২০ প্রবাসী
- එ8\9
পরে রেল-লাইন । মধ্যে মিশিয়া গেল । শশিশেখরের আর সন্ধান মিলিল না, সন্ধান করিয়া পরদিন মিলিল—রেল-লাইনের উপরে কোন অসতর্ক পথিকের খণ্ড খণ্ড ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন দেহের মাংস অস্থি মেদ অন্ধ! মাথাটা পৰ্য্যন্ম চূর্ণ-বিচূর্ণ হইয়া গিয়াছে। চিনিবার উপায় নাই । শশিশেখর সেই জঙ্গলের অন্ধকারের 嶺 米 * মাস-চুয়েক পর । ন্যায়তীর্থ টোলের বারান্দায় অভ্যাস মত বসিয়া ছিলেন । ইহারই মধ্যে তিনি স্থবির হইয়া গিয়াছেন। পৌত্র চন্দ্রশেখর কাছেই দাওয়ার উপর বসিয়া একটা কাগজ চুষিতে ব্যস্ত ছিল। ন্যায়তীর্থ উদাস দৃষ্টিতে দিক্চক্রবালের দিকে চাহিয়াছিলেন । একটি ছাত্র সহসা ব্যস্ত হইয়া ছুটিয়া আসিয়া চন্দ্রশেখরের হাত হইতে কাগজ থানা কড়িয়া লইয়া বলিল— এ-হে-তে, উপাধি-পত্ৰখানা নষ্ট ক’রে ফেললে ! কাগঞ্জখানি সরকার-প্রদত্ত মহামহোপাধ্যায় উপাধিপত্র, আজই—কিছুক্ষণ পূৰ্ব্বেষ্ট সেটা আসিয়াছে । চন্দ্রশেখর এমন উপাদেয় ভোজ্য বস্তুটি হইতে বঞ্চিত হইয়া কাদিয়া উঠিল । এতক্ষণে ন্যায়তীর্থের চমক ভাঙিল। তিনি পৌত্রকে কোলে তুলিয়া লইয়া বলিলেন–কি হ’ল, কাদছ কেন দাদু ? ছাত্রটি শঙ্কিত স্বরে বলিল— থোকা উপাধি-পত্ৰখান; মুথে পুরে নষ্ট ক’রে ফেলেছে। ওটা নেওয়াতেই ও কঁদিছে । ন্যায়তীর্থ ছাত্রের হাত হইতে উপাধি-পত্ৰখানা লইয়া থোকার হাতে তুলিয়া দিলেন বালদ্বীপে গামেলান বাদ্যের সাহত মৃত্যু