে পারে ফঁাসি দিতে পারে কিন্তু স্বহস্তে অগ্নিকাণ্ড করিয়া তুলিয়া তার পরে পদাঘাতের দ্বারা তাহা নিবাইয়া দিতে পারে না—যেখানে জলের দরকার সেখানে রাজা হইলেও তাহাকে জল ঢালিতে হইবে। তাহা যদি না করে, নিজের রাজদম্ভকে যদি বিশ্ববিধানের চেয়ে বড় বলিয়া জ্ঞান করে তবে সেই ভয়ঙ্কর অন্ধতাবশতই দেশে পাপের বোঝা স্ত,পীকৃত হইয়া একদিন সেই ঘোরতর অসামঞ্জস্ত একটা নিদারুণ বিপ্লবে পরিণত না হইয়া থাকিতেই পারে না। প্রতিদিন দেশের অন্তরে অস্তরে যে চিত্তবেদন সঞ্চিত হইয়া উঠিতেছে তাহাকে কৃত্রিম বলিয়া আত্মপ্রসাদশীত ইংরেজ উড়াইয়া দিতে পার— মর্লি তাহাকে না মানাই রাষ্ট্রনীতিক স্ববুদ্ধিতা বলিয়া মনে করিতে পার এবং এলিয়ট তাহাকে পরাধীন জাতির স্পৰ্দ্ধামাত্র মনে করিয়া বৃদ্ধবয়সেও দন্তের উপর দস্তঘর্ষণের অসঙ্গত চেষ্টা করিতে পার কিন্তু তাই বলিয়া অক্ষমেরও এই বেদনার হিসাব কি কেহই রাখিতেছে না মনে কর ? বলিষ্ঠ যখন মনে করে যে, নিজের অন্যায় করিবার অবাধ অধিকারকে সে সংযত করিবে না, কিন্তু ঈশ্বরের বিধানে সেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে অনিবাৰ্য্য প্রতিকারচেষ্টা মানব হৃদয়ে ক্রমশই ধোয়াইয়া ধোয়াইয়া জলিয়া উঠিতে থাকে তাহাকেই একমাত্র অপরাধী করিয়া দলিত করিয়া দিয়া সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত । থাকিবে তখনই বলের দ্বারাই প্রবল আপনার বলের মূলে আঘাত করে ;–কারণ তখন সে অশক্তকে আঘাত করে না—বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের মূলে যে শক্তি আছে সেই বজ্ৰশক্তির বিরুদ্ধে নিজের বদ্ধমুষ্টি চালনা করে। যদি এমন কথা তোমরা বল ভারতবর্ষে আজ যে ক্ষোভ নিরস্ত্রকেও নিদারুণ করিয়া তুলিতেছে, যাহা অক্ষমের ধৈর্য্যকেও অভিভূত করিয়া তাহাকে নিশ্চিত আত্মঘাতের অভিমুখে তাড়ন -