কাৰ্ত্তিক “আলো নিৰ্ব্বাক রহিল লাজে” Հ* খলেন। কোন কোন প্রাচীন মূৰ্ত্তিতে যে মহারাজগীলাআসন করিয়া বসা দেখা যায়, এই সব মূৰ্ত্তি সে ধরণের নয়। ব্ৰহ্ম, স্বমাত্রা, চম্পার অনেক জায়গাতেই এইরূপ মূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়াছে। স্থমাত্রার একটি মূৰ্ত্তিতে পা রাখিবার জন্য আসনের নীচে ভূমির উপর পদ্ম রহিয়াছে। বুদ্ধকে মহারাজচক্রবর্তী লক্ষণযুক্ত মনে করা হয় এবং তাহার মৃতদেহের প্রতি সেইরূপ ব্যবহার করিবার আদেশ ছিল। কিন্তু তাহার যোগী ভাবের সঙ্গে ইহার খাপ খাওয়ান মুশকিল। তবু এই ধরণের মূৰ্ত্তিও আছে। ব্রহ্মদেশের পাগান স্থিত সোয়ে জিগোন মন্দিরে বুদ্ধের জন্থপতি বা মহারাজচক্রবত্তী মূৰ্ত্তি আছে। ইহাতে তিনি মাথায় মুকুট পরিয়া ও গলায় অলঙ্কার পরিয়া ভূমিস্পর্শ মুদ্রায় বসিয়া আছেন। বুদ্ধ যে-দেশে পূজিত হইয়াছেন সে-দেশের লোকের নিকট হইতে জোর করিয়া পূজা আদায় করেন নাই বা তাহাদের প্রিয় কোন ভাবকে নিৰ্ব্বাসিত করেন নাই। অনেকে মনে করেন যে গান্ধার শিল্পে বুদ্ধের সঙ্গে যে বজ্রপাণির মূৰ্ত্তি দেখা বায়ু, তাহা ভারতীয় ইঞ্জের মূৰ্ত্তি নয় ইরানীয় ধারণা অনুযায়ী ফ্রাবাণীর মুক্তি। চীন দেশের কোন কোন পাত্রে অঙ্কিত একটি বিশেষ নকৃশ আছে, তাহাতে পাইন, বঁাশ ও প্রিউনা। গাছ একসঙ্গে দেখানো হয়, ইহা তিন বন্ধু অর্থাং কনফিউসিয়াস, বুদ্ধ ও লাওটসের প্রতীক। জাপানের কানো শৈলীর একটি চিত্রে এরূপ অঙ্কিত আছে যে, একটি মদ্যপাত্রের তিন দিকে বুদ্ধ, কন্ফিউসিয়াস ও লাওটসে দাড়াইয়া আছেন। ইহাদের মূখের চেহারা হইতে শিল্পী এই তিন জনের দার্শনিক তবের বৈশিষ্ট্য এইরূপ ভাবে বুঝাইতে চাহিয়াছেন—বুদ্ধ যেন বলিতেছেন, “জীবন-মদ্য তিক্ত, উহা দূরে সরাইয়া দাও” ; কনফিউসিয়াস যেন বলিতেছেন, “জীবন-মদ্য কটু, বোধ হয় উহাকে মধুর করিয়া তোলা যায়"; আর লাভটসে যেন বলিতেছেন, "জীবন-মদ্য মধুর”। তিব্বত ও চীনে আমরা সাত জন ভৈষজ্যগুরুর সঙ্গে এবং জাপানের শিঙ্গোন-সম্প্রদায়ে তের জন বুদ্ধের সঙ্গে শাক্যমুনিকে দেথি । Eo. {< לל আলো নিৰ্বাক রহিল লাজে ঐফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় جمعی অরণ্য কত কেঁদেছিল মাগো, শৈবাল কত ল দাবানলে তুই ক্রীড়নক ক’রে দিলি তার হাতে কেমন যেদিন তোমার স্নেহের কোলে মা, আদিম মাতুষ প্রথম ক’রে ! এল ! কেমন ক’রে মা, ভাই দিয়ে ভাই ধ্বংস করিলি—কি লাভ সে কি জানে নাই, স্তন্য তোমার এক লবে নর নিঃশেষিয়া, হ’ল, সে কি বোঝে নাই, শামলিমা তার শুষ্ক করিবে ভাইয়ে ভাইয়ে আজ হানাহানি ক’রে তোর বক্ষেই সকলে এ কাঠুরিয়া ! ম’ল জলের দুলাল, বনের কুমার, বিরাট আকার পশুর পতি, তোর কাছে ওরা আগুন পেয়েছে, তোর কাছে নিল হাজার বছর যুবক থাকিত এমন বিশাল বনস্পতি উপকরণ ভাবে নি কি তারা, সব চলে যাবে একটি প্রাণীর আবির্ভাবে ? মাগো, সেদিনের বেদনার কথা ভূলে গেলি তুই কার প্রভাবে ! এল মাহুষের আদিম যে যুগ, সেও ছিল ভাল, তাহারও পরে তোর বক্ষের এতটুকু ঠাই, তারই তরে করে মরণ-রণ। প্রথম পুত্র অরণ্য আর শৈবালে করি মহা শ্মশান সভ্য হলি মা, সভ্যতা তোর শেষ পুত্রের শ্রেষ্ঠ দান ! সেদিন কেঁদেছে অরণ্য আর শৈবাল মাগে, নিৰ্ব্বাক যে, মানব-ভ্রাতার বর্বরতায় আজো নিৰ্ব্বfক রহিল লাজে !
পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।