প্রবাসী ט\8(אצ কখনো বা মাসিক পত্রে চমক দিত প্রাণে অপূর্ব এক বাণীর ইন্দ্রজাল ; কখনো বা আলগা-মলাট বইয়ের দাগী পাতায় হাজারো বার পড়া লেখায় পুরানো কোন লাইন হানত বেদন বিছাতেরি মতে, কখনো বা বিকেল বেলায় ট্রামে চড়ে হঠাৎ মনে উঠত গুনগুনিয়ে অকারণে একটি তোমার শ্লোক । অচিন কবি তোমার কথার ফাকে ফঁাকে, দেখা যেত একটি ছায়াছবি, স্বপ্ন-ঘোড়ায় চড়া তুমি খুঁজতে বেরিয়েছ তোমার মানসীকে সীমাবিহীন তেপান্তরে, রাজপুত্ৰ তুমি যে রূপকথার । আয়নাখানার সামনে সেদিন চুল বাধবার বেলায় মনে যদি ক’রে থাকি সে রাজকন্তু আমিষ্ট, হেসো না তাই ব’লে । তোমার সঙ্গে দেখা হবার আগেভাগেষ্ট ছু ইয়েছিলে রুপোর কাঠি, জাগিয়েছিলে ঘুমন্ত এই প্রাণ । সেই বয়সে আমার মতো অনেক মেয়ে ঐ কথাটাই ভেবেছিল মনে ; তোমায় তারা বারে বারে পত্র লিখেছিল কেবল তোমার দেয় নি ঠিকানাট । হায় রে খেয়াল ! খেয়াল এ কোন পাগলা বসন্তের ; ঐ খেয়ালের কুয়াশাতে আবছা হয়ে যেত কত দুপুর বেলায় কত ক্লাসের পড়া, উছল হয়ে উঠত হঠাৎ যৌবনেরি খাপছাড়া এক ঢেউ ।
পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।