পাতা:প্রবাসী (অষ্টম ভাগ).pdf/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>Woo প্রবাসী । - [ vभ सां★। - - SMMMMMMSMMSMMSMMSMMSMMSMMSMMSMMSMMSMSMSM MMMMMMMMS তাহা হইলে হয় ইংরেজ আবার ফিরিয়া আসিবে, নয়, এমন কেহ আসিবে যাহার মুথের গ্রাস এবং পেটের পরিধি ইংরেজের চেয়ে হয় ত ছোট না হইতে পারে। একথা বলাই বাহুল্য, যেদেশে একটি মহাজাতি বাধিয়া ওঠে নাই সেদেশে স্বাধীনতা হইতেই পারে না। কারণ, স্বাধীনতার “স্ব” জিনিষটা কোথায় ? স্বাধীনতা কাহার স্বাধীনতা ? ভারতবর্ষে ৰাঙালী যদি স্বাধীন হয় তবে দাক্ষিণাত্যের নায়র জাতি নিজেকে স্বাধীন বলিয়া গণ্য করিবে না এবং পশ্চিমের জাঠ যদি স্বাধীনতা লাভ করে তবে পূৰ্ব্বপ্রান্তের আসামী তাহার সঙ্গে একই ফল পাইল বলিয়া গৌরব করিবে না। এক বাংলা দেশেই হিন্দুর সঙ্গে মুসলমান যে নিজের ভাগ্য মিলাইবার জন্য প্রস্তুত এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাইতেছে না। তবে স্বাধীন হইবে কে ? হাতের সঙ্গে পা, পায়ের সঙ্গে মাথা যখন একেবারে পৃথক হইয়া হিসাব মিলাইতে থাকে তখন লাভ বলিয়া জিনিষটা কাহার ? - এমন তর্কও শুনা যায় যে, যতদিন আমরা পরের কড়া শাসনের অধীন হইয়া থাকিব ততদিন আমরা জাত বাধিয়া তুলিতেই পারিব না-পদে পদে বাধা পাইব এবং একত্র মিলিয়া যে সকল বড় বড় কাজ করিতে করিতে পরম্পর মিল হইয়া যায় সেই সকল কাজের অবসরই পাইব না। একথা যদি সত্য হয় তবে এ সমস্তার কোনো মীমাংসাই নাই । কারণ, বিচ্ছিন্ন কোনাে দিনই মিলিতের সঙ্গে বিরোধ করিয়া জয়লাভ করিতে পারে না। বিচ্ছিরের মধ্যে সামর্থোর ছিন্নতা, উদ্দেশ্বের ছিন্নতা, অধ্যবসায়ের ছিন্নতা। বিচ্ছিন্ন জিনিষ জড়ের মত পড়িয়া থাকিলে তবু টকিয় থাকে কিন্তু কোনো উপায়ে কোনো বায়ুবেগে তাহাকে চালনা করিতে গেলেই সে ছড়াইয় পড়ে, সে ভাঙিয়া যায়, তাহার এক অংশ অপর অংশকে আঘাত করিতে থাকে ; তাহার অভ্যন্তরের সমস্ত দুৰ্ব্বলতা নানা মূৰ্ত্তিতে জাগিয়া উঠিয় তাহাক্লে বিনাশ করিতে উষ্ঠত হয়। নিজের এক ন হইতে পারিলে আমরা এমন কোনো এককে স্থানচ্যুত করিতে পারিব না যাহা কৃত্রিমভাবেও সেই ঐক্যের স্থান পূরণ করিয়া আছে। অতএব যে দেশে বহু বিচ্ছিন্ন জাতিকে লইয়া এক মহাজাতি তৈরি হইয় উঠে নাই সেদেশে ইংরেজের কর্তৃ | - থাকিবে কি না থাকিবে সেটা আলোচনার বিষয় নহে; সেই মহাজাতিকে গড়িয়া তোলাই সেখানে এমন একটি উদ্দেশু অন্ত সমস্ত উদ্দেশুই যাহার কাছে মাথা অবনত করিবে—এমন কি, ইংরেজরাজত্ব যদি এই উদ্দেপ্তসাধনের | সহায়তা করে তবে ইংরেজরাজত্বকেও আমাদের ভারতবর্ষেরই সামগ্ৰী করিয়া স্বীকার করিয়া লইতে হইবে। তাহা অন্তরের সহিত প্রীতির সহিত স্বীকার করিবার অনেক বাধা আছে। সেই বাধাগুলিকে দূর করিয়া ইংরেজবাজ কি করিলে আমাদের আত্ম-সম্মানকে পীড়িত না করে কি করিলে তাহার সহিত আমাদের গৌরবকর আত্নী । সম্বন্ধ স্থাপিত হইতে পারে এই কঠিন প্রশ্নের মীমাংসাভারও ৷ আমাদিগকে লইতে হইবে। রাগ করিয়া যদি বলি, “না আমরা চাই না” তবু আমাদিগকে চাহিতেই হইবে। কারণ যতক্ষণ পর্য্যস্ত আমরা এক হইয়া মহাজাতি বাধা উঠতে না পারি ততক্ষণ পর্যন্ত ইংরেজরাজত্বের ৫। প্রয়োজন তাহা কখনই সম্পূর্ণ হইবে না। আমাদের দেশের সকলের চেয়ে বড় সমস্ত যে কি, | অল্পদিন হইল বিধাতা তাহার প্রতি আমাদের সমস্ত চেতনাকে আকর্ষণ করিয়াছিলেন। আমরা সেদিন মনে করিয়াছিলাম, পার্টিশন ব্যাপারে আমরা যে অত্যন্ত । হইয়াছি ইহাই ইংরেজকে দেখাইব, আমরা বিলাতী নিমকের সম্বন্ধ কাটিব এবং দেশের বিলাতী বস্ত্রহরণ ন কৱি ৷ জলগ্রহণ করিব না। পরের সঙ্গে যুদ্ধঘোষণা যেমনি । করিয়াছি অমনি ঘরের মধ্যে এমন একটা গোল বালি যে, এমনতর আর কখনো দেখা যায় নাই। হিন্তে মুসলমানে বিরোধ হঠাৎ অত্যন্ত মৰ্ম্মান্তিকরূপে বীভৎস হইয়া উঠিল। | এই ব্যাপার আমাদের পক্ষে যতই একান্ত কষ্টক । হৌক কিন্তু আমাদের এই শিক্ষার প্রয়োজন ছিল। একথা আমাদের সম্পূর্ণনিশ্চিতরূপেই জানা আবশ্বক ছিল,ষে,আজৎ আমাদের দেশে হিন্দু ও মুসলমান যে পৃথক এই বাস্তবটিকে বিশ্বত হইয়া আমরা যে কাজ করিতেই যাইন কেন ঐ ! বাস্তবটি আমাদিগকে কখনই বিশ্বত হইবে না। এবং বলিয়া নিজেকে ভুলাইলে চলিবে না যে, হিন্দুমুসলমান একখানি প্ৰস্তাব Vor যাজপুরে বরাহাবতার s