8ના প্রবাসী ჯx98\\) বলিলেন, খবর নে মা মানদা, চরের উপর বোধ হয় ভীষণ দাঙ্গ বেধেছে ! মানদাও ছুটিয়া বাহির হইল। কিন্তু সংবাদ কিছু পাইল না, লোকে ছুটিয়া চলিয়াছে নদীর দিকে, চরে দাঙ্গা বাধিয়াছে, তাহার অধিক কেহ কিছু জানে না। দুয়ারের উপর মানদা উৎকণ্ঠিত ঔৎসুক্য লইয়া দাড়াইয়া রহিল। আরও কিছুক্ষণ পর একটি শীর্ণকায় মাতুষকে তারস্বরে চীৎকার করিতে করিতে ফিরিয়া আসিতে দেখিয়া মানদা আরও একটু আগাইয়া পথের ধারে আসিয়া দাড়াইল । লোকটি অচিস্ত্যবাবু। প্রাণপণে দ্রুত বেগে পলাইয়। বাড়ী চলিয়াছেন । শ্বাস-প্রশ্বাসে ভদ্রলোক ভীষণ ভাবে ইাপাইতেছেন, আর মুখে বলিতেছেন—উঃ উঃ! বাপ রে বাপরে । ভীষণ কাও ! মানদীকে দেখিয় তাহার কথার মাত্র বাড়িয়া গেল ; তিনি এবার বলিলেন—ভীষণ কাণ্ড । ভয়ঙ্কর দাঙ্গ ! রক্তাক্ত ব্যাপার! খুন—খুন—এক জন মুসলমান খুন হয়ে গেল। নবীন লোহার, দুর্দান্ত লাঠিয়াল, মাথাট। দু-টুকুরো ক’রে দিয়েছে। তাহার কথা শেষ হইতে ইষ্টতেই তিনি মানদীকে পিছনে ফেলিয়া অনেকট চলিয়া গেলেন । উপর হইতে মুনীতি নিজেই সব শুনিলেন, স্থ ন্থ করিয়া চোখের জল ঝরিয়া তাহার মুখ-বুক ভাসিয়া গেল । ওই অজানা হতভাগ্যের জন্য র্তাহার বেদনার আর সীম! ছিল না । [ ক্রমশ: মানুষের পৃথিবীতে ক্ষম। তার নাই শ্ৰীহীরেন্দ্রনারায়ণ মুখোপাধ্যায় তুমি কবি ! মানুষের মানসলোকের অঁাক ছবি ; অরূপ চেতনাহীন বাস্তবের অন্তরালে নিত্য তব খেলা, কল্পনার ভেলা বয়ে চলে রাত্রিদিন ক্লাস্তিহীন বেদনা-উল্লাসে, শিহরণে ত্রাসে । মামুষের মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে বেজে ওঠে তারই প্রতিধ্বনি, জীবন-মরণ রণে ওঠে রণরণি অস্পষ্ট ঝঙ্কার তার ; বেদনার তিক্ৰ হাহাকার কেদে মরে ; লক্ষ্যভ্রষ্ট পাশুপাত মাতুসের হাতে-গড় শাণিত শায়ক হানে মরণের নিৰ্ম্মম আঘাত মানুয়েরি হৃৎপিণ্ডে রক্তাক্ত উদ্যমে । কন্তু মাল্যভ্রমে— ভুজঙ্গের অভূজবল্লী, কল্পসহচরী— জড়ায় ঘিরিয়া গ্রীব বিলোল ভঙ্গীতে, চিতাভষ্মে বিরচিত কাননের বিকশিত মাধবী সঙ্গীতে । সে তোমার কল্পনার ছায়, রূপহীন কায়া বয়ে চলে ভাষার প্রবাহে লব নব । সে নয় নুতন কথা ; তবু অভিনব । কল্পনার আছে তবু ক্ষম, অপরাধ নহৈ সে বাস্তব ; জীবস্তের শয্যাপাশে করে না সে মরণের স্তব । যাদের উদাম চিন্তা রূপায়িত অগ্নি-অস্ত্রপাতে, সহস্ৰ আঘাতে-- পৃথিবীর শান্তিকুঞ্জে হানে হাহাকার, অসঙ্গ দুৰ্ব্বার – স্পদ্ধিত বিমানগৰ্ব্বে শঙ্কাকুল সুনীল আকাশ, বিষবাপে কলুষিত ধরিত্রীর স্বরভি নিশ্বাসস্বজন-প্রয়াসী সেই মামুযের ক্ষম নাই মানুষের কাছে ; তারই শিরে লক্ষ ফণ। উংসারিয়া আছে আগামী কালের অভিশাপ ; কল্লাস্তের ক্ষমাঙ্গীন পাপ । তার কাব্য কল্পনার রহে রূপান্তর ; সে-স্বষ্টির কল্পলোকে গরজিছে ক্ষুধিত বর্বর। মামুষের রক্তস্রোতে ধৌত করি পৃথিবীর শু্যাম তুণদল, যাবু বাহুবল— চাহে নিত্য বিরচিতে স্বপ্নলোক শ্মশানের দগ্ধ মুত্তিকায়, মানুষের পৃথিবীতে ক্ষমা সে কি চায় ?
পাতা:প্রবাসী (ঊনচত্বারিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।