প্রাগৈতিহাসিক ড্র্যাগনের বর্তমান বংশধর শ্ৰীগোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য্য "ড্রাগন’ বলিতে আমরা বিভিন্ন দেশের উপকথায় বর্ণিত পক্ষবিশিষ্ট, ভীষণাকুতি এক প্রকার অতিকায় সর্প অথবা চতুষ্পদ সরীস্থপের কল্পনা করিয়া থাকি। উপকথায় বর্ণিত ড্রাগন মান্তষের নিছক কল্পনা হইলেও ইহার মূলে কিছুমাত্র সত্য নিহিত নাই, এমন কথা বলা যায় ন! | অবশ্য ওয়েষ্ট-ইণ্ডিজ দ্বীপপুঞ্জে পক্ষবিশিষ্ট ( পালক-সমম্বিত নহে ) ড্র্যাগন' নামে এক জাতীয় বৃহদাকার টিকটিকি দেখিতে পাওয়া যায় ; কিন্তু ইতারা উপকথায় বর্ণিত ‘ড্রাগন’পর্যায় কুকু নহে । ইহা ও অসম্ভব নহে যে, কোন স্মরণাতীত কালে অধুনালুপ্ত কোন বিবাঢ়কায় সরীসৃপের দেহাবশেষ অথবা লুপু প্রায় ক্ষুদ্র সংস্করণের কোন অস্পষ্ঠ অভিজ্ঞতা হইতে মনে এই ড্রাগনের কল্পনা শুরু হঠাছিল। কালক্রমে তাহা অতিরঞ্জিত হইতে হইতে বর্তমানে উপকথায় পরিণত হইয়াছে । কারণ বৰ্ত্তমান যুগের বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের ফলে যে-সকল অভাবনীয় বিরাটুকায় জীবের দেহাবশেষ ও কঙ্কাল আবিষ্কৃত হইয়াছে, হইতে এরূপ ধারণ করা মোটেই অস্বাভাবিক নহে । ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্তর হইতে যে-সকল অতিকায় জীবের কঙ্কাল সংগৃহীত হইয়াছে তাহাদের অধিকাংশ জীব ধরাপৃষ্ঠ হইতে বিলুপ্ত হইয়া গেলেও কাহারও কাহারও বংশধরেরা আজও পৃথিবীতে বিচরণ করিতেছে । অধুনালুপ্ত সেই অতিকায় প্রাণীদের প্রস্তরীভূত কঙ্কাল অথবা পূর্ণাবয়বের ছাপ আবিষ্কৃত না হইলে তাহাদের কাহিনীও রোমাঞ্চকর উপকথায় পরিণত হইত। প্রাগৈতিহাসিক যুগের এই সকল ভীষণদর্শন অতিকায় জন্তুর অনেকেই ছিল টিকটিকির মত আকৃতিবিশিষ্ট সরীহপ-জাতীয় প্রাণী । ব্ৰণ্টোসোরাস, ষ্টেগোসোরাস, টাইর্যানেসোর, ট্রাকোঙন, পোলাক্যাম্বাস্, প্লেসিওসোর প্রভৃতি প্রাগৈতিহাসিক জন্তুর বিরাটু
डोंट् দেহায়তন ও আকৃতির ভীষণত উপকথার কল্পনাকেও হার মানাইয় দেয় । জীবতত্ত্ববিদ পণ্ডিতেরা অনুমান করেন, কোন কোন প্রাগৈতিহাসিক সরীস্বপ হইতেই অভিব্যক্তির ধারার ক্রমবিকাশের ফলে পক্ষবিশিষ্ট প্রাণীরা বিবর্তিত হইয়াছে। আবার কেহ কেহ স্বীয় বংশধারা অক্ষুণ্ণ রাখিয়াও লক্ষ লক্ষ যুগের জীবনসংগ্রাম ও গোসাপ মাথ। উচু করিয়৷ চতুদিকের অবস্থা পৰ্য্যবেক্ষণ করিতেছে পারিপার্থিক অবস্থার চাপে পড়িয়া বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত অথবা অনেকাংশে রূপান্তরিত হইয়া গিয়াছে । এইরূপ এক জাতীয় প্রাগৈতিহাসিক অতিকায় ড্রাগনের ংশধরেরা আজও ধরাপৃষ্ঠে বিচরণ করিতেছে। ইহার কুমীর ও টিকটিকির মাঝামাঝি এক জাতীয় প্রাণী। ইহাদিগকে অতিকায় টিকটিকি নামে অভিহিত করা