পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○"S প্রবাসী / ; 9\8פאל —ই, এক টিন কেরোসিন তেল এনেছি, ব'লে দিস সব-ডিবিয়াও এনেছি। তোর নাতনীর হাতে একটা লণ্ঠন দেখছিলাম মাঝি, ওটা কোথা কিনলি রে ? কমল বলিল—উ উয়াকে রাঙাবাবুর মা দিয়েছে। ভাগে জমি করছে জামাইটো, মেয়েটো উনিদের পাটকাম করছে কি না । শ্ৰীবাসের একটা কথা হঠাৎ মনে পড়িয়া গেল, বলিল— তাড়াতাড়ি বলিল—ই মাঝি, আমি যে বললাম একট খরগোসের জন্যে,—আমাকে একটা দে ! কমলের নাতনীই শ্ৰীবাসকে জবাব দিল, কেহ কিছু বলিবার পূৰ্ব্বেই সে বলিল—কেনে তুকে দিব কেনে ? তুকে দিব তো আমরা কি খাব ? শ্ৰীবাস ভ্ৰকুঞ্চিত করিয়া বলিল—এ তো আচ্ছা মেয়ে রে বাবা ? ওই তো তোর দিতে যাচ্ছিস রাঙাবাবুকে ? আচ্ছা তোর নাতজামাই তে কই ধান নেয়ন্দা মোড়ল ? তা আমাকে দিবি না কেন ? আবার তোর সঙ্গে পৃথকও তো বটে ! \! কমল একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া বলিল—বিয়া দিলেই বেটা পর হয়ে যায় গো । আর জামাইটো হ’ল পরের ছেলে । আমরা বুলছি কি জানিস—এটা: হপন বীর সিম বাকো আপনাকো-ট্রানু স্কুল জামাইটে। পরের ছেলে বনের মুর ಳಳ್ಲಕ್ಕೆ ধ মানে না । ওদিক হইতে কলরব করিতে করিতে শিকার সমাধা করিয়া সাওতালের দল ফিরিতেছিল ৮ ওপুরুষ নারী ছেলে $ লাঠি, জনN তীর, খালি হাত iারাইAYাশীকৃত মরা ইদুর, গোটাকয়েক খেকশিয়াল, গোটা-চারেক বুনো খরগোস লেজে ধরিয়া ঝুলাইয়া লইয়া চলিয়াছে। সেই দীর্ঘাঙ্গী তরুণীটির হাতে ছিল দুইটা খরগোস, সে অভ্যাসমত দপিত উচ্ছল ভঙ্গিতে কমলকৈ আসিয়া আপনাদের ভাষায় বলিল—এ দুটা রাঙাবাবুকে দিতে হইবে। তুমি বল ইহাদের, ইহার বলিতেছে দিবে না। রাঙাবাবু ওপারের ঘাটে বসিয়া আছে—আমি তাহাকে দেখিয়াছি। দলের তরুণীগুলি সকলেই সমস্বরে সায় দিয়া উঠিল— ই ই ! হুই নদীর উ-পারে, ব’সে রইছে। আমরা দেখলাম। আমাদের রাঙাবাবু ! শ্ৰীবাসের খরগোস-মাংসের উপর প্রলোভন ছিল, সে শ~ , কমলের নাতনী পরম বিস্ময়ের সহিত একটা আঙল ماهیها f শ্ৰীবাসের দিকে দেখাইয়া আপনাদের ভাষায় বলিয়া উঠিল—এ লোকটা পাগল না ক্ষ্যাপা ? মেয়ের দল খিল খিল করিয়া হাসিয়া উঠিল । শাবাসের ছেলে গণেশ সাওতালী ভাষা বুঝিতে পারে, তাহার মুখচোখ লাল হইয়া উঠিল, সে কঠিন স্বরেই বলিয়া উঠিল— এই সারী, যা-তা বলিস না বলছি ! কমলের ঐ নাতনীর নাম সারী ; শুক-সারীর সারী নয়-উহাদের ভাষায় সারী অর্থে উত্তম, ভাল । সারী বলিল—কেন বুলবে না? ই কথা উ বুলছে কেনে ? রাঙাবাবুর সাথে সাথ করছে কেনে ? উ আমাদের জমিদার, আমাদিগে জমি দিলে, আমাদিগে ধান দেয়, তুদের মত স্থদ লেয় না ! সারীর কথার ভঙ্গিতে কমলও এবার লজ্জিত হইল, সে যথাসম্ভব মোলায়েম করিয়া বলিল—উনিকে সবাই খুব ভালবাসে মোড়ল—উনি আমাদের রাঙাঠাকুরের লাতি । মেয়েগুলি মুগ্ধবিস্ময়ের স্বরে একসঙ্গে বলিয়া উঠিল আপনাদের ভাষায়—তেমনি আগুনের মত রঙ —আ:-য়গো— ! বিস্ময়সূচক ‘আয় গে’ শব্দটির দীর্ঘায়িত ধ্বনির স্থর সমবেত কণ্ঠের সঙ্গীতধ্বনির মতই বাজিয়া উঠিল। ಪTw: