পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

స్క్రి* o - * : বলিয়া নয়, এমনই। হয়ত সকালে কালো মানুষ দেখিয়া তাহার আনন্দ হুইয়াছে, মনে করিয়াছে দিনটি তাহার sin ter-black for luck, & fiksi rettw: মজাগত। ট্রাম তখনও আসিয়া পৌঁছে নাই । ট্রাম-স্টপের কাছে চার-পাচ জন দাড়াইয়া ছিল। এক জন তাহাদের মধ্যে নৃপেনের পরিচিত। সে ভারত-ফেরত । ট্রামের জন্য এখানে এমন দাড়াইয়া থাকিতে থাকিতেই তাহার আলাপ হয়। দেখা হইতেই সে বলিল, 'নাস্টি মর্ণিং, ইজ নট ইট্‌ ! দেখিতে দেখিতে আরও তিন-চার জন আসিয়া জুটিল । তাহাদের মধ্যে মেয়ে আছে, ছোট ছেলেও আছে একটি । দেখিয় তাহাকে বার-তের বছরের বেশী বলিয়া মনে হয় ন, যদিও বয়স তাহার নিশ্চয়ই বেশীই, চৌদ্দ বছরের কম হইলে কোন ছেলে বা মেয়ে কারখানায় ঢুকিতে পারে না । বর্তমানে আন্দোলন চলিতেছে সে বয়স পনর বৎসর করিবার । ট্রাম আসিয়া গেল। দোতলা ট্রাম। কিউ করিয়া একে একে সকলে উঠিয়া গেল, কতক উপরতলায় কতক নীচেয়। ট্রামে তখনও পর্য্যন্ত লোক তেমন উঠে নাই । কণ্ডাকৃটার টিকিট দিবার সময় সবুজ রঙের অন্য qș#ff ffri fissi csaj-–‘workman's ticket', সেখানি ফিরিবার সময় দেখাইলে ভাড়া কিছু সস্ত হইবে। সাতটার আগে না হইলে এ টিকিট পাওয়া যায় না। রাস্তার আলো নিবিয়া গিয়াছে। ট্রামখানি ঘুরিয়াফিরিয়া এইবার কারখানা-অঞ্চলের পথ ধরিয়াছে। অনেক বড় বড় কারখানা ম্যাঞ্চেস্টারের এই পাড়াটিতে ভীড় করিয়া আছে । রাস্তায় ট্রাম ও বাসের ভীড় ক্রমশঃই বাড়িতেছে। এ ট্রাম অনেক ক্ষণ হইল ভৰ্ত্তি হইয়া গিয়াছে। যত জন বসিবার কথা তাহার বেশী এক জনকেও কগুীকৃটার উঠিতে দেয় নাই। অনেকেই তখন ট্রামে কাগজ পড়িতেছে। কণ্ডাক্টার একবার হাকিয়া গেল, "অল গঢ় টিকেট প্লীজ । ইংলণ্ডের বিখ্যাত একটি ইলেকটি ক্যাল কোম্পানীর কারখানা । পনর হাজারের উপর লোক এখানে কাজ করে। শুধু ইংলও নয়, পৃথিবীর সর্বত্র ইহার খ্যাতি । প্রবাসী § չՑՅՆ এমন দেশ মাই যেখানে ইহাদের গড়া কোন-না-কোন জিনিষ ব্যবহার না হয়। তাই এখানে কাজ শিখিতে আসে যেমন ভারতের সেন, শৰ্মা, শস্তাশিবমূ, তেমনই ইরানের শোরাব, স্পেনের আরিন্নো, রাশিয়ার আইভানফ-নিকুটিন, চীনের শু-শি-উ, জাপানের তাকাহাসি-নিশিহারা, আয়ারল্যাণ্ডের ওডিয়া-ওশিয়া, মিশরের হামিদ-মার্জক, সিংহলের বিমলম্বরেন্দ্র, শু্যামের কোভানন্দ । ইলেকটি ক্যাল এঞ্জিনীয়ারিং যাহারা করিতে চায় তাহাদের পেশা, এই কারখানায় ঢোকাটি তাহারা এখনও পর্যন্ত সৌভাগ্যের কথা বলিয়াই মানে, মক্কা-কাশীর মতই পরম তীর্থ এটি তাহাদের পক্ষে । সাতটা-পচিশ তখন । কারখানার সম্মুখে ট্রাম আসিয়া থামিয়াছে। দলে দলে মেয়ে-পুরুষে কারখানায় ঢুকিতেছে। নানা অঞ্চল হইতে ট্রাম-বাস মেয়ে-পুরুষে ভর্তি হইয়া সমানে আসিতেছে। ইহা ভিন্ন আছে— সাইক্লিস্ট মোটর-সাইক্লিস্টের দল, আছে মোটরিস্টের দল, হঁাটিয়াও কম লোক আসিতেছে না। এইটি নর্থ গেট । ইহা ছাড়া আরও দুইটি গেট আছে, সেখানেও এ সময়ে ঠিক একই ধরণের ভীড় । পোষাক দেখিলেই বোঝ যায় কারখানার যাত্রী ইহারা । মসুল প্যান্ট, ওডার-অল গায়ে রেনকোট বা ওভারকোট--মাথায় ক্যাপ ও বোর। হাতে কাহারও কাহারও এক একটি ‘কেস্, মেয়েদের হাতেই বেশী। তাহাতে তাহণদের লাঞ্চ ছাড়াও আছে গল্পের বই, বুনিবার উল, হয়ত বা প্রেমপত্রই । পুরুষদের পক্ষে তাহাদের ম্যাক্ বা ওভারকোটের বড় বড় পকেটই লাঞ্চ-প্যাকেটের পক্ষে যথেষ্ট। এখন যত মেয়ে আসিতেছে তাহারা অধিকাংশই হাতে কাজ করে, চেহারায় প্রায় প্রত্যেকেরই আছে একটা কঠোর কাঠিন্য, মুখে রুক্ষতার ছায়া । হয়ত সন্ধ্যার পর ইহাদের চেহারাই অন্য রকম হইয়া উঠিবে—কিন্তু এই সকালে যখন তাহারা তাড়াতাড়ি ঘুম হইতে উঠিয়া মুখে রং মাখিবার সময় না পাইয়া এমনই বাহির হইয়াছে তখন সে মুখ দেখিয়া শুধু এই কথাই মনে হয় যে, যন্ত্রযুগের আবর্তে পড়িয়া এদেশের মেয়েরা বুঝি আর নারী রহিল না ।